Saturday, August 29, 2015

খতম তারাবী ও লুঙ্গি সমাচার


তখন সবে হাফ-প্যান্ট ছেড়ে লুঙ্গি পড়া শুরু করেছি।থাকি চট্টগ্রাম ষ্টিল মিল কলোনীতে। প্রথম প্রথম একটা ভাব নিয়ে চলতে লাগলাম। যাক এতো দিনে বড় (সিয়ানা) হয়েছি। কিন্তু কিছু দিন যেতেই সিয়ানা হওয়ার বিড়ম্বনায় আমাদের যা-তা অবস্থা। কোন দিন ঘুম থেকে উঠে দেখি কোমরের লুঙ্গি গলায় পেঁচানো। আবার কোন কোন দিন লুঙ্গি খাটের নিচ থেকে কুড়িয়ে পড়তে হয়। সমবয়সিদের মাঝে এ নিয়ে দুষ্টামী আর হাসা-হাসির অন্ত নেই। তখনো ঠিক মত লুঙ্গি বাঁধতে শিখিনি। দেখা গেল সবাই মিলে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছি---এর মধ্যে কারো লুঙ্গি আস্তে করে খুলে পড়ে যাচ্ছে। তার কো--ন খবর নেই। সর্তক করতে করতে লুঙ্গি ততক্ষনে হাটুর নিচে। বেচার লজ্জায় আধ-মরা। এর উপর আমাদের নতুন আবিস্কার হঠাৎ টানদিলে লুঙ্গি পড়ে যায়।তখন আমরা ঘন ঘন আবিস্কার চর্চা করছি আর ভিকটিম লুঙ্গি সামলাতে সামলাতে বজ্জাত লুঙ্গি-কুলঙ্গার ততক্ষণে পগার পার।এই বেলায় সবাই সতর্ক হই। পুনরায় ফেলে দেয়া হাফ প্যান্ট পড়ে, উপরে লুঙ্গি পড়া শুরু করলাম।

বেচারা রিমন

- Reajul Islam Shahin


বেচারা রিমন--------------অামার অতি পরিচিত ও অামার বনধুর ছোট ভাই, দেখতে নাদুস নুদুস ও নিরিহ টাইপের, কিনতু সমস্যা হল ২৯group সদস্য অাতিক তার লেখনির মাধ্যমে বারবার রিমনের উপর পারিবারিক নির্যাতনের কথা বলেছে, অামার কথা এ নির্যাতনের khetra বা পথ কারা তৈরি করেছে তা অাতিকের লেখনি পড়লে বুজা যাবে, অামি এর বিচার চাই।
অাসামী -----------

Cricket Match: April 29 (C) Vs Batch 96


বড় মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে। সেমি ফাইনাল খেলা। আমি ছিলাম এপ্রিল ২৯ (সি) এর ১২ তম খেলোয়াড়। আমাদের টিম ক্যাপ্টেন ছিল মাসুম ভাই আর ৯৬ এর টিম ক্যাপ্টেন ছিল সুমন ভাই। কিন্তু মোটা বাবু ভাই ৯৬ এর হয়ে খেলছিল। ২৯ এর ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিল ৯৩ ব্যাচ (BH-1) এর সুমন ভাই। কিন্তু সেইদিন উনি অনুপস্থিত ছিল। কি কারনে জানি খেলতে পারেন নাই। ২৯ এর সবাই মিলে আমাকে খেলতে বলল। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। তাও আবার ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। টস এ জিতে ২৯ ব্যাটিং নিল। তুমুল প্রতিদন্দিতায় খেলা চলছিল। যখন আমার ব্যক্তিগত রান ছিল ৩৯ তখন মোটা বাবু ভাই বোলিং করতে আসল। মোটা বাবু ভাই এর ১ম বলে আমি একটা সিক্স মারলাম কিন্তু boundary তে ক্যাচ ধরা হল। শুরু হল ক্যাচ নিয়ে তর্ক বিতর্ক। এক গ্রুপ বলছে আউট আর অন্য গ্রুপ বলছে সিক্স। umpire রা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। আমি মাঠের মাঝখানে দাড়াই ছিলাম। এক পর্যায় অবস্থা মারামারি পর্যন্ত গড়াতে লাগল।

“পরীক্ষা “



স্কুলের পরীক্ষার সময়ের দৃশ্যগুলো মনে আসলে এখনো হাসি আসে । পরীক্ষার সময় ক্লাসে ঢুকলেই দেখতাম, বড় ছোট ভেদাভেদ নাই, সব দেয়ালে লিখে সাদা দেয়াল নিউজপেপার এর মত কালো করে ফেলেছে !!! আর কয়েকজন বেঞ্চে লিখার জায়গা নাই, তাই বেঞ্চের উপরে বসে লোহার স্কেল দিয়ে কাঠ মিস্ত্রির মত মনোযোগ সহকারে বেঞ্চ ছেঁচে সাদা করছে নতুন করে লিখার জন্য । স্কুল এর বাহিরের কেউ যদি এই অবস্থায় ক্লাসরুমে আসতো তাহলে বোধহয় এইটাই ভাবতো, “ বাহ পোলাপাইনগুলো কত্ত ভালো, নিজের গরজে দেয়াল আর বেঞ্চ এর মেরামত করতেছে “ হা হা হা



Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss