এ লিখাটি প্রায় মাস দুয়েক আগে আমার টাইম লাইনে পোস্ট করেছিলাম, নতুন সদস্যদের আবার বলার লোভ সামলাতে পারলাম না, তাই এ গ্রুপে আবার পোষ্ট করলাম, কেউ বিরক্ত হলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন....................।
রাত প্রায় ১ টা, ২১ শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে আমরা টাঙকির নীচে রাস্তায় আল্পনা করছি, আর ভোর বেলা আমাদের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য পুস্প স্তবক রেডী করছি, কিছু ফুলের শর্ট পড়ল, আমি আর রিমান ফুল যোগাড় করতে গেলাম আনোয়ার ভাই দের বাগানে (ডি ১) ,যেই বাগানে ঢুকলাম অমনি আনোয়ার ভাই বারান্দা থেকে কে রে বলে চিৎকার করলেন, দেখলাম উনি একটা কালো চাদর জড়িয়ে বারান্দায় বসে আছেন চোর পাহাড়া দেওয়ার জন্য,
কারন এ রাতে ফুল চুরি হতো বেশী, ওখান থেকে দৌড়ে গেলাম ই- টাইপে জাহিদ ভাইদের বাগানে, বাগানে যাওয়ার পথে একটা ড্রেন ছিলো, কিন্তু ড্রেনটি ঘাসে ভরা ছিলো বলে অন্ধকারে বুঝা যাচ্ছিলোনা এটা ড্রেন না সমান জায়গা, আর এ কারনেই রিমানের একটা পা পড়ল ড্রেনের ভিতর ঐ পা তুলতে গিয়ে আরেক পা পড়ে, অন্ধকারে ব্যালেন্স রাখতে না পারার কারনে রিমান ঐ ড্রেনের ভিতর দিয়েই হেটে হেটে রাস্তায় উঠল, ফুল আর যোগাড় করা গেলোনা, ওয়াসার ট্যাংকি তে রিমান নিজেকে পরিষ্কার করল, কিন্তু তার লুংগীটি গেলো সম্পূর্ন ভিজে , ওদিকে বড় টাংকির নীচে সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আর ফুল আনতে দেরী দেখে রাগ করছিলো আর যত গালাগালির ষ্টক ছিলো ত্ খালি করছিলো, কিন্ত রিমানের এ করুন অবস্থা দেখে সব রাগ উধাও, একেক জনের হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ, হালকা শীত ছিলো তখন , তাই বেচারা রিমান ভিজা লুংগীতে খুব কষ্ট পাচ্ছিলো, এতো রাতে বাসায়ও যেতে পারছিলোনা, এটা দেখে মনিরুল তার বাসা থেকে ওর একটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট এনে দেয়, মনিরুলের প্যান্ট রিমানের কোমরে এতো টাইট হচ্ছিলো যে বোতাম লাগছিলো না, পরে কে যেনো একটা দড়ি এনে দেয় রিমান কে, রিমান দড়ি দিয়ে কোন মতে প্যান্ট টি বেধে ভোর পর্যন্ত বসে ছিলো, এর আগে সে লুংগী টি ধুয়ে এক পাশে শুকানোর জন্য রাখে, কিন্তু রাশেদ (মরাইয়া) লুঙী টি টাংকির সিড়ি বেয়ে উপরে রেখে আসে, ভোরে যখন রিমান প্যান্ট চেঞ্জ করে লুঙী পড়বে ,দেখে ওর লুঙী টাংকীর অনেক উপরে, এদিকে ভোরে শহিদ মিনারের উদ্দেশ্যে আরো লোকজনের চলাচল শুরু হয়ে গেছে,রিমানের এমন অবস্থা দেথে তারা মিটমিট করে হাসতে লাগলো ( তখন আসলে কোয়ার্টার প্যান্টের চলন তেমন শুরু হয়নি) বেচারা রিমান তার মোটা শরীরের কারনে উপরে উঠে লুংগী টি নামাতেও পারছিলোনা, অবশেষে সেই চিরাচরিত ফমূর্লা , শেষ পর্য্যন্ত রিমান রাশেদ কে এক প্যাকেট গোল্ড লিফের অফার দিলে , রাশেদ লুঙী টি নামিয়ে আনে।
আহা !!!! এখন কোন ফুল ও চুরি হয়না, কেউ ড্রেনেও পড়েনা, কারো লুংগী ও খোয়া যায়না আর কারও কোনও অফারও নেই।
No comments:
Post a Comment