Thursday, October 8, 2015

“ গর্ব “


“তারেক” জাস্ট একটা নাম, এর চেয়ে বড় কথা হলো তিনি একজন মানুষ, এটাকে আরো ভালো করে বলতে গেলে, তিনি আমাদের স্টিল মিলস কলোনির একজন মানুষ, বড় ভাই, কারো ছোট ভাই, অনেকের দোস্ত। অনেকেই আছে যারা তারেক ভাইকে শুধু নামেই চিনে, কেউ স্কুল এর অনুষ্ঠানে গিটার বাদক হিসাবে, বেশীর ভাগই ফুটবল খেলাতে গোল কিপার হিসাবে চিনে। তারেক ভাই কলোনি থেকে বের হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত যারা কলোনিতে ছিলো সবাই তাকে চিনে বিভিন্ন ভাবে। কলোনির যাদের সাথে কখনো তার কথা হয় নাই তারাও তাকে চিনে, এমনটা শুধু তারেক ভাইয়ের বেলায় না, আমার বেলাতেও এমন, সবার বেলাতেই ঠিক এমনই। কারন কলোনি এমন একটা জায়গা ছিলো সবাই সবাইকে চিনতো, কথা হোক বা না হোক।

“একদা ঈদের ময়দানে “

- Mahabub Rasel

CSM কলোনিতে থাকাকালীন অবস্থায় আমরা সবাই ঈদের নামাজ পড়তাম অফিসার্স ক্লাব মাঠে, এটা সবার জানা এই মাঠে শুধু কলোনির মানুষ না, বাহিরের মানুষরাও দলে দলে এসে নামাজে অংশগ্রহন করতেন, এটাও সবার জানা নামাজ শেষে ফকির / গরীব মানুষেরা অফিসার্স ক্লাব থেকে বের হবার রাস্তায় লাইন ধরে দলে দলে দাঁড়িয়ে থাকতো এইটাও সবার জানা কিন্তু যে সত্য কাহিনীটা অনেকের হয়তো জানা নাই তা হল …………

আমাদের একজন ছোট্ট-খাট্ট সন্মানিত কাকা ( অনুগ্রহ করে যারা ঘটনাটা জানেন তারা কাকার নাম প্রকাশ করবেন না ) ঈদের নামাজ শেষ করে ক্লাব থেকে বের হবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার পরনে ছিলো হালকা সাদা লুঙ্গী, আর গায়ে ছিলো আগেরদিনের মুরুব্বীদের পাঞ্জাবি (অনেকটা হাফ শার্টের মত, একটু লম্বা, কিন্তু পাঞ্জাবী !!!) হয়তোবা কারো জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু সমস্যা হল তিনি এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, ফকিরের লাইন যেখানে এসে শেষ হয়েছিলো!!!!

হাজিরা খাতা



কলেজে উঠে ক্লাস পালায় নি এমন ছাত্র,ছাত্রী খুব কম আছে। সম্ভবত এই কারনেই কলেজের প্রতি ক্লাসে রোল কল হত। আমি ত প্রথমে ঢাকায় ভিকারুন্নিসা কলেজে পড়েছি পরে চিটাগাং গেলাম। এখানে পড়ার সময়ে মাঝে মাঝে ক্লাস পালাতাম। আমাদের এখানে সিট রোলিং হয় প্রতিদিন। আমাদের যে রুমটাতে ক্লাস হত সেই রুমের দুইটা দরজা ছিল। আমরা ছিলাম ১২১ জন ছাত্রি। তো সিট রোলিং করে করে যে দুই দিন আমি দরজার পাশে বসতাম সেই দুই দিন নাম প্রেজেন্ট করেই পালাতাম।তবে হ্যা সব ক্লাস না,বা প্রতিদিন না। পালিয়ে আমরা বেশি কোথাও ত যেতে পারতাম না। কারন স্কুলের দিকে যাওয়া নিষেধ ছিল। বড়জোর আমরা অডিটোরিয়ামের ভিতরে যে ড্রেসিংরুম যেটা ছিল ওখানে বসে থাকতাম। এলাম চিটাগাং। এখানে এসে প্রথম দিকে পুরা ক্লাস করতাম মনোযোগ দিয়ে আর ওটা ছিল ছেলেদের সাথে প্রথম একসাথে ক্লাস করা। খুব অস্বস্তি লাগত বলে পড়ালেখাই করতাম। কিছুদিন পর আবার ক্লাস পালানো শুরু করলাম। এবারের স্বাধিনতা আলাদা,কারন বিশাল ক্যাম্পাস, চাইলেও ধরা খাবার সম্ভাবনা নাই। একদিন ক্লাস ফাকি দিয়ে গেলাম মিতুর (sister of Abdullah Al Mamun অপু ভাই) ক্লাসে। পিছনে বসে সমানে আমি আর মিতু স্যার কে নকল করছিলাম। স্যারের নাম ছিল something পাটোয়ারী। উনি নিজের নাম বলতেন ফাটোয়ারি। এরকম নানা কিছু মনে হচ্ছে আর কি। কি দিন পার করেছি।

সোনালী ব্যাংক বিড়ম্বনা @ ৭ অক্টোবর ২০১৫


অনেকদিন যাবত আব্বু আম্মু আমার পিছনে লাগছে একটা ডিপিএস (DPS) করার জন্য। কিন্তু আমি রাজি না। এরপর আবার শুরু করছে সঞ্চয়পত্র কিনার জন্য। অবশেষে রাজি হলাম কারণ ব্যাংক এ কিছু অলস টাকা জমা আছে। আব্বু সোনালী ব্যাংক থেকে ফর্ম নিয়ে আসলো এবং আমাকে জোড় করে ফর্ম পূরণ করতে বাধ্য করল।

আব্বু বলল সব কাজ আব্বু করে দিবে, আমাকে শুধুমাত্র আব্বুর সাথে একদিন ব্যাংক এ যেতে হবে। মাত্র আধা ঘণ্টা লাগবে। আমি রাজি হলাম। অফিস থেকে একদিন ছুটি নিলাম কারণ সোনালী ব্যাংক বলে কথা।

ব্যাংক খুলবে সকাল ১০ টায় কিন্তু আব্বু সকাল ৯ টা থেকেই রেডি হয়ে বসে আছে আমার সাথে ব্যাংক এ যাবে বলে, আর আমি তখনও ঘুম। আমার বাসা থেকে ব্যাংক এ যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫-২০ মিনিট। আব্বু খুব বিরক্ত হয়ে ৯.২০ এর দিকে আমাকে ঘুম থেকে জাগালো। সব কাজ শেষ করে বাসা থেকে বের হলাম সকাল ১০ টায়। ব্যাংক এ পৌঁছাইলাম ১০.১৫ তে। লোক সমাগম অনেক কম। আব্বু বলল কাজ শেষ করতে আধা ঘণ্টাও লাগবে না।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss