Monday, June 6, 2016

রমজান ও রমজানের চাঁদ


সেই ছোট্ট বেলা, ক্লাস 5/6 এ পড়ি, স্টীল মিল কলোনীতে যখন ছিলাম তখন আজকের এই সন্ধ্যার মত কোন সন্ধ্যায় F-type এর 7 নম্বর বিল্ডিংয়ের পাশের রাস্তায় কিংবা বড় মাঠে আমরা পুচকুরা সবাই জড়ো হতাম চাঁদ দেখার জন্য। আকাশে এদিক সেদিক উকি মেরে চাঁদ খুজতাম। যেই না কেউ একজন চাঁদ দেখতে পেত সাথে সাথেই চিৎকার দিয়ে জানান দিতাম। চাঁদ দেখে মন খারাপ হতো কারন আব্বা আম্মার প্রেসার ক্রিয়েট আর বকাঝকা শুরু হবে সেহেরির সময় থেকেই, রোজা রাখতেই হবে। 

আব্বা আম্মার বকুনী খেয়ে সেহেরীর সময় কত কস্ট করে যে ঘুম ভেঙ্গে উঠতাম সেটা এক আল্লাহ মাবুদই জানে। অনেক সময় ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকতাম। কিন্তু আব্বা টেনেটুনে ঘুমন্ত আমাদেরকেই বসিয়ে দিত। সেহেরীর সময় কেন যে এতো মজার ঘুম হতো আর স্বপ্ন দেখতাম সেটা ইবলিশ হারামজাদাই জানে। অনেক কস্ট করে দুপুর পর্যন্ত কাটানোর পর পেটে চোঁ চোঁ শুরু হতো। ব্যাস মাথায় ইবলিশের বাচ্চা এসে ঘাঁপটি মেরে বসতো। তারপর নূর ছাফা কাকার দোকান থেকে জমানো টাকা দিয়ে এটা সেটা কিনে লুকিয়ে খেতাম। রোজা রাখিনি কেন কাকা জিজ্ঞেস করলে বলতাম, আম্মা নিষেধ করেছে, সেহেরীর সময় উঠায়নি। আবার কখনও আম্মা যেই না গোসল করতে যেত চুরি করে রান্না ঘরে যেয়ে খেতাম। এদিকে ইফতারের সময় ঠিকি আব্বা আম্মার সাথে একসাথে ইফতার করতাম। এই ছিল সেই সময়ের হালহাকিকত।

সবাইকে পবিত্র রমজানের আলোকিত শুভেচ্ছা


সবাইকে পবিত্র রমজানের আলোকিত শুভেচ্ছা|সংযমের মোহনীয় স্পর্শে সকলেই ভালো থাকবেন এটাই প্রার্থনা করি|যাঁরা ডায়াবেটিস বা প্রেশারের সমস্যায় তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন|হঠাৎ হয়ত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লো বা পানিশূন্যতা ,লবণস্বল্পতা দেখা দিতে পারে|এজন্যে পূর্ণ বিশ্রাম,ঘুম,ধীরে কথা বলা,অতিরিক্ত তেল,ভাজাপোড়া না খাওয়া,ইত্যাদি মেনে চলা ভালো|সুষম সেহেরী ও ইফতার এবং নির্মল প্রার্থণায় সকলের রোজার দিনগুলো কাটুক আনন্দের সাথে,সুস্থতার সাথে| পরম করুণাময়ের মঙ্গলময় ছোঁয়া থাকুক সবার উপরে||

সকালেও জ্যামে পড়ছিলাম অফিস যাওয়ার পথে


সকালেও জ্যামে পড়ছিলাম অফিস যাওয়ার পথে, অফিসের কাজে বিকেলের দিকে অন্য এক এলাকায় গেছিলাম সেখানেও গেছি জ্যাম ঠেইলা। বাসায় ফিরার পথেও আখেরি জ্যাম। এর মধ্যে পোলার ফোনে আবদার জুড়াই দিছে তার জন্য ফ্রাইড রাইস নিতে হবে, পুরো রোজার মাস নাকি এই জিনিস আর পাওয়া যাবেনা।কি করা আর, ফ্রাইড রাইস কিনার জন্য বাসার কাছের এক রেস্টুরেন্ট এ নেমে গেলাম। অর্ডার দিয়ে বসে আছি। ওরে বাপরে!! রোজার আগের সন্ধ্যায়ও পুরো রেস্টুরেন্ট জুড়ে হাস্যময়ী লাস্যময়ী অপূর্ব সব ললনাদের ভিড়। রোজার আগের সন্ধ্যায় এতো ললনা কইত্তে আইলো।

তবে সময়টা খারাপ কাটলোনা।।

সকাল ৮. ২০ এ পল্লবি (আমার বাসা) থেকে বের হয়ে


সকাল ৮. ২০ এ পল্লবি (আমার বাসা) থেকে বের হয়ে মিরপুর ১২ নং -এ ১৫ মিনিট লাগলো গাড়িতে গ্যাস নিতে। এখন বাজে সকাল ৯.৩৫। পাক্কা ৫৫ মিনিট লাগছে মিরপুর ১২ থেকে বনানি আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত আসতে। অথচ ফ্লাইওভার দিয়ে এটুকু আসতে বড় জোড় ৮/১০ মিনিট লাগে। এখন গিট্টু মারা জ্যামের মধ্যে দাঁতে দাঁত চিপা বসে আছি। সামনে যে পরিমান জ্যাম দেখছি আল্লাহ পাক জানে আগামী কয় ঘন্টায় অফিসে (গুলশান ১) পৌছাতে পারব।
আবারো গুষ্টি কিলাইলাম আর খেতা পুরলাম এই শহরের।

কি কাকতালীয় ব্যাপার!! গাড়ি গুলো যখন জ্যামের মধ্যে ভেস্কাই পইড়া আছে ঠিক তখনই এফএম রেডিও তে গান বাজছে সঞ্জীব আর দলছুটের "গাড়ি চলেনা চলেনা"।

মোটরসাইকেল তার দ্রুততা,ও সৌন্দর্যের জন্য সবার কাছে খুব আদরণীয়


মোটরসাইকেল তার দ্রুততা,ও সৌন্দর্যের জন্য সবার কাছে খুব আদরণীয় ও জনপ্রিয় ছিল|চিরসবুজ উত্তমের সাথে স্কার্ফ পরিহিতা সুচিত্রাসেনের স্বপ্নের বাইকযাত্রা এ বাহনটাকে আরো স্বপ্নময় করে তোলে|আমি নিজেও বাহনটাকে দারুন পছন্দ করি| কিন্তু এখন মোটরসাইকেল দেখলেই একটা ধাক্কা খাই|কষ্ট পাই | দেশ এখন প্রাণঘাতী মোটরে চলে...কোথায় থামবে এ যাত্রা কে জানে? শুধু প্রার্থণা দুরের কাছের স্বজনেরা যে যেখানে আছে ভাল থাকুক,নিরাপদে থাকুক||

What a pleasant surprise!!!!


What a pleasant surprise!!!! সাড়ে এগারোটায় MRI করানোর জন্য MRI ডিপার্টমেন্টে ঢু মারতে যাবো,এমন সময়ে @Nashid Shormi আপুর ফোন | স্বভাবসুলভ মাফিয়া ডন স্টাইলে জিজ্ঞাসা করলেন, "কি রে !! CMH এ ভর্তির নাম কইরা ঘুইরা বেড়াইতাছস, না??" আসমান থেকে পড়লাম, "মানে"!!! বললেন, "তোর কেবিনের সামনে দাঁড়াই আছি" | VIP patient থাকায় আমার মতো non VIP'র MRI করার সিরিয়াল পিছিয়ে দেওয়ায় খুশিই হলাম যে, সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে শর্মি আপুরে সারপ্রাইজড হতে হলো না | তাড়াতাড়ি কেবিনে ফিরে গেলাম| আপু রেডিসনে যাচ্ছিলেন উনার অফিসের কাজে| CMH এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই অধমের সাথে দেখা করতে এসেছেন | আজ ঢাকায় বৃষ্টি পড়ছে সকাল থেকেই | সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজটা দিয়ে বল্লেন, " দুই ভাইবোন মিলে বৃষ্টি সেলিব্রেট করবো বলে গরুর কালাভূনা আর চিকেন বিরিয়ানি নিয়া আসছি | ব্রেকফাস্ট করি নাই | ক্ষুধা লাগছে | প্লেট,গ্লাস আনা | খাইদাই চইলা যামু | দৌড়ের উপ্রে আছি !!"

অসম্ভব ভালোলাগায় মনটা ভরে গেলো | তাড়াহুড়ো করে ভাইয়ের সাথে লাঞ্চ করেই দৌড় দিলেন অফিসের কাজে | প্রচন্ড ব্যস্ত একজন মানুষের অফিস টাইমের প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে সামান্য সময় বের করাটা কতোটা difficult, তা বুঝার জন্য এক ছটাক মগজই যথেষ্ট | আপুর আন্তরিকতার অসম্ভব মুগ্ধ হয়েছি | চাকুরীর সুবাদে কলোনি টাইপের environment এ থাকলেও স্টীলমিল কলোনির সবার যে পারস্পরিক আন্তরিকতা, তার ছিটেফোঁটাও কোথাও পাইনি | Thanks a lot Shormi Apu for the pleasant surprise. Blessed getting sisters like you. 🙂🙂🙂
*** শর্মি আপুর সাথে হেলফি তুললাম | Btw, হাসপাতালে যে সেলফি তোলা হয়,তাকে হেলফি বলে !! (শর্মি আপুর আবিষ্কার) 

Heat stroke এ প্রাথমিক ভাবে কি করা যায় তাই নিয়ে একটু আলোচনা করব আজ


আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল শেষ হয়ে বর্ষা আসি আসি কিন্তু গরমের মাত্রা কমার কোনই লক্ষণ নাই। এই অতিরিক্ত গরমের জন্য হতে পারে কিছু অসুবিধা হতে পারে। যেমন heat rash (বা ঘামাচি), heat exhaustion, heat cramp এবং heat stroke. Heat rash, Heat exhaustion, heat cramp তেমন লাইফ threatening কোনো condition না। কিন্তু heat স্ট্রোক একটি লাইফ threatening condition যা থেকে মানুষ মারা যেতে পারে। Heat stroke এ প্রাথমিক ভাবে কি করা যায় তাই নিয়ে একটু আলোচনা করব আজ।

Heat rash (তাপ ফুসকুড়ি), [ঘামাচি নামে পরিচিত], ঘামের ফলে ত্বক এ যে ত্বক সৃষ্ট জ্বালা হয়, তাই তাপ ফুসকুড়ি (heat rash) .গরম পরিবেশের মধ্যে কাজের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা এটা।

Heat exhaustion কাকে বলে: অনেক ঘাম বের হবার ফলে পানি ও লবণ শরীর থেকে বের হয়ে যায়, ফলে শরীরের প্রতিক্রিয়া হয়. এখানে কোর তাপমাত্রা হয় 37 ° সেলসিয়াস (98.6 ডিগ্রী ফারেনহাইট) থেকে 40 ° সে এর মধ্যে। এর সাথে আরো থাকে মাথা ঘোরা, তৃষ্ণা, দুর্বলতা, মাথা ব্যাথা, এবং অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ। heat exhaustion এ আমাদের central nervous system (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র) এর বিকৃতি ঘটে না যেমনটি হয় heat stroke এ। সাধারণত সঠিক hydration ও cooling এর মাধ্যমে এর সমাধান হয়।

Heat cramps হয় heat exhaustion এর মত শরীর থেকে ঘামের মাধমে লবন ও পানি বের হয়ে গিয়ে হয়। এখানে লবন কম হবার জন্য মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। ক্লান্ত পেশী, যা ঐ কর্ম সম্পাদন করার জন্য ব্যবহৃত হয়, সাধারণত সেই পেশী গুলো বেশি ব্যথা করে। heat cramp কাজ করার সময় বা কাজের পর হতে পারে। প্রচুর পানি বা ওরাল rehydration saline (ORS) খেলে heat cramp প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss