Sunday, April 10, 2016

দীপক ভাই‌কে নি‌য়ে লিখা পোস্ট‌টি প‌ড়ে খুবই মন খারাপ ছিল


দীপক ভাই‌কে নি‌য়ে লিখা পোস্ট‌টি প‌ড়ে খুবই মন খারাপ ছিল। অাজও তার ব্য‌তিক্রম ছিল না। বু‌কের ভেতর কেমন যেন একটা কষ্ট অনুভব কর‌ছিলাম। দিপক ভাই, যার হাত ধ‌রেই অামার ব্যায়াম জগ‌তে পদচারনা শুরু হ‌য়ে‌ছিল। বারংবার ম‌নে পড়‌ছিল সেই স্কু‌লের স্টেই‌জে উনার কো‌চিং এর মুহুর্তগু‌লো। উনার হা‌স্যোজ্জ্বল মুখ খা‌নি চো‌খের সাম‌নে ভে‌সে উঠ‌লে এখনও চো‌খে জল চ‌লে অা‌সে।

অাজ যখন কবীর ভাই‌য়ের সা‌থে দেখা হ‌লো তখন ম‌নে হ‌চ্ছিল যেন দীপক ভাই‌কেই সাম‌নে পে‌য়ে গেলাম। কারণ দীপক ভাই‌য়ের শেষ মুহুর্তগু‌লো খুব কাছ থে‌কে একমাত্র কবীর ভাই দে‌খে‌ছিল।

অাজও কবীর ভাই‌য়ের চোখ দু‌টো ছলছল কর‌ছিল যখন উনি দীপক ভাই প্রস‌ঙ্গে শেষ মুহুর্তগু‌লো অামা‌কে বর্ণনা কর‌ছি‌লো।

কবীর ভাই! এক পরা‌জিত সৈ‌নি‌কের ম‌তো জীবন যাপন কর‌ছেন। সেই দিন‌টির পর অাজও কবীর ভাই স্বাভা‌বিক জীবনে ফির‌তে পা‌রে নি। দীপক ভাই‌য়ের প্রসঙ্গ অাস‌তেই খেয়াল করলাম, কবীর ভাই যেন এক নিষ্প্রাণ অন্তর নি‌য়ে অাজও স্সৃ‌তিগু‌লো ব‌য়ে বেড়া‌চ্ছে।

ফুল যদি ভুল হয়


ছেলেটি মেয়েটি র বিছানার পাশে প্রতিদিন একটি ঘাস ফুল রেখে যেত। ছেলেটির ইচ্ছা করত গোলাপ রেখে যেতে কিন্তু তার সে সামর্থ্য ছিল না। আবার এই মেয়েটি যেহেতু তার স্ত্রী, তার উপর আবার অসুস্থ তাই ফুল রেখে যেত যাতে ঘুম থেকে উঠে ফুল দেখে তার মন ভাল হয়ে যায়।

একদিন ছেলেটি ফুল রেখে যেতে ভুল গেল।কারন অফিসের তাড়া ছিল।দুপুরে যখন সে মধ্যহ্ন ভোজ এ গেল তার স্ত্রী ফোন দিল কেন সে গোলাপ রেখে যায় নি তার জন্য। ছেলেটি বেশ অবাক হল।পরে বুঝতে পারল ছেলেটির ভালবাসার কারণে ঘাসফুল তার কাছে গোলাপের মত মনে হত।

সিনেমা বলতেই ফাইটিং সিনেমা কে ই বুঝতাম


সিনেমা বলতেই ফাইটিং সিনেমা কে ই বুঝতাম, সিনেমা শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত অন্তত গোটা দশেক মারামারি না থাকলে ঐ সিনেমা দেখে পোষত না। যখন ক্লাস এইট নাইনে পড়ি তখন, মামার বাসা থেকে প্রায় সময় ভিসি আর এনে রাখতাম, আর এই সব ডিসুয়া ডিসুয়া মার্কা ফাইটিং ছবি দেখতাম। 

এক দিন মরা রাশেদ এসে বলল নুতন একটা ছবি এসছে, নতুন নায়ক নায়িকা আমীর খান আর জুহি চাওলা। সিনেমার নামটা একটু বড়, দেখি রাশেদ ও নামটা ঠিক মত উচ্চারণ করতে পারলোনা, কি কেয়ামত কেয়ামত করে খালি। যাই হোক পরদিন রাশেদ ক্যাসেট টি দিল, বাসায় এনে দেখি নাম কেয়ামত সে কেয়ামত তাক। সিনেমা দেখা শুরু করলাম খালি ঘ্যান ঘ্যান সিনেমা, হালকা দু মিনিটের মারামারি আর শেষে নায়ক নায়িকা দু জনেই কুল্লু খালাস মানে ইন্তেকাল। ধুর! মোটেই ভালো লাগলো না।

যাদু


আমার গোপন কথাটি সখি রেখো গোপনে।

কবি গুরুর এই গানের কথাটি কেউ রাখেনা। কেউ যদি চায় তার কোনো কথা প্রচার করা দরকার তাহলে কথাটি কাউকে বলে শুধু নিষেধ করে দিতে হবে যেন অন্য আর কাউকে কথাটি না বলে তাহলেই আশা করা যায় সবাই ব্যাপার টা যেনে যাবে।

কোনো একদিন বন্ধু Monirul Islam Monir তার এক গোপন প্রতিভার কথা বলেছিলো বন্ধু Monowar Dalim Dalim কে এবং নিষেধ করেছিলো আর কাউকে যেন না বলে। ডালিম ও কথা রেখেছিলো একজন কে কথাটি বলে নিষেধ করে দিতো যেন আর কাউকে না বলে। এইভাবে মনিরের গোপন প্রতিভার কথাটি সবাই যেনে যায়। মনিরুলের গোপন প্রতিভাটা ছিলো ও মুখ দিয়ে পানি খেয়ে নাক দিয়ে সে পানির সম্পুর্নটাই বের করে দিতে পারে। আমরা বন্ধুরা সবাই মনিরুলের এই প্রতিভায় দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিদিন ই মনিরুলের কাছে এই যাদু দেখতাম। একদিন সবাই চিন্তা করলাম বিনা পয়সায় আর যাদু না। যাদু দেখতে হলে পয়সা লাগবে যেই কথা সেই কাজ ডি টাইপের টিউবওয়েল এর কাছে যাদু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হলো আমরা টিউবওয়েল থেকে এক গ্লাস পানি মনিরুল কে দিতাম ও সেই পানি মুখ দিয়ে খেয়ে নাক দিয়ে আবার গ্লাস ভর্তি করে পানি বের করে দিতো। যাদু দেখার মূল্য ছিলো চার আনা। চার আনার বিনিময়ে যে কেউ যাদু দেখতে পেতো। কয়েকদিন যাদুর ব্যবসা দারুন চলেছিলো। যাদু দেখানোর পয়সা দিয়ে আমরা জিলাপি কিনে খেতাম। আনোয়ারুল হক, ডালিম, বিপুল, মিল্টন, আমি আর যাদুকর মনিরুল এই যাদুর ব্যবসা করতাম। যে সময়ের গল্পটা এতোক্ষন আমি বললাম আমরা তখন অনেক ছোট ছিলাম সবে স্কুলে ভর্তি হয়েছি এমন। 

আমার দাদুর আর বোনের সাথে প্রায় দশ বছর আগে


আমার দাদুর আর বোনের সাথে প্রায় দশ বছর আগে। আহারে আমার দাদু ছবি তুলতে খুব পছনদ করতো।খুব মিস করি আমার দাদুমনিকে।আমাকে অনেক.......অনেক বেশি আদর করতো যা কখনও বলে বুঝানো জাবেনা।আমমা মারা যাওয়ার দাদু আমাদের সাথে থাকতেন।উনার আমরা চার বোন সব কিছু শেয়ার করতাম।অনেক আধুনিক ছিল কিনতু উনি।আমি কলেজ আর টিউশনি ছেড়ে যখন বাসায় আসতাম তখন উনি খাবেন বলতেন।কোন কিছু আমাকে ছাড়া করতেন না। জা হবে শামমী জা বলবে তা।আমার জন্য উনি সব সময় দোয়া করতেন জেন আমার খুব ভাল জায়গায় বিয়ে হয়,আমি জেন ভাল থাকি।আললাহ উনার দোয়া কবুল করেছে হয়তো।আমিও উনি যা যা পছনদ করতেন তাই করতাম।জখন আমার ছেলে হয় ৩০ মাথায় আমার দাদু আমাকে ছেড়ে চলে যায়।আমার ছেলেকে দেখতে ছেয়েছিল কিনতু আমি দেখাতে পারিনি কারন শশুর বাড়ির কতগুলা নিয়ম কাননের জন্য।যাক অনেক কিছু লিখে ফেললাম মাফ করবেন সবাই।।।আমার দাদুর জন্য দোয়া করবেন।দাদাদাদুর আদর অনেক রহমতের জিনিস জারা পায় তারা অনেক ভাগ্যবান আমার মতে।।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss