Monday, July 4, 2016

পাশের বাড়ির মেয়ে


এই লিখাটা যাকে নিয়ে তিনি হয়ত কলোনি র কেউ নন।কিন্তু কলোনি তে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন তার অভিনয় দেখে বড় হয়েছি,তার জনপ্রিয়তা, উত্থান সব আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ে হয়েছে। বিপাশা হায়াত। সুপ্রভাত ঢাকা নাটকে যাকে দেখা গিয়েছিল,আবুল হায়াতের মেয়ে হিসেবে।সেদিন তার সাধারন মেয়ের ইমেজ এ মুগ্ধ হয়ে ছিলাম।কোন নাটকে তিনি আছেন শুনলেই অপেক্ষা শুরু হত। হুমায়ুন আহমেদের অন্য ভুবনের ছেলেটা নাটক আর বিশেষ করে অয়োময় এর লবঙ্গ চরিত্র তাকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলে। বিপাশা হায়াতের মধ্যে ছিল এক ধরনের শান্ত,স্নিগ্ধ সৌন্দর্য যার কারণে খুব অল্প সময়ে তিনি দর্শক দের নজর এ পড়ে যান।আর ছিল পাশের বাড়ির মেয়ে ইমেজ,যাকে যেকোন পুরুষ তার মা বাবার সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন।উগ্রতা, উশৃঙ্খলতা এগুলো বিপাশা হায়াতের মধ্যে ছিল না।শালীনতা আর বিপাশা পরস্পর এর প্রতিশব্দ। হয়েছিলেন লাক্স এর মডেল। আর এভাবেই নিজের একটা আলাদা ইমেজ গড়ে তুলে সবার খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেন বিপাশা হায়াত

দুদিন ধরে মনটা খুবই খারাপ


দুদিন ধরে মনটা খুবই খারাপ। কোন কাজে মন দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।তারপর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করি বলে দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতার তাগিদে ৩ জুলাই বিকেল ৪ টায় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিলাম। সমাবেশ ও অন্যান্য কাজ শেষ করতে বিকেল ৫.৩০ বেজে গেল।আমার সাথে আমার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তিন চার জন বন্ধুরা ছিল আর ছিলেন আমাদের সুচয়নের পরিচালক।সাথে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু।(নাম বললে অনেকে চিনবেন।)পরিচালক বলেন.... তোমাকে ওর বাসায় যেতে বলছে। আমি বললাম আমি তো একা যেতে পারবনা।সঙ্গে যারা আছে তাদের নিয়ে যেতে হবে।আমার বন্ধুরা ভদ্রলোককে বলল ইফতার করাতে হবে।উনি উওর দিলেন আমি কী ইফতার বানায়? আমি বললাম তাহলে তো আমি যাব না।আমরা কেউ যেতাম না।দুষ্টুমি করছিলাম।আবারো দুষ্টুমি মাথায় চাপলো।দিলাম অপু দাকে +(আপনারা অনেকে যাকে আদর করে মগা বলেন) কল।দাদা আপনার বাসায় ইফতার করবো।দাদা বললো কয়জন আছস? আমি বললাম আছি কয়েকজন।দাদা বললো বাসায় যা।তোর বউদিকে আমি বলছি। লাউন্ড স্পিকারে ছিল মোবাইল। আমার বন্ধুরা বললো মনে হলো যেন নিজের ভাই কথা বলছে। আমি গলা উচুঁ করে বললাম আমরা সি এস এম।খুব আনন্দে ওরাও আমার সাথে সাথে চুপ করে গেল। আমি আমার বয়োজ্যেষ্ঠ বন্ধুকে (পরিচালক) জিজ্ঞেস করলাম:অসাম্প্রদায়িক কে, আপনার বন্ধু???? না আমাদের সি এস এম।উনি আমাকে বললেন অবশ্যই তোমাদের সি এস এম।আর বললেন অপু কিন্তু সাংস্কৃতিক কর্মী, মাথায় রেখো।বিক্ষিপ্ত মনটা সাথে সাথে ভালো হয়ে গেল।ধন্যবাদ অপু দা