Tuesday, February 9, 2016

জুহি চাওলার ছবি রিলিজ হলে কোন হুশ থাকতোনা


জুহি চাওলার ছবি রিলিজ হলে কোন হুশ থাকতোনা, যে করে হোক ঐ ভিডিও যোগাড় করে ছবিটি আমার দেখা চাইই চাই।আমি হিন্দি ভাষা কম বুঝি, তাই সিনেমার কাহিনী বুঝি আর না বুঝি জুহি চাওলাকে দেখার জন্যই তার ছবি মনোযাগ দিয়ে দেখতাম, আজও ইউটিউবে তার অভিনীত ডুপ্লিকেট ছবিটির কিছু কিছু অংশ দেখলাম, চোখ সরানো যায়না। "কি যাদু করিলা পীরিতি শিখাইলা " টাইপ আকর্ষণ তার প্রতি। 

সবচেয়ে মজার ব্যাপার এ লেখাটি যখন লিখছি ঠিক তখনই একটি চ্যানেলে জুহির একটি এ্যাড দেখাচ্ছিল। একেই বলে মনের টান। আসলেই কি যাদু করিলা............

আমরার ময়মনসিংহের ভাষা


ইদানিং আমার বন্দু আতিক আমরার ময়মনসিংহের ভাষা লইয়া খুব লেহা লিহি করতাছে।দোস নান্দলেরর ইউনুস তরে মাইন্ড করছে।তরে হে পাইলে তর খবর করইয়া দিব।তুই আমরার ভাষা লইয়া লিহছ কেরে।আর ফহিন্নির পুত মোশারফেরে পাইলে কি করুম হেইডা এওন কইতাম না।ফহিন্নির পুত আমরার শ্রুতিমধুর ময়মসিংহে ভাষা লইয়া নাটক করে।

এক রাতের ঘুম নাকি সাত রাতেও কাভার হয় না


এক রাতের ঘুম নাকি সাত রাতেও কাভার হয় না। গতকাল রাতে সময়মতো না ঘুমানোর কারনে সকালে অফিসে ঝিমাইছি। আর এখনতো ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। 

আসলে মুল কথা হলো সন্ধ্যার পরে এখন কোন কাজ নেই। ২৯ তারিখের আগে আড্ডা নিয়ে মিটিং,সিটিং, ইটিং কতো কিছুই হতো। তখন রাত একটা / দুইটা বাজলেও ঘুম আসতো না। না ঘুমালে খারাপও লাগতো না। তখন শরীরে আলাদা একটা এনার্জি ছিলো। অন্য রকম উম্মাদনা ছিলো। ছিলো আড্ডা সফল করার বাড়তি টেনশন। এখন আড্ডা শেষ কোন কাজ নেই, তাই অবসরে খই ভাজি। আর সময়ের আগে ঘুমও চলে আসে। 

সত্যি ঘটনাঃ এই জিবনে এই প্রথম লিখা সি এস এম এ


সত্যি ঘটনাঃ এই জিবনে এই প্রথম লিখা সি এস এম এ

সন টা ঠিক মনে নেই,তবে এইচ,এচ,সি পরীক্ষার পরের ঘটনা সম্ববতো। আমার সব ছেয়ে প্রিয় বন্ধু যখন আমাদের কলোনিতে এলো তখন আমারে আর পায় কে,আমি আমার বাবার অভাবের কারনে অনেক শখের অনেক জিনিষ অনেক সময় পরতে বা কিনতে পারিনি তারপর ও থেমে থাকেনি আমার পথ চলা কারন তখন আমার বন্ধু তার জিনিষ দিয়ে আমাকে আমার ইচ্ছা পুরন করতে সব সময় পাশে দাড়িয়েছে।আমি আজ যাকে নিয়ে লিখছি তার গুনের কোনো অভাব নাই আর আমি তার বন্ধু হয়ে আমার কোনো গুন ই নাই,কিন্তু সে আমাকে কোনো দিন আজ এখন পর্যন্ত আমার কোন খারাপ গুনার কথা বলেনি। আমাকে শুদু আমার প্রশংসা করে চলেছে।

মনের মাঝে কলোনি মানেই যেন চিরসবুজ, চির বসন্তের এক নগরী


সুচিত্রা সেন নাকি একটা বয়সের পর লোক চক্ষু র আড়ালে চলে গিয়েছিলেন কারণ তিনি আজীবন ভক্তদের চোখে চিরতরুণী থাকতে চেয়েছিলেন।

আমার কাছে কলোনি র ব্যাপারটা ঠিক তাই।কলোনি থেকে চলে আসার পর যাব যাব করে আর যাওয়া হয়নি।মাঝে মাঝে যারা কলোনি ঘুরে আসত তাদের মুখে শুনতাম আমরা যেখানে খেলতাম সেখানে নাকি বড় বড় ঘাস জন্মেছে।ঘাসের কি দোষ! অনেক দিন কলোনি র ছেলেমেয়েগুলোর পায়ের স্পর্শ না পেলে বেহায়ার মত ঘাস ত গজাবেই। কলোনির এই বদলে যাওয়া রুপ টা তাই কেন জানি দেখতে ইচ্ছে করত না।এখনো অনেকে কলোনি তে যায়, কিন্তু কিছুই খুজে পায় না।এটা ভীষন কষ্টের কথা! 

হাটতে হাটতে মাঝেমাঝে খাল পাড়ে চলে যেতাম


ছোটবেলায় আরিফ ভাই, সুমন ভাই,মাসুদ এদের সাথে হাটতে হাটতে মাঝেমাঝে খাল পাড়ে চলে যেতাম।তবে খালের উপর একটা লোহার পাইপের মত ছিল যেটার অর্ধেক ছিল প্রশস্ত আর বাকিটা সরু।সামনের দিক টা সহজে পার হতে পারলেও সরু অংশ দিয়ে পার হবার সময় বুক ধড়পড় করত।কারন নিচ দিয়ে মিলের যে দুষনযুক্ত পানি বয়ে যেত সেটা কে আরিফ ভাই রা বলতেন চোরাবালি। ওইখানে পড়লে নাকি আর উঠা যায় না। মাটি নিচে টেনে ফেলে।তাই ভীষন ভয়ে থাকতাম।

ওই সরু অংশটার উপর দিয়ে যাবার সময় আরেকটা কথা মাথায় আসত।আমার আম্মা একটা কথা বলতেন, মারা যাবার পর মুসলমান দের পুলসিরাত নামে একটা সরু রশির উপর দিয়ে যেতে হবে।যারা পুন্যবান তারা পার হতে পারবেন আর পাপীরা পারবেনা।

সাবাস, সবাই যে ভাবে লেখার প্রতি এগিয়ে আসছে আশা করি এ পেজ আরো জমজমাট হবে


Al Amin Billah Shujon তুই কি এক পরিসংখ্যান দিলি রে, পোলাপাইন তো সব খাইয়া নাখাইয়া ঘুমাইয়া না ঘুমাইয়া যেমনে লেখতাছে আমিতো শেষ। আর তো লেখতাম পারিনারে, রিটায়ার্ড এর সময় মনে হয় হয়া গেছে। 
সাবাস, সবাই যে ভাবে লেখার প্রতি এগিয়ে আসছে আশা করি এ পেজ আরো জমজমাট হবে।

কেউ কি আছো -যারা এই রডে বাদুর ঝোলা ঝুলেছো ?


আমার আর মেরীর মক্তব থেকে বাসায় ফেরার পথে একটি নিয়মিত কাজ ছিল ওয়ার্কারস ক্লাবের রড ধরে দোল খাওয়া ।যা আমি এখনও স্বপ্নে দেখি - দোল খাচ্ছি ।কেউ কি আছো -যারা এই রডে বাদুর ঝোলা ঝুলেছো ?

তোমাকে ছাড়া এসব দিনে আমি বড্ড অসহায় হয়ে পড়ি


আর কি কি যে দেখতে হইব এই জিবনে। গতকাল প্রপোজ ডে না কি একটা দিন ছিল। আজ চকলেট ডে। সকাল থেকে মোচড়া মোচড়ি করছিলাম। এসব দিন কেন যে আসে?

প্রত্যেক দিন ইদের দিন আসুক। সমস্যা নাই। কোরবানী পুঁজো আসুক সমস্যা নাই। লেবার ডে, মাদার ডে ফাদার ডে সব ডে আসুক তবু এরম বুক চিন চিন করা কোন ডে না আসুক।

যদি এসব দিন আসতেই হয় তবে সাথে যেন তুমি থাক। তোমাকে ছাড়া এসব দিনে আমি বড্ড অসহায় হয়ে পড়ি।

আমার বাবা আমাকে ডাকে সবজান্তা বলে


খুব ছোটবেলার অনেক ঘটনা,স্পেশাল দিনগুলো,কে কখন কি কুকর্ম/সুকর্ম করেছিল- এসব আমার বেশ ভালভাবেই মনে থাকে বলে আমার বাবা আমাকে ডাকে সবজান্তা বলে। আমি যে অনেক কিছু জানি তার জন্য নয়,বরং যা জানি/দেখি তা অনেকদিন মনে রাখতে পারি তাই বাবার এই নামকরন। জন্ম থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত আমি ছিলাম কলোনীতে। আমার জন্মের পর প্রথম বাসা F-9 এ, এরপর D-4 এ। কলোনী থেকে বের হবার পর আরো দুটা বাসায় আমরা থেকেছি।কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল আমি জীবনে যত স্বপ্ন দেখেছি(যেগুলো ঘুম ভাঙ্গার পরো মনে থাকে) তার সবগুলোই কলোনীর বাসা রিলেটেড। আমি স্মৃতি যা মাথায় আছে তাই দেখি। কখনো F-9 এর লম্বা বারান্দায় ছুটোছুটি করছি অন্নি আপু,নার্গিস আপু,আয়রিন আপুদের সাথে-

যতই দিন যাচ্ছে এই নষ্টালজিয়া আরো বাড়ছে


যেদিন বিকেলে মাঠে খেলা থাকতোনা সেদিন ছোট ছোট দল বেঁধে সি টাইপ ডিটাইপ, পুকুরপাড়, টাংকির নীচ দিয়ে অযথা হাঁটাহাটি। বিশেষ কাউকে এক পলক দেখার আপ্রান চেষটা। অলস বিকেলে আজো চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই সব পাগলামো। কিংবা অফিসার্স ক্লাব বা ওয়ার্কার ক্লাবের লনে বসে আড্ডা, খুনসুটি, হা হা হি হি।খুঁজে ফিরি সেই বিকেল গুলো এখনো। যতই দিন যাচ্ছে এই নষ্টালজিয়া আরো বাড়ছে। Al Amin Billah Shujon এর মতে কেউ যদি বিল গেটস হয়ে আমাদের একটি সিএসএম জরুরি আবাসিক কলোনি বানিয়ে দিতো।

কার কার কোন কোন জায়গা/ স্থান প্রিয় ছিল?


আমরা যারা কলোনির পলাপাইন, তাদের নিশ্চয় কিছু প্রিয় জায়গা/স্থান (যেমন ৩ নং / ৯ নং বিল্ডিং) ছিল কলোনিতে। সেই সব স্মৃতি কখনও ভুলার নয়। আসুন আরেকবার মনে করি সেই সব জায়গা গুলো আর জোরে আওয়াজ তুলি , ফিরিয়ে দাও আমার সেই দিন গুলি, ফিরিয়ে দাও ও ও । কার কার কোন কোন জায়গা/ স্থান প্রিয় ছিল?

"মাঝামাঝি আর মোটামুটি"


মাঝামাঝি আর মোটামুটি এই দুইটির শব্দের মধ্যে জীবন পার করছি। ছাত্র জীবনে কখনোই ভাল ছিলাম না। ছিলাম মাঝামাঝি মানের। স্কুল জীবনে পড়ালেখায় ছিলাম মোটামুটি চলন সই। এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট ছিলাম। এসএসসি পাশ করে পরীক্ষা দিয়ে সরকারী কলেজে ভর্তি হলাম। যে কলেজে ভর্তি হলাম সেখানে আবার বারো মাসে তেরো পার্বন। অর্থাৎ সারা বছর জুড়ে অনুষ্টান চলে। 

আজকে দিবা শাখার প্রোগ্রামতো পরের সপ্তায় নৈশ শাখার প্রোগ্রাম। নবীন বরণ, বিদায় উৎসব, সংসদ অভিষেক, খেলাধুলা সব কিছুই ডাবল ডাবল চলতো। এ সবের ফাঁকে চলতো আড্ডা। সারাদিন আড্ডা দিতাম ডিলাইট, ডায়মন্ড কিংবা থ্রী ব্রাদার্সে। বিকাল হলেই কলজে বাসে করে চলে আসতাম। তারপর কলনির বন্ধুতের সাথে আড্ডা। পড়ালেখার সময় কোথায়? এভাবে এইচএসসি, ডিগ্রী ও মাষ্টার্স শেষ করলাম। 

হাগু (H A G U) তত্ত্ব


ইদানিং পেজে ঢুকলে অন্যরকম এক অনুভূতিতে মনটা ভরে যায়। কারনতো কিছু আছেই। ২৯ তারিখের পর থেকেই কিছু কিছু নতুন ছোট বড় ভাই বোন আমরা পেয়েছি ওরা রীতিমত লাইক, কমেন্ট আর পোস্টের বন্যা Chand Sultana বইয়ে দিচ্ছে। তার সাথে এতোদিন নিস্ক্রিয় থাকা কিছু ভাই বোনও দুই এক কলম লিখতে শুরু করেছে। রীতিমত কম্পিটিশন চলছে এই পেজে। 

ছোট এক ভাই সুজন সবাইকে যেভাবে সিরিয়ালী লাইনে দাড় করিয়ে দিয়েছে তাতে কার আগে কে ধাক্কা ধুক্কা দিয়ে Atiq Csm ভাইজানকে টপকাবে সেই চেষ্টায় সবাই মগ্ন।

এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে। আমাদেরি এক বোন আমাকে বলেছিল "ভাইয়া আপনাদের নাম ডেকে স্টেজে উঠানো হলো, সবার সাথে এক্টিভ মেম্বার হিসাবে ইন্ট্রোডিউজ করিয়ে দেওয়া হলো। তখন আমার খুব্বি প্রেস্টিজে লেগেছে। আমিতো একটা দুইটা হলেও লিখেছি পোস্ট দিয়েছি, আমাকে কেন ডাকা হলোনা?" তখন মজা করে বলেছিলাম তুই মাইনকার চিপায় পইরা গেছিলি, তাই তোরে Anisur Rahman Reza ভাইজান টাইনা উপরে তুলবার পারে নাই। মালকোচা দিয়া লিখা যা আর নয়তো শাড়ী বা ওড়নার আঁচল কোমরে ঘুইজা লিখা শুরু কর, দেখবি নেক্সট টাইম রেজা ভাই তর নামডাই আগে কইবো। যাই হউক যারা লিখছে আর যারা আড়মোরা দিয়ে জেগে উঠেছে তাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

ভাবতে ভালই লাগে সিএসএম এর মেধা গুলোকে আমরা এই পেজে পেতে শুরু করেছি,সামনে আরো আসবে


ভাবতে ভালই লাগে সিএসএম এর মেধা গুলোকে আমরা এই পেজে পেতে শুরু করেছি,সামনে আরো আসবে।বড় এক ভাইয়ের কথা না বলে পারছি না,এইবার আমরা ১৫০০ জন নিয়ে আড্ডা করেছি,সমনে ১০ হাজার হলে আমি অবাক হবো না।সেলুট জানাই সেই ভাইকে,তার কথা যেন আমরা বাস্তবে রুপ দিতে পারি।যারা এখনো লিখছি না তারা যেন কমেন্ট করে পেজটাকে মাতিয়ে রাখি।

"গ্র্যান্ড আড্ডা -২০১৬" পরবর্তিতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে CSM মেম্বারদের বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত


"গ্র্যান্ড আড্ডা -২০১৬" পরবর্তিতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের কিছু CSM মেম্বারদের বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত। পরবর্তীতে CSM মুরব্বীদের সহায়তায় এটা মিটমাট ও হয়ে যায়,অনেকে তাদের দোষ ও স্বীকার করেছেন।যাদের নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত তারা এখন একজন আরেকজনকে "আনফ্রেন্ড"করা শুরু করেছে।আমরা সবসময়ই বলি"আমরা আমরাইতে",তাহলে এই ছোটছোট বিষয়গুলো কেন আমরা ক্ষমার দৃষ্টিতে না দেখে রেষারেষির পর্যায়ে চলে যাচ্ছি।CSM COLONY'র সার্থে "গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৭" কে আরো সফল করে তোলতে আশা করি সবাই বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss