Sunday, February 28, 2016

সুজনের ভয়ে ইজ্জত বাঁচানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস.........।।


আমার ছেলে আদিত্য দে (রাহুল), ২বছর ৮মাস। মোবাইল হোল তার অসম্ভব প্রিয় খেলনা. সেই ১.৫০বছর বয়েস থেকে তার মোবাইল ব্যাবহার শুরু আর এই ১৩ মাসে মোবাইল আর ট্যাব ভেঙেছে মোট ৪টা, তাই ওর মা ওর মোবাইল ব্যাবহারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। যার কারনে আমি বাসায় ফেরার সাথে সাথে আমার মোবাইল তার দখলে, কারন সে জানে পাপ্পা সাথে থাকলে মা কিছুই করতে পারবে না।
এতক্ষণ গেল ভুমিকা, এবার মুল ঘটনায় আসা যাক।
সেদিন দুপুরে ওর মা ফোন করে বলল ছেলে আজ সব জীব-জন্তু’র ইংরেজি নাম শিখে ফেলেছে। আর আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন বাসায় গিয়ে তার সেই কারিশমা দেখবো। 

রাত ৮টা। বাসায় গেলাম। যথারীতি ছেলে মোবাইলে গেম খেলছে, তার মা আমাকে চা টা দিয়েই শুরু করে দিল;
মাঃ বাবা বল,” গরু ইংরেজি কি?
ছেলেঃ তাও!!!!!!
মাঃ বা বা বা, তারপর বল...... বিড়াল ইংরেজি?
ছেলেঃ কেট (কিছুটা বিরক্ত হয়ে, কারন তার খেলায় মন)।
মাঃ বা বা বা, তারপর বল কুকুর ইংরেজি?
ছেলেঃ ।ভালই বিরক্ত, সে বলতে চাইছে না, কারন তখন সে মোবাইল এ পাযেল মিলাতে ব্যাস্ত!!!
মা কিন্তু বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে.....বল...।বল...।। 
কিন্তু ভাই ছেলের ছোট্ট মাথা কয় দিকে খাটাবে, তাই সে মাথা না ঘামিয়ে সব প্রশ্নের কমন উত্তর দিতে লাগলো, এভাবে;
মাঃ বাবা বলনা, কুকুর ইংরেজি কি? তুমি পারতো!!!!
ছেলেঃ ফুল বিরক্ত হয়ে, “আদিত্য দে”!!!!
মাঃ বাবা, তোমার নাম না, আচ্ছা বল...... হাতি ইংরেজি কি?
ছেলেঃ ঐ সেইম উত্তর, “আদিত্য দে”!!!!
তারপর থেকে যাই জিজ্ঞাশ করে, সে আমার পাশে নিরাপদ জায়গায় বসে ঐ একই উত্তর দিতে লাগলো.........।।
এবার আমি আর না হেসে পারলাম না, আমার হাসি দেখে ওর মা রেগে মেগে আগুন, পারলাম না, এই তোমার জন্য ছেলেটাকে মানুষ করতে পারলাম না.........।।

No comments:

Post a Comment