Friday, July 29, 2016

চিটাগাং কলেজের Hostile গেইটের সামনে


চিটাগাং কলেজের Hostile গেইটের সামনে ভ্যানের মধ্যে এ চটপটি টা বিক্রি করতো।অনেক মজা লাগতো আজও ভুলতে পারিনি।সেদিন কি কারনে চকবাজার গেলাম তখনও দেখলাম ছেলেমেয়েরা খাচছে।তখন খুব মনে পড়ে গেল সেই ২০০২-২০১২ এ সময়কালের কথা।২০০১-২ আমরা অনেক ষটীলার রা ছিলাম মহসিন কলেজে।প্রায় প্রতিদিন খাওয়া হতো।কি মজা বলে বা লিখে বুঝানো জাবে না।১০ টাকা এক প্যালেট।আমার চটপটিও খুব মজা হয় সবাই বলে।কিনতু আমি সেই মজাটা খুজে পাইনা।

রাত ০১:৩০


রাত ০১:৩০।।হঠাৎ কেন যেন আমাদের মসজিদটাকে খুব মনে পড়ছে।।অন্য সময় জুমার নামাযের ঠিক আগ মুহূর্তে স্মরন হতো কিন্তু আজ কেন যেন বারবার এ মুহূর্তে মনে পড়ছে।।তাই দু'কলম লিখা।।শুনেছি শুতে যাওয়ার সময় নাকি যাকে মনে পড়ে সেও নাকি তাকে মনে করে।।জানি না বিষয়টা কতটুকুন সত্য।।কম বেশি সকলেরই এই মসজিদের সাথে জড়িয়ে আছে নানান স্মৃতি।।তেমনি জড়িয়ে আছে আমারও।।শুক্রুবার এলেই যত কাজই থাকুক না কেন আমরা সকলেই প্রস্তুতি নিতাম জুমার নামাযের।।কারন নামাযটা ছিল আমাদের আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি একটা মিলন মেলা।।দল বেধে সবাই যেতাম মসজিদে।।ওখানে একটা নিয়ম ছিল।।আমরা সকলে কিন্তু যে যার ইচ্ছে মতো বসতাম না।।বসতাম ব্যাচ ভিত্তিক।।যেমন ৯৪ ব্যাচের ভাইয়ারা বেশির ভাগ বসতো মোয়াজ্জিমের বাসার ঠিক পাশে লাগানো ছিল একটি নারিকেল গাছ ওখানে।।ওখানে ওনারা দাড়িয়ে গল্প করতেন,,এরপর ৯৭ ব্যাচের ভাইয়ারা বসতেন মাদ্রাসার পাশে,,আতিক ভাইয়াদের ব্যাচটাকে একেক সময় একেক জায়গায় দেখা যেত,,তবে ভেতরে কখনওই দেখা যেত না,,এভাবে আমরা সবাই সবার জায়গায় এসে হাজির হতাম এবং কেউই কারো জায়গা দখল করতাম না কারন আমরা সব সময় সিনিয়দের সম্মান করতাম যা আমরা আজও করি।তারপর নামায শুরু হলে আমরা দৌড়ে যে যোখানে জায়গা পেতাম অমনি দাড়িয়ে কোন রকম দু'রাকাত নামায আদায় শেষে মসজিদ ত্যাগ করতাম।।অনেক মানুষ হতো আমাদের এই মসজিদে।।ছোট খাটো একটা ঈদ জামাত বলা যায়।।পাশে কবরস্হান থাকায় অনেকেই আমরা জিয়ারত করতে ভূলতাম না।।আমাদের এই মসজিদ টাতে বড় একটা ঘড়ি ছিল,,জানিনা ওটা এখন আছে কিনা বা সচল কিনা।।

আমি জানি না কেন আজ এই সময় তাকে মনে পড়ছে,,হয়তো তারো আমাকে বা আমাদের মনে পড়েছে।।তবে চেষ্টা করবো ওখানে আর একবার নামায পড়তে।

জানিনা আল্লাহ রিজিকে রেখেছেন কিনা।।

আজ শুক্রবার। আমার ছুটির দিন


আজ শুক্রবার। আমার ছুটির দিন। কিন্তু আজকে সারাদিন দৌঁড়ের উপর ছিলাম। প্রতি শুক্রবার ছুটি থাকে বিধায় একটু দেরী করে ঘুম থেকে উঠি। আজকে দুপুরে কর্ণফুলি নদীর ঐ পাড়ে খোয়াজ নগরে একটা দাওয়াত ছিল তাই আজকে বেশিক্ষন ঘুমাইতে পারি নাই। সকাল ১১.৩০ পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। বাসা থেকে বের সময় মনে মনে চিন্তা করলাম যদি খোয়াজনগর থেকে আসার পরে সময় পেলে স্কুলে যাব। কিন্তু নাজমুল ভাই ২.১৫ টায় ফোন দিয়ে বললো ভাত খেয়ে তাড়াতাড়ি চলে আয়। চারটায় আমরা রওনা দিবো। সবাইকে ফেলে আমি একা ৩.১৫ টায় রওনা দিলাম খোয়াজ নগর থেকে এবং ৩.৫০ টায় চৌমুহনীতে আসলাম। তারপর সেখানে চা খেয়ে সবাই মিলে রওনা দিলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে। স্কুলে ২০ তারিখের বর্ষপুর্তি আলোচনা হলো। জাফর ভাই মুন বেকারি থেকে সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসলেন। শেষে চা খেলাম খোকন ভাইয়ের কাঠগড়স্থ বাসায়। পতেঙ্গা কাঠগড় থেকে আবার চৌমুহনী হয়ে বড়পুল সিটি হল কনভেনশন সেন্টারে। সেখানে শিমুলের ভাগিনার বিয়ে ছিল। বিয়ে খাওয়ার পর রাত ১০.১৫ টায় বাসায চলে আসলাম। সেখানে আরো কিছুক্ষণ থাকতাম কিন্তু মেয়ে অসুস্থ তাই একটু তাড়াতাড়ি চলে আসতে হলো। সারাদিন এত ব্যস্ত ছিলাম একটু টায়ার্ড লাগে নাই, সিএসএম এর সাথে ছিলাম বলে।

লাইফ নিয়ে কোন দিন তেমন কোন অংক কষিনি


লাইফ নিয়ে কোন দিন তেমন কোন অংক কষিনি। প্ল্যান করে কোন দিন কোন কিছু করিনি। স্টাইল টা ছিল এরকম " আমি মাঝি মাল্লা, যা করবে আল্লাহ"। যখন যেটা মন চাইতো করতাম, পরিনাম চিন্তা করতাম না। রেজা ভাই যেটাকে বলে " ধরো মুরগী করো জবাই"। এই নীতির কারনে এখনো অনেক ক্ষেত্রে পস্তাই। দেখা গেছে যে জিনিস টাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি সেখান থেকেই আঘাত সবচেয়ে বেশী পেয়েছি। কোন প্রতিবাদ করিনি নিয়তি বলে মেনে নিয়েছি। 

হিসাব মিলাতে গেলে দেখা যায় বেদনা,তিক্ততা, হারানোটা ই বেশি। আবার ব্যালেন্স শিট মিলালে দেখা গেল এত হারানোর পরও পাওয়ার পাল্লাটাই তো বেশি। আর ভিতর থেকে কেউ যেন বলে উঠে, "এত হতাশ হও কেন, চারিদিক তাকাও, তুমি যা পেয়েছ কয়জনে বা তা পায়"।

----- আসলেই তো, এত কিছুর পরও এত হতাশ হলে বোধ হয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও ক্ষমা করবেনা।

মরণ তু হু রে মম এবং আবার ফিরে আসা


"Ancient Mariner " গল্পে দেখা যায় অনেকজন নাবিক সহ একটি জাহাজ বরফে আটকে যায়।আর যাবার কোন পথ খুজে পায় না। খাদ্যের অভাবে ভুগতে থাকে। এভাবে প্রতিদিন মৃত্যু দূত এসে একজন একজন কে মরনের দেশে নিয়ে যায়।অন্যরা তা প্রত্যক্ষ করে।আতংকে থাকে পরদিন হয়ত তাকেও চলে যেতে হবে।

১৯৯৯ সালে স্টিল মিলস বন্ধ হয়ে যাবার পর কলোনি র মানুষ গুলো র অবস্থা হয়েছিল ঠিক সেরকম। বুঝতে পারল যে এই কলোনি তে আর বেশিদিন থাকা হবে না। চলে যেতে হবে। সবার সামনে নিশ্চিত কোন ভবিষ্যৎ ছিল না।বেশিরভাগই অনিশ্চিত। তার উপর এতদিন ধরে চলে আসা সেই চিরচেনা জায়গা ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়া। প্রতিদিন কলোনি র গেইট দিয়ে ট্রাক বা ভ্যান গাড়ি আসত। আর অন্যরা মনে মনে ভাবত আজ না জানি কাকে চলে যেতে হয়।অজানা এক আতংক। এ যেন কলোনি র বাসিন্দা হিসেবে মৃত্যু, প্রিয় মানুষ গুলো থেকে বিচ্ছিন্নতা। এক একটি পরিবার চলে যেত,আর অন্যরা তা প্রত্যক্ষ করত। সমবেদনা আর শুভ কামনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

কিন্তু তারপরেও ত ফিরে আসা যায়। আবার একসাথে পুরনো মানুষ গুলো কে ফিরে পাওয়া যায়, গ্র‍্যান্ড আড্ডা, ইফতার পার্টি, কিংবা ২০ আগস্ট এ অনুষ্ঠিতব্য পুনর্মিলনী তার প্রমান। এছাড়া ছোট খাট নানা আয়োজন ত আছেই।এই ফিরে আসার আরেক টি দারুন ব্যাপার হল এবার সবাই যেন এক কাতারে দাঁড়ানো। গ্যাপ নেই,যেটা কলোনি তে ছিল।এইজন্যঈ হয়ত অপুদা,পুলক ভাই,সুজন একসাথে জসিম ভাই,নাজমুল ভাইদের সাথে বসে আড্ডা দিতে পারেন। নেই আন্তরিকতার ঘাটতি। তাই হয়ত ছোট ভাইয়েরা রেজা ভাইয়ের জন্মদিনে আয়োজন করে তাকে চমকে দেন,যা উনাকে আবেগতাড়িত করে। কলোনি তে থাকতেও সবার সাথে সবার এতটা কাছে আসা হয়নি,যা ইদানীং হয়েছে। আর সেখানেই বুঝি আবার ফিরে আসার সার্থকতা, ভাললাগা , আনন্দ।

অনেক অনেক বছর আগে রঞ্জু এক ভালোবাসা দিবসের রাতে


অনেক অনেক বছর আগে রঞ্জু এক ভালোবাসা দিবসের রাতে রুমু কে l love you লিখা চিরকুট রুমুদের বারান্দা দিয়ে ছুড়ে মারে। আর অপেক্ষা করতে থাকে সেই চিরকুটের উত্তরের। রাত পেড়িয়ে সকাল হয়, সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়, বিকেল হয় এবং পুনরায় রাত হয়, ফিরতি কোন উত্তর আর আসেনা। এদিকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে তো রঞ্জুর অবস্থা কেরোসিন ।­ এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেও যখন ফিরতি কোন কিছুর নাম-গন্ধ কিছুই পেলো না, তখন রাগে, দুঃখে, কষ্টে আর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে নিজেই উপস্থিত হল প্রিয় মানুষটার বাসার সামনে । তাঁর রংবাজ টাইপ বড় ভাই রঞ্জুকে প্রায় এক ঘন্টা সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে ইতং বিতং প্রশ্ন করে অবশেষে বললেন,
- তুমিই তাহলে সেই হনুমান
- রঞ্জু আমতা আমতা করে বলে হনুমান মানে?
- হনুমান মানে হারামজাদা, বলল রুমুর ঘাড় তেরা বড় ভাই শাফি।
- ভাইয়া কী বলছেন এসব! আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না?
শাফি একথা শুনে বলল, আরে হারামি এখনই যদি সব বুইজা ফেলোস তাহলে থানায় কি বলবি।
- ভাইয়া আপনি কী আমাকে পুলিশে দিতে চাচ্ছেন?
- শাফি বলে, তোরে না শুধু, তোর চৌদ্দ গুস্টি রে পুলিশের ডলা খাওয়ামু, তোর এত সাহস তুই আমার বোন রে চিঠি দেস।

একথা শুনে তো রঞ্জু পুরা টাস্কি খেয়ে গেলো।! রুমুর কাছে দেওয়া চিরকুট এই শালার সমন্দি শাফি জানলো কিভাবে রঞ্জু বুঝে পেলনা
যাই হোক, রঞ্জুকে পুলিশে দেয়া হলোনা। তবে যা করা হলো তা পুলিশে দেয়ার চাইতে কোনো অংশেই কম নয়। রঞ্জুর বাসায় বিচার দেবার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বার কান ধরে উঠ বস করিয়ে নিলো রংবাজ শাফি। রঞ্জু যখন লজ্জা আর কান্না মাখা মুখ নিয়ে, কান ধরে উঠবস করছিল তখন খিলখিল করে হাসির শব্দ পেলো আশেপাশে কোথাও। রঞ্জু হাসির আওয়াজেই বুঝে গেল এই চক্রান্ত নায়িকা স্বয়ং নিজেই করেছে। তারপর থেকে এই ঘোড়ার আন্ডা প্রেম ভালোবাসার কথা মুখেও আনলোনা রঞ্জ। মানুষ জন্মায় একা, মরেও একা। মাঝখানে আরেকজনকে টেনে এনে ঝামেলা বাড়িয়ে কী লাভ? পরের এক বছর রঞ্জু সবাইকে বুঝাতে চাইলো, মেয়েদের গুনার টাইম নাই তার । মেয়ে মানুষের অপর নাম আবর্জনা। যাইহোক, একবছর পর আবার সেই রঞ্জুর সেই বেদনাময় দিনটা হাজির! ঘোড়ার ডিমের ভালোবাসা দিবস! সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, গতবার এই দিনে যেই গাধীটার কাছে চিরকুট পাঠিয়ে চরম অপমান হয়েছিল আজ সে গাধী রুমুই ইনিয়েবিনিয়ে ভালোবাসার চিঠি পাঠিয়েছে রঞ্জুর কাছে।আর গত ভালোবাসা দিবসের চক্রান্তের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। 

চিঠি দেখে রাগে ফুসতে ফুসতে রঞ্জু আপন মনেই বলল,
"গাধীর বাচ্চা গাধী! তোকে ভালোবাসি, তাই গত বছরের ঘটনার জন্য ক্ষমা পেয়ে গেলি!"
এরপর থেকে রঞ্জু রুমু মহল্লার শ্রেষ্ঠ প্রেমিক প্রেমিকা জুটি। আর এখন দু সন্তানের গর্বিত ও সুখী জনক জননী।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss