Friday, January 15, 2016

কলোনি তে থাকতে আমাদের বাসার এক অলিখিত নিয়ম ছিল


কলোনি তে থাকতে আমাদের বাসার এক অলিখিত নিয়ম ছিল।বাসায় কেউ বেড়াতে আসলে তাকে পতেংগা সিবিচে নিয়ে যাওয়া হত।আমার কখনোই যেতে ইচ্ছা করত না।কারন আমাদের বাসার ছাদে গেলে সমুদ্র টাকে দেখতে পেতাম।পানির উপর অনেক জাহাজ।পানির উচ্চতা টা এমন যে এক্ষুনি উপচে পড়বে। বোকা বোকা চোখে আমি অনেক বিস্ময় নিয়ে হা করে তাকিয়েই থাকতাম।আর এক অদ্ভুত ভাল লাগা অনুভব করতাম।

এখনো ছাদে উঠি।কিন্তু আগের মত সমুদ্র দেখতে পাইনা।দখিনা বাতাস যেন অধরা।চারপাশে কেবল ইট পাথরের দালান।দম বন্ধ হয়ে আসে।

তবুও ভাবি দখিনের জানালাটা খোলা থাক,
আলো আসুক, আলো যাক।

আমি খুব ভুলোমনা মানুষ


আমি খুব ভুলোমনা মানুষ। প্রায় কিছুই মনে রাখতে পারিনা। আম্মা আমাকে ডাকে "ভুলা মিয়া"। আম্মা আমাকে যদি চিনি, লবন আর ডাল আনতে বলে আমি চিনি আর লবন নিয়ে চলে আসি, ডাল আনতে ভুলে যাই। এজন্য আম্মা আমার উপর ক্ষেপে যায় মাঝে মাঝে। দুঃখ করে বলে "তুই জীবন কাটাবি কেমন করে যদি এতো ভুলোমন হোস"। আমি হেসে উড়িয়ে দেই অথবা রেগে গিয়ে বলি "তুমি শুধু চিনি আর লবন আনতে বলছো, ডালের কথা বলো নাই"। আম্মা প্রতিবাদ করে বলে "আমি তিনটাই আনতে বলছি, তুই ভুলা মিয়া ভুলে গেছস"। 

আমি তখন খড়কুটো আকড়ে ধরার মতো শেষ ভরসা হিসেবে বলি "তাহলে তুমি ফিসফিস করে বলছো তাই শুনি নাই"। তাতেও লাভ হয়না খুব একটা, আম্মার পক্ষে কিছু সাক্ষী সাবুদ জুটে যায় আম্মা নাকি যথেষ্ঠ চিৎকার করেই তিনটা জিনিস আনতে বলেছে। এই ভুলে যাবার রোগ নিয়ে আমি কি যে যন্ত্রনায় আছি। অনেকদিন আগের কথা, একবার আম্মা কোথায় যেন যাবে আমাকে বলল ট্যাক্সি এনে দিতে। আমি বের হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্সি ডাকার কথা ভুলে গেলাম এবং আধঘন্টা বাইরে ঘুরে এসে বাসার সবার টিটকারির মুখে পড়লাম। আমি মানুষের নাম ভুলে যাই, চেহারা ভুলে যাই, বাসার ঠিকানা ভুলে যাই, চেক কাটতে গেলে সিগনেচার ভুলে যাই, মুভি দেখতে গিয়ে কে নায়ক সেটা ভুলে যাই তাই বারবার মুভির শুরুর দিকে গিয়ে দেখে আসতে হয়। 

প্যাটার্ন



কিছু দিন আগে জনি এর সাথে চ্যাট করতে গিয়ে গল্পের প্যাটার্ন নিয়ে কথা বলছিলাম। অনেকটা না বুঝেই গল্পের প্যাটার্ন কি রকম হয় এইটা নিয়ে কিছু লিখবো বলে ফেলেছি। মাঝে মাঝে বোকার মতো কথা বলে বসি এইটা তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।এখন এর দায় টানতে হচ্ছে।আমি গল্পের কোন নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকে এইটা বিশ্বাস করিনা।যার যেমন ইচ্ছে শুরু করতে পারে।কোন সমস্যা নেই।তাহলে জইন্নারে আমি কি বলবো ? আমি যে প্যাটার্নে লিখি তা শেয়ার করা যেতে পারে।দেখি জইন্নার মন ভিজতেও পারে ?আমি প্রথমে কি নিয়ে লিখবো তা ঠিক করে নেই। তারপর চরিত্র গুলো কে সাজাই। আশে পাশের মানুষ গুলো কি স্ট্যাইলে কথা বলে,বিশেষ মুহুর্তে কেমন আচরন করে তা বুঝার চেষ্টা করি। সেই টাই লিখার চেষ্টা করি। একটু এক্সপ্লেইন করি। 

ধরা যাক আমার গল্পের একটা চরিত্র X।এই X কে আমি Jashim ভাই ভেবে লিখবো। এখন পার্টিকুলার কোন সময়ে জসিম ভাই কেমন আচরন করবে তাই দেখানোর চেষ্টা করবো। কোন ভাবেই আমি আমার চিন্তা সেই MR X এর উপর চাপিয়ে দিবো না ।এইটা করতে গেলে গল্পের ফোকাস টা নষ্ট হয়ে যাবে।