Friday, February 19, 2016

"সাময়িক বিদায়"


১৮/০২/২০১৬ বিষ্যুদ বার সারাদিন গুলশান ১ এ অফিসিয়াল মিটিংএ ছিলাম। যেহেতু গুলশান ১ থেকে আতিকের অফিস কাছে তাই বিকালে কাজ শেষ করেই আতিককে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে জানতে পারলাম সে তারিকের ওখানে। আমি বললাম আসতেছি। গুলশান ১ থেকে একটা সিএনজিও পাচ্ছি না মগবাজার যাওয়ার জন্য। ৪০ মিনিট অপেক্ষার পর একটি সিএনজি ড্রাইভারকে রাজি করাতে পারলাম মগবাজার যাওয়ার জন্য। রাজি করিয়ে ছিলাম ও চাইবে তা দিব এই শর্তে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি Anisur Rahman Reza ভাই, Ripon Akhtaruzzaman ভাই, Atiq Csm, Monowar Dalim Dalim, মিল্টন এবং লেনা পরিবার সহ সবাই আছে। তার মধ্যে রেজা ভাই আর রিপন ভাই তারিকের কেবিনের বিল, আর রিলিজ অর্ডার নিয়ে ব্যস্ত। 

কলোনি থেকে যেদিন আমরা চলে আসি,সেদিন আমার কাছে ছিল,"ওঠ ছেড়ি তোর বিয়া"র মত


কলোনি থেকে যেদিন আমরা চলে আসি,সেদিন আমার কাছে ছিল," ওঠ ছেড়ি তোর বিয়া"র মত।সবকিছু গোছগাছ করে নতুন জায়গার জন্য নিয়ে যাওয়া।কোন কিছু ফেলে যাওয়া যাবেনা।এগুলো করতে করতে নিজের স্কুলের শ্রদ্ধেয় স্যার,আপা আর সহপাঠী এবং বন্ধু কারো সাথে দেখা করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করে কিছু জিনিস ট্যাক্সি করে নিয়ে নতুন জায়গায় চলে এলাম।

ছোটবেলা থেকে যেসব মানুষকে দেখে আসছিলাম,তাদের অনেকে চলে গিয়েছিল।পুরনো বলতে শুধু রিপা আপারা।শুনেছি আম্মারা চলে আসার সময় রিপা আপার আম্মা এমনভাবে কেঁদেছিলেন যে অন্যদের চোখেও পানি চলে এসেছিল।ভাগ্য ভাল যে আমি আগেই চলে এসেছিলাম,নাহলে আমিও কেঁদে ফেলতাম খালাম্মার কান্না দেখে।আর কাঁদলে আমাকে আরো খারাপ দেখায়।নিজেকে খারাপ দেখতে কার ভাল লাগে।

আমি রেজা ভাই কে যতদিন ধরে চিনি তার চেয়ে বেশি দিন ধরে চিনি খানসুর চাচা কে


আমি রেজা ভাই কে যতদিন ধরে চিনি তার চেয়ে বেশি দিন ধরে চিনি খানসুর চাচা কে। সেই ৯৫/৯৬ সাল থেকে। নাহ! চাচার সাথে কখনও দেখা হয়নি, আলাপ হয়নি। চাচা কে চিনি "ইস্পাত শিখা" তে লেখা পড়ে। আমি তখন অনেক ছোট। 

এবার গ্র‍্যান্ড আড্ডার স্মরণিকা "ফেরা"য় চাচার স্মৃতিচারণ পড়ে দেখলাম রূপকথার মত চিটাগাং স্টিল মিলের সোনালী সময়ের প্রতিচ্ছবি।

এরপর "ইস্পাত শিখা"য় দেওয়া লেখাটা খুঁজে বের করলাম। কম্পিউটার নিয়ে শিশু কিশোরদের জন্যে সেই ৯৫/৯৬ এ লেখা। যা কম্পিউটার জগতের এত পরিবর্তনের পর ও এ সময়ের উপযোগী। 

২৯ জানুয়ারি রেজা ভাইয়ের সাথে প্রথম কথা হয়। চিটাগাং স্টিল মিল আর কলোনি নিয়ে ভাইয়ার আবেগ আমাকে স্পর্শ করেছে। 

খানসুর চাচার লেখায় বুঝলাম আবেগের উৎস টা কোথায় গেঁথে আছে। চাচা সোনালী সময় দেখেছেন আমি এর প্রায় শেষ হয়ে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া টা দেখেছি, এটা একটা ঐতিহ্যের পরম্পরা, একটা বিন্দুর চারদিকে বৃত্তের পরিধির মত, আমরা সবাই একটা নক্ষত্র কে কেন্দ্র করে ঘুরছি। এখানে আমাদের সবার ই একটা অবস্থান আছে।

কেউ নিজের জায়গা ছেড়ে দিলে প্যাটার্ন টা খারাপ হয়ে যায়, ওই শূন্যস্থান অন্য কিছু দিয়ে পূরণ করা যায় না।

"মায়া" অদ্ভুদ এক জিনিস


"মায়া" অদ্ভুদ এক জিনিস। ঠিক কোন জায়গায়টায় যে এর বসবাস!!!!! গত ৭/৮ মাসে কত কিছুই না হয়ে গেলো!! পুরানো বন্ধন গুলি, যা এখানে/সেখানে, এমন কি বহুদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে/ছিটিয়ে ছিলো, কি এক মায়াবি টানে এক যায়গায় জড়ো হলো। মাঝে/মাঝে ভাবি এর শেষ কোথায়?

কিন্তু মন বলে এর শেষ নাই। এখানে কোন সার্থ নাই। নাই টাকা পয়সার লোভ/লালসা। ব্যাবসা/বানিজ্য নাই। নাই কোন, "মানি ম্যান" দের বাহাদুরি। আছে নিখাধ ভালোবাসা। ঝগড়া/রাগ/অভিমান এই মানবীয় গুনগুলিও আছে। আছে বলেই আমরা মানুষ।

আমাকে এই পেজের একজন সিনিয়র হিসাবে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, এর পর কি??? যে যায়গাটি তে এত "কোয়ালিটির" পদচারণা, সেখানে তারপর নিয়ে ভাবনার কিছু নাই। চলুক না এভাবেই, সব কিছু মিলিয়ে, যে ভাবে চলছে এখন। সময় সব কিছু ঠিক করে দিবে।

ঐ যে, প্রথমেই বললাম "মায়া"। "পুরাতন বন্ধন"। "তুমি মায়া ফেলে চলে যাবে, কিন্তু মায়া যে তোমার পিছু ছাড়বেনা"।
এই মায়াটা বড় অদ্ভুদ জিনিষ। কোথায় যে এর বসবাস!!!!!!!।

বন্ধুত্বতা সমাচার


ভোরে মোবাইলে কল করে রেজা ভাইকে জানিয়ে দিতে চাইছিলাম জয়দেবপুর স্টেশনে যেন যেয়ে ক্ষনিকের জন্য হলেও তারিকের সাথে দেখা করে। মোবাইল যখন বন্ধ পেলাম তখন আমরা ভাবলাম ছোট্ট মা সারাফ'কে বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমের মাধ্যমে ছুটিটা বেশ উপভোগ করছেন। কিন্তু গতকাল রাতে রেজা ভাই জয়দেবপুর চলে যাওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারনে তিনি রাতে ঢাকায় রয়ে গেলেন, তারিকের সাথে অন্তত জয়দেবপুর যাবে বলে।। স্টেশনে রেজা ভাইকে ভবঘুরের মত আমাদেরকে খুজতে দেখে আমরাতো রীতিমত সারপ্রাইজড।

আরেকটা মজার কান্ড:
ট্রেন ছাড়লো ৮:২৫ মি:। রেজা ভাই ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে যেই না রিপন ভাইকে বললেন "তুই চল আমাদের সাথে। তোকে জয়দেবপুরের চা পরাটা খাইয়ে ফিরতি ট্রেনে ঢাকা পাঠিয়ে দিব।" যেই না বলা হলো আর রিপন ভাই সাথে সাথে কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই স্লোলি চলতে থাকা ট্রেনে লাফিয়ে উঠলেন।বন্ধুত্বের এমন গভীরতায় আমরা সবাই মুগ্ধ, যেমনটা মুগ্ধ হয়েছি গত পরশু ডালিম আর মিল্টনকে দেখে। ওরা বাচপান (ন্যাংটু কালের বন্ধু) কালের বন্ধু তারিককে বিদায় দিতে এসে মেডিকেলেই কাটিয়েছি রাত।।

মিষ্টি হতে সাবধান !!


মাননীয়,
এডমিন স্যার,
( বড় মিয়া )
সি.এস.এম কলোনী ,
সারা বিশ্ব !!

বিষয়:- মিষ্টি হতে সাবধান !!

জনাব, নিবেদন এই যে আমি সি.এস.এম কলোনীর এক অতি ক্ষুদ্র একজন সদস্য । আপনার কাজ থেকে ছুটি নিয়া বাড়ী যাইতেছি । আপনি আমাকে ছুটি দিয়েছেন ,এই কথা শুনিয়া কেউ একজন ফাল মারিয়া উঠে এবং আপনার কাছে মিষ্টি নিয়া দৌড়াইতেছে । আমি জানি আপনার শরীরটা এতো ভাল না , ডাক্তার আপনাকে মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে । মিষ্টি নিয়ে নিরব ষড়যন্ত্র হতে পারে ।
অতএব, মহাদয় আপনার স্বাস্হ্য ও শরীরের দিকে তাকাইয়া উত্ত্ বিষয় নিয়ে বালিশের উপর মাথা পালাইয়া চিন্তা করার জন্যে অনুরোধ করতেছি ।

নিবেদন,
সেই আমি 
সি.এস.এম কলোণীর অতি ক্ষুদ্র সদস্য !!
সারা বিশ্ব !!!

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss