খুশির সময়গুলার ব্যাপ্তি এত কম হয় কেন? গত বৃহস্পতিবার এই সময়ে ছিলাম Grand আড্ডার ভেন্যুতে। খুব ঠান্ডা পারেনি আমাদের আটকে রাখতে। সে কি উত্তেজনা সবার চোখে মুখে। ধুমধুমানো ব্যস্ততা। আমি যেতেই নাজমুল ভাই বললেন, 'আমি একটু বাইরে যাচ্ছি,রান্না হচ্ছে,তুই মেয়েদের নিয়ে না খেয়ে যাবি না।' আমার ত শুধু বাহানা চাই থাকার। নাজমুল ভাইয়ের আর কোনো কথা মানি বা না মানি সেদিন আদেশ মনে করে থেকে গেছি। আমার দুই বোন ছিল সাথে,কাশেম চাচি, পিংকি আর তার গুল্লুগুলা সবাই আসলো। কি আনন্দ। ঈদ যেন। দলবেঁধে চা খেতে গেলাম। রেজাভাই আসলেন তার কিছু আগেই।
আমার মেয়েরা পুরা জায়গা জুড়ে দৌড়াচ্ছে,ছবি তুলছে। আমার কথাগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আমি ওখানে বসেই লিখছি। একসময় গিয়ে বসলাম যেখানে রান্নার আয়োজন হচ্ছে সেখানে। বিরাট বিরাট হাড়ি রাখা,একপাশে লাকড়ির স্তুপ,আরেকপাশে বাজার সদাই। এর মাঝেই রাতের খাওয়ার আয়োজন হচ্ছে। মুরগী আর ভাত। খুব সাধারণ খাওয়া,কিন্তু সেদিনের মুরগী আর ভাতের স্বাদ ছিল অন্যরকম। বসার জায়গা নেই এক্টুও,তাতে কি। ফেরার সময় দেখলাম গরু আনা হয়েছে। সেল্ফি তুলতে চেয়েছিলাম।তা গরুর হাবভাব দেখে প্ল্যান বাদ দিলাম। পরেরদিন আড্ডার আবহ ছিল একরকম কিন্তু আগের দিনের যে আমেজ ছিল তার সাথে কোনোকিছুরই তুলনা চলেনা। আরেকটা আড্ডার আয়োজন করা যায় না?
No comments:
Post a Comment