Thursday, March 10, 2016

দুপুর ৩টা কি ৩.৩০ বাজে বৈশাখ মাসের শেষের দিক আম পাঁকার সীজন


দুপুর ৩টা কি ৩.৩০ বাজে বৈশাখ মাসের শেষের দিক আম পাঁকার সীজন,এই ভর দুপুরে কলোনীর সবাই একটু বিছানায় গা এলিয়ে দেয়,আর চাচারা তো আফিসে দরকার না হলে এই দুপুর বেলায় ঘর থেকে কেউ বাহির হয় না, আমাদের বাসা তখন C/3 তে, মনের ভুলেও দুপুরে ঘুমানো হতোনা,কোন মতে সুযোগ পেলে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসা থেকে বাহিরে চলে যেতাম,এই জন্য কতো যে মায়ের হাতে মার খেয়েছি, গরমের জালায় প্যানট পড়তাম না,বাবাকে বলে একটা লুঙি কিনলাম,তো একদিন সুযোগ মতো নতুন লুঙি পড়ে সোজা নিচে ডালিমদের বাসায়,ডালিমদের বাসায় আমার অবাধ যাতাযাত ছিল, বাসায় গিয়ে দেকি ডালিম বাসায়, দুজনে বসে আর কতো আডডা দেয়া যায়, তাই দুজনে বাসা থেকে বাহির হলাম,বাসা থেকে বাহির হওয়ার পর দেখি রাস্তা সুনসান নিরবতা,হটাৎ ডালিম বললো চল আম চুরি করি আশে পাশে আম গাছ ছিল জুনাইদ ভাইদের আমার দোস্ত বদরুলদের, দুপুর বেলায় জানি কেউ দেখবেনা তাই দুজনে গাছতলায়, তখন শুকনা হালকা পাতলা ছিলাম, আমি সোজা গাছে উপরে আর ডালিম নিচে দাড়িয়ে আছে কেউ আসলে আওয়াজ দিবে,গাছে উঠে মনের সুখে আম পাড়তাছি আর লুঙি ভাজ করে লুঙি মধ্যে নিতাছি,হঠাৎ নিচে থেকে জোরে ডাক আসলো মনিরুল নিচে নেমে আয় নিচে তাকিয়ে দেখি কোথায় ডালিম নিচ থেকে জোনাইদ ভাই ডাকতাছে, জানি হাতের মধ্যে পাইলে খবর আছে তাই আম সহ সোজা নিচে লাফ দিয়া ভোঁ দোড়, নামার সময় হালকা ফড়াৎ আওয়াজ পেয়েছিলাম,এক দোড়ে Cটাইপ মাঠের পাশে দেখি ডালিম বসে আছে,ডালিম কে গিয়ে তো বকাঝকা কিরে জোনাইদ ভাই বাসাথেকে বাহির হইলো আওয়াজ দিলি না,ডালিম কইলো জোনাইদ ভাই বাস থেকে আসে নাই বাহির থেকে আসছে দেখি নাই, ডালিম আমাকে বলে কিরে তোর লুঙি ছিড়া কেন,ডালিম বলার পর হুশ হলো তাকিয়ে দেখি আমার নতুন লুঙি অনেক খানি পাড়া এই লুঙি নিয়ে বাসায় ডুকলে খবর আছে, ছিড়া লুঙি নিয়ে সোজা বাজারে বেশির ভাগ দোকান বনধ,কি করি সামনে এগিয়ে দেখি মালেক স্যারের দোকানের পাশে একটা টেইলাস এর দোকান খোলা আছে,দজি ছিড়া লুঙি দেখে যা বুঝার নিলো বললো ১০টাকা লাগবে কারো কাছে টাকা নাই দজির হাত পায়ে ধরে বললাম পরে দিয়ে যাবো এই মমে আমার লুঙিটা ছিলাই করে দিলো,বহুদিন পর দজির ১০টাকা পরিশোধ করছি,ঐ ১০ টাকা জোগাড় করতে খবর হয়ে গিয়াছিলো,আম ও গেলো লুঙিও গেলো ১০টা টাকা ও গেলো পেলাম কি একটা দুই ছিলাই করা লুঙি

No comments:

Post a Comment