Tuesday, July 19, 2016

Aslamuddin Mamun প্রতিদিন কারো না কারো নাম, ছবি দিয়ে পোষ্ট দেয়


Aslamuddin Mamun প্রতিদিন কারো না কারো নাম, ছবি দিয়ে পোষ্ট দেয়। অর্থাৎ তেল দেয়। এখন ও আবার বলছে তেল দিবে না, খাঁটি বাঘাবাড়ির ঘি দিবে। অথচ তার নামে কেউ কখনো পোষ্ট দেয় না। কেন দেয় না? তার তেল খাওয়া নিষেধ বলে? আরে ভাই মাছ, মাংস, তেল না দেন অন্তত শাক সবজিতো দিবেন। আপনারা যদি কিছুই না দেন ছেলেটা কি খেয়ে বাঁচবে? একবারও কি কেউ চিন্তা করছেন ছেলেটা আমাদের জন্য কত কষ্ট করে। কোথায় কোন প্রোগ্রাম হবে তার জন্য তার কত টেনসন। একটা প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার আগেই সে আগামিতে কোন প্রোগ্রাম হবে, কোথায় হবে সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করে। সিএসএম এর যত চিন্তা আমার মনে হয় ওর পরিবারের জন্য এত চিন্তা করে না।

২০ জুলাই ২০১২ ,সারাদিন শরীর টা খারাপ ছিলো


২০ জুলাই ২০১২ ,সারাদিন শরীর টা খারাপ ছিলো, সন্ধ্যার পর হাঁটতে বের হয়েছি, অল্প কিছু দুর যাওয়ার পর দেখি ছোট্ট একটি বাড়ির সামনে প্রচুর ভিড় অনেক মিডিয়ার লোকজন, তারপর চমকে উঠলাম , আরে এখানে তো নন্দিত সব পরিচিত লোকজন। আজ সারাদিন এদের বিভিন্ন চ্যানেলে দেখা গেছে।ড: জাফর ইকবাল, শিলা আহমেদ, নুহাশ সহ আরো অনেকেই , এরা একবার বাড়ির বাইরে যাচ্ছে আবার ঢুকছে। তার মানে এটা সেই বিখ্যাত বাড়িি।আগেই জানতাম বিখ্যাত এই বাড়িটি মিরপুর পল্লবী এলাকায় , তবে আফসোস লাগলো, আমার বাসার এতো কাছে এই বাড়িটি অথচ আমিি আগে চিনতাম না । মাঝে মাঝে আহসান হাবিব ভাই (ড: জাফর ইকবালের ছোট ভাই্) কে দেখি রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে খুব উদাসী ভংগীতে সিগারেট টানতে, উনাকে দেখলে ভাই স্লামালাইকুম , কেমন আছেন, ভালো আছি এত টুকুই কথা হতো, আর তিনি যে এ বাড়ির বাসিন্দা সেটা সেদিনই জানলাম।

হুম !! আমি জনপ্রিয় লেখক নাট্যকার হুমায়ন আহমেদের মা যেখানে থাকতেন সে বাড়িটির কথাই বলছি।জনপ্রিয় নন্দিত এ লেখক ১৯ জুলাই ২০১২ তে মৃত্যুবরন করেন। তার দাফন সংক্রান্ত জটিলতায় সেদিন এ বাড়ির সামনে এত লোকজন, মিডিয়ার কর্মী ছিলো।

হুমায়ন আহমেদের মত্ এত বড় মাপের লেখক নাট্যকার কে নিয়ে আমার মত অঘা মঘা ফেসবুক ওয়ালার কোন মন্তব্য করার দু:সাহস নাই। তবে উনার যে জিনিস টি আমাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষন করেছে, তা হচ্ছে উনি ট্রাডিশনাল বাংগালির মাঝে বই পড়ার মতা সুঅভ্যাস গড়ে দিতে পেরেছেন।এখনকার এ জটিল সময়ে উনাকে খুব দরকার ছিলো, উনার লেখাগুলো দরকার ছিলো।

আজকের এ দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে উনার জন্য প্রার্থনা করছি, তিনি যেন শান্তিতে থাকেন।

মেয়েদের সাথে ঝগড়া করতে হয়না


মেয়েদের সাথে ঝগড়া করতে হয়না[অপরাজেয় বাঙ্গালী, কথাটি আমাকে বেশ কয়েক বার বলেছে]। কথাটি আসলে-ই খুব গুরত্বপুর্ন। যুক্তি/তর্কের ধার, মেয়েরা খুব একটা কেয়ার করেনা। ৯০% সংসারের মোড়ল গিরী মেয়েরাই করে থাকে।আমি নিজেও যতটুকু সম্ভব ছাড় দিয়ে যাই। বিরামহীন তর্কের যুদ্ধ, কোনো পুরুষ মানুষের পক্ষে সম্ভব না।[ ছ্যাচড়া জাতিয় হলে অন্য কথা]।দুই জন ছেলে মানুষের যুদ্ধের অবসান আছে, কিন্তু দুইজন মেয়ে মানুষের যুদ্ধ মানেই, অনন্ত কাল!! প্রমান আমাদের এই সোনার বাঙ্গলাদেশ। টিভির রিমোট থেকে একটি জাতি পর্যন্ত তাদের ক্বজায়!! হতে পারে সেটা সরাসরি কিংবা পর্দার আড়ালেও!!। কান্নাকাটি করে হলেও, তারা জিতবে!! অতএব সাধু সাবধান।

এই দুনিয়াতে প্রেম/ভালোবাসা বলে যদি কিছু থাকে, সেটা মেয়েদের কাছেই আছে। মা/বোন/স্ত্রী/ভাবি/খালা/ফুফু/চাচি/মামি/দাদি/নানি, এই সম্পর্ক গুলির সাথে বড় আবেগ জড়িত। এক দুনিয়ার ভালোবাসা, আল্লাহ পাক তাদের ভান্ডারেই দিয়েছে!! আমাদের দেশের প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার'রা, সাহেবের চেয়ে মেম সাহেবকে বেশি পছন্দ করেন। কারন, মেম সাহেব'রা, আদর করে উপরে ডেকে খেতে দেন এবং বখশিশও দেন। একজন ভাই-এর জন্য, বোন-ই হলো সবচেয়ে বড় দরদি। আর খালা'তো, মায়ের চেয়েও ভালা। একজন প্রেমময় স্ত্রী, শেষ জীবন পর্যন্ত তার স্বামীকে আকড়ে থাকেন। শেষ জিবনে, বুড়া/বুড়ির সংসার, ভালোবাসায় ভরা, কাব্য/কবিতা। এবং সবার উপড়ে একজন মা। একটি সংসারের অস্তিত্ব-ই হলো, একজন মা।মায়ের শাড়ির আচল ধরা থেকে সুরু করে মায়ের হাতে খাওয়া, কথা শিখা থেকে সুরু করে, আবেগ/ভালোবাসা, হাসি/কান্না, সুখ/দুখ এই সব কিছুই, এই সব কিছুই একটা সময় আমরা মায়ের কাছ থেকেই শিখতে/শিখতে বড় হই। জন্মের পরে একজন শিশু প্রথম যে কথাটি শিখে------- "মা"।

বড়-ই জটিল এই জাতি!!! হিসাব মিলানো যায়না!! হিসাব মিলানোর দরকারও নেই!! অতএব সাধুরা আবারও সাবধান। ভালও কথা, রিক্সাচালকের সাথেও আমি তর্ক করিনা!! যদিও একজন রিক্সাচালক সাধারনত, পুরুষ-ই হয়ে থাকে!!।

যাদের মাথা ঠান্ডা তাদের মন গরম


যাদের মাথা ঠান্ডা তাদের মন গরম। আর যাদের মাথা গরম তাদের মন কিন্তু নরম। ভদ্র, নম্র, সদা বিনয়ী, পরোপকারী, Aslamuddin Mamun ও নরম মনের মানুষ। পরিবারের চেয়ে সিএসএমকেই বেশি সময় দেন। এই নিয়ে পরিবারের মধ্যে অনেক অভিযোগ। কিন্তু মামুন এই সবকে আমলে নেয় না। সিএসএম এর যে কোন প্রোগ্রামকে মামুন এত আন্তরিক ভাবে নেয় যে, দেখে মনে হয় এটা তার পরিবারের প্রোগ্রাম। যেটা আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সিএসএম এর কারো জন্মদিন, মৃত্যু দিবস, বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি নোটিশ করা বা সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া এই সব কাজ মামুন প্রতিনিয়ত আন্তরিকতার সহিত করে থাকে। ইদানিং তার শরীরটা একটু নরম হয়ে গেছে। কিন্তু মনোবল এখনো আগের মত অটুট আছে। সিএসএম এর সবার কাছ থেকে মামুনের একটাই চাওয়া ভালোবাসা ও দোয়া।তাই সবাই মামুনের জন্য দোয়া করবেন যেন মামুন সব সময় হাসি খুশি প্রান চঞ্চল থাকতে পারে।

অঞ্জু দি আপা


অঞ্জু দি আপা।হুম।উনাকে আমি এই নামে চিনতাম।এক বার কোন আপা যেন বলছিলেন, বললে অঞ্জু দি বা অঞ্জু আপা বলতে।কিন্তু তাতে আমি নিজেকে শুধরে নেইনি। স্কুলের শেষ দিন পর্যন্ত আমি উনাকে এই নামে ডেকে গিয়েছিলাম।

আপাকে আমি প্রথম পাই বৃত্তি র কোচিং এ। প্রথমে খুব রাশভারী মনে হত। আসলে ভুল ছিলাম। কোন কারনে ক্লাসরুম এর বাইরে গেলে ক্লাসে ঢোকার আগে আপার অনুমতি চাইতাম। আপা বলতেন, বাইরে গেলে ভেতরে ত আসতে ত হবেই।এটাও আবার জিজ্ঞেস করতে হয়।আপা খুব শুদ্ধ করে কথা বলতেন।শুনতে ভাল লাগত।

ক্লাস নাইনে আপা আমাদের ইংরেজি ১ ম খাতা কেটেছিলেন। খাতা দিতে ক্লাসে এলেন। নম্বর বলছিলেন আর হাসছিলেন। যখন আমার খাতা দেবার পালা এল তখন আপা খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছিলেন যা আমার অনেকদিন মনে থাকবে। ইংরেজি দ্রুত পঠন বিভাগের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে উনি বলেছিলেন, " নিয়াজ ত সব নিজের ভাষায় লিখেছে"। আমি জিজ্ঞেস করছিলাম," আপা, কোন ভুল হয়ছে?"

আপা উত্তর দিলেন," না,কোন ভুল হয়নি, কিন্তু তোমার উত্তর সবার চেয়ে আলাদা হয়ছে।তাই বুঝতে পেরেছি"
আপা এখনো আপনার শুদ্ধ উচ্চারণ এ কথাগুলো মিস করি।

"আমরা সবাই কচুরিপানা ফুল"


মানুষের এই এক জীবনে কত ঘটনাই তো ঘটে যায়, কোনোটি ভালো আবার কোনোটি খারাপ, আবার কোনো টি দু:খের, আবার কোনোটি আজীবন সুখস্মৃতির খোরাক হয়ে থাকে, কিছু থাকে তিক্ত, কিছু হয়ে উঠে বিব্রত কর, আবার কোন কোন ঘটনা মনে পড়লে নিজের অজান্তে হেসে উঠি সেই অবুঝ পাগলামির জন্য। জীবন এভাবেই চলতে থাকে। কোন কিছুর জন্য জীবন থেমে থাকেনা, জীবন চলতে থাকে জীবনের নিয়মে। কারো কোন দু:খ বা কষ্টের কারনে যদি জীবন থেনে যেত তাহলে পৃথিবী বহু আগেই অকার্যকর হয়ে যেত।

আমি ব্যক্তি হিসেবে বা পেজের এডমিন হিসেবে দুয়েক বার বলেছিলাম এ পেজে যা কিছু হয় তা সবই ফান, শুধু নির্দোষ আনন্দ হাসি ঠাট্টা করার জন্য পাশাপাশি একে অপরের সুখ দু:খ কে শেয়ার করা। তার সাথে মানবতার জয়গান তো আমরা গাচ্ছিই। এ পেজের বাইরে আমাদের সবার আরেকটি জগত আছে, সেটিই আমাদের আসল জগত, সেখানে আমাদের সবার সংসার আছে,ধর্ম আছে, চাকুরী, লেখাপড়া সবই আছে এবং আমরা সবাই যে যার জগতের প্রতি দায়বদ্ধ।

পেজে মজা করতে করতে অনেক সময় কিছুটা ভারসাম্য আমরা হয়ত হারিয়ে ফেলি এবং কিছু বিব্রত কর উক্তি করে ফেলি। আমি মনে করি সবই এগুলা মজারই অংশ এবং এগুলো অবশ্যই সিরিয়াস কিছু নয়। তারপরও যার যার অবস্থান থেকে সচেতন থাকব।

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ যে কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা আমাদের দেশের বিভিন্ন অসংগতি দেখলেই বোঝা যায়। পেজের যে কোন অসংগতি রোধে এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আমাদের আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে।

অতীতেও আমরা একই জায়গায় ছিলাম, এখনো আছি সামনেও থাকব, পেজের বাইরে যে জগত টি আছে ঠিক সে জগত টি ঠিক রেখে।

আসো বন্ধুরা (বান্ধবী কি বলা যাবে?) মেতে উঠি আনন্দে আর উল্লাসে। কোন ফুল দরকার নেই ফুল নিয়ে হয়েছে অনেক বুঝাবুঝি ভুল,। আচ্ছা আবার একেবারে ফুলবিহীনও তো ভালো লাগেনা। ঠিক আছে আমরা অন্য কোন ফুল নই, সবাই কচুরিপানা ফুল, ভেসে ভেসে আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম, আবার প্রানের টানে, আত্মার টানে ভেসে ভেসে এক হয়েছি।

"আমরা সবাই কচুরী পানা
উল্লাস আনন্দে নেইতো মানা"

ইদের ছুটি মানে রাত জাগা আর খুঁজে ফেরা কাদের বাসা খালি


ইদের ছুটি মানে রাত জাগা আর খুঁজে ফেরা কাদের বাসা খালি। বেশিরভাগ দেবুর বাসা টা খালি পেতাম। আর যাবে কই সাড়া পরে যেত সবার আদ্দা মারার। মনে পড়ে যায় সে সব, বাবুর চট জলদি বাক্স জুগার ফন্ধি, চাদা তুলা এবং সময় নিদারুণ করা। সবই হয়ে যায়। তাপস দেবু অকিল পুদ্দার জসিম রিপন অনুপ চেতিয়া আমি রেজা মাজে মাজে অপুকেও পাওয়া যেত।

শুরু হত সারারাত তাস মুরগি চুরি করে রান্না আরা জাদুর বাক্স দিয়ে সুন্দর সুন্দর সাদা কালা ছবি,,, সহ নানা মুচরক আলাপ আলচনা,,, কি বন্ধুরা মনে পড়ে???

কমন রুম


ক্লাস সিক্সে উঠার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না কমন রুম কি?সেখানে কেন বসে? কি হয়। একদিন একটা দরকারে আমি সেখানে গেলাম। দেখি সব আপা রা বসে আছেন তাদের কমন রুমে।আমি থতমত খেয়ে গেলাম। একসংগে এত আপা।আমি আমার দরকার এর কথা ভুলে অন্য কথা বলে চলে এলাম।আর স্যার দের কমন রুমে থাকতেন স্যার রা সবাই।সেখানে ত আরো ভয় লাগত। তাই যত টা সম্ভব না যাবার চেষ্টা করতাম। কিন্তু যতই দিন যেতে লাগল ততই কমন রুমে যাবার পরিমান বাড়তে লাগল। আর আমার ভয় ও কাটতে লাগল।তবে আপাদের কমন রুমে যেতে যেতে একটা ধারনা জন্মে যে ক্লাসে কোন আপাকে যতই ভয় পেতাম, কমন রুমে উনাকে ততই স্নেহ শীল আর হেল্পফুল মনে হত।আর স্যারদের কমন রুমে গেলে সালাম দিয়ে চোখে চোখে না তাকানো র চেষ্টা করতাম।মনে হত,এই বুঝি বেয়াদবি হয়ে যাবে

মাঝরাতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ


মাঝরাতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ, ভেজা বালিশের কভার, লাল চোখ, কান্না আড়ালের জন্য বারান্দায় পায়চারী, হাতের দু'আঙ্গুলের মাঝের জ্বলন্ত সিগারেটটির ধীরে ধীরে আয়ূ শেষ হয়ে যাওয়া..........

কে বলে বাবা'রা কাঁদতে জানে না!!! বাবারাও কাঁদে কিন্তু প্রিয় মানুষগুলোর আড়ালে..
বাবা'রাওতো তোমাদের সবার মত রক্ত-মাংশে গড়া মানুষই হয়।

যারা বৃষ্টি তে ভিজেছিল


খুব সম্ভবত টিপু ভাইকে আমি যখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি। তখন উনার আম্মা নাজমা আপা আমাদের বাংলা ২য় ক্লাস নিতেন। অল্প কয়েক দিনে আপার সহজ সরল ব্যক্তিত্ব আমাকে আপার ভক্ত বানিয়ে দেয়।আপার ক্লাসে খুব মজা করতাম। একদিন জানলাম আপারই ছোট ছেলে টিপু ভাই। টিপু ভাই স্কাউট করতেন।আর উনাকে খুব কথা বলতে দেখতাম।কিন্তু ওই বয়সে উনার ব্যক্তিত্ব ছিল মুগ্ধ করার মত।

টিপু ভাই খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন,সেটা যত শক্ত কথাই হোক। একবার এক এস এস সি ভাই বোন দের বিদায় অনুষ্ঠান এ টিপু ভাই খুব সুন্দর বক্তব্য দিয়েছিলেন। 

পেজে আসার পরেও দেখলাম টিপু ভাই হয়ত লিখছেন না কিন্তু যে কমেন্ট করছেন,তা যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক। আর বন্ধুদের প্রতিও তার অনেক টান। ছোটদের যেমন স্নেহ দিয়ে উৎসাহ দেন,বড়দের দিতে পারেন সম্মান। সবাই সেটা অনুভব করতে পারেনা। কিন্তু যারা টিপু ভাইয়ের ভালবাসার বৃষ্টি তে ভিজেছেন, তারাই জানেন মানুষ হিসেবে কেন সবার চেয়ে আলাদা

অনেক দিন স্ট্যাটাস দিই না....দিব দিব করে আর দেয়া হয় না


অনেক দিন স্ট্যাটাস দিই না....দিব দিব করে আর দেয়া হয় না। অবশ্য একখান স্ট্যাটাস দিতেও মন মানসিকতা ভালো থাকা চাই।
তার কতটুকুই বা আমার ছিল! 
মা-বাবা চির দিনের নয়..... কিন্তু ছোটবেলায় বাবার হাত 
ধরে স্কুলে যাওয়া আর মায়ের চারকোনা পরটার টিফিন এখনো মুখে লেগে আছে!
বিবাহিত জীবন থেকে শুরু করে আমার মেয়ে দুইটাকে কোলে পিঠে করে বড় করার পিছনেও আমার মা এর স্পর্শ লেগে আছে। 
কাজের ফাঁকে যখনই মনে পড়ে মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন! তখনই পেটের ভেতর একটা বোমা বিস্ফোরন হয়। মেনে নিতে পারি না.....মা নেই আর মাঝে মাঝে মায়ের কন্ঠে রাশু ডাকটা শুনতে পাই। 
তখন আমার মত আরেকটা মানুষ যেন বুকের ভেতর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে....!
মা গো তোমায় বড্ড ভালোবাসতাম এখনও বাসি। হয়তো রাগের মাথায় তোমার সাথে ঝগড়া ও করতাম আর তুমিও বলতে
"আমি না থাকলে বুঝবি!! "
তখনও বুঝতাম আর এখন বাস্তব! তাই বুঝি
তুমি ছাড়া দুনিয়া মুল্যহীন। :'( :'( :'(

আমার একটা বদ অভ্যাস আছে


আমার একটা বদ অভ্যাস আছে। কোথাও গেলে গল্প সাথে করে নিয়ে আসা। যেমন- অফিসের জরুরি কাজে কোথাও গেলাম। সেই কাজে আমার অন্য কলিগ গেলে এসে কিছুই বলবেনা। কিন্তু আমি যেদিন যাই সেদিন এমন কোন ঘটনা ঘটে,আমি তাকে গল্প বানিয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে নিজের কাছে নিজের বিরক্ত লাগে। 

আমি কিন্তু কলোনি র কোন অনুষ্ঠান এ হাজির থাকি না। বেশিরভাগ সময় পরিস্থিতি আমার অনুকুলে থাকে না।এ নিয়ে আতিক ভাই, অপু দা আমারে কথাও শুনাইছেন মজা করে।আমি নাকি শুধু পেজে বকবক করি। 

আমার মনে হয়, আমি কোন অনুষ্ঠান এ গেলেও গল্প নিয়ে আসব সাথে করে।আর যদি সেটা কলোনি র কিছু হয় তাহলে ত কথাই নাই। কত গুলো যে গল্প আসবে মনে।একবার শুধু ১ ঘন্টা র জন্য নিরু ভাইয়ের অফিসে গিয়েছিলাম।সেখান থেকে এসেও একটা গল্প লিখে ফেলে ছিলাম। 

সেটা ছিল এরকম-

আজকে গেলাম নিরু ভাইয়ের অফিসে।csm কলোনি র আড্ডা র ভেন্যু কি হবে।আমি এর আগে কোনদিন যাইনি।পুলক ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম।উনি সবকিছু বলে দিলেন।ওখানে যাওয়ার সাথে সাথে পুলক ভাই,টিনকু ভাইয়ের আন্তরিক অভ্য রথনা।মন ভরে গেল।সাথে সাজু ভাই।মনে হল অনেকদিনের চেনা।আত্মার আত্নীয়।সবাই যাবার পর আমাকে কি সাইজে দেখছিলেন সে কথা।বিব্রতকর পরিস্থিতি। শওগাত ভাই কথা বলেন কম,শুনেন বেশি কিন্তু যা বলেন কনক্রিট। নাজমুল ভাই অনেক গুছিয়ে কথা বলেন।যুক্তি দিয়ে তবে চাপিয়ে দেন না কোন কিছু।শাহিন ভাইয়ের কথা শুনে বুঝলাম উনার চার বিবি থাকার মাজেজা। মামুন ভাইও খুব মায়াবান মানুষ।কমু ভাই কথা বলেন বাস্তবতার নিরিখে।খোকন ভাই হাসিখুশি মানুষ।মিতু ভাই সেই আগের মত আপনজন আছেন।সবার কুশলাদি জানতে চাইলেন।জসিম ভাই আমাকে দেখে এমন ভাব করলেন যেন আমি ফেসবুকে কোন মেয়ের ছবি দিয়ে আইডি খুলছি আর পুরুষ সেজে গেছি।তবে উনার কথা শুনে বুঝলাম রুবা ভাবি কেন উনার জন্য ফিদা হয়ছিলেন।টিপু ভাই বাবু ভাই আমার আত্নীয় মানুষ।উনাদের ব্যবহারে সেটা যেন আরো বেশি মনে করিয়ে দিলেন।সবশেষে নিরু ভাই।আমার সাথে উনি এমনভাবে করমর্দন করলেন যেন উনি আন্ডারওয়ার্ল্ড এর ডন,আর আমি কোন সাদাসিধা ছেলে উনার কাছে গেছি ওই জগতে প্রবেশ করতে। উনি আমাকে সাগতম জানাচ্ছেন।

Aslamuddin Mamun এর অসুখের পর আমিও একটু ভয় পেয়েছিলাম


Aslamuddin Mamun এর অসুখের পর আমিও একটু ভয় পেয়েছিলাম। কারন ওকে দুইদিন আগেো কত হাস্যেউজ্জল প্রানবন্ত দেখেছি। দুইদিন পর ছেলেটা পুরাই চেঞ্জ। তখন থেকে মনে একটা ভয় ঢুকে গেছে চারিদিকে ভেজালের যে সমারোহ চলছে কখন জানি কার কি হয়। গতকাল রাত থেকে বুকের বাম পাশে ব্যাথা করছিলো। আজকে সারাদিনও ব্যাথা ছিলো। বিকালে সুমনের খালাতো ভাই আমাদের বন্ধু ডাঃ আব্দুর রব মাসুমকে ফোন দিলাম। ও বললো রাত নয়টা পর্যন্ত চেম্বারে আছি, চলে আয়। সাড়ে আটটায় ওর চেম্বারে গেলাম। ও আমাকে দেখেই বললো আগে একটা ইসিজি করে আয়। রিপোর্ট লাগবে না। সাথে সাথে ইসিজি করতে গেলাম। এই জীবনে প্রথম ইসিজি করালাম। ইসিজি পেপার নিয়ে মাসুমকে দেখানোর সাথে সাথে ও হাসি দিয়ে বললো কিছুই হয়নি। বুকের ব্যাথাটা গ্যাসের সমস্যা থেকে হচ্ছে। মাসুমের কথা শুনে মনে হলো বুকের ব্যাথা অর্ধেক কমে গেছে। মাসুমকে তোমাকে ধন্যবাদ।

সিএসএম পেজে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী পোস্ট মনে হয় আতিক ভাই ও জনির


সিএসএম পেজে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী পোস্ট মনে হয় আতিক ভাই ও জনির।সামনের আড্ডা তে তাদের দুজনকে পুরুস্কৃত করা হবে।নাজমুল ভাই কি কন? রেজা ভাই আগের মত লিখে না কেন? কমু ভাই লেখা কমিয়ে দিয়েছে।আমি একটু অসুস্থ তাই বেশী লিখতে পারি না।তবে চেষ্টা করি সবার পরিচিতি তুলে ধরার।যাতে সবাই মনে করে পেজে যে সে আছে তাকে সবাই জানুক।অনেকে হয়তো ভূল বুঝে তাই, আর পরিচিতি তুলে ধরবো না।চেষ্টা করবো কিছু স্মৃতি লিখতে।যদি কাউকে নিজের অজান্তে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে ক্ষমা করবেন।সবাই ভাল থাকুন ও সিএসএমের সাথেই থাকুন।কারন এখানে আমরা আমরাইতো।

বিদীর্ণ স্মৃতির এলবাম


বাসায় অনেক গুলো পুরনো ছবি পড়ে রয়েছে। ভাবলাম এলবাম গুলো ছিড়ে গেছে,নতুন এলবাম কিনে আনি। অনেক দোকানে যাই কিন্তু যেরকম খুজি সেরকম এলবাম পাই না।এক সময় এক দোকানে গেলাম।দেখলাম ভাল মানের কিছু এলবাম আছে। দেখলাম দাম কম।জিজ্ঞেস করলাম এলবামের বিক্রি কেমন? বলল, আগের মত নেই।একসময় প্রচুর বিক্রি হত।জানতে চাইলাম কেন? বলল, ফেসবুক আসার পর এলবাম, ফটো ফ্রেমের বিক্রি কমে গেছে।সবাই এখন ফেসবুকের এলবামে ছবি রাখতেই পছন্দ করে।তাই এলবাম কিনতে আগের মত আসেনা। শুনে মন টা খারাপ হল, কিন্তু কিছুই করার নেই।সময়ের কাছে অনেক কিছুকেই হার মানতে হয়।

আইসিসি ট্রফির ক্রিকেটের কথা মনে আছে?


আইসিসি ট্রফির ক্রিকেটের কথা মনে আছে? একবার ১৯৯৪ সালে কেনিয়ায়, আরেকবার ৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে। ৯৪ সালে অধিনায়ক ফারুক আহমেদের কিছু ভুল সিদ্ধান্তে শিরোপার এক বারে কাছাকাছি গিয়ে স্বপ্ন ভংগ, যার ফলশ্রুতিতে ৯৬ সালে পাশের বাড়ি ভারত,পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা। পাশের দেশ গুলোতে খেলা হচ্ছে আর আমরা খালিই দর্শক, এ কষ্ট পুড়িয়েছে ৯৭ সাল পর্য্যন্ত। 

৯৭ এ মালয়েশিয়া তে আইসিসি ট্রফির প্রথম পর্বেই ধাক্কা খেতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ, সাদা চামড়ার আম্পায়ারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত আর ব্যাটস্ম্যান দের ব্যার্থতায় আরেক বার যখন স্বপ্নভংগের যন্ত্রনায় ডুবতে যাচ্ছিল এ জাতি ঠিক তখনই অধিনায়ক আকরাম খানের দৃঢ় ব্যাটিং সে খাদের কিনার থেকে টেনে তুলে আনে আমাদের। তারপর তো সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ড কে হারিয়ে ৯৯ এর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপ টিকেট কনফার্ম আর রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে কেনিয়া কে ১ রানে হারিয়ে নিজেদের অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।

সেই ৯৭ সালে এত যোগাযোগ প্রযুক্তি ছিলনা, খেলার চলতি ধারাবিবরণী শোনার জন্য সবার হাতে হাতে ছিল এক ব্যান্ডের রেডিও, কি রাস্তায়, হাটে মাঠে ঘাটে,অফিস আদালত স্কুল কলেজ সর্বত্র সবার হাতে হাতে রেডিও। সে এক দেখার মত দৃশ্য। 

বাংলাদেশে বিশ্বে পজেটিভ কাজে যতটুকু পরিচিতি পেয়েছে তার মধ্যে ক্রিকেট টাই সর্বাগ্রে বলা যায়।
যুগেযুগে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

( ৯৭ এর আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম)

সি এস এম-এ থাকা অবস্হায় বাবার আদরের পাশাপাশি চাচাদের আদর পেয়েছি অনেক


সি এস এম-এ থাকা অবস্হায় বাবার আদরের পাশাপাশি চাচাদের আদর পেয়েছি অনেক।একদিন সকালে মনিদের (84) বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম,দুইতলা থেকে চাচা ডাক দিলেন বাসায় যাওয়ার জন্য।ভেবে পেলাম না কি জন্য ডাকছে!গেলাম উনাদের বাসায়।বসলাম,বাটি করে দুটো মিষ্টি দিলেন খেতে।তখন আলাউদ্দিনের মিষ্টি ছিল সেরা। ঢাাকায় যারা যেতেন আলাউ্দ্দিনের মিষ্টি আর সাগর কলা - এইদুটো নিয়ে আসতেন।চাচা অফিসের কাজ সেরে আগের দিন রাতে ঢাকা থেকে এসেছেন।মিষ্টি খাওয়ার পর চলে এলাম।এখন ভাবতে ভাল লাগে,উনি আমাকে ডেকে নিয়ে মিষ্টি খাইয়েছেন-এটা আমার প্রতি উনার স্নেহের বহিঃপ্রকাশ ছিল।

হুমায়ূনের জন্য এক কৌটা ভালোবাসা


রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,জীবনানন্দ কাউকে সাহ্মাত দেখিনি, সাহচর্য পাইনি। এজন্য মনে অনুতাপ ছিল। আমাদের জীবদ্যশায় শামসুর রাহমান,সৈয়দ শামসুল হক, হুমায়ূন আহমেদ, নিরমলেন্দু গুন - এ সব কবি সাহিত্যিকের সাথে দেখা করা, কথা বলা, এক সাথে ছবি তোলা- এ ইছছেটা তাই অপূর্ণ রাখিনি। বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান,, কবিতা পাঠের আসর , কিংবা বই মেলায় ইছছে পূরণের সেই সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে ভুল করিনি। সেইসব স্মৃতিগুলো তাই বন্দী করে রেখেছি মনের আয়নায় এক ধরনের ত্রৃপ্তি নিয়ে।

১৯৭৯ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের লাইব্রেরি থেকে "নন্দিত নরকে" উপন্যাসটি নিয়ে সেই রাতেই পড়ে শেষ করেছিলাম। মধ্যবিত্ত জীবনের এমন হৃদয় ছোয়া পল্প পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। মুগ্ধতার আরও একটা বিশেষ কারন - উপন্যাসের নায়িকা,ছোট বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল চট্টগ্রাম ষ্টিল মিলে চাকরী করা এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে।

আমার কেন যেন মনে হোত ছেলেটাকে আমি চিনি। সে BH-1 এ থাকে। সকাল- বিকেল আমাদের দেখা হয়,বিকাল বেলা অফিসারস ক্লাবে এক সাথে টিটি খেলি,দাবা খেলি - এইসব।।

একেবারেই কল্পনার ।। 

যাহোক সেই শুরু। তারপর থেকে মৃত্যুর কিছু আগ পরযন্ত হুমায়ূনের কোন গল্প, উপন্যাস,নাটক কিংবা চলচিত্র পড়া হয়নি বা দেখা হয়নি এমনটি মনে পড়ে না।

মধ্যবিত্তের প্রাত্যহিক জীবনের টানাপোড়েন,স্নেহ-ভালোবাসার পল্প তার মত করে আমাদের কে শোনাতে পেরেছে? কে পেরেছে তার মত সেলুলয়েডের পরদায় জীবন বোধের কিছছা বানাতে? তার মত কাদাতে? হাসাতে?
জীবনের সুহ্ম অনুভূতিকে ব্যপ্তি ছড়িয়ে বাঙময় করতে??
অনেক মেধার এক জন হুমায়ূনকে তাই ভুলতে পারি না,ভোলা যায় না। এ দেশে যতদিন মধ্যবিত্ত থাকবে ততদিনই হুমায়ূন থাকবে তাদের চারপাশ ঘিরে, আস্টেপিষ্টে । 

ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমায়ূন পৃথিবী নামক গ্রহটাকে বড় ভালোবাসতেন। দারশনিকের মত তাই তার প্রশ্ন ছিল-
" কছছপ যদি ৫০০ বছর বাচতে পারে তাহলে আশরাফুল মাখলুখাত মানুষ কেন বাচবে মাত্র ৬০-৭০ বছর? "
মহান আল্লাহ পাকের কাছে এর যৌক্তিক উত্তর তিনি নিশ্চয় পাবেন ।

আমার মত অনেক অনুরাগী পাঠকের দোয়া আর ভালোবাসায় আল্লাহ পাক তাকে হ্মমা করবেন,জানাতবাসী করবেন- আজ তার মৃত্যু দিনে এ প্রার্থনা !!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss