সবাই যখন লিখছে ভাবলাম আমিও কিছু লিখি।গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলেই নিয়মিত লিখা হয়না।
মাহমুদুল হাসান।যখন ক্লাস এইট কিংবা নাইন এ পড়ি তখন প্রিন্স মাহমুদের সুরের গান গুলো ভালোই শুনতো সবাই।তখন সে লিখতো প্রিন্স মাহমুদ।সবাই এইটা নিয়ে খুব দুষ্টুমি করতাম আপেলের সাথে।আমি,শাকিল,আপেল,রুমি,লিটন এই কয়েক জন কলোনীতে ঘনিষ্ট ছিলাম বেশী।পরে নাজিম,ওয়াহিদ এবং তৌহিদ। বেশ ভালোই কাটছিলো দিনগুলা।যখন ক্লাস টেন এ উটলাম তখনি আপেল চলে আসলো কলোনী থেকে।এরপর অনেক বছর একটা গ্যাপ ছিলো।প্রায় ১০ কি ১১ বছর তো হবেই।আপেলের সাথে আবার দেখা হলো চট্টগ্রামে।একা আপুর( শাকিলের বোন) বিয়েতে। সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।অনেক দিন পর আবার একসাথে হয়েছিলাম সেইদিন।
আমি ঢাকায় আসি ২০১১ তে।আবার আপেলের সাথে দেখা।তখন আপেল বইমেলাই ষ্টল দিতো।বইমেলাই যেতাম।ওর সাথে আবারো সেই আগের মতোই আড্ডা দেয়া শুরু করলাম।এমন সময় ও গেছে অফিস থেকে বের হলাম ভালো লাগছেনা কিছুই। আপেল কে ফোন দিলে সাথে সাথেই চলে আসতো।আমার কখনো এমন হয়নি যে আমি আপেল ডাকলাম আর সে আসেনি।আপেলের যতোই জরুরী কাজ থাকুক না কেনো ফোন দিলেই চলে আসে।কখনো না শব্দটা ওর মুখ থেকে শুনিনি।পারবোনা কিংবা করবোনা এই শব্দটা কখনো আমার ক্ষেত্রে কখনো বলেনি।আমার পারিবারিক সমস্যা হউক কিংবা ব্যাক্তিগত সমস্যা হউক আপেল আছেই।আমার সাথে আপেল থাকলে মনে কেন জানি সাহস চলে আসে।গতকাল আমার ছোটচাচার অপারেশন ছিলো আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ এ।হাস্পাতালে আমাকে থাকতে হচ্ছে।একা একা কি করবো? তাই আপেল কে ফোন দিলাম সে চলে আসলো।সারারাত আমার সাথেই ছিলো হাসপাতালে।আসলেই আপেল আমার জন্নে অনেক কষ্ট করে। শুধু আমার জন্নেনা যদি কোন বন্ধু ডাকে তাও একই অবস্থা।নিজের কাজ ফেলে চলে আসে।
ধন্যবাদ বন্ধু। যদিও এই শব্দ টা এইখানে বেমানান।ধন্যবাদ শব্দ টা যদিও অনেক বড় তারপরেও তোর বন্ধুত্তের ক্ষেত্রে এই শব্দটা আমার কাছে অনেক ছোট মনে হয়।দোস্ত তোর কাছে অনেক ঋনী হয়ে রইলাম।ভালো থাকিস দোস্ত সবসময়।
বি: দ্র: এই লাইনটা আপেইল্লার জন্য। ঐ আপেইল্লা ঘুমাইনে ভালো কইরা।। আজকে রাতে আবারো যেতে হবে হাসপাতালে।ঠিক সময়ে চলে আসিস।
No comments:
Post a Comment