Saturday, September 19, 2015

শুভ সকাল CSM

শুভ সকাল csm.
টলি ভাই,রেজা ভাই,আতিক ভাই,রাসেল,জাবেদ এই সিএসএম এ লিখে সবাই কেএকএিত করে ফেলেছে।আমার মনে হয় এই গ্রুপে যারা আছে সবাই লেখা গুলো পড়ে,কেউ কমানট করে কেউ লাইক দেয়।বাকি সবার ইচছা আমি ও মনের কথা লিখি।আবার মনে করে লেখা পড়ে যদি সবাই কিছু মনে করে।গত শুঞবার নাজমুল ভাই বলল আমি ঠিক মত লেখতে পারি না আমি শুধু লাইক আর মাঝে মাঝে কমানট করব।অতচ সেই দিন নাজমুল ভাই এর একটা লেখা সবার আবেগ সৃষ্টি করে,বেশীর ভাগের চোখে জল চলে আসে।

আমাদের এমরান ভাই



Mahabub Rashel বলাতে আমাদের এমরান ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। এমরান ভাই ছেলেছোকরাদের নিয়ে মাঠে বসে নিজের বীরত্বের কাহিনি শুনাচ্ছে। এমরান ভাইয়ের মুখেই শুনি বাকিটা......

একদিন আমি আমার হোন্ডাটা নিয়ে লাঙ্গামাটি যাইতেছিলাম। লাঙ্গামাটির রাস্তা খুব ডেয়ারিং। কাবিল না হলে ওখানে কেউ হোন্ডা চালাতে পারেনা। রাস্তাগুলা এমন উঁচুলে উঠে যে প্লেন উড়ি যাওয়ার সময় হরন দিতে দিতে যায়। সেইদিন আমি এরকম একটা রাস্তা দি উঠতেছিলাম। আমার সামনে একটা বেবি ট্যাক্সি। বেবি ট্যাক্সিটা আমাকে সাইড দেয়না। আমি পিত পিত করি হরণ দিতেছি তবু সাইড দেয়না। 

ভয়ংকর স্মৃতি


কোরবানি ঈদ, ঈদের অনেক আগে থেকেই ঈদ আনন্দ শুরু হয়ে গেছে কারন ঈদের গরু কেনা হয়ে গেছে। সেই গরু কে ঘিরেই ঈদ আনন্দ শুরু। আমার আব্বা, আজিজুল হক চাচা(পলাশ ভাইয়ের আব্বা), মহসিন চাচা(লিনা আপার আব্বা) রা মিলে ভাগে কোরবানি দিতেন। আমাদের আবদার থাকতো ষাঁড় গরু কিনার যাতে করে গরু ফাইট লাগাতে পারি।আব্বা,চাচারা আমাদের হতাশ করতেন না কলোনীর সেরা ফাইটার গরু টাই কিনতেন কোরবানীর জন্য। সেই বার ও কিনেছিলেন খুব রাগী আর তেজী একটা গরু সেটাকে নিয়ে আমদের আনন্দের সীমা নাই গরু কে মালা জরি দিয়ে সাজানো মারামারি লাগানো এই করতে করতে ঈদের দিন এসে গেলো। সবাই নামাজ পরে এসেছে এখন গরু কোরবানি হবে সবাই মিলে গরুটাকে বেধে শুইয়ে ফেলেছে ইমাম সাহেব তৈরী জবাই করার জন্য, গরুর গলায় ছুরি চালানো হলো কিন্তু অর্ধেক জবাই হতেই গরুটা প্রচন্ড শক্তি দিয়ে ঝাকি মেরে সবাইকে ফেলে দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো সে এক ভয়ংকর দৃশ্য, অর্ধেক জবাই হওয়া গরু দাঁড়িয়ে আছে তার গলা দিয়ে গলগল করে রক্ত পরছে আর সে সব মানুষের দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকাচ্ছে, সবাই ধরধর বলছে কিন্তু কেউ আর ধরতে সাহস করছে না, কিছুক্ষণ পর একাই গরুটা পরে গেলো তারপর তাকে ভাল ভাবে জবাই করা হল। আমি এই দৃশ্য দেখে এতোটাই আতংকিত হয়ে পরেছিলাম যে মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে ওই ভয়ংকর দৃশ্য স্বপ্ন দেখতাম।

মাসুক ভাই


মাসুক ভাই, তখন আমাদের দোতলায় থাকতেন।সারাদিন ওনার কাছে ছেলে মেয়েরা পড়তে আসত। ওদের জুতায় ভরে যেত মাসুক ভাইদের দরজার সামনের জায়গাটা। মাসুক ভাই উনার ছাত্র ছাত্রী দেরকে তুই করে বলতেন।উনি সবাইকে মনে হয় নিজের ছোট ভাই বোনের মত দেখতেন।তবে এটা নিয়ে ছেলেরা কিছু না বললেও কিছু কিছু আপুদের খুব আপত্তি ছিল।একদিন উনারা বলতেছেন এভাবে, "আচ্ছা মাসুক ভাই আমাদেরকে তুই তুই করে বলেন কেন? আমরা এখন কলেজে পড়ি। বড় হয়ছি না! তখন আরেক আপু উত্তর দিলেন,আসলে উনি তুই তুই করে বলে বোঝাতে চান যে কোন আমাদের প্রতি ওনার কোন দুর্বলতা নাই।" আরো খারাপ ভাবে বলছিল।আমি সেন্সর বোর্ড এ কেটে দিছি।সরি মাসুক ভাই। কলোনি র অনেক গুলা আলোচিত বিষয়ের মধ্যে আপনার তুই করে বলাটাও একটা বিষয় ছিল

যুগযুগ বেঁচে থাকুক জেকস আমাদের সবার মাঝে


জেকস সিএসএম কলোনীর এক ঐতিহাসিক স্থান। কম বয়সে সেখানে যেতাম শুধু কিছু কেনার প্রয়োজনে আর ঈদের দিনে দলবেধে কোক খাওয়ার জন্য ( তখন কোক আমাদের কাছে খুব বিলাসী সামগ্রী ছিলো)। একটু বড় হওয়ার পর সেখানে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়া শুরু, প্রখম দিকে জেকসের সামনের বেঞ্চ পর্য্যন্ত ছিলো আমাদের আড্ডার সীমানা, ধীরে ধীরে আমরা বড় হচ্ছি আমাদের আড্ডা ও জেকসের ভিতরে সেই লাল রংয়ের রেক্সিনের সোফায় বসে দেওয়ার অধিকার ও পাচ্ছে। জেকসের পিছনে একটি খুপরি ঘরের মত ছিলো ওখানে হিটারে কাষ্টমার দের জন্য চা বানানো হতো আর এক পাশে একটু সিনিয়ররা চা উইথ সিগারেট আড্ডা চলত, আমাদের খুব ইচ্ছে ছিলো ওখানে আড্ডা দেওয়ার। ঠিকই একদিন আমরা ওখানে আড্ডার অধিকার পেলাম চা উইথ সিগারেট, তার মানে আমরা বড় হয়ে গেছি। এক পর্যায়ে এমনও হয়েছে যে দুপুরে ভাত খেয়ে এসে আড্ডা দেওয়া শুরু হতো চলত সন্ধ্যা পর্য্যন্ত আর বৃষ্টির দিনে তো কোন কথাই নেই।