আমরা যখন C-11-C তে সাইদ, চুমকি,রুমকি রা তখন C-11-D
তে। সাইদ আমাদের সিনিয়র। আমার সাথে ছিল অন্য
রকম সম্পর্ক।
ওরা D টাইপে থাকতে ( আমরা তখন C-2-B)
ওদের বাসায় টিভি দেখতে যাইতাম। সাইদ গোসল করার
সময় আমাকে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে হত, না হলে ও গোসল করবে না বলে গো ধরত। চাচা আমাকে কোলে করে নিয়ে বাথরুমের সামনে
বসিয়ে দিতেন।
C-11-C আসার পর একসাথে কত গোসল করছি। একবার বাথরুমে দুই জনে
সিগারেট খাইতে গিয়ে বাবুল ভাইয়ের কাছে হাতে নাতে ধরা।
দুপুরে এক সাথে না ঘুমালে সাইদের ঘুমই আসত না। সাইদের সাইকেলই আমার জীবনের
প্রথম। চলান শিখছি ওটা দিয়েই। প্রথম বার যখন সিঙ্গাপুরি সাইকেলেটাতে তুলে ধাক্কা
দিয়ে ছেড়ে দিল আমি কিছুক্ষন সোজা চালিয়ে গিয়ে পড়লাম এক ঝোপের মধ্যে। সেই থেকে
শুরু।
মুক্তির সাথে চুমকি আপারও একই রকম সম্পর্ক ছিল। ওদের বাসা আমাদের বাসা বলতে
গেলে আমাদের জন্য ছিল একই। ঈদে সবার আগে ওদের বাসায় যেতে হত। কয় বার যে যেতাম!
চাচীর হাতের পায়েস,, সেমাই মনে হয় এখনও মুখে
লেগে আছে।
আমাদের বাসায় ছোটদের ১০ টার ইংরেজী সংবাদের পর টিভি দেখা নিষেধ ছিল। মাঝে মাঝে
তাই সাইদদের বাসায় বায়নিক ওমেন, সিক্স মিলিয়ন
ডলার ম্যান দেখতে যেতাম। শেষে চাচা দরজায় দাড়িয়ে আমাদের বিদায় দিতেন আর আব্বাকে
বলে দিতেন ওরা আমাদের বাসায় একটু টিভি ,,,,,।
সাইদ আর চুমকি আপার দুইটা বাইনি কুলার ছিল। কত রাত ওগুলো দিয়ে আকাশের তারা
দেখছি। আহা সেই দিনগুলা.......
No comments:
Post a Comment