Monday, February 29, 2016

আজ সাড়ে বারটার দিকে আমি, শওকত, হেলালী মাসুক ভাইয়ের ব্যাংকে গেলাম


আজ সাড়ে বারটার দিকে আমি, শওকত, হেলালী মাসুক ভাইয়ের ব্যাংকে গেলাম আমাদের এসোসিয়েশনের একাউন্ট করার জন্য। শওকত আর হেলালী ওদের জরুরী কাজ থাকায় ওরা কমপ্লিট না করে চলে গেলো। মাসুক ভাই আমাকে বসিয়ে রাখলো বাকি কাজ কমপ্লিট করার জন্য। আর বললো ওনার সাথে অবশ্যই লাঞ্চ করতে হবে। আমারও কাজ কম তাই বসে রইলাম। মাসুক ভাই আমাদের ফরম ফিলাপ করে আর আমি ফেইসবুক থেকে ঘুরে আসি। এরই মধ্যে উমামার আড্ডা সংক্রান্ত পোষ্ট দেখি। সেখানে কমেন্টসও করি। দেড়টার দিকে আমিও একটা পোষ্ট দিই। মাঝে মাঝে সেখানে ঢুকে দেখি কে কি কমেন্টস করলো। হঠাৎ মামুনের একটা পোষ্ট দেখে "থ" হয়ে গেলাম। 

বন্যার আব্বা অর্থাৎ আজিজুল হক চাচা মারা গেছেন। বার বার পড়লাম পোষ্টটা। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এবার নীচের দিকে যেতে লাগলাম। দেখলাম একই পোষ্ট আতিক আরো আগে দিয়েছে। পুরো অবাক হয়ে সেই পোষ্টটাও দুই তিন পড়লাম। মাসুক ভাইকেও বললাম। বিস্তারিত ঘটনা জানার জন্য চিন্তা করছি কাকে ফোন দেওয়া যায়। কারন তখন বন্যাকে ফোন দেওযার মতো সাহস পেলাম না। দেওয়া ঠিকও হবে না। প্রথমে দিলাম আতিককে ফোন। বিস্তারিত জানতে চাইলাম। কিন্তু সেও বেশি কিছু বলতে পারলো না। তবে বললো কিছুক্ষণ পরে রেজা ভাই যাবে। তাই ঘন্টাখানেক পরে রেজা ভাইরে ফোন দিলাম। রেজা ভাই ও ব্যস্ত। তবে বললো ঘুমের মধ্যে মারা গেছে। রেজা ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম চাচার সাথে রিপন ভাই নেত্রকোনা যাবে। 


কয়েক বার মোবাইলটা হাতে নিলাম বন্যাকে ফোন দেওয়ার জন্য। দিতে পারলাম না। দিয়ে কি বললো? সান্তনা দেওয়ার কোন ভাষায় তখন মনে আসছে না। তারপরেও সন্ধ্যায় প্রথমে ফোন দিলাম উমামকে। ও নাকি তখন বাসায় ছিল। শেষ কথাও ওর সাথে হয়েছে। তারপর ফোন দিলাম বন্যাকে। বন্যার সাথে কথার বলার পর মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো। আসলে যার যায় সেইই বুঝে। এ ক্ষতি কখনোই কোন কিছুতেই পুরন হবে না। এখন আল্লাহর কাছে আমাদের একটা চাওয়া আল্লাহ যেন চাচাকে বেহেস্তে নসিব করেন।

No comments:

Post a Comment