রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,জীবনানন্দ কাউকে সাহ্মাত দেখিনি, সাহচর্য পাইনি। এজন্য মনে অনুতাপ ছিল। আমাদের জীবদ্যশায় শামসুর রাহমান,সৈয়দ শামসুল হক, হুমায়ূন আহমেদ, নিরমলেন্দু গুন - এ সব কবি সাহিত্যিকের সাথে দেখা করা, কথা বলা, এক সাথে ছবি তোলা- এ ইছছেটা তাই অপূর্ণ রাখিনি। বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান,, কবিতা পাঠের আসর , কিংবা বই মেলায় ইছছে পূরণের সেই সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে ভুল করিনি। সেইসব স্মৃতিগুলো তাই বন্দী করে রেখেছি মনের আয়নায় এক ধরনের ত্রৃপ্তি নিয়ে।
১৯৭৯ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের লাইব্রেরি থেকে "নন্দিত নরকে" উপন্যাসটি নিয়ে সেই রাতেই পড়ে শেষ করেছিলাম। মধ্যবিত্ত জীবনের এমন হৃদয় ছোয়া পল্প পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। মুগ্ধতার আরও একটা বিশেষ কারন - উপন্যাসের নায়িকা,ছোট বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল চট্টগ্রাম ষ্টিল মিলে চাকরী করা এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে।
আমার কেন যেন মনে হোত ছেলেটাকে আমি চিনি। সে BH-1 এ থাকে। সকাল- বিকেল আমাদের দেখা হয়,বিকাল বেলা অফিসারস ক্লাবে এক সাথে টিটি খেলি,দাবা খেলি - এইসব।।
একেবারেই কল্পনার ।।
যাহোক সেই শুরু। তারপর থেকে মৃত্যুর কিছু আগ পরযন্ত হুমায়ূনের কোন গল্প, উপন্যাস,নাটক কিংবা চলচিত্র পড়া হয়নি বা দেখা হয়নি এমনটি মনে পড়ে না।
মধ্যবিত্তের প্রাত্যহিক জীবনের টানাপোড়েন,স্নেহ-ভালোবাসার পল্প তার মত করে আমাদের কে শোনাতে পেরেছে? কে পেরেছে তার মত সেলুলয়েডের পরদায় জীবন বোধের কিছছা বানাতে? তার মত কাদাতে? হাসাতে?
জীবনের সুহ্ম অনুভূতিকে ব্যপ্তি ছড়িয়ে বাঙময় করতে??
অনেক মেধার এক জন হুমায়ূনকে তাই ভুলতে পারি না,ভোলা যায় না। এ দেশে যতদিন মধ্যবিত্ত থাকবে ততদিনই হুমায়ূন থাকবে তাদের চারপাশ ঘিরে, আস্টেপিষ্টে ।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমায়ূন পৃথিবী নামক গ্রহটাকে বড় ভালোবাসতেন। দারশনিকের মত তাই তার প্রশ্ন ছিল-
" কছছপ যদি ৫০০ বছর বাচতে পারে তাহলে আশরাফুল মাখলুখাত মানুষ কেন বাচবে মাত্র ৬০-৭০ বছর? "
মহান আল্লাহ পাকের কাছে এর যৌক্তিক উত্তর তিনি নিশ্চয় পাবেন ।
আমার মত অনেক অনুরাগী পাঠকের দোয়া আর ভালোবাসায় আল্লাহ পাক তাকে হ্মমা করবেন,জানাতবাসী করবেন- আজ তার মৃত্যু দিনে এ প্রার্থনা !!
No one has commented yet. Be the first!