Saturday, March 19, 2016

মাকড়সার একটা গল্প


মাকড়সার একটা গল্প --- এক মাকড়সার সখ খালি দাওয়াত খাওয়া এবং খেতে যায় দাওয়াত না পেলেও যায়। একদিন অনুষ্ঠান হচ্ছে but কোথায় হচ্ছে বুঝতে পারছে না। তাই সে মাঝায় রশি বেধে চার ছেলেকে চার দিকে পাঠিয়েছে যেদিকে অনুষ্ঠান সেদিকে যেন রশি টান দেয়। প্রথমে একজন রশি টান দিল ।এভাবে চার দিক থেকে চারজনই টান দিল। মাকড়সার পেট হয়ে গেল চিকন চারদিকের রশি টানাটানিতে।

এবার আমার কথা বলি --সামনে তিন দিনের বন্ধে চেয়েছিলাম রাজধানীতে যেতে। but ctg থেকে বিয়ের মৌ মৌ গন্ধ পেলাম। তাই ডিসিসন চেন্জ করে ফেল্লাম। ঠিক করলাম দাওয়াত পাই আর না পাই ctg তেই যাব।বিয়ে খেয়ে আছি।এটাই মনে হয় csm কলোনির আন্তরিকতা কি বলেন জসিম ভাই আর কমু ভাই? আমরা আমরাই তো।

বিঃদ্রঃ-- কমু ভাই অবশ্য একটু আগে ফোন করে দাওয়াত দিয়েছে আমাকে।যদিও আমি দাওয়াত না পেলেও যেতাম।

গল্পটা আমাদের


  • গল্পের নায়কঃ ৯৯ ব্যাচের দামাল ছেলেরা
  • গল্পের নায়িকাঃ ৯৯ ব্যাচের দুরন্তপনা মেয়েরা
  • গল্পের সময়কালঃ ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬
  • গল্পের স্থানঃ CSM School এবং সমগ্র CSM Colony
  • গল্পের প্রেক্ষাপটঃ গ্রুপ প্রেম ( দশে মিলে করি প্রেম, হারি জিতি নাহি সেম [shame - লজ্জা] ) 

পর্বঃ ০১

সত্য ঘটনা অবলম্বনে। গল্পটা আমাদের ১৯৯৯ ব্যাচের কিছু দামাল ছেলে এবং কিছু দুরন্তপনা মেয়েদের নিয়ে রচিত। সবে মাত্র আমরা সবাই ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস সিক্স এ উঠছি। তখনও ঠিকমত জানতাম না অথবা বুজতাম না আসলে প্রেম কি, ভাললাগা কি এবং ভালবাসা কি? 


আমরা সবাই ছিলাম খুব দুরন্তপনা। সারাক্ষণ আমরা ছেলেরা মেয়েরা মারামারি করতাম টিফিন নিয়ে, বাড়ির কাজের খাতা নিয়ে আরো অনেক কিছু নিয়ে আর এই জন্য আমরা অনেকবার মার খেয়েছি স্যার আপাদের কাছ থেকে। এভাবেই কেটে যায় আমাদের বেবি ক্লাস থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। যাইহোক ক্লাস সিক্স এ উঠার পর আমরা নিজেদের একটু বড় ভাবা শুরু করলাম। আমাদের স্কুল এ ক্লাস ফাইভ এর পর ছেলেরা মেয়েরা আলাদা ক্লাস রুমে ক্লাস করত এটাই নিয়ম ছিল। আলাদা হয়ে আমরা ছেলেরা প্রথম প্রথম অনেক খুশি হলাম কারণ এখন আর ওদের সাথে মারামারি হবে না আর আমরা স্যার আপাদের কাছ থেকে বকাও শুনবো না আবার মারও খাবো না, সুতরাং এখন আমরা অনেক শান্তিতে থাকব। 


বেশ কিছুদিন শান্তিতে কাটল আমাদের কিন্তু কিছুদিন যাবার পর আর ভালো লাগে না আমাদের। আমরা সবাই ওদের সবাইকে খুব মিস করতে থাকি, ওরাও আমাদের ......। এভাবে তো চলতে পারে না, একটা কিছু তো করতেই হবে। তাই সবাই মিলে প্লান করলাম প্রেম করতে হবে। সবাই প্রেম করবো একসাথে, শুধুমাত্র নিজ ব্যাচ এর মেয়েদের সাথে। যেই কথা সেই কাজ। শুরু করলাম কল্লোলকে দিয়ে। কল্লোলও রাজি হয়ে গেল। আমরা কল্লোলের প্রেমিকা ঠিক করে আমাদের ব্যাচ এর মেয়েদের জানিয়ে দিলাম কল্লোলের প্রেমিকার নাম (কম)।

বই পড়া তখন আর এখন


আতিক ভাই সেদিন সবাইকে বই পড়ার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন। বেশ ভাল কথা।ছোটবেলায় আমরা সবাই আমরা পাঠ্যবই এর বাইরে রুপকথার গল্প পড়তাম।বড় হয়ে উপন্যাস কিংবা গল্পের বই।সেগুলোর কোনটার কাহিনি বা চরিত্র আমাদের মনে ডাক কেটেছিল।নিজের সাথে কোন চরিত্রের মিল খুজে পেত কেউ। বিষয় টা নিয়ে আড্ডা হতে পারে।

থাক সে কথা।ছোটবেলায় আমাকে গল্পের বই কিনে দেয়া হত।সেটা পরীক্ষা শেষ হবার পর ডিসেম্বর মাসে। বছরের অন্য সময় দেয়া হত না কারন পড়ালেখার ক্ষতি হতে পারে।কিন্তু আমি নানাভাবে বই ম্যানেজ করতাম।একবার স্নিগ্ধা আপার কাছ থেকে রাক্ষসের মায়াপুরী নামে একটা বই এনে আর ফেরত দেয়া হয়নি।বাবার কিনে দেয়া বইয়ের মধ্যে ছিল,"ঠাকুর মার ঝুলি, ছোটদের আরব্য রজনী " ইত্যাদি।কখনো বেবি আপাদের বাসা থেকে গিয়ে উনাদের দ্রুত পঠন কিংবা

গতকাল প্রায় ১৫/১৬ বছর পর ফুটবল খেলতে নেমেছিলাম বীচে


গতকাল প্রায় ১৫/১৬ বছর পর ফুটবল খেলতে নেমেছিলাম বীচে, দৌড়াদৌড়ি কম করা লাগে তাই গোল কিপার পজিশনে খেলেছি, সেই আগের কার দিনের মত ডাইভ দিয়ে দুয়েক টি গোলও সেভ করেছি, আশপাশ থেকে হাততালিও বোধ হয় এসেছে।

সি টাইপ মাঠ, বিকেলে ফুটবল খেলছি, আমি গোল কিপার, খেলার শুরুতেই দুটো গোল খেয়ে গেলাম বাজে ভাবে, হঠাৎ মাঠের পাশে রাস্তা থেকে এলোকেশী খিলখিল হাসি, আর আমার পারফরমেন্স ও বেড়ে দর্শনীয় ভংগীমায় ডাইভ দিয়া কয়েকটি গোল সেভ করলাম আর কোন গোল খেলাম না।

মোরাল অফ দি স্টোরি ; কাল বীচে অনেক সুন্দরী ললনা ছিলো।

ডাব ও বাপের বাড়ী


Anisur Rahman Reza ভাইএর বাপের বাড়ী লেখা পরে, আমার বাপের বাড়ী যাওয়ার একটা চিরস্বরনীয় ঘটনা শেয়ার করতে ইচ্ছা হল।

বিয়ের ৩য় দিন সংসার শুরু করতে ঢাকা এলাম। এক সপ্তাহ না যেতেই খুলনা যাওয়ার জন্য মন এত অস্থির হয়ে গেল যে আজকে রওনা না দিলে মরেই যাব। তো স্বামী বেচারা খবর নিয়ে জানল যে আমাদের এক আত্বীয় শামীম ভাই ও যাচ্ছে। তার কাছে টিকেট কাটার দায়ীত্ব দিল।

বিধিবাম, ভাই টিকেট কিনল নন এসি বাসের একদম লাস্ট সিট। সারা পথ উত্থান পতন অনুভব করলাম। কত প্রবাদ মনে পড়ল- জীবন কুসুম আস্তিরন নয়। কখনো কবি নজরুলের " দুর্গম গিরি কান্তার মরু...."
অবশেষ, ঘাটে নাম্লাম।