Saturday, June 11, 2016

আজ ছুটির দিনটিতে ভেবেছিলাম ছেলের মায়ের সাথে সপিং এ বেরব


আজ ছুটির দিনটিতে ভেবেছিলাম ছেলের মায়ের সাথে সপিং এ বেরব। সকালবেলা প্রস্তাবটি তিনি বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়ে বললেন ছেলেদের নিয়ে যেতে। 

যথা আজ্ঞা ।

রোজার দিনে ড্রাইভারকে কষ্ট দিতে মন চাইলো না। বাপ-বেটা ভাগে যোগে গাড়ি চালিয়ে সারাদিন সসপিং সহ আরও কিছু জরুরি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে চারটা।

দিনমান মার্কেট মার্কেট ঘুরে তিন বাপ-বেটা ভীষন টায়ার্ড। কাজের মেয়েটা দরজা খোলা মাত্র তিন জনই যে যার শোবার ঘরে। এসি অন করে দে এক ঘুম। 

সোয়া ছটার দিকে রান্না ঘর থেকে গিন্নি এসে ঘুম না ভাঙালে আসর নামাজটা বুঝি কাযাই হয়ে যেত। তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজ শেষ করে টিভিতে লাইভ ক্রিকেট।

বন্ধ রুমে খট খট আওয়াজ দিয়ে গিন্নি জানান দিল ইফতারের সময় হহয়েছে।


তিন রুম থেকে তিন জন খাবার টেবিলে গিয়ে দেখি বিশাল আয়োজন। রোজকার সাধারন আইটেমের শাথে কাবাব,ফালুদা,শরমা,আরো কতকি। একজন অতিথি ( ভাগ্নে) সহ সবাই মিলে পরম তৃপ্তিভরে ইফতার সেরে গিন্নিকে জিগ্যেস করলাম- -

--মার্কেটিং এ না গিয়ে সারা দিন এ সব করেছ বুঝি?
স্মীত হেসে ছোট্ট করে বলল-
- না, ছেলেটা এসেছে তো। 

*******************************
আমার বড় ছেলেটা FMC তে FCPS করছে। গতকালই বাসায় এসেছে। ওর জন্যই সপিং এ না গিয়ে সারাদিন এ জ্যৈস্টের ভাবসা গরমে দগ্ধ হয়ে ওর মা এত সব আয়োজন করেছে।

শুধু কি স্নেহময়ী মা ? একজন ভালবাসার -স্ত্রী, একজন মায়াবতী খালা, একজন শ্রদ্ধাাস্পদ আন্টী ----------
( ইফতারের আগে নাকি ছেলের বন্ধু এসেছিল, তার জন্যও ইফতার রেডি করে প্যাকেট করে দিয়েছে) 
তোমাকে অভিবাদন। তোমার প্রতি আমাদের অশেষ শ্রদ্ধা, অফুরান ক্রৃতজ্ঞতা। 

তোমরা আছো বলেই আমরা এতটা ভালো থাকি।

No comments:

Post a Comment