Saturday, September 26, 2015

বিব্রত


দেখতে দেখতে আরেকটা ঈদ চলে গেলো আমাদের জীবন থেকে। কলোনীর ঈদ নিয়ে সবাই নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত। বিশেষ করে নামাজ শেষে কোলাকুলি নিয়ে। এখন আর কেউ কোলাকুলি করার মানুষ খুজে পায় না। আর কলোনীতে কোলাকুলি করতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তো। সত্যিই অনেক আনন্দের ছিলো কলোনীর ঈদের দিন গুলি। কলোনির ঈদের নামাজ হতো অফিসারস ক্লাব টেনিস কোট এ। এমনই এক ঈদে নতুন পায়জামা পাঞ্জাবি পরে নামাজ পরতে গেছি। প্রথম রাকাত নামাজ এ যেই রুকুতে গেছি ওমনি আমার পায়জামার ফিতার সেলাই করা জোড়াটা পিছন থেকে গেলো ছিড়ে। কি বিব্রতকর পরিস্থিতি এক হাতে পায়জামার পতন ঠেকিয়ে কোনো রকম নামাজ শেষ করলাম। নামাজ শেষে আমার বন্ধু ডালিম আর মিলটন কে বললাম আমার করুন অবস্থার কথা। এখন কোলাকুলি শুরুর পালা ডালিম আর মিলটন আমাকে সাহাজ্য করছে কোলাকুলি এড়িয়ে বাসায় ফিরার জন্য, আমি এক হাতে পায়জামার পতন ঠেকিয়ে যতোই কোলাকুলি এড়াতে চাই ততই পরিচিত মুখ গুলা হাসি মুখে এগিয়ে আসে কোলাকুলি করতে। কি বিব্রতকর পরিস্থিতি। আমার কান্না পাইতে লাগলো ইজ্জত নিয়ে মনে হয় বাসায় ফিরতে পারবো না। যা হোক শেষে সম্মানের সহিত বাসায় ফিরে হাফ ছেড়ে বাচলাম। হায়রে পায়জামার ফিতা ছিড়ার আর টাইম পাইলি না ঈদের শুরুর আনন্দের কোলাকুলি টাই মাটি হলো। ওই ঈদেই সবচেয়ে কম কোলাকুলি করছিলাম 

No comments:

Post a Comment