আজ রাতে বলে রাজিব কুমার দে (বাবু) csm পেজে আসবে। সত্য/মিথ্যা জানিনা! তবে আসলে খুব খুশি হবো। জমবে! একাই একশো! বাবু যখন বলে, তখন সবাই শুনে! শুনতে শুনতে এক সময় সবাই অস্থির হয়ে পড়ে! তারপর আল্লাহ কে ডাকা শুরু করে! সুরের তালে তালে বাবু কথা বলে! ধীরে ধীরে তাল উপরের দিকে উঠতে থাকে! তাল টা দাদা/দাদি দিয়ে শুরু হয় এবং শেষটা যার উপর দিয়ে যায় একমাত্র সেই বুঝে, কি ভয়ংকর সুন্দর বাবুর মাতৃ ভাষা! ভাষার উপর ডিগ্রিপ্রাপ্ত! বুজুর্গ মানুষ। পাগল আর বুজুর্গ টাইপের মানুষ এর সাথে মশকরা করতে হয় না! এবং আমি করিও না। এই মহান ভাষাবিদ কে, নতশির-এ, আমন্ত্রন জানাচ্ছি। চলে আয় বন্ধু। আমরা আমরাইতো।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Monday, April 18, 2016
এবারের কক্সবাজারের ট্যুরটা আমার একেবারেই বাজে ভাবে কাটলো
এবারের কক্সবাজারের ট্যুরটা আমার একেবারেই বাজে ভাবে কাটলো। যেদিন যাবো তার আগের দিন রাতে মেয়ের শরীরটা হালকা গরম ছিলো। মানে জ্বর উঁকি দিচ্ছিল। গাড়ি, হোটেল সব আগে থেকেই ঠিক করা বিধায় প্রোগ্রাম বাতিল করতে পারিনি। বৃহস্পতিবার সকালে যাওয়ার সময় নাপা খাইয়ে রওনা দিলাম। কক্সবাজারে দুপুরে খাওয়ার সময় মেয়ে কিছুই খেলোনা। আমাদের সাথে বেবি আপারাও ছিল। বেবি আপার হাজব্যান্ড মামুন ভাই (উনি ডাক্তার) মেয়ে দেখেই বললো ওকে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে। কোন রকমে লাঞ্চ করে মেয়ের ওষুধ কিনে আনলাম। বিকালে ইনানী যাওয়ার সময় মেয়ের জ্বর ছিলো। কিছুই খেতে চাচ্ছে না।
আবার জোর করে খাওয়ালে বমি করে দিচ্ছে। রাতের বেবি আপারা সহ একসাথে ডিনার করলাম। তখন মামুন ভাই বললো রাতে জ্বর বাড়লে মেয়েকে সাবোসিটার দিও। ডিনার শেষ করে আবার ওষুধের খোঁজে বের হলাম। চিপায় চাপায় ছোট ছোট ওষুধের দোকান। একটা পেলে আরেকটা পাইনা। সারারাত টেনশনে কাটলো। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এবার ছেলের জ্বর আসলো। ছেলে মেয়ে দু'জনকেই নাপা সিরাপ খাইয়ে দিলাম। তারপর দশটার দিকে বিচে গেলাম। ছেলের গায়ে জ্বর থাকা সত্ত্বেও সে পানিতে নামলো। পানি থেকে উঠতেই চায়না। জোর করে পানি থেকে তুললাম। দুপুরে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম।
সকালে বলেছিলাম শার্ট, ফতুয়া নিয়ে
সকালে বলেছিলাম শার্ট, ফতুয়া নিয়ে। আসুন আলাপ করি প্যান্ট,পলো শার্ট আর পাদুকা নিয়ে।
আমার আগের চাকুরী তে ( বসুন্ধরাগ্রুপ) খুব ফরমাল ড্রেস পড়া লাগতো, টাই ছিল বাধ্যতামূলক। খুবই বোরিং লাগতো। সে তুলনায় এখন কার চাকুরী তে পোষাকের দিক থেকে খুব রিলাকসে থাকি। ফরমাল পোষাকের পাশাপাশি পলো শাট', টি শাট' গাবাডিন জিন্সের প্যান্ট পড়ে অফিস করি।
পলো হাফ স্লিভের সাথে গাবাডিন প্যান্ট ইন করে পড়া আমার খুব পছন্দের ড্রেস। অনেক টা গলফার দের মত। এ ক্ষেত্রে পলো শাট' এর কালার হবে একটু ডাক' আার গাভডিন প্যান্ট এর কালার হবে ঘিয়ে,ব্রাউন বা এ্যাশ। আর পায়ে থাকবে খুব সফট স্নিকার।
পছন্দের সব পোষাকের বিবরণ দিয়া দিলাম, এখন কে কোনটা গিফট দিবেন?
মেরুন কালার টা যে কি রঙ সেটা আমি কখনওই জানতাম না
মেরুন কালার টা যে কি রঙ সেটা আমি কখনওই জানতাম না, তখন আমি বসুন্ধরাগ্রুপ এ চাকুরী করতাম অফিস পুরানো ঢাকায়, ইসলামপুর থেকে কাপড় কিনে এলিফ্যান্ট রোডে শার্ট প্যান্ট বানাতাম। একদিন শার্টের কাপড় কিনতে গিয়ে একটি লালচে টাইপ কাপড় পছন্দ হয় এবং সেটা দিয়েই শার্ট বানাই, পড়ার পর সবাই সুন্দর বলল, সেদিনই জানলাম এই কালার টিই মেরুন কালার, এ হচ্ছে মেরুন কালারের ইতিহাস। তবে এতো ডিপ কালারের শার্ট আমি গরম কালে পড়িনা।
আমার প্রিয় রঙ আকাশী, এটা কোথাও আগে আমি বলিনি। আর ছাত্রাবস্থায় এতো কালার চয়েস করে কাপড়চোপড় পড়ার সামর্থ্য ছিলনা। যা পাইছি তাই পড়ছি। এখন অবশ্য আকাশী কালারের শার্ট পড়ি নিয়মিত।
ফতুয়া নিয়ে এতো কথা খুব সম্ভবত তারিকের করা একটি কমেন্টস থেকে এসছে। গরমের দিনে ক্যাজুয়াল ড্রেস হিসেবে ফতুয়া খুবই আরামের। আড়ং এর ফতুয়া কখনোই ভালো লাগেনা। সূতি কাপড়ের চেক ফতুয়াই সুন্দর লাগে। আর পাঞ্জাবি ভালো লাগে লা রিভ -এর। লুবনান এর পাঞ্জাবীও খারাপ না। তবে পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পড়ার সময় কই। সারাদিন তো কামলা খেটেই দিন শেষ। বাসায় গিয়ে পৃথিবী র সবচেয়ে আরামদায়ক পোষাক লুঙী আর স্যান্ডো গেঞ্জিই সেরা।
আর আপাতত ফতুয়ার টপিক শেষ করলাম।
মধুর ছোট মামা খুব টেনশনে আছে
মধুর ছোট মামা খুব টেনশনে আছে! চুপিচুপি সে রজকিনির সাথে দেখা করেও এসেছে! মাগো, আমাদের মধুর মা নেই। তোমার হাতে তুলে দিচ্ছি মা! আমাদের মধুকে তুমি কষ্ট দিওনা। রজকিনি তো অবাক!! জিন্স/পলো শার্ট পড়া, "ইশমার্ট" ছোট মামাটা এত আবেগী হলো কেমন করে!!?? দূর ছোট মামা, আপনি কোনো চিন্তাই করবেন না! ম্যা হু না! মধু কে আমি, শাড়ির আচলে বেধে রাখবো! বড়ই শান্তি পেলামরে মা। এই দেখো মা, আমি তোমার জন্য এপেক্স থেকে ৫ জোড়া ভেনটুরিনির স্যান্ডেল এনেছি"! আজ মধুর নানা বাড়িতে আনন্দের ঢল নেমেছে। একটু পড়েই বড়যাত্রি রওনা হবে। মধু কেবলি গাড়িতে উঠতে যাবে, তখনি বড় মামার সেই ঐতিহাসিক হুংকার সুনতে পেলো, সা--ম--নে--এ, এগিয়ে চলো! এক হুংকারেই সবাই বিয়ে বাড়িতে পৌছে গেলো। বিয়ের উকিল বাপ হলো, মধুর "পীর মামা"! মধুর এই আবদার পীর সাহেব ফেলেন কি করে? এই সব ব্যাপারে আবার পীর সাহেবের আগ্রহটা একটু বেশী এবং লজ্জা শরম টাও একটু কম!
"মধুসুদনের বিয়ের আগের গল্প" পার্ট=২
মধুর বাপে সবাইকে তার বিয়ের কথা বলতে গেল।এদিকে মধু একটু বাইরে গেলে সামনে পড়ে যায় হতভাগা রজকিনি।তো কি আর করা,গালি দিয়ে রজকিনি কে পাশ কাটিয়ে চলে গেল মধু।রজকিনি আর কিছু না বলে সরাসরি মধুদের বাসায় চলে গেল আর বল্ল যে মধু নাকি তাকে ঢিল মারসে।।। রজকিনি মেয়েটা খুবই পেঁচি। মধু আর রজকিনি যেন চির জন্মের শত্রু।এদিকে মধুর বাবা মধুরে সাথে নিয়া মাছ ধরতে যাচ্ছিল,এমন সময় মল্লা বাবাজি হাজির হইলো পাত্রির খোঁজ নিয়া,কইল রাইভাল পাত্রি খুইজা পাইতাসি না তয় আমার একখান ভাগ্নি আসে,সদ্য ডিভোর্স প্রাপ্ত।মেয়ে কিন্তু বেশি ভালা,আগের জামাই মেয়ের নামাজ পড়া সহ্য করতে পাড়ত না,খালি নামাজ পড়লেই মারত,তো কি আর করা বাধ্য হয়েই ডিভোর্স নিতে হলো।মধু তো এইসব শুইন্যা একবাক্যে রাজি হয়ে গেল,আর মধুর বাবা সে কি খুশি।যাক অবশেষে পাত্রির খোজ পাওয়া গেল। একখান শুভ দিন ঠিক করার জন্যে মধু পাত্রির বাসায় গেল,দিনক্ষণ ঠিক হইলো,বিয়ে হবে সামনে র শুক্কুরবার এ।যা হোক পরিবারের সবাই এই বিয়া নিয়া খুবোই এক্সাইটেড।মধু ঠিক করলো বিয়েতে সবাইকে দাওয়াত দিবে রজকিনি কে ছাড়া।
(চলবে)
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!