Sunday, September 13, 2015

"আলপনা"


আমরা কলোনিতে সবসময় সবকাজে ৮ জন একসাথে থাকতাম (মনু, লিটল, সাহেদ, সুমন, মানিক, শাহিন, বাবু এবং আমি)। আমাদের মধ্যে সাহেদ ছিল আলপনার মাষ্টার (আমি মুটামুটি পারি)। আমাদের কাজ হলো বিয়ে বাড়িতে কন্ট্রাক্ট বেসিসে আলপনা করা। একদিন মনু বললো এক বড় ভাইয়ের বিয়েতে আলপনা করতে হবে। আমি বললাম কাজটা নিয়ে নে। ও বললো ঝামেলা আছে। ও বললো রং,ব্রাশ, তুলি সব ওনারা দিবে, আমরা শুধু আঁকা আকি করবো। আমি বললাম তাহলেতো পুরাই লস। বিকালবেলা সবাই যথারীতি পুকুরপাড়ে আড্ডায় বসলাম। তখন সিদ্ধান্ত হলো কাজটা আমরা করবো। কিন্তু সব কিছুই আমরাই কিনব।যথাসময়ে কাজ হলো। 

“ওমা... কি ভালা হোলা !!! “


কলোনির কিছু কিছু বিল্ডিং তখন খালি, আমরা F-Type যে বিল্ডিংগুলো খালি ছিলো, সেই বিল্ডিংগুলোর ২য় তলার সিড়ির মাঝখানের খালি জায়গাতে কার্ড খেলতাম, মাঝে মধ্যে 3/4 Group হয়ে যেত, ৯৪, ৯৬, ৯৭ সবাই একসাথে খেলতাম, মাঝে মধ্যে আলাদা আলাদা খেলতাম, এভাবে একদিন F-2 বিল্ডিংয়ে আমি, রিপু, ছামির, রবিন, সোহেল, রাশেদ ( চৌধুরী ), এমদাদ, হিমেল, আজিজ, কার্ড খেলছিলাম হটাৎ নিচে হাটার শব্দ পেলাম, বুট পায়ে দিয়ে হাটার শব্দ !!! নিচে তাকিয়ে দেখি এক আনসার কেউ আছে কিনা দেখার জন্য আসছে, যে নিচে তাকিয়েছিলো তার মাথা দেখতে পেয়েই আনসার চিৎকার করে উঠলো , “ স্যার... স্যার... আছে, পোলাপাইন আছে !!“ তখন সিড়ির মাঝের জানালার মত করে বড় ফাঁকা জায়গাটা দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি, হারুন কাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে আর আতিক কাকা / জন বাহিনী নিয়ে বিল্ডিং এর দিকে আসছে 

“ ঘটনা কি ? “


সকালে সেট করা টাইম সাড়ে সাতটায় মোবাইলের এলার্ম, বেসুরা টিডিং টিডিং রাতে লেট করে ঘুমিয়েছি, ঘুম থেকে উঠার কোন ইচ্ছা নাই, আরো আধা ঘন্টা ঘুমানোর টার্গেট নিয়ে এলার্ম বন্ধ করে, যত্ন সহকারে মোবাইল পাশে রেখে আবার ঘুম !!! আর ঘুমের মধ্যে ভাবতেছি আর ক্যাকুলেশন করতেছি, উঠবো নাকি উঠবো না, আধা ঘন্টা পরে উঠলে লেট হতে পারে, উঠার পর কিভাবে কি করলে লেট হবে না, ধুর একদিন অল্প দেরি হলে কিছু হবে না, হটাৎ আবার মোবাইলের সউন্ডে ঘুম ভাঙল, তাকিয়ে দেখি :10 !!! ঘটনা কি ? এলার্ম ১০ মিনিট পর পর বাজার কথা, বাজলো না কেন ? আমি মোবাইলের এলার্ম Snooz করতে গিয়ে মনে হয় এলার্ম বন্ধই করে দিয়েছিলাম !!! আজকে আমার খবর আছে !!!

হ্যাকিং


ভার্সিটি থেকে মাত্র ফিরলাম । ফিরেই ফেসবুকিং করা শুরু করলাম , একটু পর পর ইমেইল চেক করে চলেছি। ইমেইল টা ফেসবুকের চেয়েও বেশি ইউজ করতাম। Jahangir Alam আর সুমন এই দুই জনের জন্যই আমাকে অনেকটা সময় ইমেইলে ঢু মারতে হতো , জাহাঙ্গির মেরিন ইঞ্জিনিয়ার , ব্যাঙ এর মতো ছয় মাস ডাঙ্গায় ছয় মাস পানিতে ঝাপাঝাপি করে কাটাতে হয় ,প্রায় সময় জাহাজে থাকতে হয় বলে নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকতে হয়, ফেসবুক ইউজ করা সম্ভব হয়না। জাহাজের নেটওয়ার্ক দিয়ে আমাকে প্রতিদিন এস এম এস করতো আমি সেই নাম্বারে ইমেইল করতাম। আর সুমন কখনোই ফেসবুক পছন্দ করতো না তাকে পাওয়া যেতো ইমেলে, দুই জন পাগল বন্ধুর সাথে রেগুলার ইমেলে যোগাযোগ চলছিল ,রাজনীতির কি অবস্থা , খেলার খবর কি , কোন ফ্রেন্ড কি পাগলামি করলো সব চলতো আমাদের ইমেইলে, জাহাঙ্গির দেশে এসে কিছু দিন কাটিয়ে লন্ডন ফিরে গেলো , আবার শুরু হবে ইমেইল, আবার অপেক্ষা করতে হবে কবে দেশে ফিরবে , এক বিকেলে ইমেইল চেক করে চোখ কপালে উঠে যায় , কি দেখলাম আমি ? ভুল পড়লাম না তো ? একবার না কয়েকবার পড়লাম কিছু তেই বুঝতে পারছি না কি করে সম্ভব ? সৌম্য কে ডেকে নিয়ে পড়ালাম, সৌম্য অবাক হয়ে যায় , ইমেইল টা জাহাঙ্গির করেছে ঠিক এইভাবেঃ 
jahangir- i lost my bag in London.passport , dollar, credit card everything was there, i am unable to check out from the hotel , plz send me 5 thsosand dollar, i will return it to you very soon.. 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss