Thursday, June 2, 2016

পাখির কান্ড - আমার বাড়ান্দায় পাখি বাসা বাঁধার জন্য হাঁড়ি রেখেছি


পাখির কান্ড - আমার বাড়ান্দায় পাখি বাসা বাঁধার জন্য হাঁড়ি রেখেছি।প্রথমে দোয়েল বাসা করে তিনটি ছানা ফুটালো। বড় হয়ে চলে গেল।এরপর আবার এসেছিল বাসা করতে। কিন্তু শালিক পাখি দিল না।পরে শালিকের ৫টি ফুটালো।মা পাখি

সবসময় পাহারা দিয়ে রাখতো।একদিন ছেলে বললো একটি পাখি মারা গেছে।এখন কিভাবে এটাকে ফেলে দেই,চিন্তা
করছিলাম।পরদিন সকালবেলা বাড়ান্দায় যেয়ে দেখি মরা ছানাটি ফ্লোরে পরে আছে।মা পাখিটা এটাকে ফেলে দিল।
পাখিটিও বুজলো মরা ছানাটি থাকলে অন্য গুলির ক্ষতি।

গতকাল তপন চৌধুরীকে নিয়ে Atiq Csm এর পোষ্ট দেখে একটা ঘটনার কথা মনে পড়লো


গতকাল তপন চৌধুরীকে নিয়ে Atiq Csm এর পোষ্ট দেখে একটা ঘটনার কথা মনে পড়লো। সম্ভবত ৯০ সালের ঘটনা। চার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যে আমি আর শীতল ছিলাম তপন ভক্ত আর সওগাত এবং সেলিম ছিলো মান্না দের ভক্ত। বিভিন্ন সময় আমাদের মধ্যে তর্ক লেগে যেতো কে সেরা। চিটাগাং কলেজের কমন রুমে চ্যালেঞ্জ এ ক্যারাম খেলায় মান্না দেকে তপন চৌধুরী প্রায়ই হারিয়ে দিতো। যাই হোক একদিন চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম এ আবাহনীর খেলা দেখতে গেলাম, খেলা শেষে প্যাভিলিয়ন এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পর দেখলাম প্যাভিলিয়ন গেইট দিয়ে তপন চৌধুরী বেরিয়ে আসছেন। আবাহনীর খেলোয়াড়রা গেইট দিয়ে বের হবে সেইদিকেই সবার নজর। আমি আর শীতল তপন চৌধুরীকে দেখে উনার কাছে গিয়ে সালাম দিলাম এবং আমরাযে উনার ভক্ত সেটা জানালাম। উনিও ভদ্রভাবে আমাদের ধন্যবাদ দিলেন। এরপরই শীতল বলে উঠলো আমাদের মধ্যে দুই বন্ধু আপনাকে পছন্দ করেনা, তাদের পছন্দ নাকি মান্না দে। আপনিই বলুন মান্না দে কি আপনার চাইতে ভালো গায়? তপনদা সাথে সাথে জিহ্বা কামড় দিয়ে বললেন, ছি ছি তোমরা এগুলু কি বলছো। মান্না দে কত বড় শিল্পী উনার সাথে আমার তুলনা করছো। এর পর জিজ্ঞেস করলেন তোমাদের ওই দুই বন্ধু কারা। আমরা একযোগে বলে উঠলাম, সওগাত্যা আর সেলিম্যা।

এই ঘটনা মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।

সকালে অফিসে আসার পথে রাজীবের ফোন


সকালে অফিসে আসার পথে রাজীবের ফোন, "আতিক ভাই আমি ঢাকা আসছি, আপনার সাথে আজ লাঞ্চ করব", - আমি সানন্দে বললাম ঠিক আছে আজ পূর্নিমায় দুই ভাই দুপুরে এক সাথে খাবো। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার যে, সিএসসএম এর কারো সাথে এক সাথে খাওয়া দাওয়া করা। আমি এই ব্যপার টি খুবই উপভোগ করি।
কিন্ত দুপুর একটা র সময় আমাদের চেয়ারম্যান আমাকে হঠাৎ করে একটি জরুরী মিশনে পুরানো ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। তাই শত ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও রাজিবের সাথে লাঞ্চ করতে পারিনি।

রাজিব, আমি খুবই দু:খিত ও লজ্জিত যে, তোকে কথা দিয়েও কথা রাখতে পারিনি বলে। এই লজ্জা থেকে তুই আমাকে উদ্ধার করতে পারবি যদি আরেক দিন আমার সাথে খাওয়াদাওয়া র সুযোগ ও সময় দিস।

আজকে (০২ জুন) আমার জন্মদিন


আজকে (০২ জুন) আমার জন্মদিন। ভাবছেন কয়দিন আগে না(১৫মার্চ) জন্মদিন গেল। আবার আজকে কেমনে জন্মদিন হয়। আসলেই আমার জন্মদিন তবে সার্টিফিকেট অনুসারে। ক্লাস নাইনে রেজিষ্ট্রেশন সময় স্কুলের কেরানি স্যার মানে শফি স্যার এই তারিখ দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে ছিলেন। আমি আগে থেকে যদি টের পেতাম তাহলে ১৫ মার্চ দিয়ে করতাম। একদিন বিকালে স্কুলের মাঠে যখন খেলতে গেলাম। দেখলাম কেরানি স্যারের রুমের সামনে সবাই ভীড় করছে। কাছে গিয়ে কারন জেনে আমারটা ঠিক করতে গেলাম। স্যার বললো " তোঁয়ার গান অই গেইয়ে"। তারমানে আমার জন্ম তারিখ, সাল সবই স্যার নিজ দায়িত্বে আগে থেকে সেরে ফেলেছেন।