Monday, March 28, 2016

দেশ প্রেম ...


UAE তে Steven Rock একটি কোম্পানীতে যখন যায় এক নেপালী খালিজ টাইম পত্রিকা থেকে সযত্নে সংগ্রহ করা একটি বই আমাকে দেয়..বইটিতে বড় অক্ষরে বাংলাদেশ লিখা থাকায় খুব আগ্রহে নিয়ে নিলাম..জাতীয় পতাকা সহকারে বাংলাদেশ লেখাটিতে যে কতো বড় দেশ প্রেম লুকিয়ে ছিলো তখনো বুঝতে পারি নাই..তখনি বুঝলাম..যখন বইটি আমার গাড়ির ডিস্ প্লেতে রেখেছিলাম...যখন ড্রাইভ করছিলাম যতো বাংলাদেশী আমার পাশ দিেয় যাচিছলো একবার হলেও হর্ণ দিেয় জিজ্ঞেস করছিলো ভাই কেমন আছেন..শুধু বাংলাদেশি নয় যতো দেশ এর লোক যাচ্ছে ..পপ পপ Hi Hello..মনে হচ্ছিলো ছোট্টো একটি বই নয় পুরো বাংলাদেশকে নিয়ে আমি ড্রাইভ করছিলাম... গর্বিত বাংলাদেশ তোমাকে নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ তোমার মতো জন্মভূমিতে জন্ম হয়ে ...

কোরবানীর ঈদ আসলে আমাগো মতো কিছু পোলাপাইনের মাথা হট হইয়া যায়


কোরবানীর ঈদ আসলে আমাগো মতো কিছু পোলাপাইনের মাথা হট হইয়া যায়,তখন মনে হয়C/4/F থাকতাম,বাসা থেকে গরুর হাট দেখা যেত,যেদিন থেকে গরুর হাট বসা শুরু হতো সেদিন থেকে আমি ডালিম, শিপন, বিপুল,সব সময় হাটে আসা যাওয়ায় উপর থাকতাম, মসজিদের গেইট দিয়ে বেশিরভাগ আসা যাওয়া হতো, নামাজের সময় পিছনের গেইট টা খুলতো ৩/৪মিনিট লাগতো,আর অন্য সময় বাজার দিয়ে ঘুরে যাওয়া লাগতো,একেক জনের একেক চয়েস চলতো,আর বাসায় এসে তা বণনা চলতো,গাড়ি থেকে গরু নামলেই হুড়াহুড়ি চলতো কে আগে দেখবে,এভাবে সময় ঘনিয়ে আসতো গরু কিনার,কলোনীতে কে কেমন গরু কিনলো তার গবেষনা চলতো সবসময়,আর গরু কিনার সময় তো পারলে পুরো ফ্যামিলি রওয়ানা হতাম,একলা তো গরু কিনা হতো না ভাগে গরু কিনা হতো,আমার বাসা থেকে আমরা দুইভাই এভাবে প্রতি ফ্যামিলি থেকে একজন দুজন থাকতো,যাদের কিনা হয়ে গিয়ে তারাও আবার যেতো মজা করা জন্য,বেশির ভাগ গরু ছোটদের পছন্দে কিনা হতো,যতো রাগী গরু কিনা হতো ততো মনোবল বেড়ে যেতো,আমাদের আসল উদ্দেশ গরু লড়াই করে জিততে হবে, হাট থেকে গরু নিয়ে আসার সময় গরুর রশি ধরার জন্য কাড়াকাড়ি লেগে যেতো,দাম বলার প্রতিযোগিতা চলতো,একবারতো কাগজে গরুর মূল্য লিখে দিয়েছিলাম এটা নিয়ে কতো হাসাহাসি,কলোনীর মধ্যে গরু ডুকাতে পারলে আর পায় কে তখন নিজেদেরকে মহারাজা মনে হতো,কোরবানীর আগ পযন্ত এই গরুর পিছনে সময়টা ব্যয় করা হতো,একবার ঈদের আগের দিন বিকাল বেলায় সিটাইপ মাঠে ২/৩টা গরু চড়তে ছিল,আমি আমাদের গরু নিয়ে আর একটা গরুর সাথে লড়াই লাগিয়ে দিলাম যে সে লড়াই না মনে হচেছ ইরাক আর ইরানে লড়াই থামাথামির নাম নেই আমরা তো ভয় পেয়ে গেলাম আমাদের গরু রশি ধরতে গেলাম আমি, গরু দিলো দোড়ানি আমি গিয়ে পড়লাম C/2পাশের ড্রেনে সব সময় পানি ময়লা থাকতো তখন আর কে আর কার দিকে তাকায় সোজা বাসায় আম্মা তো পারলে আমারে কোরবানী দিয়া দে সোনা রুপা পানি দিয়ে গোসল করাইয়া উত্তম মাধ্যম দিয়া চাঁদ রাতে ঘরে আটকাইয়া রাখলো,আর এখন প্রতিরাত ই একরকম মনে হয় হায়রে কলোনী কই পামু গরুর লড়াই কই পামু ড্রেন

লাল নীল বাতি সমাচার


সাড়ে চারটায় বাস ছাড়লো। একটু পরেই যেন ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলো। সাথে সাথেই আলোর ঝলকানি চোখে পড়তে লাগলো। এখন সব দোকান পাট,গাড়িতে বেশ লাইটিং করা হয়। খাবারের দোকানগুলাতে ত কথাই নেই। মালিবাগে একটা দোকান আছে নাম কাকার বিরিয়ানী। ওখানে আলোর কারনে কাকাকে খুজে পাওয়া বেশ কস্টসাধ্য। সন্ধ্যার পর রাস্তায় বের হলে ভালই লাগে। কত আলো চারপাশে। রাস্তায় বিলবোর্ড, স্ট্রীট ল্যাম্প,গাড়ির হেড লাইট,ট্রাক বা বাসের নিজস্ব লাইট ছাড়াও কিছু ডেকোরেশন লাইট,বিয়ে বাড়ি হলে চোখে পড়ে মেলা আলো। যা বলছিলাম,এই আলোর ঝলকানি পুরা রাস্তা জুড়েই দেখতে দেখতে আসলাম। লাল,নীল,সবুজ,হলুদ আরো কত রঙ এর আলো। ক্ষনে ক্ষনেই উদাস হচ্ছিলাম।

কাঁদ চুলটানা


একটা গ্রুপ পেইজে কিছুদিন আগে একটি মেয়ের সাথে ফেইসবুক ফ্রেন্ড হয়েছিলাম। গ্রুপে তার কিছুদিন পরে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। তখন একজন ওই পোষ্ট একটা কমেন্টস করছিলো। কমেন্টস পরে দেখি মেয়েটা আনফ্রেন্ড করে দিলো। জিজ্ঞাস করলাম কেন আনফ্রেন্ড করা হইলো। তখন ও বললো monthly review তে ভুলে বাদ পরছে। পরে অবশ্য ও নিজেই request পাঠাইছে। তার কিছুদিন পর একটা প্রোগ্রামের উছিলায় ওনি চিটগাং আসলো। প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে আমাদের সাথে মিটিংএ যোগ দিলো। মিটিং শেষে বললো তাকে নিয়ে পরের দিন পুরাতন স্মৃতিবিজড়িত স্থানে যেতে হবে। পরের দিন শনিবার বিধায় রাজি হলাম। 

এক বন্ধুর গাড়ি নিয়ে তার হোটেলে গিয়ে তাকে নিয়ে বের হলাম।বললেন প্রথমে সেন্টমার্টিন হোটেলে যাবে। সেখানে একটা লাঞ্চ পার্টি আছে। আমাদের লোকদের আয়োজন করা পার্টি অথচ দাওয়াত পাই নাই। ওনাকে গাড়িতে বললাম আপনাদের ব্যাচের সবাইকে তুই করি বলি। তাই আপনাকেও এখন থেকে তুই করে বলবো। এক বাক্যে বললো তোর যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবি। তখন থেকেই তুই করে বলা। এর সপ্তাহ খানেক পরে আমি ঢাকায় গেলাম। সকালে এবং সন্ধ্যায় একটা প্রোগ্রামে দেখা হলো। সেখানে আমার হারিয়ে যাওয়া তিন মেয়েকে পেলাম। তারা প্রথম দেখায় কত সহজে আপন করে নিলো। এতক্ষন যার কথা বলছি তার নাম হলোঃ কাঁদ চুলটানা কইন্যা। 

বাদল বরিষণে


খুব বৃষ্টি হচ্ছে। মনে হচ্ছে বর্ষাকাল এই বৃষ্টি মনে করিয়ে দিচ্ছে কলোনি র বৃষ্টির দিনগুলোর কথা। কি করতাম এই দিনগুলো- তে। যতদূর মনে পড়ে কাঠের কালো কাপড় এর ছাতা নিয়ে স্কুলে যেতাম।তখন টিপ ছাতা এত এভায়লেবল ছিল না। স্কুল থেকে ফিরে খেলতে পারতাম না। কাপড় ভেজালে বকা খেতে হবে তাই। দুপুর ১২:৪৫ এর দিকে আমার একটা কাজ থাকত।আব্বার কাছে ছাতা দিয়ে আসা অফিসে গিয়ে।আব্বা প্রায়ই ছাতা ছাড়া অফিসে যেতেন।আসার সময় একটা টাকা দিতেন ওটা দিয়ে জেক্স থেকে একটা চকলেট বা অন্যকিছু কিনে খেতাম। বিকাল বেলা ছাতা নিয়ে হয়ত হাটতে বেরোতাম।আর ছিল মুরগি গুলো কে খোয়াড়ে পুরবার ঝামেলা।খোয়াড়ে র সামনে গিয়ে মুরগি গুলো কি যেন ভাবত,ঢুকতে চাইত না।মেজাজ চড়ে যেত আবার কিছু করাও যেত না। এদিকে সন্ধ্যা তাড়াতাড়ি হত বলে পড়তে বসতে হত তাড়াতাড়ি। পড়া শেষ করে উঠে টিভি দেখা।

তখন টিভিতে এত অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি ছিল না।ভাল কিছু না থাকলে ভাত খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুম কাথা মুড়ি দিয়ে। আহ! কি শান্তির ঘুম।ঐ। ঘুমের কাছে পৃথিবীর সব লোভনীয় জিনিস হার মানে

ভাইয়া তেলের ড্রাম পাইছো??


ভাইয়া তেলের ড্রাম পাইছো?? হুম, পাইছি। কি করবা এক ড্রাম তেল দিয়া!? সব হারামিরে মালিশ করবো! আইচ্ছা ভালো মত করো! আমাগো সারাফের মা"রেও একটু কইরো। মোটু বাড়ি থেকে, এক ড্রাম খাটি সরিষার তেল পাঠাইছে! কারে দিয়া শুরু করি? 

জসিম শালারে দেই, এই শালারে কেউ তেল দেয়না! অথচ, আমার দেখা মতে জসিমের চেয়ে ভালো, কোনো শালাই নেই! শালার গুনের শেষ নাই! শালা জিবনে একটা প্রেম করছে, শালা ঔইডারেই বিয়া করছে! শালাই, আমাগো তিনটা মায়ের জন্ম দিছে! শালা ছাত্রও ভালো আছিলো!! রাজনীতি কইরা শালায় লেখাপড়ার বারোটা বাজাইছে! শালার সব চেয়ে ভালো গুন, শালায় বেনসন সিগারেট খায়।(দোষ পরে, পীরের উপর)!!!। আজ, মাসুক,একরামের মানসিক যে সমস্যা, তার জন্য এই জসিম শালায় দায়ি!! নিরু সাক্ষী!! শালায়, চিটাগাং-এ, বিশাল এক আড্ডার সফল নেতৃত্ব দিছে। এই জন্য আমরা কৃতজ্ঞ, এবং আমাদের অন্তরের ভালোবাসা, আমার এই বন্ধুর প্রতি। ভালো থাকিস শালা। 
আর কারে দিমু!!?? পাইছি, গাড়িরে দেই। রিপন গাড়ি, না নারী /না পুরুষ, রিপন একজন মহাপুরুষ!! "যে জানে, সেই একমাত্র সাক্ষী"!! কাহারো আপদ বিপদ দেখিলে, সে ঝাপাইয়া পড়ে। নিজে ধার করে, বন্ধুদের টাকা দিয়ে সাহায্য করে, আমি নিজে সাক্ষী। বউরে খুব ভালোবাসে!!! নিজের চোখে দেখছি!!!! 

পুলক ও সুজন


যেহেতু আজ পেজের ব্যক্তি পরিমাপক তেল দিবস তাই,ছোট ২ টা ভাই এর কথা না লিখে পারলাম না।

পুলক
আমাদের সিএসএম পেজের একজন এডমিন,সব সময় চুপচাপ থাকে,তবে ভিতরে মিচকি শয়তান।
কলোনীতে থাকতো bh1 এ,আমাদের সাথে কলোনীতে থাকতে কথা কখনো হয় নাই। এই পেজেই তার সাথে আমার ও অনেক ভাই- বোনের সখ্যতা।

সুজন
ছোট কাল থেকেই তাকে চিনি,খুবই দুষ্ট আছিল।ইউনুস ভাইয়ের দোকানে গিয়ে ওর বাবার নাম ( শাহআলম কাকা)বলে কোক খেত।সব খেলাতে মোটামুটি পারদর্শী ছিল।
কলোনী থেকে বের হওয়ার পর পেজের মাধ্যমে আবার সুজনকে পাওয়া।তবে সুজন ওর মনের মত না হলে একটু অভিমান করে।আবার পরে ঠিক হয়ে যায়।

সবাই যখন লিখছে ভাবলাম আমিও কিছু লিখি


সবাই যখন লিখছে ভাবলাম আমিও কিছু লিখি।গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলেই নিয়মিত লিখা হয়না।

মাহমুদুল হাসান।যখন ক্লাস এইট কিংবা নাইন এ পড়ি তখন প্রিন্স মাহমুদের সুরের গান গুলো ভালোই শুনতো সবাই।তখন সে লিখতো প্রিন্স মাহমুদ।সবাই এইটা নিয়ে খুব দুষ্টুমি করতাম আপেলের সাথে।আমি,শাকিল,আপেল,রুমি,লিটন এই কয়েক জন কলোনীতে ঘনিষ্ট ছিলাম বেশী।পরে নাজিম,ওয়াহিদ এবং তৌহিদ। বেশ ভালোই কাটছিলো দিনগুলা।যখন ক্লাস টেন এ উটলাম তখনি আপেল চলে আসলো কলোনী থেকে।এরপর অনেক বছর একটা গ্যাপ ছিলো।প্রায় ১০ কি ১১ বছর তো হবেই।আপেলের সাথে আবার দেখা হলো চট্টগ্রামে।একা আপুর( শাকিলের বোন) বিয়েতে। সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।অনেক দিন পর আবার একসাথে হয়েছিলাম সেইদিন।

বুবু( চাদঁ সুলতানা বন্যা)


তাকে আমি কলোনীতে দেখি নাই। বুবুর সাথে আমার পরিচয় এই পেজের মাধ্যমে।

শুনেছি বড় ভাইদের মুখে কলোনীতে থাকতে খুব মুডি ছিল।কোন ছেলের সাথে কথা বলতো না।কলেজ বাসে তারা চার এক সাথে যেত।রনি আপু,মিতু আপু আর একজন কে আমি এখন মনে করতে পারতেছি না।রনি আপু ভাইদের সাথে হাসিমুখে কথা বলতো শুনেছি।কিন্তু বুবু ওরে বাবা,খুব নাকি মুড নিয়ে বসে থাকত বাকী দুজনের টা জানি না।

যা হউক এই পেজের মাধ্যমে দেখলাম তার সরব উপস্হিতি,সবাই কে পচায়,নিজে ও পচে।

তবে বুবুর একটাই দোষ অল্পতেই রেগে যায়,আর হেরে যায়।আবার নিজেই অনুতপ্ত হয়ে কাঁদে।

যখন তারিক কে দেখতে চিটাগাং থেকে সিএসএম এর চারজন প্রতিনিধি ঢাকা গিয়েছিল তখন তারা ফিরে এসে বুবুর সমন্ধে বিস্তারিত বলল।সে আমাদের ভাই গুলোকে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে দিল তখন রাত মনে হয় ১০ টা।এবং যতক্ষণ ভাইরা চোখের আড়াল না হওয়া পযর্ন্ত সেখানে ছিল এবং বাসায় এসে ফোনে খবর নিয়েছে।তখন বুবুকে অন্যরকম চিনলাম।

ডাল পুরি,কিমা পুরি


তখন আমার বয়স সাত কি আট।আম্মা একদিন সন্ধ্যাবেলা খেলে আসার পর বললেন ডালপুরি নিয়ে আসতে আজমির হোটেল থেকে।আমি গিয়ে বললাম,পুরি দিতে।দোকানদার কি বুঝলেন জানিনা,আমাকে দশটা কিমা পুরি দিয়ে দিলেন। তখন একটা ডালপুরি র দাম ১ টাকা, আর একটা কিমাপুরির দাম ৩ টাকা।আমাকে ১০ টাকা দিয়ে ১০ টা কিমা পুরি দেয়া হল।বাসায় নিয়ে এলাম।খেয়ে সবাই খুশি।

পরের দিন আবার আমাকে পাঠানো হল।এবার আমার ভুল ভাঙিয়ে দিল আরেক জন যিনি ক্যাশে বসেছিলেন।তিনি বললেন যে ডালপুরি ১ টাকা আর কিমাপুরির দাম ৩ টাকা।তাই দাম অনুযায়ী টাকা দিতে হবে।আমি একবার বলতে চাইলাম গতদিন আমাকে ১০ টাকা দিয়ে ১০ টা কিমা পুরি দেয়া হয়েছে।কিন্তু ভাবলাম আমার কাছে ত বাড়তি টাকা আনিনি।তাই পেটের কথা পেটেই হজম করে ফেললাম।ভয় পেয়েছিলাম যদি লোক টা টাকা খুজে আর দিতে না পারলে আমাকে অপমান করে কিংবা বেধে রাখে।তখন কি হবে।বাসায় এসে মাকে সব খুলে বললাম।আম্মা বললেন, স্কুল থেকে এসে যেন কালকে টাকা টা ফেরত দিয়ে আসি।স্কুল থেকে এসে যখন টাকা ফেরত দিতে যাই তখন বয়স্ক করে একজন বসে ছিলেন।তিনি সব শুনে টাকাটা নিয়ে আমাকে ১ টা সিঙ্গাড়া উপহার দিলেন

চাঁদ সুলতানা বন্যা একজন মহীয়সী নারী


দিলাম পোস্ট কইরা। কপালে কি আছে আল্লাহ্‌ ভালো জানে। যদি আমার এই পোস্টে তেলের বাজারে কোন প্রভাব পরে তাহলে আসলাম ভাই, নাজমুল ভাই এবং রেজা ভাই দায়ী থাকবে।

চাঁদ সুলতানা বন্যা একজন মহীয়সী নারী। এই কথাটি সব সময় বলা হয়, কিন্তু আমার মনে হয় যে এই একটি কথায় চাঁদ সুলতানা বন্যাকে ঠিক ধরা যায় না। তিনি ছিলেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী এবং জীবনকে তিনি ভিন্নভাবে চেনার চেষ্টা করেছেন। সংস্কৃতির নানা অঙ্গনে, রাজনীতির ক্ষেত্রে, সামাজিক সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে, FB আন্দোলনের ক্ষেত্রে তাঁর যে ভূমিকা, সেখানে তিনি সাহসী, ব্যতিক্রমী, অসাধারণ তীক্ষ্ন গুণী ও প্রখর চেতনাসম্পন্ন এক অসামান্যা নারী ছিলেন। কেউ কেউ তাঁকে নারীবাদী বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি ঠিক তাঁর জন্য যথাযথ অভিধা নয়। তিনি কিন্তু আসলে নারী ও পুরুষ দুজনে মিলেই সামাজিক অগ্রগতির যে ক্ষীণরেখাটি আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, তার যে ধারা, সেটি যাতে আরো একটু প্রসারিত হয়, আজীবন সেই ক্ষেত্রে একনিষ্ঠভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর তুলনা আমাদের CSM এ খুব বেশি নেই। তিনি তাঁর জীবনকথা যেগুলো, যা বলেছেন, সেগুলোও খুব সাধারণ, সরল, সহজ ও হৃদয়স্পর্শী ভাষায়। তাঁকে নারীবাদী না বলে বলা যায় পুরুষ ও নারীর সম্মিলিত প্রয়াসে সামাজিক অগ্রগতির ধারাটিকে তীব্র-তীক্ষ্ন করে তোলাই তাঁর প্রয়াস ছিল এবং তিনি আমাদের এই সমাজের জন্য, আমাদের সংস্কৃতির জন্য যে কাজ করেন, সেটি তুলনারহিত। এই রকম মানুষ আমার আর তাৎক্ষণিকভাবে মনে পড়ে না।

এই অসামান্য মহিলা, আমাদের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে ডানপিটে হওয়ার চেষ্টা করতেন, গাছে চড়ার চেষ্টা করতেন (এই লাইনটা রেজা ভাইয়ের জন্য লিখা)। সে জন্যই এই মহীয়সী নারীকে, ব্যতিক্রমী নারীকে, অসম্ভব নিপুণ নারীকে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

শায়লা,আমাদের আতিক ভাই ও জাবেদ এর একমাএ আদরের ছোট বোন

- Aslamuddin Mamun

শায়লা,আমাদের আতিক ভাই ও জাবেদ এর একমাএ আদরের ছোট বোন।এখন আদর আগের মত আছে কি না জানি না,সেটা ওরাই ভাল বলতে পারবে।

এই পেজের মাধ্যমে এখন আমাদের ও আদরের বোন।

পেজে সব সময় সরব তার উপস্হিতি।কলোনীতে মনে হয় আমি তারে চিনতাম না,সে ও আমাদের কে মনে হয় চিনবে না।এই পেজের মাধ্যমে তার সাথে আমাদের পরিচিতি ও তার সকলকে আপন করে নেওয়া।

আড্ডাতে শায়লার সাথে আমার তেমন কথা হয়নি।বিদায়ের সময় তার ছেলে ও বর সহ অডিটোরিয়াম এর সামনে কথা হয়,এবং তার বরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।তার বরটা খুব ভাল মানুষ।

শায়লাকে নিয়ে লিখার কারণ সে বলে সে সহজ সরল।এখন কতটা তা তার সাথে মিশেছে তারা বলতে পারবে।তবে তার প্রতিবাদী উওর আমরা দেখেছি এই পেজে।

সব শেষে একটা কথা বলব বোনটা পরিবার সামলিয়ে এই পেজের জন্য সময় দিচ্ছে।চাইবো সব সময় এরকম থাকিস বোইনে।আমাদের এই পেজের বন্ধনন যাতে সব সময় অটুট থাকে,সুখে- দুঃখে আমরা যেন এক থাকতে পারি।

অফিসে যেতে পারিনি আজ


সকাল থেকে আবার জ্বর, আর মুখের ভিতর যন্ত্রনা তো আছেই। অফিসে যেতে পারিনি আজ।ওয়ার্কিং ডে তে অফিস না করে ঘরে বসে থাকা আরেক যন্ত্রণাময় ব্যাপার, এটাতেই বুঝা যায় রিটায়ার্ড লোকেরা কেনো এত খিটমিট করে।

ছোট বেলায় জ্বর হলে আব্বা মাথার কাছে সময় পেলেই বসে থাকতো, চুলে হাত বুলিয়ে দিতো, বিভিন্ন রুপকথার গল্প বলত। এখন মাথার কাছে বসেননা, তবে দূর থেকে যে ছটফট করেন,সেটা বুঝি।খুব ছোট সময়ে একবার জ্বরে আব্বা কাগজী লেবু কেটে আমার মুখে একটু রস চেপে দিয়েছিল, সেই লেবুর ঘ্রান আমার মুখে এখনো লেগে আছে, এরপর থেকেই এই ছোট্ট ফল টির প্রতি আমার অসীম দুর্বলতা। এখনো জ্বর বা মাথা ব্যাথা হলে কাগজীলেবুর ঘ্রান নেই। বাসায় আজ লেবুটি নেই, যদি আব্বাকে বলি, তাহলে এই রোদেগরমে যেখান থেকে পারুক এটি যোগাড় করবে, তাই চুপ করে আছি, আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। এমনিতেই আব্বা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ নিজের টা নিজেই করে। খুব কমই আমি তাঁর সাথে গিয়েছি। নিজেকে খুব অপরাধী লাগে। শরীর খারাপ হলে মন দুর্বল হয়ে যায়, তাই এতো কিছু মনে অাসছে।

সকাল থেকেই হাল্কা জ্বর ছিল


সকাল থেকেই হাল্কা জ্বর ছিল, দাঁত ফেলে আসার পর জ্বর টা বেড়েছে, একটু আগে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরেছে, জ্বরের চেয়ে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়াটা আমার কাছে ভয়ানক কষ্টকর। ঘুম আসছেনা এপাশ ওপাশ করছি। আচমকা জনির বুয়া নিয়ে লেখাটি মনে পড়ল। "বুয়া" ছোট্ট একটি টপিক, অথচ জনি কত সুন্দর ভাবে এটি ফুটিয়ে তুলেছে। আসলে কলোনি র যেকোন ছোট টপিক দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কাহিনী লেখা সম্ভব। 

কলোনিতে ঢুকার পরপরই আমরা বকুলির মা নামক একজন বুয়া পাই, তার চালচলন, আদবকায়দা দেখলেই বুঝা যেত গৃহস্থ ঘরের মহিলা,ভোলার নদি ভাংগার শিকার হয়ে বুয়া গিরি করা লাগছে, প্রায় সময় তার কাছে খালি বাসার চাবি দিয়ে রাখতাম, বুয়া তালা খুলে নিজের মত করে কাজ করে চলে যেত। এতোটাই বিশ্বস্ত ছিলো। আমরা তাকে ফ্যামিলি মেম্বার মনে করতাম, আমাদের তিন ভাই বোন কে তিনি তুই করে সম্বোধন করত।বুয়ার স্বামী খুব সম্ভব ত ভ্যান বা ঠেলাগাড়ি চালাতো, তবে সসবসময় ফিটফাট থাকতো। আমি যে রাজনীতিক মতাদর্শ বিশ্বাস করতাম বুয়ার স্বামী ও একই মতাদর্শ বিশ্বাস করত, মাঝেমধ্যে এই লোক আমার সাথে রাজনীতি নিয়ে ব্যাপক জ্ঞানগভীর আলোচনা করত,আমি তার রাজনীতি সচেতনতায় বেশ চমৎকৃত হতাম এটা ভেবে একজন অশিক্ষিত সাধারণ লোক কিভাবে এতো কিছু বুঝে।

যেদিন কলোনি ছেড়ে চলে আসি সেদিন নাকি এই বকুলির মা বিলাপ করে মরা কান্না জুড়ে দিয়েছিল, তার কান্নাতে আশেপাশে অনেকের চোখ ভিজে উঠেছিল সেদিন, ভাগ্যিস এ জিনিস আমি দেখেনি, আমি সকালবেলা ই মালপত্র নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এসব কান্না আমার সহ্য হয়না।

আব্বা চলে যাবার পর পেইজে তেমন একটা লেখা হয়না


আব্বা চলে যাবার পর পেইজে তেমন একটা লেখা হয়না। সবসময় মন একরকম থাকেনা। তবে টুকিটাকি লিখি আর কি। আমার আজকের লেখাটা Aslamuddin Mamun কে নিয়ে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি যে কলোনিতে বেশিদিন ছিলাম না,সবাইকে চিনিও না। পেইজের মাধ্যমে পরিচয়। আড্ডার আগে পরে অনেকের সাথে দেখা,পরিচয় কথা হয়েছে। এই পেইজের সবাই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজ মামুন কে নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হল। আড্ডার আগের রাতে দেখেছি ওর প্রাণোচ্ছল ব্যস্ততা, আড্ডার দিন পুরা খেলার ইভেন্ট টা ও একা পরিচালনা করেছে। একটু পর পর বিজয়ী বাচ্চাগুলাকে মঞ্চের কাছে এনেছে আর আমি আর তানিয়া নাম ঘোষনা করেছি। অসাধারণ। ইদানীং হয়ত বেশি খেয়াল করছি তাই লিখছি। এই পেইজের প্রতিটা সদস্যের জন্মদিন,কারো মৃত্যুর মত কঠিন খবরগুলাও আগে পোস্ট করে দিচ্ছে। আমি আপ্লুত একারনে যে আমার আব্বার চলে যাবার পোস্টটা সেও দিয়েছে আতিকের সাথে সাথেই। ভাই মামুন ভাল কাজের কোন সংজ্ঞা নেই। তুই ক্লিয়ার মন নিয়ে যা করবি তাই ভাল। তুই সেই কাজটাই করছিস। ধন্যবাদ দেবোনা। আমার অন্তর থেকে দোয়া থাকলো আল্লাহ তোর প্রতিটা ভাল কাজের সুফল দিন আর আমরা যেন তোর কাজের মুল্যায়ন করতে পারি। আমি এখন নেত্রকোনায়। আমার আব্বার বাসায়। অনেক কিছুর সাথে এটাও মনে হল। শুধুমাত্র দোয়া দিতেই এই লেখা। অনেক ভাল থাক,আল্লাহ অনেক ভাল রাখুন তোকে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss