ষ্টীল মিলস কলোনির বাসিন্দা হয়ে জীবন ধন্য। এখানে যখন ছিলাম তখন তো সবার প্রতি সবার আন্তরিকতা ছিলই। এরপরতো অনেকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলাম। csm colony এই পেজ খোলার পর আবার সবার সাথে যোগাযোগ শুরু হলো। যাদের সাথে আগে কখনও কলোনিতে থাকতে কথা হয়নি বা চিনতাম না এই পেজের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছে। ষ্টীল মিল এর হওয়াতে সবাই সবার প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। আমাদের আড্ডার দিন রাতের খাবার নেয়ার কুপন হারিয়ে ফেলেছিলাম এই কথা শুনে Aslamuddin Mamun ভাই সাথে সাথে ওনার থেকে কুপন আমাকে দিলেন খাবার নেয়ার জন্য। আমি বল্লাম আপনার লাগবে না? উনি বললেন সমস্যা নাই তুমি নিয়ে নাও। তারপর আরেক ভাই এর কাছে আমি আবদার করেছিলাম (বলতে নিষেধ করায় আমি নাম বললাম না) সে অনেক দূর থেকে আমার আবদার রেখেছে। যা আমি ভাবতেও পারি নাই। আসলে ষ্টীল মিলের দেখে সম্ভব হয়েছে। Khurshed Alam Manik ভাই চাঁদপুর থেকে রাত ৯টায় কুমিল্লাতে এসেছে। আম্মা আমার বাসায় আছে শুনে রাত ১০টায় আমার বাসায় এসেছে আম্মার সাথে দেখা করতে। এই আন্তরিকতা আমার মনে হয় জগতে আর কোথাও দেখা যাবে না। এ যেন নতুন করে পুরাতন জিনিস ফিরে পাওয়া। তাই এখানের বাসিন্দা হয়ে আমি ধন্য।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Sunday, May 1, 2016
মানুষ গড়ার কারিগর
আমার সব বন্ধুরা স্যারের ক্লাস আমার আগে পেলেও আমি একটু দেরিতে পেয়েছিলাম। কারন আমি যে সেকশন এ থাকতাম,স্যার সে সেকশন এ ক্লাস পেতেন না। অবশেষে ক্লাস এইটে স্যার আমাদের বিজ্ঞান ক্লাসে এলেন। কিন্তু তার আগে ক্লাস সেভেনে স্যারের বাসায় আমি অংক করতে যেতাম।আমি,নাসিম আর জিকু। সকাল ৭ টার দিকে।
আমার গলার ভয়েস ছিল লাউড। তাই মাঝে মাঝে কথা বললে মুনতাহা র ঘুম ভেংগে যেত।তখন স্যারের বেতের বাড়ি খেয়ে গলা নামিয়ে নিতাম। স্যারের কাছে উৎপাদকে বিশ্লেষণ সহ অন্য অংক করা শিখেছিলাম।
স্যার যখন বিজ্ঞান ক্লাস নিতেন, তখনো স্যারের মার খেয়েছি তবে দুষ্টুমির জন্য। পড়া শিখলে স্যার খুব খুশি হতেন। আবার পড়া দিতেন মেপে মেপে যাতে ছাত্রের জন্য প্রেশার না হয়।
পরীক্ষার হলে স্যার কিভাবে যেন নকল করছে কে তাকে ধরে ফেলতেন। স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ এ কাজ করতে পারত না।তাই স্যার যেদিন পরীক্ষার হলে ডিউটি দিতে আসতেন,সেদিন মোটামুটি তটস্থ থাকতে হত।
স্যার কথা বলার সময় হাসতেন, সেই হাসিতে থাকত একরকম শুদ্ধতা। কাউকে অসম্মান করা পছন্দ করতেন না, প্রতিবাদ করতেন।ছাত্রদের মানসিক গঠনে স্যারের খুব দারুন ভূমিকা রাখতেন।এজন্য ছাত্র রা স্যার কে অনেক পছন্দ করত।
আজ স্যারের জন্মদিন। অনেক দিন হয়েছে স্যারের সাথে দেখা হয়নি।সারাজীবন স্যার আমাদের মানুষ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। আজ স্যারের সন্তানেরা মানুষ হবার পথে। ইচ্ছা করে স্যার কে কখনো অসম্মান করিনি, অলক্ষ্য এ হয়ত আমাদের কোন আচরনে কষ্ট পেয়ে থাকতে পারেন, যা হয়ত মন থেকে চাইনি কোনদিন। কারন আপনার আশীর্বাদ আমাদের পথ চলার পাথেয়।
ভাল থাকবেন স্যার।জন্মদিন এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকল আপনার জন্য

যে যেখানে দাঁড়িয়ে
চন্দন চাচার ছেলে আসিফ ভাই ছিলেন আমার সিনিয়র। উনার সাথে আমার পরিচয়ে র শুরুটা ভাল ছিল না।আমাদের শুরু হয়েছিল পাথর ছোড়াছুঁড়ি দিয়ে।আমাদের দলে ছিলেন সুমন ভাই,আরিফ ভাই, নুরু ভাই, মাসুদ আর আমি।আর উনার গ্রুপে উনি,সুজি,শিলু, রকিবুল ভাই এরা। আমাদের মারামারি দেখে রিনির বাবা(প্রয়াত শামসুল হক কাকা) থামাতে এলেন।বকা দিলেন।
তারপর কিছুদিন পর উনি আমাদের বিল্ডিং এর সামনে খেলতে এলেন।গলার ভয়েস ছিল স্পশট,জোরালো। স্মার্ট ছিলেন ওই বয়সে।স্কুলে একবার ব্রেক ড্যান্স দিয়েছিলেন। সবার নজরে এসেছিলেন। রিনি তখন গান শিখত চাচী র কাছে। এসে আমাকে, মুক্তাকে শেখাত গানগুলো।
আর বলত ওরা গান শিখতে গেলে আসিফ ভাই উনাদের বাসার কামাল নামের ছেলে টা কে নিয়ে কি কি দুষ্টআমি করেন।আমরা অবাক হয়ে শুনতাম। ওকে মানা করতাম গান শিখতে যেতে।তার কিছুদিন পর ও গান শেখা ছেড়ে দেয়। আসিফ ভাই রা চলে যান।
আজ রিনির আব্বাও নেই,নেই আসিফ ভাই। সেদিন উনার মারা যাবার কথা শুনে মনে হল মানুষের জীবন এত ছোট হয় কি করে।আমার ত প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। তারপরেও মেনে নিতে হয় কিছু সত্য। এক জীবনে সবার হয়ত দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব হয় না, পূরন হয় না সব আশা,স্বপ্ন।হয়ত এটাই জীবন।আমাদের জীবনে ভাল সময় আসে খুব কম।কিন্তু তাড়াতাড়ি চলেও যায়।আসিফ ভাইয়ের মৃত্যু যেন সেই কথা বলে গেল
চন্দন চাচী প্রসঙ্গ এবং অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা
(চন্দন চাচীর কাছে গান শিখতে যাওয়ার নেপথ্য কাহিনী এর আগেও আমি এই পেইজে লিখেছি।তবুও আবার লিখলাম)
খুব সম্ভবত ১৯৮৮ সাল। আমার বয়স তখন চার বছর। সি টাইপের আমাদের বাসার রান্নাঘরের সামনে নেংটু হয়ে রকস্টারের মতো চিৎকার করে গান গাচ্ছিলাম। দোতলার আশিক ভাইয়ের আম্মা উনাদের রান্নাঘরে যাবার পথে আমাকে দেখে মুচকি হেসে চলে যান। আর আমি উসাইন বোল্টের মতো ঝড়ের গতিতে ফালুদা হওয়া ইজ্জতের(!?) বাকিটুকু নিয়ে এক দৌড়ে ঘরের ভিতরে। গানের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা (!?) দেখে আশিক ভাইয়ের আম্মা আমাকে গান শেখানো জন্য আমার আম্মাজানকে পরামর্শ দেন।এর কিছুদিন পরই আম্মা আমাকে গান শেখাতে চন্দন চাচীর কাছে নিয়ে যান।
সাড়ে চার বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই আমি গান শেখা শুরু করি চাচীর কাছে। টুকরোটুকরো কিছু স্মৃতি ছাড়া বাকি সময়টুকু ঝাপসা হয়ে আছে।কি গান শিখেছিলাম চাচীর কাছে, কতটুকুই বা শিখেছিলাম,তার কিছুই মনে নেই। শুধু মনে আছে, আমি সব আপুদের মাঝে একমাত্র ছেলে ছিলাম বলে চাচী বলেছিলেন, "তুই হলি সূর্য। বাকি সব গ্রহ। সূর্যের চারিদিকে যেমন গ্রহ থাকে,তেমনি তোর আশেপাশে এরা গ্রহ "। গ্রহ নক্ষত্রের এতো জটিল হিসাব বুঝার মতো বয়স না থাকলেও অন্তরীক্ষের মতো চাচীর মমতার বিশালত্ব বুঝতে আমাকে বেগ পেতে হয়নি।
আহ্ কি শান্তি
আহ্ কি শান্তি। চারিদিকে ঠান্ডা ঠান্ডা cool cool ভাব। আজকে রাতে dermy cool ও লাগবে না। লাগবে না নবরত্ন তেলও। এই কয়দিনের প্রচন্ড গরম গরম তাপ মাত্র আধ ঘন্টার হাল্কা বৃষ্টিতে একেবারে cool হইয়া গেল। মামু এতদিন তোমার আগমনের প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে ভাবছিলাম কই গিয়া পালামু। মামু তুমি এতদিন না আসাতে তোমার সৎ ভাই সূর্যি মামার তেজ বাইড়া গিয়াছিলো। তোমার ভাইয়ের যতই তেজ থাকুক তুমি আসলে সে তোমার ভয়ে লুকায়ে যায়। তাই এখন থেকে তুমি প্রতিদিন আসিও অন্তত আগামি ৪/৫ মাস। দিনে একবার হইলেও তোমার দেখা পাইলে পরানডা জুড়ায়ে যাবে।
"নিজেই নিজের"
লিখাঃ কাব্য।
আজকে দিনটা কেমন জানি,মন টা ভালো নেই,নিচে রফিকের দোকানে গেলাম।রফিক ভাই, এক কাপ চা দেন,সাথে চনামুড়িও দিয়েন।আশ্চর্য রফিক ভাই সাড়া দিচ্ছে না কেন? ভাই কি মশকরা করছেন!।প্রচুর চিল্লাচিল্লি করেও সাড়া পেলাম না।বিষন্ন মনে তাই রাস্তার বাম পাশ ধরে হাটতে লাগলাম।সবাই সবার মতো,আর আমি আমার মতো করে চলতে থাকলাম। (কিছুক্ষন পর)
ঘড়িটা এমন করছে কেনো?ঘর থেকে বের হলাম ১১.১ এ অথচ আমি প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে হাটালাম কিন্তু এখন বাজে ১১.৩।অবাক হলাম,আরও অবাক হলাম যে এতোদুর হাটার পরও আমি মোটেও ক্লান্তি বোধ করছি না।কি সব ভুতুড়ে কান্ড ঘটছে আমার সাথে??হটাত রাস্তায় হোচট খেয়ে একজনের গায়ের উপড় পড়লাম,কোন রি একশন নাই,অবাক আর অবাক এমন মনে হতে লাগল যেন আমি তার গায়ের উপড় পড়িনি।কিন্তু আমি পড়েছি,ব্যাক্তিটি সরে যাওয়ার পরে আমি রাস্তায় ও পড়ে গিয়েছি,কিন্তু কোন ব্যাথা পাইনি,আমার শরীরের কোথাও ছিলকেও যায়নি।কি সব আজব ব্যাপার সেপার।আমি কি আদৌ এই দুনিয়াতেই আছি?নাকি অন্য জগত এ!!!
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!