Saturday, April 30, 2016

ভুল মানুষেরই হয়


ভুল মানুষেরই হয়। আমিও মানুষ। আমারও ভুল হতে পারে। আমি যদি নিজের অজান্তে কাউকে কোন দুঃখ দিয়ে থাকি কিংবা আমার কোন আচরনে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখিত। আর একটি কথা আপনি যদি কখনো কারো কাছ থেকে শুনেন আমি আপনার বিরুদ্ধে কোন কটু কথা বলেছি আপনি তৎক্ষনাত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাকে এই নম্বরে (01819-636321; 01619-636321) ফোন করে তার সত্যতা যাচাই করবেন। যদি ফোন করা সম্ভব না হয়, তাহলে ইনবক্সে জানান। তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে কারো মাধ্যমে আমাকে ফোন করতে বলবেন। আমি নিজে আপনাকে ফোন করবো। তারপরেও আমি চাইনা আমার দ্বারা কেউ মনে কষ্ট পাক। কিংবা অযথা কোন ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হোক তাও আমি চাইনা। আর আমি যদি আপনাকে কিছু বলেও থাকি তবে তার সঠিক ব্যাখ্যা আমার কাছেই থাকবে। এবং তা দ্রুত সমাধান করা যাবে। অন্য কারো কাছ থেকে জানতে চাইলে তার সঠিক ব্যাখ্যা হয়তো আপনি পাবেন না। তাতে আপনার মনটা আরো বেশি খারাপ হবে। তাতে আমাদের কারো কোন লাভ হবে না। বরং তাতে সম্পর্কের অবনতি হবে। আশাকরি ব্যাপারটা সবাই বুঝতে পারবেন।

এ পেজের একেবারে শুরুর দিকে চন্দন চাচাকে নিয়ে একটি লিখা লিখেছিলাম


এ পেজের একেবারে শুরুর দিকে চন্দন চাচাকে নিয়ে একটি লিখা লিখেছিলাম, ব্যাক্তি পর্যায়ে কাউকে নিয়ে ওই টাই বোধ হয় প্রথম কোন লিখা। চন্দন চাচা বা চাচির সাথে আমার তেমন কোন ব্যাক্তি গত পরিচয় ছিলনা। যে টুকু পরিচয় চাচার সাথে ছিল সি টাইপ মাঠে ক্রিকেটের কল্যানে, উনাকে একটু ভয়ই পেতাম।ভিক্টর ভাইয়ের সাথে অবশ্য ভালো সম্পর্ক ছিলো আমার,এক সাথে স্কাউটিং করতাম আমরা। উনাদের (ভিক্টর ভাই ও চাচা)সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিল ৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে।

গত রাতে চাচীর ছবি এ পেজে দেখে ও সব কিছু জেনে খুবই খারাপ লাগছে, তার উপর আসিফের খবর সব মিলিয়ে মর্মস্পর্শী। 

জানতে পারলাম চাচী এখন পল্লবি থাকেন, আমিও পল্লবির বাসিন্দা এছাড়াও অপু ভাই সহ সিএসএম এর অনেকেই এই মিরপুর পল্লবী তে বসবাস করে। গতরাতেই অপু ভাইয়ের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, ইনশাল্লাহ চাচির জন্য আমরা কিছু একটা করার চেষ্টা করব, বাংগালি রাজিবও ঢাকা আসবে চাচির সাথে দেখা করতে। চন্দন চাচার শেষ কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ডে আমার যে আত্মীয় চাচার সহকর্মী ছিল তাঁর ছেলেরাও এখন পল্লবী থাকে তাদের আমি বিষয়টি জানিয়েছি, তারাও চাচির সাথে যোগাযোগ করবে।

কত সুন্দর উদার সাংস্কৃতিক মনা একটি পরিবার আজ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কত অসহায়।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে ভালো রাখুক।

মানুষ চেনা দায়


এই পেজে অনেক মেম্বার। কিন্তু আমি ভাবতাম সবাই রেগুলার না। হয়ত থাকার জন্য আছে। কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল করলাম, কালকে চন্দন চাচী র পোস্ট টা দেয়ার পর অনেক মেম্বার তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খুব সুন্দর ভাবে।তার মানে আমরা এখনো একে অন্যের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো র জন্য প্রস্তুত আছি। খুবই ইতিবাচক ব্যাপার, উৎসাহ জনক ব্যাপার। 

চাচীকে নিয়ে লিখাটা পড়ার পর সবার মত আমারো মন খারাপ হয়েছে। মানুষের পাশে কেউ না থাকলে তার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে সেটা কম বেশি আমরা সবাই বুঝি। 

আসল ব্যাপার যেটা চোখে পড়েছে তা হল যাদের কে অনিয়মিত মেম্বার বলে ভাবছি, যারা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট করেন না, তারা যে পোস্ট গুলো পড়ে দেখেন না তা নয়।হয়ত পড়েন কিন্তু ভাল লাগেনা বলে প্রতিক্রিয়া জানান না। 
এই পেজে অনেক দিন লিখার কারনে সবার সম্পর্ক এ একটা মোটামুটি ধারনা হয়ে গেছে।কিন্তু যারা নীরব থাকেন,তাদের কে নিয়ে আমার ভয়।কারন হাবিজাবি সব নিয়ে লিখি বলে কখন যে কার বিরক্তি র কারন হয়ে যাচ্ছি বুঝতে পারছি না।

আজ ৩০ এপ্রিল। এ মাসের শেষ দিন।আমারো শেষ লিখা। সুজন হয়ত সুস্থ হয়ে ডাটা দিবে।তা নিয়ে ভাবছিনা। লিখালিখি মনের বিষয়, প্রতিযোগিতা র না। আমার ভয় যেন সত্যি না হয় মনে মনে তাই কামনা করছি

আসলে মনটা অনেক খারাপ


আসলে মনটা অনেক খারাপ।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।তাই আমার সব ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করলাম।আসলে এ দুনিয়াতে সহজসরল হলেও কষট পেতে হয় আবার অতি চালাকেরও গলায় দড়ি।আমি আমার আপন মানুষদের কে খুব আপন মনে করি আর অনেক বিশ্বাসও করি।কিনতু ওরা আমাকে কখনও আপন মনে করেনা তা আজ একটু আগে বুঝলাম।আর ভাবলাম হায়রে মানুষ।মানুষের এতো রুপ।কিনতু আমি কখনও এগুলা করিনি আর আমি বুঝিও না মানুষের চালাকি।থাক আবার চিন্তা করলাম আললাহ তো আছে,উনি তো সব দেখছে।যে যা করবে আললাহ তার ফল দিয়ে দিবে।আমি যদি ভিতর থেকে ভাল থাকি তাহলে জে যত চালাকি আর আমাকে ছোট করার চেষটা করুক না কেন কিছুই হবেনা।কারন সত্যের জয় হবেই।তবুও মনকে মানাতে পারচিনা তাই লিখে ফেল লাম।মনটা বেশি খারাপ মনে হয় চিৎকার করে কাননা করি।কিনতু তাও পারবো না।আসলে আমি খুব সহজে মানুষ বেশি আপন মনে করি।এটা ঠিক না আজকে বুঝলাম।আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।

গত তিন চার দিন ঢাকার বাইরে ছিলাম অনেক ব্যস্ততা নিয়ে


গত তিন চার দিন ঢাকার বাইরে ছিলাম অনেক ব্যস্ততা নিয়ে। আজ ফিরে এসে এই মাত্রই খরটা জেনে স্তুম্ভিত,মর্মাহত। কী জীবন কী হল ?
এক সময় সি-৪ এ আর বি তে আমরা থাকতাম। 
ভিক্টর আমার কাছে মাঝে মাঝে গণিত পড়তে আসত,কলোনী থেকে বের হয়ে আমরা শহরে টি এন্ড টি কোয়াটারে শিফট করে গেলও ভিক্টর মাঝে মাঝে আমার বাসায় আসত কখনো প্রয়োজনে কখনো মনের টানে।
আমার বোনদের সাথে চাচীর সম্পর্কটা ছিল মা - মেয়ের মত। আমার বড় বোনের বিয়েতে ঢাকা এসে চাচী মায়ের চেয়েও বড় ভুমিকা রেখেছিলেন।
সেই চাচীর সাথে দীর্ঘ দিন কোন যোগাযোগ নেই। ভাবতে নিজেকে খুব বড় অপরাধী মনে হয়।
কালকে চাচীকে দেখতে যাব। কিছু একটা করতে হবে চাচীর জন্য।এই মুহূর্ত এ আমরা সবাই চাচীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবো।

NB:ভিক্টরের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমার মাকে নিয়ে ব্রাম্মনবাড়িয়া গিয়েছিলাম চাচা-চাচীকে সান্তনা দিতে। সেই শেষ দেখা।

জোড়া শালিক


One for sorrow,
Two for joy.
Three for letter,
Four for guest.

হুম শালিকের সংখ্যা নিয়ে এরকম কথাই শুনেছিলাম ছোটবেলায় বিপাশা হায়াতের এক সাক্ষাৎকার এ। পরে দেখলাম আমাদের দোতলার রিপা আপাও এই বিষয় এ বিশ্বাস ছিল। কোন কারনে হয়তত চোখে এক শালিক দেখেছেন,অমনি অস্থির হয়ে যেতেন আরেক শালিক মিলানো র জন্য।নাহলে নাকি দুঃখ আসবে।নিজে ত খুঁজতেন, সাথে আশেপাশে আমার আপারা বা অন্য কেউ থাকলে তাদেরকেও খুজে দিতে বলতেন। মাঝেমাঝে পেয়েও যেতেন জোড়া শালিক, তখন উনার মুখে বিজয়ের হাসি ফুটে উঠত।

এখন উনি ঢাকায় থাকেন।সেখানে জোড়া শালিক ত দূরের কথা, পাখির দেখা পাওয়া ভার।তাই সেদিন যখন জোড়া শালিক দেখলাম, তখন উনার কথা মনে পড়ল আর ছবি তুলে নিলাম।যাতে করে যখন খুশি জোড়া শালিক দেখতে পারেন আর উনার দিনগুলো- ভাল কাটে।

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ১৯৯১(২)


তখন ১৯৯১ সালের পরবর্তী সময়। কলোনি র বিধ্বস্ত অবস্থা। তারপরেও কিছু ঘটনা আজও মনে হাসির উদ্রেক করে।
যেমন এ সময় কলোনি র কিছু বড় ভাই নিজেরা মিলে একটা লরি করে বিভিন্ন টিউবওয়েল, ওয়াসার ট্যাংকি থেকে পানি নিয়ে বাসার সামনে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসতেন।আবার পানি নেয়ার সময় যাতে কোন ঝামেলা না হয় তাও দেখতেন।অনেক টা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত।

একদিন আমাদের বাসার পাশের ওয়াসার ট্যাংকি থেকে লাইন ধরে সবাই পানি নিচ্ছিল। আতিক ভাই ওইখানে দাড়িয়ে লাইন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এমন সময় সুফিয়ার মা নামে আমাদের বুয়া আসল কেটলি করে পানি নিতে।যেহেতু কেটলির আকার ছোট তাই তাই সে বলল তাকে আগে দিয়ে দিতে।তখন আতিক ভাই জানতে চাইলেন কাদের বাসা থেকে এসেছে। বুয়া বলল, মোরশদগো বাসাত থন। আতিক ভাই বুঝলেন, মাকসুদ চাচার বাসা থেকে এসেছেন।তিনি পানি দেয়া হবেনা বলে দিলেন।