Thursday, February 25, 2016

সুজন যে ভাবে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে-সে হিসাবে আমার কিছু লেখে পেজে নাম উঠানো দরকার


সুজন যে ভাবে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে-সে হিসাবে আমার কিছু লেখে পেজে নাম উঠানো দরকার। আড্ডা সমন্ধে এখন কিছু লিখব না। কারণ তা হলে- হেড অফিস ব্যাগ গুছানো শুরু করবে। তাই কয়েকটা জোকস বলে নিজের নামটা উঠাই। অনেক ছোট বেলায় আমার নানার মুখে একটা গল্প শুনেছিলাম।
এক চুল দাড়ি পাকা বুড়ো রাস্তার ধারে বসে,
ও মা! ও পিশি মা! ও ঠাকুমা!
বলে কাদছে। 
এক পথচারী তাই দেখে জিজ্ঞাস করল 
ও দাদু কাঁছ কেন? 
বুড়ো ফুঁপিয়ে উঠে জবাব দিল
বাবা মেরেছে।
পথচারী তো হতবাক, এই বুড়োকে বাবা মারকে কেন? তাছাড়া এমন বুড়োর বাবা কি বেচেঁ থাকা সম্ভব? তাই সে আবার জানতে চাইল?
বাবা তোমাকে মারল কেন?
বুড়ো বলল,
ঠাকুর দাদার হুঁক্কো ভেঙ্গে ফেলেছি তো তাই।

খানা খাজানা (পর্ব -২)


২৮/০১/২০১৬ তারিখ বৃহস্পতিবার যেহেতু কসাই, সকালের নাস্তা, বিকালের নাস্তা, পানি সব আগেই ঠিক করা হয়েছে। এখন বাকি কাঁচাবাজার ও অন্যান্য টুকিটাকি কাজ সন্ধ্যার আগেই সারতে হবে। তাই আগে থেকে প্ল্যান করে রাখছিলাম অফিস থেকে লাঞ্চের পর পর বের হয়ে যাবো।

সকালে অফিসে গেলাম এবং সবাইকে বলে রাখলাম আমি বেশিক্ষন থাকবো না। সকাল সাড়ে দশটায় অপু ভাই আমাদের অফিসে আসার খবর পেলাম। গেলাম উনার সাথে দেখা করতে। উনি আমাকে দেখে বলে তুই এখনো অফিসে? অপু ভাইয়ের সাথে দেখা করে আমার রুমে এসে সব গুছিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় ভাবলাম আমাদের কোরিয়ান ভদ্র মহিলাকে বলে যাই, না হয় উনি মাইন্ড করতে পারে। ম্যাডামের রুমে গিয়ে দেখি অপু ভাইয়ের সাথে মিটিং করছেন। আমি কিছু বলার আগেই আমাকে দেখে অপু ভাই বললো ম্যাডাম ওকে আজকে ছেড়ে দেন, আগামিকাল আমাদের একটা প্রোগ্রাম আছে। ম্যাডাম সাথে সাথে বললো যাও। 

CSM colonynir সকালে কাকের কা কা ডাকে ঘুম ভাঙ্গানো


CSM colonynir সকালে কাকের কা কা ডাকে ঘুম ভাঙ্গানো।কলোনির মােঝ ড্রেন গুলোর কিছু ছিল মরা নদীর মতো,আর কিছু ছিল প্রবাহিত নদীর মতো তাতে মােঝ মােঝ মাছও দেখাযেতো।নারকেল গাছ গুলো ছিল পাহারাদারের মতো।লজ্জাপতি গাছে স্পশ করে দেখতাম বিশেষ গুন।R কলোনিতে রাস্তা গুলো ছিল পারিবারিক মানুষগুলো একে অন্যের সাথে মিলনের পথ।মােঝ মােঝ কল্পনায় ভেসে উঠে তোমার ছবি হায় CSM colony.

আমি আমার কয়েকটি লেখায় উল্লেখ করেছিলাম গ্রান্ড আড্ডা আমার কাছে ঈদ উৎসবের মত


আমি আমার কয়েকটি লেখায় উল্লেখ করেছিলাম গ্রান্ড আড্ডা আমার কাছে ঈদ উৎসবের মত। আড্ডার দিন যতই ঘনিয়ে আসতে লাগলো আর এই উৎসবের টেনশন পারদ আমার মধ্যে আরো উপরে উঠতে লাগলো। আর এ উছিলায় বৌ এর শপিং চলতে লাগলো ধুমায়ে, যেটা দরকার সেটাতো কিনছেই আর যেটা দরকার নেই সেটাও কিনছে এমনকি রওয়ানা দেয়ার আগের দিন পর্য্যন্ত কেনাকাটা চলছেই। আর আমিও আম্পায়ার আলিমদারের মত সবকিছু মেনে নিচ্ছিলাম, গ্রান্ড আড্ডার আগে গৃহ শান্তি জরুরী বলে কথা। আব্বা আম্মা আড্ডার ১৫ দিন আগেই চট্টগ্রাম চলে গিয়েছে আড্ডার পাশাপাশি একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার জন্য, ছোট বোন তার জামাই বাচ্চা সহ দুদিন আগে চলে যায়। 

অবশেষে আমার যাওয়ার পালা ২৮ জানুয়ারী খুব সকালে অফিসে এসে কাজ শেষ করে দুপুরেই বাসায় চলে যাই। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফ্লাইট, বিকাল পাঁচটার মধ্যে এয়ারপোর্টে। সংগে বউ পোলা আর ছোট ভাই জাভেদ, একটু পর পীর সাহেব রেজা ভাই হাজির। সমানে সেল্ফি তুলছি, হঠাৎ পলাশ ভাই ও ভাবীর সাথে দেখা, তাঁরাও একই ফ্লাইটে চিটাগাং যাচ্ছেন আবারও সবাই মিলে এক দফা সেল্ফি। প্লেনে উঠার আগ মূহুর্তে এক মেয়ে আমার সামনে এসে বলল “ আপনি আতিক ভাই না” , আমি বউয়ের সামনে এবার বিব্রত, কোন মতে ঢোক গিলে বললাম “হ্যা িআমিই আতিক” মেয়েটি নিজের পরিচয় দিলো , দেখলাম কলোনীর ছোট বোন নাম লাকী।ফেসবুকে আমার ছবি দেখে সে আমাকে চিনতে পেরেছে, যাক নিজেকে ফেসবুক সেলিব্রেটি মনে হলো। সেও আড্ডায় অংশ নিতে চিটাগাং যাচ্ছে। রানওয়েতে আরেক দফা সেল্ফি চলল লাকী সহ।চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট নেমে আবারো সেল্ফি। আধা ঘন্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসলাম. আর পতেংগা থেকে আগ্রাবাদে হোটেল সেন্টমার্টিন যেতে পাক আড়াই ঘন্টা।

গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৬ স্মৃতিচারণ


অফিস শেষ করে আগ্রাবাদ মোড়ে মার্কেটের সামনে গিয়েই অপু দা’কে ফোন দিলাম।
আমিঃ দাদা আমি ওয়েল ফুড এর সামনে দাঁড়ালাম,সাথে সুজন ও আছে, আসেন তাড়াতাড়ি।
অপু দাঃ দাড়া ১০মিনিট আমি চলে আসতেছি।
১৫মিনিট পর অপু দা না আসাতে আবার ফোন দিলাম......
আমিঃ দাদা আপনার ১০মিনিট হইছে!!?

দাদাঃ পুলক কাজে আটকাই গেছি ভাই, তোরা দোকানে ঢুকে খাইতে থাক,আমি আসতেছি...
আমি আর সুজন দোকানে ঢুকে জ্যাকেট জুতা দেখতে থাকলাম আর আডডার কস্টিউম ঠিক করতেছি (ফাঁকা)
৩০মিনিট পর অপুদা এসে যে একটা হাসি দিলো,কিছুই বলার নাই।আসলেই কিছু বলা যাবেনা, অসম্ভব My dear মানুষ,আফসোস এমন মানুষের সাথে কেনো কলোনীতে থাকতে এভাবে মিশলাম না!!! যাই হোক সেটা হইতো সম্ভবও হতোনা!!

বেশ কিছু দিন ধরে একটা জিনিস মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে


বেশ কিছু দিন ধরে একটা জিনিস মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু গুছিয়ে নিতে পারছিনা বলার জন্য। আজকে চিন্তা করলাম বলেই ফেলি। যা ভালো হয় বড় ভাইরা করবে।

ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তবে রূপ শেষ পর্যন্ত নিয়েই ফেলল CSM Colony । সফল ভাবে হয়ে গেলো 1st family Together (Grand ADDA). যার শুরু হয়েছিল তারিক ভাইএর চিকিৎসা কে কেন্দ্র করে। প্রাণের ডাক কেউ ফেরাতে পারেনি। সবার ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রমান করেছে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আপন করে নিয়েছে যারা কষ্টে আছে তাঁদের। এই সহযোগিতার হাত আরও সম্প্রসারন করা দরকার তাঁদের ও আরও সবার জন্য, যাদের প্রয়োজন, যাদের root এই CSM.আর সেজন্য দরকার এই CSM কে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদেরই আপন জনদের কাজে ও সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। আমরা কি পারিনা এই CSM Colony কে একটা সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে। একটা Co-Operative Society বা একটা Foundation এর রূপ দিতে। 

ইস্কুল এস্টেজ এর পিছনে আমরা কয়েকজন বন্ধু স্কুল পালিয়ে মার্বেল খেলছি


ইস্কুল এস্টেজ এর পিছনে আমরা কয়েকজন বন্ধু স্কুল পালিয়ে মার্বেল খেলছি,বন্ধুদের নাম ভুলে গেছি,কিন্তু একজনের কথা মনে আছে,তাকে আমরা মেথিউছ ডাক্তাম,আমরা খুভ মজা নিয়ে খেলছিলাম,কখন যে পেছনে বেত নিয়ে হুজুর স্যার আসল টের পেলামনা।তার পর কি হল সবার জানার কথা।।।।।।

আমরা তখন csm এ e-7/f building ছিলাম


আমরা তখন csm এ e-7/f building ছিলাম... এক দিন আমি আর আমার আপু ( Raseda Hoque Raseda )ঠিক করলাম building এর সামনে পিকনিক করবো..যে পিকনিক করবে তার বাসা থেকে চাল.ডাল আর ১০ টাকা করে নেয়া হবে ..যথা সময়ে চাল ডাল আর ১০টাকা করে তোলা হলো.. বাসার সামনে বেড সিট দিেয় সামিয়ানা টানগানো হলো..এম্লৗফায়ার ইসপিকার দিয়ে জোরে গান চলতে লাগলো.. হঠাৎ .. টিংকু ভাই ( Mohammad Nazrul ) এর বোন পিচ্ছি রেশমা (তখন পিচ্ছি ছিলো) এসে আমার বোন কে বল্লো রাশু আপা আমিও পিকনিক করবো..আপা বল্লো ঠিক আছে রেশমা তুমি তোমার বাসা থেকে চাল.ডাল আর ১০টাকা নিয়ে এসো.. রেশমা খুশি তে এক দৌড়ে বাসায় গেলো..কিছুক্ষন পরে চাল ডাল নিয়ে আপাকে দিলো..আপা বলেলা রেশমা ১০ টাকা কই? আর রেশমার ফটাফট উত্তর ..রাশু আপা আমার বাসায় সব টাকার নোট আছে কিন্তু ১০ টাকার নোট নাই..

( বিঃদ্রঃ- ১০টাকা ছাড়াই রেশমাকে পিকনিকে নেওয়া হইছিলো )

আড্ডাতে যাব, সেই খুশিতে আমার বাড়িতে ঈদ শুরু হয়ে গেল


আড্ডাতে যাব, সেই খুশিতে আমার বাড়িতে ঈদ শুরু হয়ে গেল। শপিং চললো পুরাদমে, আমাদের চার মা মেয়ের। বোনের ছেলে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,তাকে টিকেট দিতে বললাম। ব্যাগ রেডি,টিকেট রেডি। ড্রাইভার কে বললাম সকালে আসতে। সে বললো তাকে ছয়টায় তুলে দিতে। রাতের ঘুম হারাম। ভোরে উঠে বের হলাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে। সেদিন রাতে গেলাম ভেনুতে। মেলা রাতে ফিরে পরের দিনের জন্য সব গুছিয়ে রেখে দিলাম। সকাল বেলা বের হলাম। সেজেগুজে। গেইটের কাছে এসে অবাক হলাম,একটা জায়গা এত সুন্দর কিভাবে লাগে! কি সুন্দর করে সাজিয়েছে Suzan Hasnat ও তার দল।কালারফুল কাগজে সেজেছে ভেনু। সন্ধ্যার আলোকসজ্জা ছিল চোখ ধাঁধানো। দলে দলে সবাই আসছে। প্রতিটা মুখ উজ্জ্বল, সবার চোখ খালি আপনজনকে খুজে ফিরছে। প্রথমেই গেলাম অডিটোরিয়াম এ। সাথে আনা ব্যাগ রেখে তালাচাবি মেরে চলে এলাম মুল জায়গায়। 

কি ঝলমল করছিল চারদিক! সবাইকে দেখতে খুব ফ্রেশ লাগছিল,সুন্দর লাগছিল। পীর সাহেব Anisur Rahman Reza যা একখান পাঞ্জাবি আর হাফ সোয়েটার পড়েছিল না! একেবারে আকাশের সাথে রঙ মিলিয়ে। এসেছিলেন একই স্কুলের ছাত্র,ক্লাস ফাকি দিয়ে Nazmul Huda,Jashim Uddin Reajul Islam Shahin ভাই। Atiq Csm এসেছে দেরি করে,ও সাজতে দেরি করেছিল। Ishrat Jahan Shaila আসলো আরো দেরি করে। দেখা হল মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে। কতবছর পর! দৌড়ে গিয়ে স্যারকে সালাম করলাম। স্যারের সেই আগের চেহারাটা মনে গেঁথে ছিল যার সাথে এখনকার কোনো মিল নেই। বয়স বেড়েছে,সাদা দাড়ি আর সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়া স্যার যেন অন্য কেউ। Nargis Begum বেবীর সাথে দেখা। একসাথে পড়তাম। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss