শ্রাবন মাস শুরু হয়ে গেলো বৃষ্টির দেখা নাই। বৃষ্টির জন্য Taskiatun Nur Tania সেকি আকুতি!! আজকে সকালে এবং সন্ধায় যে পরিমাণ বৃষ্টি পড়ছে তাতে আগামি কয়েকদিন তানিয়া বৃষ্টির জন্য কান্না করবে না। আজ সন্ধায় Shahabuddin Liton যখন আমাকে দেওয়ান হাট নামিয়ে দিলো, তখনও অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছে। লিটন যাওয়ার অনেকক্ষণ পরও দেওয়ান হাট মডেলের ভিতরে ঢুকে অপেক্ষা করতে লাগলাম বৃষ্টি কমার জন্য। কিন্তু কমার কোন লক্ষন দেখলাম না। তার উপর রাস্তায় প্রচুর পানি জমে গেলো। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর ৩০০ মিটারের মত রাস্তা চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কাকভেজা হয়ে বাসায় আসতে হলো। ভাড়া বেশি হলেও রিক্সাওয়ালা ধন্যবাদ। ওকে না পেলে আর কতক্ষন অপেক্ষা করতে হতো কে জানে। কারন এর আগে অনেক রিক্সাওয়ালা অনুরোধ করেছি, কেউ আসতে রাজি হয়নি।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, July 16, 2016
বৃষ্টি র দিন আসলে বিশেষ করে এক নাগারে মুষলধারা য় বৃষ্টি হলে কলোনি র কিছু স্মৃতির কথা মনে পড়ে
বৃষ্টি র দিন আসলে বিশেষ করে এক নাগারে মুষলধারা য় বৃষ্টি হলে কলোনি র কিছু স্মৃতির কথা মনে পড়ে। যেদিন খুব বিজলী চমকাত, রাতে ঘুমানোর সময় কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতাম। জানালার দিকে তাকাতে পারতাম না।মনে হত এই বুঝি বজ্রপাত হবে। আর যদি বৃহস্পতিবার হত আর সেদিন দেখাত হুমায়ুন আহমেদের ভয়ের নাটক " অন্য ভুবনের সে, কিংবা অন্য ভুবনের ছেলেটা " তখন আরেক অবস্থা হত। এই রুম থেকে আরেক রুমে যেতে ভয় পেতাম। এই মনে হত অদৃশ্য কেউ এসে হাত ধরবে। আবহ সংগীত টা কানে বাজত। আর নাটক না থাকলে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তাম। কিংবা ভাই বোনেরা কোন কিছু নিয়ে গল্প জুড়ে দিতাম।আমাদের বাসার ক্যাসেট প্লেয়ার টা ছিল নষ্ট। দেখা যেত একটা না একটা টপিক খুজে পেতাম। তখন আসলে বিনোদনের এত রসদ ছিল না। তাই বোধ হয় মানসিক শান্তি অনেক বেশি ছিল।এখন হাতের মুঠোয় সব, তবুও কি যেন কি নাই

গত বছর ফেসবুকে আমার ম্যারেজ ডের ছবিতে Nazmul Huda ভাই কমেন্টস করেছিলেন
গত বছর ফেসবুকে আমার ম্যারেজ ডের ছবিতে Nazmul Huda ভাই কমেন্টস করেছিলেন " আমাদের আতিক এখন অনেক বড় হয়ে গেছে", উত্তরে আমি বলে ছিলাম " আমি যতই বড় হই না কেনো আমি সেই কলোনির লুঙ্গী পড়া আতিকই আছি"।
এখানে স্বঘোষিত "কবি আতিক" লুঙ্গী পড়া বলতে খুব কাছের মানুষ বুঝাচ্ছে বা ঘরের ছেলে বুঝাচ্ছে।
এই" ঘরের ছেলে"কথাটাই আমার বউ বুঝতে চায়না, মহল্লার ভিতরের দোকানে লবন চিনি আনতে যাবো তাও প্যান্ট পড়ে যাওয়ার জন্য চিল্লাচিল্লি করে। আর ঢাকার বাইরে কোথাও গেলেতো লুঙ্গী নিতেই দেয়না। ব্যাগের মধ্যে ট্রাউজার ভরে দেয়,বলে হোটেলে লুঙ্গী পড়ে থাকলে নাকি আনস্মার্ট লাগে। আহ! এরা যদি লুঙ্গী র মাহাত্ম্য বুঝতো।
যখন ব্যাচেলার ছিলাম তখন আমার চাচাতো ভাই দের সাথে মিরপুরে এক ফ্ল্যাট বাসায় থাকতাম, সবাই তখন ব্যাচেলার। আর চাচাতো ভাই গুলো অল্প কিছু দিন আগে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছে, গ্রাম থেকে আসলে কি হবে, তারা ছিল আমার মত সারা জীবন শহরে থাকা ছেলের চেয়েও ড্যাম স্মার্ট, তিন তলা বাসা থেকে নীচ তলায় নামলেও তারা প্যান্ট লাগায়, আর আমি যদি কোন দিন লুঙ্গী পড়ে নীচে নামতাম তারা আমার সাথে হইচই লাগাতো, লুঙ্গী পড়ে নীচে গেলে নাকি তাদের নাকি প্রেস্টিজ ফুটো হয়ে যায়। এরেই বলে " দু দিনের যোগী, বলে লুংগী নাকি আনস্মার্ট সংগী"।
কলোনি তে ছেলেদের জাতীয় ড্রেস ছিল লুঙ্গী, প্যান্ট পড়া মানেই দূরে কোথাও যাওয়া। এমন কি কলোনির ভিতরে প্রেমিকার সামনেও লুঙ্গী পড়ে যাওয়ায়ও কোন বিধিনিষেধ ছিলনা।
একদিন সবুজ চেক লুঙ্গী, সবুজ সাদা স্ট্রাইপ শার্ট পড়ে কলোনি তে ঘুরাঘুরি করছিলাম, পরনের স্পঞ্জ জোড়াও ছিল সবুজ মিশ্রিত।এটা দেখে আমাদের অপু ভাইয়ের ছোট ভাই Abdullah Al Mahbub টিপুর মন্তব্য ছিল " আতিক ভাই দেখি আজকা পুরা কমপ্লিট ম্যান"। আসলে আমি সেদিন খেয়ালই করিনি যে, সবই সবুজ রঙের মিশ্রণ ছিল। আর খেয়াল করলেও কিছু করার ছিলনা।ভাই টিপু, সে সময় সম্ভবত কলোনির কারোই (দু একজন বাদ দিলেও)বাছবিচার করে পোষাক পড়ার সুযোগ বা সাধ্য ছিলনা। যা পাইতাম বা যোগাড় হইত তাই পড়তাম।
তবে কলোনির অনেকেরই নাকি ঘুমের মধ্য লুঙ্গী নাকি লুঙ্গী থাকতোনা, খুলে গলার মালা হয়ে যেত।
( মোটা বাবু ভাই যদি এই পেজে লেখালেখি করত তাহলে এ গলার মালা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বয়ান দিতে পারতো)।
---যুগযুগ জড়িয়ে থাকুক লুঙ্গী আমাদের কোমরে।
আমরা জাকিয়া আপাদের বাসায় পড়তে যেতাম দুপুর বেলা
আমরা জাকিয়া আপাদের বাসায় পড়তে যেতাম দুপুর বেলা। তখন মাঝে মাঝে আপার মেয়ে ডানা গলা সাধত। গানটা শুনতে শুনতে আমারো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল।
" কৃষ্ঞচূড়া ডাক দিয়েছে,
আয়রে পলাশ আয়রে আয়,"
একই গান গেয়ে মিষ্টিও গলা সাধত। একই জায়গায় গান শিখত,নারকেল তলায়। তবে মিষ্টির গলা সাধা বেশি শুনতাম শুক্রবার সকালে। তবে জাকিয়া আপার বাসায় উনার বড় ছেলে হিমন ভাই মাঝে মাঝে কিছু সুন্দর গান শুনতেন।তার মধ্যে একটি গান মনে গেঁথে আছে।এই গানটা অনেক খুজেছি,পাইনি। তবে নিজের জীবন টাকে এই গানের মত করে সাজাতে পারলে ভালই হত-
" আমি কি স্বপ্নে দেখছি না ত,
আমি কি স্বপ্নে দেখছি না ত,
আমার স্বপ্নের রাজকন্যা আমারই দ্বারে"
(এইটা শুধু লিখার জন্য লিখা)
এই মক্তবে আমার কোরান শরীফ শেষ করতে পারিনি
এই মক্তবে আমার কোরান শরীফ শেষ করতে পারিনি। পরে ৩ নং বিল্ডিং এর সিড়ি ঘরে গিয়ে পড়তে হত।সেখানে আমার সহপাঠী ছিল Shazzad Shakilএকা আপার ভাই। ঝুমুর ঝুম ঝুম আপারা থাকতেন। বৃহস্পতিবার এ আমাদের নামাজ পড়াতে হত। একদিন আমি ইমাম হলে আরেকদিন শাকিল। শাকিল ভুল করে পড়াত। তাই হুজুর আমাকে দিত। আমি শাকিল কে জিজ্ঞেস করতাম ভুল হয় কেন? ও বলত, জনি ভাই শুদ্ধ করে পড়ালে হুজুর বার বার পড়াতে দিবে। তাই।
এই ব্যাপার টা অফিসে খেয়াল করি।কলিগ রা বলে বেশি সিনসিয়ার হলে নাকি ম্যানেজার কাজ দিবে।তাই ফাকিবাজি করেন। ছোটবেলার ব্যাপার গুলো পেশাগত জীবনে ফেস করতে হবে ভাবিনি

প্রায় দুই মাস পর গত বৃহস্পতিবার আমি আর লিটন ঢাকা গিয়েছিলাম
প্রায় দুই মাস পর গত বৃহস্পতিবার আমি আর লিটন ঢাকা গিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত টঙ্গিতে ছিলাম। সাতটায় কলাবাগান পৌঁছে চিটগাং এর টিকেট করার পর একটু বসুন্ধরা সিটিতে গেলাম। রোজার ঈদের পরও বসুন্ধরা সিটিতে এত ভির। নিরাপত্তা জনিত কারনে সবাইকে লাইন ধরে ডুকতে হলো। সেখানেই অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো। ঢাকা সিটির বাইরে থাকার কারনে এবং সময় স্বল্পতার জন্য কাউকে ফোন দিতে পারি নাই কিংবা দেখা করতে পারি নাই। তার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এরিমধ্যে একমাত্র Abu Naser রাত পৌনে আটটার দিকে ফোন দিয়েছিলো দেখা করার জন্য। তার সাথেও দেখা করতে পারি নাই।
কলোনীতে থাকতে ঈদের সালামি দিয়ে একটা কমন কাজ ছিল আমার
কলোনীতে থাকতে ঈদের সালামি দিয়ে একটা কমন কাজ ছিল আমার এবং তা হলো রাতে ভাত খাওয়ার পর ইউনুস ভাইয়ের দোকানে গিয়ে ৭টাকা দিয়ে কোক কিনে খাওয়া দোকানের সামনে সিমেন্টের টুলে বসে।।।এক বোতলে অনেক কোক মনে হতো শেষই হয়না। যে ঢেঁকুর দিতাম !!!ঢেঁকুর এর সাথে সাথে নাকে এসে ঝাঁঝ জমতো।।আর এখনকার কোক কেমন মিষ্টি মিষ্টি।।আহা সেই দিনগুলি মোর!!!!
