Wednesday, September 30, 2015

তোমার আজ মন ভালো নেই

- Javed


তোমার আজ মন ভালো নেই
-------------------------------
আমি সীমান্তে পাঠিয়েছি দূত
সে খবর এনেছে
তোমার আজ মন ভালো নেই।
আমি কাঁটাতার কেটে দিয়ে
উপড়ে এনেছি চৌকি
দুঃখ সব এপারে আসুক।
সীমান্তরক্ষীদের বলে দিয়েছি
নতজানু হয়ে থাকো
দুঃখ সব এপারে আসুক।
ঘোড়সওয়ার খবর এনেছে
তোমার আজ মন ভালো নেই।।
শুল্ক বিভাগকে বলে দিয়েছি
দুঃখের উপর কোন কর শুল্কায়ন হবেনা
দুঃখ অবাধে এপারে আসুক।
গোয়েন্দারা প্রতিবেদন দিয়েছে
তোমার আজ মন ভালো নেই।।
(৩০/০৯/২০১৫)

যৌথ আবাসিক কলোনি



আজ বন্ধু Md Jahid এর একটি লেখা পরলাম। বন্ধু Tajul Islam এর সমর্থনের (লাইক) কারনেই লেখাটি চোখে পড়লো। ফেসবুকে আমি জাহিদের বন্ধু তালিকায় নেই তাই তার টাইম লাইনে কিছু লিখতে পারছি না। তার অভিযোগ CSM পেজটি শুধুমাত্র জরুরি আবাসিক কলোনির প্রতিনিধিত্ব করছে। আপাতদৃষ্টিতে তাই মনে হতে পারে কেননা পেজটিতে যৌথ আবাসিক কলোনির বাসিন্দাদের অংশগ্রহন কম। একারনে স্মৃতিচারণমূলক কোন লেখাতে যৌথ আবাসিক কলোনির কোন প্রসঙ্গ উঠে আসেনা। যৌথ আবাসিক কলোনিতে আমি নিজেও অনেক আড্ডা দিয়েছি। যৌথ আবাসিক কলোনির পানির পাম্প, খেলার মাঠ, বিল্ডিংগুলোর ছাদ সব জায়গাতেই আড্ডা দেয়ার পরম সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি ভুলে যাইনি সেই বিখ্যাত চাকলুপানিয়ার কথা। আমি বাক্তিগত ভাবে মনে করি নিয়মতান্ত্রিকতার মাঝে থাকা জরুরি আবাসিক কলোনির চেয়ে যৌথ আবাসিক কলোনির দিনগুলো অনেক বেশি রঙ্গিন ছিল। যৌথ আবাসিক কলোনির বাসিন্দাদেরই সেই রঙ্গিন দিনগুলোর কথা তুলে আনা উচিত। 

CSM সবসময় একটি পরিবার ছিল, একটি পরিবারই থাকবে।

চুরি ও ইমোশোন।


আমরা তখন ডি টাইপে থাকি, আমাদের পিছনের বিল্ডিং এ রিনিদের বাসা, ওদের আম গাছে অনেক আম ধরেছে, তখন ৮৮ সাল রোজার মাস, তারাবির টাইমে অপারেশন শুরু, আমি, দুলি, মনিরুল, আরো কয়েকজন আম পাড়ছি এমন সময় রিনি দের বাসা থেকে আম চোর আম চোর বলে চিৎকার, আমি আর দুলি আর দেরি না করে ওদের বাসার দরজার বাইরের দিকের ছিটকারি লাগিয়ে দিলাম যাতে ঘর থেকে কেউ বের না হতে পারে। তারপর মনের সাধ মিটিয়ে আম চুরি করলাম। বাসার ভিতর থেকে চিৎকার করছে, তাতে কি কেউ তো আর বের হতে পারবেনা। পরে পুকুরপাড় বসে আম খেলাম, যা খেলাম তার চেয়ে বেশি নস্ট করলাম। বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে বাপ কতৃক ঝাড়ু পেটা। আজো বুঝলাম না এতো তাড়াতাড়ি বাসায় কমপ্লেইন্ গেলো কিভাবে। পরদিন এর প্রতিবাদে দুলি কে সাথে নিয়া রিনিদের বাসার সামনে টাইম বোমা ফাটাতে গেছি ( বোমার সাথে আগর বাতি লাগিয়ে আগরবাতি তে আগুন জালিয়ে দিলে ৫/৭ মিনিট পর বোম ফাটে, এটাকে আমরা টাইম বোমা বলতাম) বোম ফিট করে একটু দূরে যেতেই কে জানি বলল রিনির দাদি বা দাদা খুবি অসুস্থ, একথা শুনার সাথে সাথে আমরা বোমার আগুন নিভিয়ে ফেললাম।

“ আদব লেহাজের চুড়ান্ত নমুনা “



আমাদের ৯৭ ব্যাচের আলী আক্কাস স্বপন, কলোনীর কয়েকজন বিরল প্রজাতির বান্দরের মধ্যে একজন। মসজিদে গেলেও আমাদের বাঁদরামির শেষ থাকতো না, জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে সবার আগে খুঁজে বের করতাম আমাদের গুলো কোথায় বসে আছে ? এরপর একসাথে হয়ে সেখানেও বাঁদরামি, জামা টানাটানি, পাঞ্জাবি গীট্টু দিয়ে দেওয়া, কে ঘুমে ঝুরছে তাকে নিয়ে হাসা হাসি ইত্যাদি ইত্যাদি !

একদিন সম্ভবত এশার নামাজের সময়, নামাজ শুরু হয়ে গেছে, সবগুলো দৌড় দিয়ে নামাজের কাতারে হাসা-হাসি করতে করতে হুড়-মুড় করে দাঁড়ালাম, আক্কাস দাঁড়িয়ে দেখে তার পাশে ছানার আব্বা ( আঙ্কেলের নাম মনে নেই এখন ) নামাজের নিয়ত বাঁধা অবস্থায় আছেন, তবুও আক্কাস আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে আদবের সাথে দাঁত কেলিয়ে বলল, “ আঙ্কেল আসসালামুয়ালাইকুম !!! “ আঙ্কেল নামাজের নিয়ত বাঁধা অবস্থায় আক্কাসের দিকে তাকিয়ে বললেন “ ওয়ালাইকুম-আসসালাম !!! “ আবার নামাজের দিকে মনোযোগ দিলেন।

শাহজাহান ভাই ও হুজুর স্যারের চাউল পড়া


ক্লাস এইট অথবা নাইনে আমাদের ক্লাসে এক নতুন ছাত্র ভর্তি হলো। আমাদের নতুন সহপাঠীর নাম শাহজাহান। হালকা পাতলা লম্বা গড়নের শাহজাহান এর মুখে সব সময় থাকতো সারল্য মাখা হাসি। মোটা ফ্রেমের চশমা পরা মুখে সুন্দর করে ছাটা গোফ ওয়ালা শাহজাহান সত্যি কারেই ছিলো অত্যন্ত সহজ সরল বোকা সোকা একটা ভাল ছেলে।শাহজাহান আমাদের চেয়ে বয়সে কিছুটা বড়ই হয়তো ছিল সেটা তার গোফ ই বলে দিতো। কিছু দিনের মধ্যে শাহজাহানের সাথে আমাদের দোস্তি হয়ে গেলো। কিন্তু সমস্যা একটা শাহজাহান ক্লাসের সবাই কে ভাই বলে সম্বোধন করে উপায় না দেখে আমরা ও তাকে শাহজাহান ভাই ডাকতাম।