১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘুর্নিঝড়ের পরের দিন। কলোনীতে যাদের বাসা নীচ তলায় ছিল তারা সারাদিনে বাসাটা ভাল করে পরিষ্কারও করতে পারে নাই। চারিদিকে স্যাতসেতে ভাব। বিশ্রী একটা গন্ধ। কারেন্ট ছিলো না।ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করা যাচ্ছে না। দরজাগুলো পানিতে ফুলে বড় হয়ে গেছে। বন্ধ করা যাচ্ছিল না। রাস্তাও পরিষ্কার ছিলো না। রাতে হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়লো ভুমিকম্প হবে। সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসলো। রাত দুইটা তিনটা পর্যন্ত বাহিরে ছিলো। সেদিনের কথা মনে হলে আজও গা শিউরে উঠে।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Wednesday, April 13, 2016
যে দুপুরে ঘুম আসত না
ছোটবেলায় বেশিরভাগ দুপুরে ঘুম আসত না।অনেক সময় ঘুম পাড়ানো র জন্য চোখএর পাতার উপর হাত দিয়ে রাখা হত,তবুও না।আব্বা অফিসে চলে গেলে আস্তে করে উঠে টুলের উপর দাড়িয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে যেতাম। মাঝেমাঝে ইউনুস ভাইয়ের দোকানে গেলে বন্ধ থাকত।তখন ঈ টাইপের ওয়ার্কার ক্লাবের দোকানে যেতাম। দেখা যেত সেটাও বন্ধ।দূরে এফ টাইপের দোকান টাতে আর যেতে ইচ্ছা করত না।তখন জেক্সের দিকে পা বাড়াতাম।
এত গরমে রোদে হাটতে এতটুকু খারাপ লাগত না,সেটা চৈত্র এর দুপুর হোক বা শরৎ এর মেঘ ভাসা আকাশের দুপুর। জেক্সে বিনগো আর কোকোলা নামে ১ টাকা দামের চকলেট পাওয়া যেত।সেগুলো কিনে খেতাম সাথে প্যাকেট এর গা থেকে প্লাস্টিক সরিয়ে সেটা তে তেল লাগিয়ে সাদা খাতায় ঘষতাম। তাতে করে প্যাকেট এর কার্টুন এর ছবি খাতায় উঠে যেত। এই দুপুর গুলো তে খেলার জন্য কাউকে পেতাম না।কিন্তু তাতে খারাপ লাগত না, মাঝেমাঝে পেজে বাজার থেকে কলোনি তে ঢোকার সময় ট্যাংকির ছবি টা দেখলে মনে হয়, এ পথে আমি যে গেছি বার বার
আজ ছুটি স্কুল
আজ ছুটি স্কুল। আজ মানে আজ থেকে শনিবার অব্দি। কি আরাম ঘরে থাকা। কাল টের পাওয়া যাবে। আমি থাকি যেহেতু বেইলী রোড,কাল বিকাল থেকে টের পাওয়া যাবে অবস্থা। ঢাকা শহরের যত বদ আর বদনিগুলা আছে এইডি যে কত ঢং ঢাং করবো। গতবার বিকালে গেইট খুলে সামনের রাস্তায় দাঁড়ালাম তামশা দেখতে। পুলাপানের পাকনামি দেইক্ষা বেশিক্ষন দাঁড়াতে পারি নাই।ভাবছিলাম এদের বাপ মা নাই? মেয়েগুলার? কি সাজ,কি পোশাক কোনোটাই রুচিকর না। বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে আসছে। এর মাঝেই দেখি রিকশা করে একটা পরিবার যাচ্ছে। হাসব্যান্ড, ওয়াইফ আর বাচ্চা। অসহায় মুখে বাপ বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে আর মা তো সেইরকম সাজ দিয়ে আসছে। পুরা হোয়াইট ওয়াশ করা মুখ,তার ওপর আলপনা করা এক গালে,চুল গুলা ইলেকট্রিক শক খাইলে যেমন হয়ে থাকে তেমন হয়ে আছে, লাল শাড়ি পরনে আর মাথার মধ্যে আবার এঞ্জেলদের মত ফুলের রিং। এইটা দেখে পরে বাসায় ঢুকে গেলাম। এইটা আমাদের বাংগালি সংস্কৃতি!!!!! উহু,কোথাও একটা ভুল আছে আমাদের।
আজ ঢাকা এসে প্রথমে মায়ের সাথে দেখা করলাম
আজ ঢাকা এসে প্রথমে মায়ের সাথে দেখা করলাম।মায়ের শরীরটা খুব দূর্বল।মা একদম শুকিয়ে গেছে সবাই মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
তারপর বন্ধু কাজীকে নিয়ে রেজাভাই এর অফিস থেকে ভাইকে তুলে আতিক ভাই এর অফিসের দিকে রওনা পথে অনেক জ্যাম ছিল।
তারপর আতিক ভাই গুলশানের একটি রেস্তোরাতে দুপুরের খাওয়া খাওয়াইলো।
কিছুক্ষন আড্ডারর পর কাজীর অফিসে বসে কিছু আলাপচারী করে,বাড়ীর দিকে রওনা দিব।
সিএসএর সবাই কে অগ্রিম বাংলা নবর্বষের শুভেচ্ছা।যে যেখানে থাকবেন ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।সেই প্রত্যাশায়।
অনেকেই বলে বা বলছে পেজ আগের মত জমছে না
অনেকেই বলে বা বলছে পেজ আগের মত জমছে না। এটা নিয়ে প্রায়ই আমাদের মাঝে তর্ক হচ্ছে। যারা বলছে পেজ আগের মত জমছে না তাদের কাছে কোন না কোন ডাটা অবশ্যই আছে আবার আমরা যারা বলছি পেজ আগের চেয়েও অনেক ভালো জমছে তাদের কাছেও নিশ্চয়ই ডাটা আছে। শুধুশুধু অনর্থক তর্ক না করে আমাদের ডাটা ভিত্তিক কথা বলা উচিত তাহলে মনে হয় আমরা আসল ব্যাপারটা জানতে পারব এবং সত্য উন্মোচন হবে এবং এটা নিয়ে আর ভবিষ্যতে কোন তর্ক হবে না। আমি আপনাদের সবার জন্য কিছু ডাটা পেশ করলাম, আগেও পেশ করেছি তারপরও আবারও পেশ করার প্রয়োজন মনে করলাম।
• অগাস্ট ২০১৫ (২০ অগাস্ট থেকে ৩১ অগাস্ট) এ লিখা পোস্ট হইছে ২৬ টা, এভারেজ ২.১৭।
• সেপ্টেম্বর ২০১৫ এ এ লিখা পোস্ট হইছে ১২৫ টা, এভারেজ ৪.০৩।
• অক্টোবর ২০১৫ এ লিখা পোস্ট হইছে ১৪৯ টা, এভারেজ ৪.৮১।
• নভেম্বর ২০১৫ এ লিখা পোস্ট হইছে ৫৪ টা, এভারেজ ১.৮।
• ডিসেম্বর ২০১৫ এ লিখা পোস্ট হইছে ৬০ টা, এভারেজ ১.৯৪।
• জানুয়ারী ২০১৬ এ লিখা পোস্ট হইছে ৯০ টা, এভারেজ ২.৯।
• ফেব্রুয়ারী ২০১৬ এ লিখা পোস্ট হইছে ২০৪ টা, এভারেজ ৭.০৩।
• মার্চ ২০১৬ এ লিখা পোস্ট হইছে ২৯৩ টা, এভারেজ ৯.৪৫।
• এপ্রিল ২০১৬ এ এখনো পর্যন্ত লিখা পোস্ট হইছে ১৮৯ টা, এভারেজ ১৪.৫৩।
এছাড়াও লাইক, কমেন্ট, রেপ্লি সব কিছু অনেক অনেক বেড়েছে। তারপরও যারা বলে গ্র্যান্ড আড্ডার পর পেজ আগের মত জমছে না, তাদের নিকট বিনীত অনুরোধ আপনারা দয়াকরে একটা পরিসংখ্যান দেন। তাহলে আমরা বুজতে পারব আসলেই পেজ টা আগের মত জমছে না নাকি আগের চেয়েও বেশি জমছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

সি এস এম কলোনি।।
প্রায়ই মেজাজ খারাপ হয়ে যেত।।কর্মস্থলের কিছু কিছু ব্যক্তিকে অস্বস্তি লাগতো।।এদের আচার-আচরণ দেখলে মন চায় গুলি করে দেই।।নূন্যতম আত্মসম্মান নেই।।যেটা আছে সেটাও রাখতে নারাজ।।তো প্রথম প্রথম বুঝতাম না।।প্রতিবাদ করতাম।।কারন আমি তাঁদের ন্যায় আচরণ করতে পারতাম না বা আসতো না।।কারন আমি যে পরিবেশে মানুষ হয়েছি সে পরিবেশে এ ধরনের স্বার্থন্বেষী মানুষের বসবাস ছিল না।।একটা সময় চিন্তা করলাম পোস্টিং হয়ে চলে যাই কিন্তু পরে চিন্তা করলাম এখানে সবাই তো খারাপ না।।দু'একজন খারাপ।।তো তাদের কারনে আমি অন্যদের কেন ছাড়বো।।পরে ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করলাম এবং ওদের একটা তালিকা করলাম এবং যতটা সম্ভব এড়িয়ে থাকার চেষ্টা করতে লাগলাম।।কারন চিন্তা করলাম ওদের ছাড়া আমি চলতে পারবো না বা চাকরি করতে পারবো না।।এদের মাঝেই আমাকে থাকতে হবে।।চাকরি করতে হবে।।তাই এখন আর ঝামেলা করিনা।।ভাল না লাগলে এড়িয়ে যাই।।এই হলো আমার কর্মস্থলের কাহিনী।।
এবার আসি পেজ নিয়ে।।এই পেজে আমিও অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজিত হয়ে যেতাম।।মতের অমিল হলে যা হয় আরকি।।পরে এক বড় ভাই উপদেশ দিল যে,,তুই এমন গরম হয়ে যাস কেন।।কোন বিষয় যদি তোর ভাল না লাগে এড়িয়ে যা,,অনেকটা রাজনীতি বীদদের মতো।।মুখে বলবি দেশকে ভালবাসি,,আর ভেতরে ভেতরে দেশকে বেঁচে দিবি।।অনেকটা এদেশের মতো।।পরে চিন্তা করলাম ঠিকতো।।দু'একজনের কারনে আমি বাকি দের কেন ছেড়ে যাবো।।উনার উপদেশটা আমি এখনও অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।।
একটা জোকস দিয়ে শুরু করি
একটা জোকস দিয়ে শুরু করি। এক কাজি ছিলেন। তাঁর কাছে কোন অভিযোগ এলে তিনি একটাই প্রশ্ন করতেন-মেয়েটি কে? একবার এক ফাদার মুখ খোলা ম্যানহোলে পড়ে পা ভেঙ্গে ফেললেন। ফাদার গেলেন কাজির কাছে অভিযোগ নিয়ে। কাজি সব শুনে জিজ্ঞাসা করলেন-মেয়েটি কে? কাজির পাসের সবাই তাকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন, ইনি একজন সম্মানিত ফাদার! তাকে এ ধরনের প্রশ্ন করে বিব্রত না করতে। কাজি নাছোড় বান্ধা। তার একই প্রশ্ন-মেয়েটি কে? ফাদার শেষে নিরুপায় হয়ে সত্য কথাটি বললেন-রাস্তার ডান পাশ্বের তিন তলার মেয়ে! মেয়েটি বারান্দায় বসে চুল শুকাচ্ছিল। ফাদার রাস্তা দিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটছেন। তারপর পা ম্যানহোলে! শেষে কাজি ফাদারকে বললেন-রাস্তায় হাটার সময় রাস্তার দিকেই তাকাবেন!
এই গল্পটি বর্তমানে হলে কেমন হতো। তা দেখি। িএক দেশে এক কাজি আছেন। তার কাছে কোন অভিযোগ আসলে প্রথম বলেন-নিশ্চয়ই এই ঘটনার পিছনে ইন্ডিয়া আমেরিকার কানেকশন আছে। এক দিন এক মহিলা কেদে বুক ভাসাতে ভাসাতে আসলেন কাজির কাছে। তার স্বামী তাকে গত রাতে পিটিয়েছে। কাজি সাহেব নিদের্শ দিলেন ঐ মহিলার স্বামী কে ধরে আনার জন্য । ধরেও আনাহলো। এবার কাজি বলল-বল আমেরিকা ইন্ডিয়া কিভাবে তোমাদের মধ্যে ঝগড়াটা বাদালো। কাজির পাশের সবাই হতভম্ব। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মাঝে ইন্ডিয়া আমেরিকা আসবে কিভাবে! স্বামী মুখ খুললো, তার স্ত্রী দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা টিভিতে ইন্ডিয়ান কাঁদতে কাঁদতে যায় বেলা টাইপের সিরিয়ালগুলো দেখে। আর কেঁদে হাটু ভাসায়। স্বামীর পছন্দ আমেরিকান চ্যানেল এএক্সএন (AXN) এর এ্যাকশন মুভি। সে বাসায় এসে স্ত্রীর কারনে এএক্সএন (AXN) এর এ্যাকশন মুভি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গতরাতে তিনি রাগ সামলাতে না পেরে এএক্সএন (AXN) এর এ্যাকশন তার স্ত্রীর উপর চালিয়েছেন। কাজি সব শুনে মুচকি হেসে বলল-এবার বুঝলা সব কাহিনীর পিছনে আছে ইন্ডিয়া আমেরিকার কানেকশন।
ঝরাপাতা গো আমি তোমারি দলে
- Mosaddeque Ali
বৃষ্টিতে কোন একদিন ভিজে সারা
ভিজি কানন শ্যামল পথে
কোন একদিন দিনের রৌদ্র খরায়
ঘেমে চলাচল অন্য প্রান্তরে
ভোলাপথে মূখর বার্তা গত বছরের।
কোনো শরত হেমন্ত দিনে সুবাতাসে
আঙিনাতে ফুলের মঞ্জরি
বসন্ত দিনের ছায়া ফাগুনি পুর্ণীমায়
দখিনা সৌরভ ভাসে মনে
বিগত বছরের সুনন্দ স্মৃতিরা জ্বলে।
কতদিন বেদনা পেয়ালা ভরে যায়
ওষ্ঠ ছুঁয়ে বিষাদাচ্ছন্ন করে
আনন্দের পানপাত্রে করুণ মাদক
অন্যখানে অন্য কিন্নর ডাকে
নিরুদ্দেশা অতীতের ঘোর মধ্যান্হে।
সবকিছু ঝরাপাতা ডালিতে ভরেছি
পত্রপল্বব সব যতকিছু স্মৃতি
তোমারি দলে ঝরাপাতা ঝরাপাতা
ঝরাপাতা গো তুমি সাথী হও
উচ্চাশে নিশ্বাসে সামনের বনপথে।।
——————————
বিদায় ১৪২২। চৈত্রের শেষদিন।
নুতন দেখা দিক আরবার।
বৃষ্টিতে কোন একদিন ভিজে সারা
ভিজি কানন শ্যামল পথে
কোন একদিন দিনের রৌদ্র খরায়
ঘেমে চলাচল অন্য প্রান্তরে
ভোলাপথে মূখর বার্তা গত বছরের।
কোনো শরত হেমন্ত দিনে সুবাতাসে
আঙিনাতে ফুলের মঞ্জরি
বসন্ত দিনের ছায়া ফাগুনি পুর্ণীমায়
দখিনা সৌরভ ভাসে মনে
বিগত বছরের সুনন্দ স্মৃতিরা জ্বলে।
কতদিন বেদনা পেয়ালা ভরে যায়
ওষ্ঠ ছুঁয়ে বিষাদাচ্ছন্ন করে
আনন্দের পানপাত্রে করুণ মাদক
অন্যখানে অন্য কিন্নর ডাকে
নিরুদ্দেশা অতীতের ঘোর মধ্যান্হে।
সবকিছু ঝরাপাতা ডালিতে ভরেছি
পত্রপল্বব সব যতকিছু স্মৃতি
তোমারি দলে ঝরাপাতা ঝরাপাতা
ঝরাপাতা গো তুমি সাথী হও
উচ্চাশে নিশ্বাসে সামনের বনপথে।।
——————————
বিদায় ১৪২২। চৈত্রের শেষদিন।
নুতন দেখা দিক আরবার।
সরকারি বন্ধ বা বিশেষ দিন গুলো এলে আমার রীতিমতো ভয় এবং বিরক্ত লাগে
সরকারি বন্ধ বা বিশেষ দিন গুলো এলে আমার রীতিমতো ভয় এবং বিরক্ত লাগে।।কারন এই দিন গুলোতে সবাই যখন পরিবার পরিজনদের নিয়ে ব্যস্ত এবং আনন্দগন মুহূর্তে সময় গুলো পার করে তখন আমি থাকি বিভিন্ন রকম নিরাপত্তা মূলক ডিউটিতে নিয়োজিত।।রাস্তায়,,পার্কে বিভিন্ন রেস্তারাঁ সহ অন্যান্য জায়গায় যখন দেখি কোন পুরুষ তার পরিবারের বা প্রিয় মানুষ গুলোকে নিয়ে এক সাথে ঘুরে বেড়ায়,,খাবার খায় তখন আমার আনন্দ লাগার পরিবর্তে খারাপ লাগে।।মন খারাপ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।।
আর সবার মতো এবারো ছেলের জন্য এবং ছেলের মায়ের জন্য বৈশাখের কাপড় কিনেছি।।ছেলের বায়না শিশু পার্কে যাওয়ার আর বৌয়ের বায়না মেলায় যাওয়ার এবং ফিরতি পথে বাহিরে এক বেলা তৃপ্ত করে খাওয়া।।আমি জানি অন্য বারের মতো এবারো আমি ওদেরকে সময় দিতে পারবো না।।তবুও মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়েছি যে,,আমরা অবশ্যই যাবো।।আনন্দ করবো।।বৌও জানে আমি মিথ্যে সান্ত্বনা দিচ্ছি।।তবুও সে এবং তার ছেলে তৈরি হয়ে বসে থাকবে আমার প্রতিক্ষায় এবং একটা সময় মন খারাপ করে সব কিছু ভূলে যাবে এবং একটা ফোন আসবে আমার কাছে আর বলবে,দেশ সেবা নিয়েই থাকো,,বৌ-সন্তানের প্রয়োজন নেই বলেই ফোনটা টোটাললি অফ করে দিবে।।আর ঠিক তখন আমার কষ্টটা আরো বেড়ে যায় এবং মনে মনে বলি খোদা এ কেমন রিজিক তুমি আমার কপালে রাখলে😢
আমাদের বন্ধু মহলে সর্বাধিক পঠিত গল্প বই টি ছিল প্রজাপতি প্রকাশনীর "লুকোচুরি "
আমাদের বন্ধু মহলে সর্বাধিক পঠিত গল্প বই টি ছিল প্রজাপতি প্রকাশনীর "লুকোচুরি "। রোমান্টিক কমেডি ঘরানার গল্প ছিল। বই টি এতো বার পড়েছি যে পুরো বইটি মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি বার পড়েছি আমি আর মরা রাশেদ। বই টি পড়ে আমি রাশেদ এতোটাই কল্পনায় ভেসে গেলাম যে, দু জনেই সিদ্ধান্ত নিলাম বই এর কাহিনী অবলম্বনে ছবি বানাবো। হিন্দি ও বাংলা দু ভাষায়ই ছবিটি রিলিজ দেয়া হবে। নায়ক নিয়ে কোন সমস্যা নেই। তখন আমির খানের যুগ, রাশেদ আর আমি দুজনেই আমির কে চয়েস করেছি। ভেজাল লাগলো নায়িকা নিয়ে, আমার পছন্দ জুহি আর রাশেদের মাধুরি, এ নিয়ে দু জনের মাঝে তুমুল ঝগড়া। ঝগড়ার চোটে ছবি বানানোর পরিকল্পনাই বাতিল। হুম! জাতি দুজন ভবিষ্যত গুনি চিত্র নির্মাতা কে অকালেই হারালো।
কোথায় আমির আর কোথায় জুহি মাধুরি আর কলোনি তে বসে আমাদের অতি আবেগী কল্পনার পাগলামো। কত সরলতার জীবন ছিলো আমাদের।
এই সরলতার জীবনটাতেই আবার ফিরে যেতে মন চায় বারবার।
ব্লাড নিয়ে এইটা আমার দ্বিতীয় লিখা
ব্লাড নিয়ে এইটা আমার দ্বিতীয় লিখা। চট্টগ্রাম সিটি কলেজে পড়াশোনা করার সময় আমি যুব রেড ক্রিসেন্ট সিটি কলেজ ইউনিট এর একজন সদস্য হই। পরবর্তীতে ব্লাড বিভাগীয় প্রধান হই। এর পর থেকে ব্লাড নিয়ে কাজ শুরু। ২০০৭-২০১২ পর্যন্ত আমি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছি। রেড ক্রিসেন্ট করার সময় আমার যুব প্রধান আমাকে সাহস দেয় ব্লাড দেয়ার । সেই থেকে বিদেশ আসার আগ পর্যন্ত ১২ বার ব্লাড দিয়েছি । যখনি কেউ কল দিত ব্লাড দেওয়ার জন্য চলে যেতাম ।কেউ কে চিনতাম না।কিন্তু রক্ত দিয়েছি । এই জন্য অবশ্য আম্মা অনেক বকা দিত। বলত্ নিজের শরীরে রক্ত নাই উনি অন্যেরে রক্ত দেয় ।কিন্তু রক্ত দিলে মনের মধ্যে একটা শান্তি কাজ করে।।মানুষ মন থেকে দোয়া করে।জীবনে একটা ভাল কাজ করতে পারি এই রক্ত দান করে।আমরা অনেক রক্ত দিতে ভয় করি। কিন্তু ভয়ের কিছু নাই। ।।।তাই হইত অনেকেই আমার ব্লাড নিয়ে প্রথম লেখায় লাইক দিলেও তাদের ব্লাড গ্রুপ কী তা লিখেনি।।।।
Subscribe to:
Comments (Atom)