Sunday, June 26, 2016

ইফতার পার্টির আয়োজনের প্রথম পোস্টটি দেখার পর ভাবলাম যাওয়া হবে না


ইফতার পার্টির আয়োজনের প্রথম পোস্টটি দেখার পর ভাবলাম যাওয়া হবে না।তাই ততটা গুরুত্ব দিয়ে পড়তাম না।এই ধরনের সম্মিলিত অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবনতা আমার মাঝে আছে তবে এখন কিছুটা বেরিয়ে এসেছি সেই মানসিকতা থেকে।পরে একটি পোস্টে দেখি তানিয়া আমাকে খুঁজছে।এখনতো সারা দিতে হয়! কি করা! পেইজ থেকে নিজেকে দূরে রাখলাম।কিন্তু কতক্ষন! একবার যখন জরিয়ে গেছি উপায় নেই।পেইজে যেয়ে দেখি তানিয়া আবার message দিয়েছে, আসছি কিনা?এখনতো আর এড়িয়ে যাওয়া যায় না! ছেলের বাবাকে বললাম, যাবে ইফতার পার্টিতে?বলল,বোর্ডের খাতা অনেক দেখা বাকী,যাওয়া হবে না বলে দাও।এই বলে সে তো চলে গেল কলেজে।ভাবলাম একবার না বললে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তানিয়াকে message দিলাম,এখনো বলতে পারি না,পরে জানাবো।দুপুরের আগে আবার তানিয়ার message যেভাবে হোক রাজি করিয়ে আসেন।এবার মন টানলো। কি করা যায়?ভাবতে ভাবতেই দুপরে ছেলের বাবার ফোন এল,আজ কলেজে ইফতার আছে, দেরি হবে।ভাবলাম, এই সুযোগ, এখন বললে ঝামেলা থাকলেও রাজি হবে।কারন আমরা কলেজ পার্টিতে নাই।অবশেষে তাই হলো। পরে message পাঠিয়ে দিলাম, যাব।কিন্তু ইফতার পার্টির দিন নিজস্ব কাজের জন্য যেতে দেরি হল।যখন পৌছলাম, দেখি, হল ভর্তি,সে এক অপরূপ দৃশ্য! আমাদের আসনও নির্দিষ্ট ছিল। যেন ট্রেনের সিটের মত। আগে উপস্হিত না হওয়ায় আফসোস কিছুটা আছে। তারপরও যেটুকু ছিলাম খুবই ভালো লাগলো। ইফতারের পর কিছুক্ষণ গল্প করলাম অনেকের সাথে,কফি খেলাম। সেই ছোট বেলায় দেখেছি কয়েক জনকে।এখন দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে। সিনেমায় যেমন দৌড়াতে দৌড়াতে বড় হয়।অদ্ভূত রকমের ভাললাগা অনুভূতি! না গেলে মিস করতাল।এরকম মুগ্ধকর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ও অন্যদের অসখ্য ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment