Tuesday, April 26, 2016

কোন মাসে জন্ম নিলে কি কি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তা নিম্নে দেওয়া হইলো


১.জানুয়ারী:- এই মাসে জন্মগ্রহনকারী ব্যাক্তি মেয়ে/ছেলে দেখার সময়ে অক্সিজেন গ্রহন করতে ভুলে যায়।
২.ফেব্রুয়ারি:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তি কিলার হয়! লেডি কিলার বা জেন্টলম্যান কিলার!
৩.মার্চ:- এর মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তি দিনে ৪বেলা খায়। এর মধ্যে ৩বেলা ভাত আর এক বেলা ক্রাশ!
৪.এপ্রিল:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা আমার মতো গাধা হয়। যারা লাস্ট বেঞ্চে বসে ফ্যানের ব্লেড গুনে।
৫.মে:- এর মাসে জন্মগ্রহণকারী ছেলেরা মেয়ে পাগল হয়। আর মেয়েরা মা পাগল হয়।
৬.জুন:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা
# ক্রাশ খেতে ভালোবাসে। তাদের দুনিয়া ক্রাশময়।
৭.জুলাই:- এর মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিদের প্রেমের প্রস্তাব ঝুলন্ত অবস্থায় সরল দোলকের ন্যায় দুলে।
৮.আগস্ট:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা "গরম ভাত" পার্টি। আগে না এসেই সব পেতে চায়!
৯.সেপ্টেম্বর:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা ভালো ফিল্ডার হয়। কারন এরা ফিল্ডিং মারতে বিশেষ দক্ষ!
১০.অক্টোবর:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা প্রেম সংক্রান্ত ব্যাপারে হিট! যাকে বলে লাভ গুরু আরকি!
১১.নভেম্বর:- এরা মিউজিক প্রেমি। সারাদিন কানের ভিতর দড়ি বেধে গুড়ে আর গান শুনে।
১২.ডিসেম্বর:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা দিনে ২-৩বার টয়লেটে যায় আর দিনে ৩-৪গ্লাস পানি খায়!
মিলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। অমিল থাকাটাই স্বাভাবিক!

আমাদের সকলের সুপরিচিত, মিষ্টিভাষী, সর্বদা হাসিখুশী সনি আপা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত


আমাদের সকলের সুপরিচিত, মিষ্টিভাষী, সর্বদা হাসিখুশী সনি আপা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। সম্প্রতি উনি উন্নত চিকিৎসা সেরে সিংগাপুর হতে দেশে ফিরেছেন। ঈস্বরের অপার করুনায় উনি এখন অনেকখানি সুস্থ, আমাদের আরেকজন স্টিলার বোন (রেজা ভাইয়ের একমাত্র বোন) রনি আপা আজ উনাকে দেখতে গিয়েছিলেন। উনার মারফত আমরা ছবিখানা পেলাম, সাথে পেলাম শারিরীক অবস্থার খবর।

চলুন আমরা আমাদের এই বোনটির পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য উপর ওয়ালার কাছে প্রার্থনা করি।
উল্লেখ্য উনি আমাদের সকলের পরিচিত স্টিলার আমান ভাই, রলি ভাই, মঈন খান টলি ভাই ও সোহাগ ভাইয়ের একমাত্র বোন।

অপূর্ণ ইচ্ছা


কলোনি তে থাকতে আমাদের সব ইচ্ছা কি পুরণ হয়েছে।কিছু কিছু ত অপুরন রয়ে গেছে।

যেমন আমি আমার কথা বলতে পারি।আবার যদি কলোনি র জীবনে ফিরে যেতে পারি তাহলে কোন ইচ্ছা পুরণ করতে চাইব? উমম.... নিখিল স্যারের কাছে পড়তে চাইব।নিখিল স্যার খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের স্কুলে এসেছিলেন অতিথি শিক্ষক হয়ে।কিন্তু অল্প দিনেই আমি উনার ভক্ত হয়ে যায়।কারন উনি অংক আর বিজ্ঞান খুব ভাল করে বোঝাতেন। আমি উনার ক্লাসে তাই পুরো মনো্যোগ দেবার চেষ্টা করতাম।

কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল আমি যখন ব্যাচে উনার কাছে পড়তে গেলাম দেখা গেল সিট নেই।ব্যাচ ফিল আপ হয়ে গেছে।নিজেকে খুব অসহায় মনে হত।আর যারা স্যারের কাছে পড়তে পারত তাদেরকে ভাগ্যবান মনে হত। তারপরেও স্যার ক্লাসে আসলে অংক,জ্যামিতি এগুলো অনেক আন্তরিকতার সাথে বুঝাতেন।স্যারের মুগ্ধ ছাত্র হয়ে গিয়েছিলাম। তাই আবার যদি কলোনি র জীবনে ফিরে যেতে পারি তাহলে উনার ছাত্র হতে চাইব যেন বিজ্ঞান আর অংক ভাল করে বুঝতে পারি।

(বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু মাহফুজ স্যার,মহসিন স্যার,নাজিমুদ্দিন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়েছি, তাই উনাদের নাম উল্লেখ করিনি অপুরন ইচ্ছাতে)

আমরা প্রায়ই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো বারং বার ফেরত পেতে চাই


আমরা প্রায়ই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো বারং বার ফেরত পেতে চাই।।সেটা হোক আনন্দের বা বেদনার,,সুখের বা দুঃখের।।

যেমন:-
যখন আমি বা আমরা ছোট ছিলাম তখন বড়দের দেখে আফসোস করতাম আর ভাবতাম ইস্ আমরা কেন বড় হলাম না বা কবে বড় হবো বা ইস্ যদি বড় হতাম তাহলে তো আমি বা আমরাও এ বড় ভাইয়ের মতো________?? আবার এখন যখন বড় হয়ে গেছি তখন ভাবি ইস্ যদি আবার আগের সেই ছোট্ট বেলার জীবনটা ফিরে পেতাম!!!!

আবার ছোট বেলায় মা যখন জোর করে লোকমা দিয়ে খাওয়াতো তখন বড় ভাইকে দেখে ভাবতাম ইস্ আমি যদি বড় ভাইয়ের মতো বড় হতাম তাহলে তো আমাকে মা আর জোর করে খাওয়াতে পারতো না???আর এখন এসে ভাবি ইস্ মা যদি সেই ছোট্ট বেলার মতো লোকমা তুলে ভাত খাওয়াতো!!!বা মায়ের সেই লোকমা তোলা হাতটা এখন আবার ফিরে পেতে চাই!!!!

একটি মাত্র বাইরে যাওয়ার মত জিন্স প্যান্ট


একটি মাত্র বাইরে যাওয়ার মত জিন্স প্যান্ট , তাও আবার পায়ের দিকে যায় যায় অবস্থা।ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেখলো জুতা জোড়াও কৃত্রিম শ্বাষ প্রশ্বাসে আছে ।পকেটে আছে মাত্র ২৫ টাকা। মিরাজ ভাবছিলো একটা গোল্ড লিফ ধরাতে ধরাতে যাবে,কিন্ত জুতা সেলাই করতে হবে।বাকী ২০ টাকা বাস ভাড়া লাগবে। আজ তার নিশার সাথে দেখা করার কথা। শালা পকেটে নাই পয়সা, তার আবার প্রেম।নিজেকে নিজেই গালি দিলো মিরাজ।

একাউন্টিং থেকে মাষ্টার্স করে বেকার বসে আছে মিরাজ। এখনো কোন চাকুরী জুটাতে পারেনি। এদিক সেদিক করে কোন মতে দিন চলে। প্রেম করা মিরাজের জন্য আসলেই বিশাল বিলাসিতা।

নিশা বিশেষ প্রয়োজনে মিরাজকে ডেকেছে,খুব তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে, বাস ষ্ট্যান্ডে গিয়ে দেখে এক টা বাসেও উঠার মত অবস্থা নাই, অগত্যা বেবী টেক্সিতেই যেতে হবে, ভাড়া টা নিতে হবে নিশার কাছ থেকেই।

২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ ঘূর্ণিঝড়


ক্লাস সিক্সের ছাত্র,৮নং ১০নং বিপদ সংকেতের মর্ম বুঝা হয়ে উঠেনাই,তাছাড়া বড়দের কেউকে আতংকিত হতেও দেখিনি।সাধারণ দিনের মতই রাতে ঘুমিয়ে গেলাম।

মা ধাক্কা দিয়ে মাঝরাতে আমাকে তুলে দিলো, ছোট বোন ঘুম।সেদিন বাবার ছিলো নাইট ডিউটি।ঘুম থেকে উঠে ঝড়ের ভয়াবহতা বুঝে উঠেনি তখনো। আমাদের বাসার পিছনেই ছিলো মসজিদ।উঠে গিয়ে জানালা ভালো করে বন্ধ করতে গিয়েই লক্ষ্য করলাম মসজিদের ওজু করার অংশটি বুঝা যাচ্ছেনা,উপড়ে টিনের চালনি ছিলো,তা দেখা যাচ্ছেনা কেনো!!!ওজু খানা কেমন যেনো সাদা চাদরে ঢাকা, জানালার গ্লাস মুছে পরিস্কার করে ভালোভাবে খেয়াল করলাম ওজু খানা পানিতেই ডুবে আছে।তখনি ঝড়ের ভহাবহতা উপলব্ধি করা শুরু করলাম।মনে পড়লো বাবা তো অফিসেই, ইন্টারকম ল্যান্ড ফোনে অফিসে ফোন করতে লাগলাম কিন্তু ফোন কেউ ধরেনা।আমি জানালা গুলো নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে গেলাম, একটা জানালা ভালো করে বন্ধ করি তো আরেক জানালা খুলে যাচ্ছে।নারিকেল গাছের জোরে জোরে দুলানি আর মাঝে মাঝে উড়ন্ত টিনের ঝনঝনানি সাথে ঝড়ের শোঁ শোঁ আওয়াজ আর আমার জানালা নিয়ে যুদ্ধ ,তখন পর্যন্ত এডভেঞ্চার এডভেঞ্চার টাইপেরই লাগতে থাকলো।ঝড়ের কমতির দিকে দরজা খুলে একটু বের হয়ে দেখলাম নিচের মানুষ গুলো দুতলায় অবস্থান করছে, আর আমাদের তৃতীয় তলায় দেখলাম মক্তবের হুজুর কে।অল্প সময়তেই পানির ওই রকম উচ্চতা (২য় তলা কাছাকাছি) দেখে বুঝতে পারছিলাম খুব অল্প সময়েই বেশী পানি চলে আসছিল।

মানা গইজ্জিলাম তোরে পিরিত ন গরিছ


"মানা গইজ্জিলাম তোরে পিরিত ন গরিছ, আঁর কথা ন ফুনিলি, এয়াক্যা মরের বিষ,
কইলাম পিরিত ন গরিশ!!!!!"

------- আমার CSM এত প্রান প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গতকাল অফিস ছুটির পর আগ্রাবাদে আমার এক বন্ধু, এক বড় ভাই আর এক বিটলা ছুড ভাইয়ের লগে দেখা হয়, তারা আমারে হরেক রকম ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখাই একটা দাওয়াতে যেতে অনুরোধ করে, আমি কড়জোড়ে মিনতি করি কিন্তু তাদের ভালবাসার কাছে পরাজিত হয়ে চাইরডা খাওয়া আর দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য এ ফটিকছড়ির যাই, ফিরতে ফিরতে রাত ১২:৩০. তারপর সাথে সাথে বাথরুমে গিয়ে ৩০~৩৫মিনিট গোসল করি, ভাবছিলাম আগের সেই মুন্সিয়ানা আছে, কি হইবো?

কিন্তু ভাইরে রাত তিনটা থেকে ১০৩ জ্বর আর সকাল থেকে লাইনও ডাইরেক্ট। কামলা তেও যাইতে পারি নাই, বিছানায় পড়ি আছি। 

আমি দীন দরিদ্র মানুশ, কাজে না গেলে খামু কি, তাই যে পিরিতির কারনে আমার আজকে এই অবস্থা, সেই পিরিতি দেখাইয়া কেউ যদি অল্প চাইল ডাইল লই আমারে দেখতে আইতো!!!!!!! বেশি না ২/৩ জন, নইলে আবার চাইল ডাইলের ফইশা, চা বিস্কুটে বাইর হই যাইব........

আমি স্বভাবত স্বপ্ন দেখি না


আমি স্বভাবত স্বপ্ন দেখি না আর দেখলে ও মনে থাকে না ঘুম থেকে ওঠার পর। কিন্তু কিছু দিন আগে কলোনী নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখলাম, ঘুম থেকে উঠে মনটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কারন দেখলাম কে বা কারা যেন আমার মনের ভিতরে আঁকা সেই colony map টা কেও limit করে দিচ্ছে এবং বলল তোমার সীমানা এই পর্যন্ত (একটা দাগ কেটে দিয়েছিল)। আমার মনের অবস্থা বুঝেন তখন কেমন হয়েছিল!!!!! আমি জানি না এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?? কেও কি সান্তনামূলক একটা ব্যাখ্যা দিবেন kindly...

"1991 প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় "


আমি তখন সম্ভবত ক্লাস থ্রীতে পড়ি ঠিক মনে নেই। কিছু কিছু স্মৃতি মনে আছে আর তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেইদিন আমাদের বাসায় আমার খালু বেড়াতে এসেছিল। আসার সময় মিষ্টি, লিচু আরও কি কি যেন এনেছিলেন। আমরা তখন ই টাইপ 9 নাম্বার বিল্ডিংয়ের তিনতলায় থাকতাম। 29 এপ্রিল মধ্যে রাতে ঝড় যখন বাড়তে লাগলো আম্মু ঘুম থেকে ডেকে দিল বললো পানিতে সব ডুবে যাচ্ছে।উঠে দেখি খুব বাতাস আর ঝড় হচ্ছিল। আমাদের জালায় কাঁচের গ্লাস ছিল তাই দেখছিলাম নারিকেল গাছ গুলো অনেক জোরে দুলছে। কিছু বুঝতে পারছিলাম না। যেহেতু আমরা তিন তলায় ছিলাম বাসায় দেখি আসেপাশের মানুষজন আমাদের বাসার এসে উঠল। সবাই আল্লাহকে ডাকছে।আমি তখন ছোট মানুষ পেটে খুব ক্ষুধা লাগছে আর কিছুক্ষণ পরপর ফ্রিজ খুলে খুলে শুধু লিচু খাচ্ছি। আসলে ক্ষুধা লাগছিল ঐ লিচু শেষ করার জন্য। 

আমরা সিএসএম বাসিরা কর্পোরেট টাইপের কেউ?


আমরা সিএসএম বাসিরা কর্পোরেট টাইপের কেউ? আমারা এখনে যে গ্রাউন্ডে এক হয়েছি তাতে আমাদের সবার একটাই পরিচয়... আমাদের মধ্যে মত দ্বিমত থাকবে, থাকবে তর্ক বিতর্ক, থাকবে প্রতিযোগিতা। প্রতিটি পরিবারে কম বেশী এসবের উর্দ্ধে নয়। হাজার ঝগড়া মান অভিমানের পরেও যে মানুষ গুলি এক চাদের নীচে বসবাস করে কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না বা যেতে পারে না এটাই আদর্শ পরিবারের প্রথম শর্ত... আসেন সবাই ঝগড়া করি তবে তা হবে মিস্টি মধুর ঝগড়া।

কলোনি তে শীতকালে সবার যখন পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত


কলোনি তে শীতকালে সবার যখন পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত, তখন অনেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যেত।তেমনি আমাদের দোতলার রিপা আপারা সবাই বাড়িতে চলে গেল আর বাসায় রেখে গেল ওনার ভাই রিমন আর ওনার এক মামাকে।একদিন রাতের বেলা। দশটা হবে। রিমন ভাই লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে গেছেন।দরজা জানালা সব বন্ধ করে।ওনার মামা তখন ফিরেন নাই বাইরে থেকে।যখন ফিরলেন তখন হাজার ডেকেও দরজা খুলাতে পারছেন না।কলিং বেল নষ্ট।ধাক্কা দেয়ার পর এক সময় দরজা খুলে গেল।কিন্তু প্রথম রুমে রিমন ভাই শুয়ে আছেন এবং ওই রুমের দরজায় ছিটকিনি লাগানো।ওনার মামা তখন আমাদেরকে ডাকলেন।আমরাও রিমন ভাইকে চেঁচিয়ে ডাকতে লাগলাম।এ যেন কুম্ভকর্ণ এর ঘুম।কিংবা ঘুমন্ত রাজকন্যা র ঘুম।মাথায় কিছু আসছেনা কিভাবে ওনাকে ঘুম থেকে তুলব।ওই সময় দুলি ভাই কি কারণে যেন আমাদের বিল্ডিং এ আসছেন। উনি তখন জানালার কাচ একটু করে ভেংগে ছোট ছিদ্র করলেন। তারপর সেই ছিদ্র দিয়ে রাজপুত্রের মত লাঠি (সোনার কাঠি) ঢুকিয়ে গুতা দিয়ে রিমন ভাইকে ঘুম থেকে তুললেন।পুরো ব্যাপার টা বুঝতে রিমন ভাইয়ের সময় লাগল। যখন বুঝলেন তখন উনি ডালিমের দানার মত লজ্জায় লাল হয়ে গেছেন।

সাব্বির খেলা পাগল মানুষ ছিলো


সাব্বির খেলা পাগল মানুষ ছিলো।খেলার নাম শুনলে সে স্থির থাকতে পারেনা। সেটা ফুটবল বা ক্রিকেট যেটাই হোক। খেলাধুলা র সব খোজ খবর তার কাছে থাকতো। চিটাগাং থেকে দু দিনের জন্য ঢাকা আসলেও ঢাকা স্টেডিয়াম গিয়ে লীগের খেলা দেখে আসতো। আর চিটাগাং ফুটবল লীগের সিজনাল ভিআইপি পাশ তার কাছে সবসময় থাকতো। এখনো সে খেলাধুলো পছন্দ করে, কিন্তু ব্যবসায় বানিজ্য আর পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে খেলাধুলা র তেমন খোজ রাখতে পারেনা বা টিভিতেও দেখার সময় হয়না

তাছাড়া সমসাময়িক কালের ফুটবল বা ক্রিকেট তার ভালো লাগেনা, এখনকার এইসব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট গুলোতে অর্থের ঝনঝনানি আর গ্ল্যামার জগত টাই আছে, খেলাটির প্রতি যে দরদ থাকতে হয় সেটি দেখা যায়না। একেবারে রোবোটিক ভাব সাব। 

এর চেয়ে সাব্বির টেন স্পোর্টস এ ৩০/৩৫ বছর আগের ক্লাসিক ক্রিকেট বা ফুটবল দেখতেই পছন্দ করে। গতরাতেও এমন কিছু, প্রায় ২৫/২৬ বছর আগের ইতালিয়ান লীগের কিছু খেলা দেখছিল সাব্বির,খেলার এক পর্যায়ে দেখা গেল হেড দিতে গিয়ে এক প্লেয়ারের মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত পড়ছে। সাথে সাথে সাব্বির ফিরে গেল ২৫/২৬ বছর আগে।

"আনন্দ বাড়ি", " আমরা আমরাইতো ", " গ্রান্ড আড্ডা", " সূর্য -হাসি " এ শব্দ গুলোই বেশি বেশি দেখতে চাই এই পেজে


১. মিঠুর কথায়,' পেজে এখন সূর্য হাসছে'।তাই আমার বুকের পাথরটাও নেমে গেছে। আমি এখন অনেক হালকা,অনেক সতেজ। 
আশা করি আমাদের " আনন্দ বাড়ির " প্রাংগনে সূর্যটা হারাবে না আর।

২. গত কয়েকদিনে পেজে যে হাংগামাটা চলছে সে বিষয় নিয়ে দু একটি কথা বলতে চাই:
আতিক,রেজা,রিপন,তানিয়া,জসীম ( আরো অনেকে) সর্বোপরি টলি আর তারিকের প্রতি অনুরোধ, এই পেজে " আমরা সবাই রাজা " হতে চাই।

এখানে ভালোবাসা, বিশবাস, স্নেহ, শ্রদ্ধা সবই থাকবে, থাকবে না বিপরীতার্থক সব্দগুলো। 
কারো ব্যক্তিগত দূরবলতা বা পেশাগত বিষয় নিয়ে কটাক্ষ যেমন ঠিক না তেমনি পেশার কারনে কোন সুবিধা জনক অবস্থানেরও সুজোগ নেয়া সমীচীন নয়।

"আনন্দ বাড়ি", " আমরা আমরাইতো ", " গ্রান্ড আড্ডা", " সূর্য -হাসি " এ শব্দ গুলোই বেশি বেশি দেখতে চাই এই পেজে।

আমার কথায় কেউ দুখ পেলে ইন বক্সে বা সরাসরি ফোনে জানাতে পার। দয়া করে পেজে কেউ নেগেটিভ রিএক্ট করবে না।

সবার জন্য শুভ কামনা !!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss