"Ancient Mariner " গল্পে দেখা যায় অনেকজন নাবিক সহ একটি জাহাজ বরফে আটকে যায়।আর যাবার কোন পথ খুজে পায় না। খাদ্যের অভাবে ভুগতে থাকে। এভাবে প্রতিদিন মৃত্যু দূত এসে একজন একজন কে মরনের দেশে নিয়ে যায়।অন্যরা তা প্রত্যক্ষ করে।আতংকে থাকে পরদিন হয়ত তাকেও চলে যেতে হবে।
১৯৯৯ সালে স্টিল মিলস বন্ধ হয়ে যাবার পর কলোনি র মানুষ গুলো র অবস্থা হয়েছিল ঠিক সেরকম। বুঝতে পারল যে এই কলোনি তে আর বেশিদিন থাকা হবে না। চলে যেতে হবে। সবার সামনে নিশ্চিত কোন ভবিষ্যৎ ছিল না।বেশিরভাগই অনিশ্চিত। তার উপর এতদিন ধরে চলে আসা সেই চিরচেনা জায়গা ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়া। প্রতিদিন কলোনি র গেইট দিয়ে ট্রাক বা ভ্যান গাড়ি আসত। আর অন্যরা মনে মনে ভাবত আজ না জানি কাকে চলে যেতে হয়।অজানা এক আতংক। এ যেন কলোনি র বাসিন্দা হিসেবে মৃত্যু, প্রিয় মানুষ গুলো থেকে বিচ্ছিন্নতা। এক একটি পরিবার চলে যেত,আর অন্যরা তা প্রত্যক্ষ করত। সমবেদনা আর শুভ কামনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
কিন্তু তারপরেও ত ফিরে আসা যায়। আবার একসাথে পুরনো মানুষ গুলো কে ফিরে পাওয়া যায়, গ্র্যান্ড আড্ডা, ইফতার পার্টি, কিংবা ২০ আগস্ট এ অনুষ্ঠিতব্য পুনর্মিলনী তার প্রমান। এছাড়া ছোট খাট নানা আয়োজন ত আছেই।এই ফিরে আসার আরেক টি দারুন ব্যাপার হল এবার সবাই যেন এক কাতারে দাঁড়ানো। গ্যাপ নেই,যেটা কলোনি তে ছিল।এইজন্যঈ হয়ত অপুদা,পুলক ভাই,সুজন একসাথে জসিম ভাই,নাজমুল ভাইদের সাথে বসে আড্ডা দিতে পারেন। নেই আন্তরিকতার ঘাটতি। তাই হয়ত ছোট ভাইয়েরা রেজা ভাইয়ের জন্মদিনে আয়োজন করে তাকে চমকে দেন,যা উনাকে আবেগতাড়িত করে। কলোনি তে থাকতেও সবার সাথে সবার এতটা কাছে আসা হয়নি,যা ইদানীং হয়েছে। আর সেখানেই বুঝি আবার ফিরে আসার সার্থকতা, ভাললাগা , আনন্দ।

No comments:
Post a Comment