Sunday, March 13, 2016

লুকোচুরি র দিনগুলো


বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবার পর একটা রুটিন বাধা নিয়ম ছিল সন্ধ্যার পর লুকোচুরি খেলতে বের হওয়া।সারা কলোনি জুড়ে কিংবা কয়েক টা বিল্ডিং ঘিরে চলত এ খেলা।খেলার সময় এক ধরনের থ্রিল অনুভব করতাম, মনে হত নিজেই চোর বা পুলিশ। নিজেকে কিভাবে পুলিশের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখব তার জন্য চেষ্টা র সীমা ছিল না।কখনো কখনো এমন জায়গাগুলোতে গিয়ে লুকাতাম ভয় ডর বলে কিছু লাগত না।আবার নিজেকে বাঁচানো র জন্য মানুষের বাসায় গিয়ে হানা দিতাম।

তেমনি একদিন খেলতে গিয়ে ঈ টাইপে র তিনতলা বিল্ডিং এ গেলাম।আমাদের ক্লাসের বেলিরা তখন তিনতলায় থাকত। ওর আম্মা প্রায় আমাদের বাসায় বেড়াতে আসত,আমরাও যেতাম।সেদিন খেলার সময় ঈ টাইপের সেই তিনতলা থেকে দেখি পুলিশ হয়েছে যে সে বিল্ডিং এর নিচে ঘুরাঘুরি করছে।আমি আর আমার সাথের জন কি করব ভেবে পাইনা,এমন সময় মনে হল বেলিদের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেই।তাহলে এ যাত্রা বাচা যাবে।যেই না বেলি দের বাসা মনে করে কলিং বেল টিপ দিলাম,ওমনি দরজা খুলে দেখি একজন বড় মেয়ে।উনাকে আমি স্কুলে দেখছি ছোটবেলায় কিন্তু কলেজে পড়েন তখন।

কলেজ বাসে একদিন


আতিক ভাই বলছিলেন কলেজ বাস নিয়ে কিছু লিখতে।কিন্তু আমি ত কোনদিন কলেজ বাসে যাওয়া আসা করিনি।লিখি কিভাবে? বড়দের মুখে অল্প বিস্তর কিছু শুনতাম।তাই ভরসা।কেউ যখন লিখল না আমি না হয় চেষ্টা করি।

আমি বিনিতা।ছোট করে ডাকে সবাই বিনু।বড় ভাই বুবুন।আমি সবার ছোট।চট্টগ্রামকলেজ এ কেমিস্ট্রি তে এডমিশন নিয়েছি।ক্লাস পুরো দমে শুরু হয়নি। আজ পহেলা ফাল্গুন।বান্ধবী রা ডিসি হিলে যাব,বেড়াব।তাই সকাল থেকে সাজুগুজু নিয়ে ব্যস্ত।তাড়াহুড়ো করছি।কলেজ বাসে যদি জায়গা না পাই।বাসন্তী রং এর জামা পড়ে রওনা হলাম কলেজ বাস ধরতে।

কলেজ বাসে উঠলাম।কোথাও সিট খালি নেই।আমার বান্ধবী তিথি আর মিলি পাশাপাশি বসে আছে।আমার জন্য সিট কই জানতে চাইলাম।বলল রেখেছিল কিন্তু স্নিগ্ধা আপা আসাতে উনাকে দিয়ে দিয়েছেন।একটি সিট খালি আছে কিন্তু ওইখানে বসে আছেন তুহিন ভাই।উনার সাথে আমার তেমন পরিচয় নেই।দাড়িয়ে গেলে সাজ নষ্ট হয়ে যাবে এটা ভেবে উনার পাশে বসে পড়লাম।দেখলাম তিথি আর মিলি মুখ টিপে হাসছে।উনার শরীর থেকে সিগারেট আর বডি স্প্রে মিলিয়ে অদ্ভুত গন্ধ আসছে। খারাপ না।

আমি আজকে একটা সেইরাম অ্যাকশান ধর্মী স্বপ্ন দেখছি


দেখলাম যে,
আমাদের স্কুল এ একটা গ্রুপ হেভি অস্ত্র শস্ত্র নিয়া হামলা করছে, আমাদের কে ক্লাস রুম আটকাইয়া রাখছে। আমি আর Al Amin Billah Shujon সুজন কোনমতে পলাইয়া স্কুল এর পিছনে গেলাম। ইচ্ছা ছিল বাউন্ডারি টপকাইয়া কবর স্থান দিয়া পালামু। কিন্তু দেখি ওরা কবরস্থানে দুই টা বাঙ্কার কইরা পাহারা দিচ্চে। আমি আর সুজন মাথা তুইলা দেখি ওই বুজ্জার বাগান দিয়া আর্মি আসতেছে । ওরা আর্মির দিকে গুলি চুরতে লাগলো। এইদিকে আর্মি ও গুলি ছুড়ছে। আমি আর সুজন স্টেজের পিছন দিয়ে বাউন্ডারি টপকে E-type এর দিকে দৌড় দিলাম। ওদিকে কলোনির গেইট দিয়ে আর্মি আসছে ট্যাঙ্ক নিয়ে। সেই একটা অবস্থা চারিদিকে। এমন সময় দেখি আর্মির তাড়া খেয়ে বিদ্রোহীরা গুলি করতে করতে E- type এর দিকে আসছে। এখন আমরা কই যাই?
...
...
...
...
...
এই সময় ঘুম টা ভাইঙ্গা গেলো।
...
যাক বাবা বাইচ্চা গেছি। আরেকটু হইলেই তো গেছিলাম।

সন্ধীপে শিয়াল গেল কিভাবে এই বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি


আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশ।আমরা এই দেশ কে খুব ভালবাসি। আবার জন্মগত কারনে আমাদের মধ্যে আন্চলিকতার প্রভাবও যতেষ্ট। এমনই একটা অন্চল সন্ধীপ। যার চারপাশেই সমুদ্র। আর সেই দ্বীপের বাসিন্দা আমাদের প্রিয় মাসুক। ছোট বেলায় মাসুককে একবার পাগলা শিয়ালে কামড়াইছিল।সেই থেকে মাসুকের মনে প্রশ্ন সন্ধীপে শিয়াল গেল কিভাবে? শিয়ালতো পোষ্য প্রানী নয়। গবেষনা করতে গিয়ে মাসুক দর্শনশাস্ত্র নিয়ে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে শুধু শিয়ালের দর্শন বুজার জন্য এবং বনে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে শিয়ালের চরিত্র নিয়ে অনেক লেখাপড়া করেছে। তারপরও আবিষ্কার করতে পারেন নাই সন্ধীপে শিয়াল গেল কেমনে।আজ যদি সবাই মতামত দিয়ে সাহায্য করেন তবে মাসুক ভাই খুবই উপকৃত হবেন।।সন্ধীপে শিয়াল গেল কিভাবে এই বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি।

সুযোগের অভাবে সৎ-আদর্শবান: কাহিনি-০৩


ইন্টার পাশের পর বিশাল এক বাহিনী নিয়ে university তে ভর্তি হই, 1st year, খুব আমোদেই কাটল, শার্টল ট্রেনে গান করতে করতে যাওয়া, দুএকটা ক্লাস করে আবার ঝুপড়িতে গান, আড্ডা, এভাবেই কাটছিল, দলের একটা বড় অংশ ছিল chemistry ডিপার্টমেন্ট এর, শুধু আমাদের কলোনিরই ছিল ৫জন. সাথে কলেজের অনেক বন্ধু ছিল যার কারনে ওই ডিপার্টমেন্ট এর ছেলে মেয়েদের সাথেই আড্ডাটা বেশি জমত, ধীরে ধীরে পরিচয় হোল ওর........ সাথে, অসম্ভব সুন্দর....... আর আরও সুন্দর রবীন্দ্র সংগীত করতো, হৃদয় ছুয়ে যেত, ধীরে ধীরে সখ্যতা বাড়তে লাগলো, বাড়তে লাগলো ভাললাগা.........কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলতে পারতাম না, কিন্তু দুজনেই চাইতাম দুজনকে। একপর্যায়ে বন্ধুরাই এগিয়ে আসলো, দীর্ঘদিন চলতে লাগলো তাদের প্রয়াস, অবশেষে একদিন সরাসরি আক্রমন, কেন হবে না, কেন প্রতিষ্ঠা পাবে না, তোরা দুজন দুজনকে চাস কিন্তু কেন প্রকাশ করবি না ইত্যাদি, অবশেষে সে মুখ খুলল, বলল আমি চাই, তুই চাও, সবায় চাই সম্পর্কটা প্রতিষ্ঠা পাক কিন্তু বিধাতা চায় না, আর চায় না বলেই আমাকে ব্রাহ্মণ আর ওকে ক্ষত্রিয় বংশে পাঠিয়েছে, আর আমার পক্ষে এর violation সম্ভব না......।।

আমাদের C.S.M


স্মৃতি। মানুষের জীবনের এক আশ্চর্য বাস্তবতা। প্রত্যেক মানুষেরই স্মৃতির পাতায় জমে থাকে অনেক না বলা কথা। অনেক ভালো লাগা, অনেক কষ্ট-বেদনা, দুঃখ-যন্ত্রণা সবসময়ই স্থান করে নেয় প্রতিটি মানুষের স্মৃতির পাতা। সবারই রয়েছে জীবনভর নানারকম স্মৃতি। জীবনের যে কোনো বয়সে এসে স্মৃতির পাতা হাতড়ে বের করা যায় এমন অনেক মুহুর্ত যা এক মূহুর্তের জন্য মুখে এক চিলতে হাসির কারণ হয়ে যায়। আবার এমন অনেক মূহুর্ত স্মৃতির পাতায় বন্দী হয়ে রয় যেগুলো নিমিষেই হাসিখুশি মনটাকে করে দিতে পারে বর্ষার মেঘের মতোই মলিন।

স্মৃতির পাতা যেন প্রতিটি মানুষের পরম আপন। মানুষ নিজে চাইলেও যেন তার স্মৃতির পাতাকে হুবহু ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। প্রকৃতি তাকে সেই শক্তি দেয়নি। সে কেবল তার স্মৃতির পাতা সম্পর্কে অন্যকে কিছুটা ধারণা দিতে পারে মাত্র। স্মৃতি, সে যে শুধু তারই একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি।

প্রত্যেকটি মানুষ নিজেকে কোন এক জায়গাতে আবিষ্কার করে থাকে, নিজের অস্তিত্ব টের পাওয়ার সর্বশেষ স্মৃতিময় স্থান মনে করতে পারে। এর আগে কোথায় ছিল তা মনে করতে পারে না। আমি এই পৃথিবী তে আমার অস্তিত্ব টের পেয়েছি.. C.S.M কলোনী তে |

এখন লোড শেডিং হলে বিরক্ত লাগে অথচ রাতে কলনিতে কারেন্ট গেলে খুবই ভাল লাগতো


এখন লোড শেডিং হলে বিরক্ত লাগে অথচ রাতে কলনিতে কারেন্ট গেলে খুবই ভাল লাগতো। আমার মনে হয় এমন কোন ছেলে মেয়ে নাই যার ভাল লাগতো না। পড়ালেখা করতে হইতো না। সবাই বাসা থেকে বের হয়ে যেত। যে যার মত আড্ডা দিত। সেরকম এক রাতে আমরা সবাই মিলে বড় মাঠে বসে সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময় এক জনের বুদ্ধি এলো, সে বললো লুঙ্গি মাথায় তুলে পুরা মাঠ ঘুরতে পারবে কে? সবাইতো চুপ কারো মুখে কোন কথা নাই। মালু বললো সে পারবে কিন্তু তাকে টাকা দিতে হবে।ঠিক আছে সে মালুকে বললো তুই যদি লুঙ্গি মাথায় তুলে একবার পুরা মাঠ ঘুরে আসবি তোকে টাকা দেব। 

ষ্টার্টিং পয়েন্ট হচ্ছে ই টাইপ ১২ নং বিল্ডিং এর কর্ণার থেকে। এবং সেখানেই শেষ হবে। যথারীতি দৌঁড় শুরু হলো। মালু অর্ধেকের বেশি পার করে ফেলেছে এমন সময় কারেন্ট চলে আসলো। কারেন্ট চলে আসাতে আমরা তখন অন্যপাশে চলে যায় মানে ই টাইপ ১১ নং বিল্ডিংয়ের পাশে। আমরা চলে আসার পর ওখানে আসিফের আম্মা ( লাবনিদের পাশের বাসা / মামুনদের বিল্ডিংয়ের) কয়েকজন মহিলা নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। মালু এটা খেয়াল করে নাই সে মাথা থেকে লুঙ্গি নামানোর আগেই বলে টাকা দে। কিন্তু লুঙ্গি নামানোর পর দেখে আসিফের আম্মা। 

পড়ালেখায় কোনদিন মন বসতো না


পড়ালেখায় কোনদিন মন বসতো না,সারাদিন টো টো করে ঘুরতাম,সহজে তো স্কুলে যেতাম না যাও বা যেতাম সকালে গেলে হাফ টাইমে আর নাই,এভাবে দিন পার করতাসি,কোন মতে পাস করলাম, উঠলাম সেভেনে বয়স যতো বাড়তাছে বাহিরে বাহিরে ঘুরা ততো বাড়তাছে,স্যার রা আব্বাকে ডেকে নালিশ জানালো আপনার ছেলে স্কুলে ঠিক মতো আসে না,আম্মার হাতে মার তো চলতো প্রতিদিন,আব্বা চিন্তা ছেলেকে এখানে রাখলে পড়া লেখা হবে না,তাই টাইগার পাস ঝাউতলা জেঠার বাসায় পাঠিয়ে দিবে,যেই কথা সেই কাজ কলোনীর মায়া ছেড়ে আমি আর আব্বা ঝাউতলার পথে, আমার জেঠাতো বড় ভাই পরদিন আমাকে নিয়ে টাইগার পাস বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ে ভত্তি করে দিলো সেভেনে,আমার সমবয়সী জেঠাতো ভাইও ঐ স্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে,তো দুই ভাই প্রতিদিন একসাথে স্কুলে যেতাম,বাজেট ছিল দুজনের ১০ টাকা,আমার তো মন বসতো না একে তো নতুন আর কারো সাথে পরিচয় নেই কোনমতে দুই তিন দিন ঠিক মতো ক্লাস করলাম,১০ টাকা দুজনে ভাগ করে নিতাম,জেঠাতো ভাই একদিন বলে তুই আজ ৫টাকা নিস না পরের দিনের টাকা তুই নিয়ে নিস,আমি আর কিছু বলি নাই কি কারণে জানি স্কুল আগে আগে ছুটি দিয়ে দিল,আমি তো আমার ভাইকে খুজি ভাইকে পাইনা তখন একজন বললো বাদল ১২টার আগেই স্কুল থেকে বাহির হয়ে গেছে,আমি হাটতে হাটতে বাসায় হাজির,বাসায় তখন ছোট এক জেঠাতো ভাই ছাড়া কেউ নেই,বাদল আসলো ৩টার ও কিছু পরে আমি জানতে চাইলাম কিরে কই গেছিলি,তখন সে বলে বাসায় কিছু বলিছ না আমি সিনেমা দেখতে গিয়াছিলাম,পরদিন ১০ টাকা ভাগ করি নাই, তারপরের দিনের ১০টাকা নিয়ে মোট ২০টাকা নিয়ে সোজা টাইগার পাস নোভাহিনীর সিনেমাহলে শো শুরু হবে ১২টায় কি করবো দুই ভাই বসে আছি কখন ১২টা বাজবে এভাবে প্রতি সপ্তাহে একদিনের বাজেট ছিল ১৬টাকা ৪টাকা বাচতো তখন ৪টাকার কিছু খেয়ে বাসায় যেতাম,সহজে আর স্কুলে যাওয়া হতোনা কোনোদিন হাটতে হাটতে ফয়েজ লেখ, মাঝে মাঝে ট্রেনে চড়ে কদমতলী,ঝাউতলার পিছন দিক দিয়ে পাহাড় এর পাশ দিয়ে লালখান বাজার এভাবে চলতো দুই ভাইয়ের,স্কুলের হাজিরা খাতায় মাঝে মাঝে নাম উঠতো,স্কুল ছুটি তো ঠিক মতো বাসায় হাজির, একদিন সিনেমা দেখে বাসা গিয়ে দেখি আব্বা বসে আসে, আমরা দুইভাই তো এমন ভাব করলাম মাএ স্কুল থেকে আসলাম আব্বা পড়ালেখার কথাজানতে চাইলো ঠিক মতো ক্লাস করি কিনা জানতে চাইলো,আমরা ঠিক ঠিক জবাব দিলাম বিকাল সবাই যখন বাসায় আসলো আব্বা আসল কথা ফাঁস করলো মাসে একদিন দুইদিন ক্লাস করছি আর প্রতিদিন হাজিরা খাতায় নাম উঠে নাই, সেই দিন বড় ভাই ধরে দুজন কে যে মারটা দিলো তা এখন ও মনে পড়লে শরীর ব্যাথা করে, আব্বা বুঝলো পোলা এখানে রাখলে আরো খারাপ হবে মানুষ হবে না, তাই কলোনীর ছেলে কলোনীতে এনে স্কুলে ভত্তি করে দিল,এই পাচ ছয় মাসে কতো যে সিনেমা দেখছি কতো জায়গায় যে ঘুরলাম,মজা আর মজা