Wednesday, June 1, 2016

বন্ধু তোমায়


কি দিয়ে কি করবো বুজতে পারছি না,আমার পরিচিত ওনেক মানুষ আছে, আছে অনেক বন্ধু,কিন্তু আমার বন্ধু গুলা এতো ভাল যে তাদের কোন দিক দিয়ে ফেলে দিবার মত কিছু ই খুঁজে পাইনা,আমি নিজে কে অনেক অনেক সাধুবাদ জানাই যে আমি এই অধম কে আমার এই বন্ধু গুলা বন্ধু বলে মানে ও আমাকে ওরা সময় দেয়,ভালবাসে। এক কথা আমি ওদের বন্ধু হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

সাতে সাতে এখন বলছি আমার ছোট ভাই ও বোন গুলার কথা, আমি মাঝে মাঝে খুব অবাক হই যে, আমার এই ভাই বোন গুলা এতো ভাল যে ওদের কাজকর্ম কথাবার্তা অনেক অনেক ভাল , আমি ওদের সাতে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো তো।তোবে হা অবশই পারবো এতো গুলা ভাল ভাই বোন্দের সাতে চলতে চলতে মনে হয় কোন না কোন দিন তাদের সমান হতে পারবো ই ইন্সশাআল্লাহ।এই যে লিখা এটা ছোট ভাই বোন গুলা থেকে শিক্ষা ।

জ্যামে বসে আছি অনেকক্ষন গুলশান ২ এ


জ্যামে বসে আছি অনেকক্ষন গুলশান ২ এর একটি সুন্দর ফুলের দোকানের সামনে। দোকানের কাস্টমারও সুন্দরী সব হাস্যময়ী লাস্যময়ী তরুণী ললনা। আমি এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি, না আজ আমি সুন্দরি দের দিকে তাকাচ্ছিনা। তাকিয়ে আছি সেই দোকানের এক গুচ্ছ গোলাপি রঙ এর গোলাপের দিকে, অনেক দিন পর এই গোলাপি গোলাপ দেখছি। 

আজ থেকে দু যুগেরও আগে এক বিশেষ প্রয়োজনে বিএইচ ওয়ানের তিন তলার পিচ্ছিল কার্নিশ থেকে এই গোলাপি রঙ এর গোলাপ সংগ্রহ করে দিয়েছিল আমাদের পাগলা রাশেদ (মরাইয়া)।

আজো আমি চলার পথে খুজে ফিরি সেই গোলাপি গোলাপ।

ছেলে আমার খুব্বি স্টাইলিশ


ছেলে আমার খুব্বি স্টাইলিশ। বোকাটা ঘরেও জিন্সের প্যান্ট, টি-শার্ট, আর বোতাম খোলা শার্ট, হাতে ঘড়ি ইত্যাদি পড়ে থাকে। রাতে ওসব পড়েই ঘুমাই। ওর দাদুভাই, দিদাসহ আমরা হাজারো চেস্টা করেও ওকে ওর স্টাইল থেকে নড়াতে পারিনি। যদি কেউ বলে "তুমি ঘরে এসব পড়ে আছো কেন? কোথাও বেরাতে গেলে ওসব পড়তে হয়।" তখন আমার 4 বছরের আজানের সাফ সাফ উত্তর "স্টাইল করতে হয়"

ভোরে প্রতিদিন 4:30 টায় আমার মোবাইলে এলার্ম দেয়া থাকে ফজরের নামাজের জন্য। এমনিতেই আমরা যখনি নামাজ পড়ি আজান ওর ছোট্ট জায়নামাজ আর টুপি ওয়ারড্রোব থেকে বের করে পাশে দাড়িয়ে যায়।

আজ ফজরের সময় উঠে আজানকে দেখে আমি আর ওর মাতো অবাক। ওর শোয়ার স্টাইলটাই অবাক করে দিয়েছে।

কুমার বিশ্বজিৎ একজন গুনী সঙ্গীত শিল্পী


কুমার বিশ্বজিৎ একজন গুনী সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। একাধারে তিনি গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক। পেয়েছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। 

জন্ম ও প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। যদিও তিনি চট্টগ্রামে বেড়ে উঠেছেন, তবে কর্মজীবনের জন্য তিনি বিভিন্ন সময় ঢাকা আসা যাওয়া করতেন।বর্তমানে চট্টগ্রামের হোটেল সেন্ট মার্টিনের কর্ণধার দের মতো একজন।

গানের প্রতি তার আলাদা টান ছিল। তার গানের একটি আলাদা অভিনবত্ব ছিলো। ৮০ দশকের শুরুতেই "তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে" - এই গানটি দিয়ে সঙ্গীত ভুবনে আলোড়ন ফেলে দেন। তখন থেকেই তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেন।সঙ্গীত জীবনে তিনি অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। বাংলাদেশের নামকরা প্রায় সব সঙ্গীত পরিচালকের সাথে তিনি কাজ করেছেন।

এই গুনি শিল্পী আজকের এই দিনে জন্মগ্রহন করেন। আজকের এই দিনে কুমার বিস্বজিতের প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা।

(আংশিক সম্পাদিত)

ডায়াবেটিস সম্পর্কে সামান্য ধারণা


Heart attack সম্পর্কে লিখাটা দেবার পর শিউলী আপা বলেছিলো খাবার দাবার নিয়ে কিছু লিখতে। তাই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।খাবার দাবার এর সাথে ডায়াবেটিস জুড়ে দিলাম কারণ আমরা ডায়াবেটিস না হওয়া পর্যন্ত সচেতন হই না। আমাদের কমন ডায়ালগ এখন খেয়ে নাও, ডায়াবেটিস হলে তো আর খেতে পারবে না!!

ডায়াবেটিস সম্পর্কে সামান্য ধারণা:
ডায়াবেটিস হয় - ইনসুলিন এর অভাবে বা ইনসুলিন যদি আপনার দেহে ঠিক মতো কাজ না করে (এটাকে ইনসুলিন রেসিস্তান্স [resistance] বলে)I

ইনসুলিন এর কাজ:
ইনসুলিন pancreas থেকে নিসৃত একটি হরমোন। রক্তে সবসময় ইনসুলিন আসতে থাকে pancreas থেকে। কিন্তু যখন আমরা খাই, তখন যেহেতু অনেক পরিমান শর্করা এক সাথে রক্তে চলে আসে, তাই তখন অনেক পরিমান ইনসুলিন এক সাথে বের হয় pancreas থেকে । এই ইনসুলিন আমাদের গ্রহণকৃত শর্করাকে প্রসেস করে বিভিন্ন জায়গায় জমা রাখে (যেমন লিভার ও মাংসপেশী), পরে প্রয়োজন মত শর্করI ওই সব জায়গা থেকে বের হয়ে আমাদের শক্তি যোগায়।

আমি যদি তপন চৌধুরী রে পাই তাহলে তোমারে ছেড়ে তপন রেই বিয়া করব


”আমি যদি তপন চৌধুরী রে পাই তাহলে তোমারে ছেড়ে তপন রেই বিয়া করব আমি, প্রেমিকা তার প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বলল। উত্তরে প্রেমিক বলল, তপন আমারও অসম্ভব প্রিয় গায়ক, তার কাছে স্বেচ্ছায় তোমারে তুলে দিতে পারলে আমারও কোন আপত্তি নাই”।

ওই মেয়ে তপনরে অবশ্য বিয়া করতে পারে নাই, আবার ওই পোলার সাথেও বিয়া হয় নাই। তবে উপরোক্ত সংলাপ গুলো কিন্ত পুরোপুরি সত্য। সংগীত জগতে তপন চৌধুরী কতটুকু জনপ্রিয় হলে যার কাছে নিজের প্রেমিকারেও বিয়া দিয়ে দেয়া যায়, তা বুঝাতেই এই কথা গুলো তুলে ধরা হলো।

মেলোডিয়াস সংগীতে তপন চৌধুরী তুলনাহীন এক নাম। অথচ তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে সংগীত লাইনে তার কোন শাস্ত্রীয় বা ব্যাকরন গত জ্ঞান নেই।প্রচন্ড পরিমান বিনয়ী হলেই এক জন এত বড় তারকা নিজের `সীমাবদ্ধতা এভাবে স্বীকার করে নেয়। পরে অবশ্য তিনি শাস্ত্রিয় লাইনে অনুশীলন শুরু করেন। এবং রবীন্দ্র সংগীতের এলবামও বের করেন।

৯০-৯২তে জন্ম নেয়া ছেলেমেয়েগুলো হয়তো আমার মতো একটা দোটানায় ভোগে


"৯০-৯২তে জন্ম নেয়া ছেলেমেয়েগুলো হয়তো আমার মতো একটা দোটানায় ভোগে।আমরা খুব সুন্দর একটা ছেলেবেলা পার করে যখন জীবনের মধ্যভাগে ঠিক তখনি আমাদের চারপাশটা এমন ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে যে যারা এর সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে তারা আজ "কুল ডুড" আর যারা ছিটকে পড়েছে তাদের সোজা বাংলায় "ক্ষ্যাত" ।

আমাদের টাইম পাসের জন্য ফেইসবুক ছিলো না। আমরা সারা দিন স্কুলে বাদরামি করে বিকেলে খেলেতে যেতাম।

মাঝে মাঝে এলাকার আপুরা যখন মাঠ ক্রস করতো,বড় ভাইয়ারা এসে ব্যাট নিয়ে বিশাল বিশাল ছক্কা মেরে বল হারিয়ে ফেলতো।কষ্ট করে স্কুলে হেঁটে গিয়ে টাকা জমিয়ে কেনা বল হারানোর দুঃখ যে কি মারাত্মক তা আমরা ছাড়া কেউ বুঝবে না। বাসায় টিভি দেখতে দিতো না।প্রতি শুক্রবার দুপুরে বাংলা ছবি চলতো।এই ছবি দেখার জন্য হয়তো নিজের জীবনও দিতে পারতাম। কোন এক ফাকে টিভি ছেড়ে দেখে নিতাম নায়ক নায়িকা কে। যদি রিয়াজ,সালমান শাহ,বাপ্পা রাজ,শাবনূর,পূর্নিমা হতো তবে বুঝতাম ছবিটা অসম্ভব ভালো হবে।ওই দিন বিকেলে আর খেলতে যেতাম না। তবে অন্য নায়ক নায়িকার ছবি হলে ওতো পাত্তা দিতাম না। সন্ধ্যা ৭.৩০ এর অপেক্ষায় থাকা। অপেক্ষার প্রহর শুরু হতো ঠিক মাগরিবের পর থেকেই। মাগরিবের পর মানেই লক্ষী ছেলের মত পড়ার টেবিলে বসে যাওয়া। বসতাম ঠিকই কিন্তু মাথায় ঘুরতো আলিফ লায়লার সেই শুরুর গানটা। "দেখ সব নতুন কাহিনী,
মন ভরে যায় তার বাণী.........
আলিলললললফ
লায়লালালালালা............"

অন্য'দিন,অন্যরকম


কখনোসখনো একটি দিন অন্যরকম হয়ে যায়। 
অন্য নানান দিনগুলোর মতো নয়। 
চেনা মানুষের পুর্বের আলগা মুখোশ খুলে পড়ে,
এক অপরাহ্নের আলোয় নুতন করে দেখি,
হালকা মেকি প্রসাধন সরে যাবার প্রক্রিয়া বুঝতে পারা যায়,
কিন্তু হঠাৎ অন্যরকম দিনটির আলোয় খসে পড়ে নির্মম বেদনায়।
হঠাৎ সকালটি অন্যসকালের মত নয়। 
চেনা সকাল যেমন দেখি,
ঝলমলে,
মেঘলা,
বরিষনে ঝরো ঝরে,
পাগল হাওয়ায় কি গান গাওয়া,
সুনীল গগন,
না অন্যরকম,অন্যরকম।