বয়সের দোষ নাকি চিরসবুজ
Csm কলোনি র ভাই বোন দের একটা বিষয় খেয়াল করি।যখনই কোন ভাই বোন তার পরিবার কে নিয়ে ছবি দেন, কেন জানি তার পরিবারের পাশে তার বয়স টা কম মনে হয়। ভাইদের ক্ষেত্রে মনে হয় ভাবির বয়স বেশি আর আপাদের ক্ষেত্রে মনে হয় দুলাভাইয়ের সাথে বয়সের গ্যাপ অনেক বেশি।যদিও জানি এটা আমার চোখে র ভুল। যেমন- আতিক ভাইয়ের চুল কমে গেলেও উনারে ভাবির চেয়ে ছোট লাগে। আর একই ব্যাপার আপাদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু কলোনির কোন ভাই এর সাথে যখন কোন আপার ছবি দেখি যারা বাস্তবে স্বামী, স্ত্রী তাদেরকে আবার এমন মনে হয় না।
কেন যে এমন লাগে।হয়ত আমার কাছে কলোনি র কোন ভাই বা আপার বয়স বাড়েনা।ছোটবেলা থেকে তাদের যে চেহারা দেখে বড় হয়ছি এখনো সেই চেহারা মনে গেথে আছে। তাই তারা চুল পাকলেও বা চেহারায় বয়সের ছাপ পড়লেও আমার কাছে চিরসবুজ।

আত্মীয়পরিজন
Babu Csm Club vai আর Jahed Tipu ভাই কিন্তু কলোনি র বড় ভাই ছাড়াও আমার আত্মীয় হন।উনার আম্মাকে আমি ডাকতাম ফুফু আর উনারা আমার বাবাকে মামা। কলোনি তে থাকতে দুই পরিবারের মধ্যে আসা যাওয়া ছিল। ফুফু আসতেন বিকালবেলা। কিন্তু বৃষ্টি র দিনে একেবারেই না। আসতেন, আর আম্মার সাথে গল্প করতেন। সাথে আসত এনি, আর রিংকি।ওরা খেলত। ফুফু অনেক গল্প করতেন।উনি আসলে আম্মা এক ধরনের পিঠা বানাতেন। মাঝে মাঝে আমরাও যেতাম উনাদের বাসায়। উনাদের বাসায় লাভ বার্ড নামে এক ধরনের পাখি ছিল খুব সুন্দর। দুপুরে একবার গেলাম। উনাদের বাসার সামনে স্লিপার এ স্লিপ খাচ্ছি।ফুফু বললেন ঠিক দুপুরে স্লিপার এ চড়া ভাল না। বাবু ভাই ছিলেন শান্ত আর টিপু ভাই চঞ্চল। এখনো ঠিক সেরকম আছেন।আর ফুফু আর ফুফা আগের মতই আন্তরিক। আব্বা আম্মাকে দেখলে আগের মতই আবেগ তাড়িত হয়ে গল্প জুড়ে দেন

আমার ছোটবাবা অনেক আদরের
আমার ছোটবাবা অনেক আদরের,সেদিন একটা হলুদের অনুষটানে ব্যানডে যারা গান গাইছে ওদের গিয়ে বলছে এ ফোন থেকে একটা গান গাইতে হবে।সে আমার ফোনটা নিয়ে গেল আমি ভাবলাম মনে হয় ছবি তুলবে।কিনতু না তা না কত ক্ষন পর দেখি মিউজিসিয়ানরা ওই গান গাইছে,আমার সিএসএম,প্রানের সিএসএম ওতটা ভালো করে পারছে আমাদর সুজন ভাইয়ের মতো।অনেকে বলছে এটা আবার কি আমি জুবায়ের কে ধরে দিলাম বকা।তখন বুঝলাম আমার ছেলে আমাকে খুশি করতে আর সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল।কিনতু আমি বললাম এ গানটা শুধু আমরা সিএসএম কলোনির সব মানুষের জন্য।এ গান শুধু আমাদের।আমার সাথে আমার ছেলেও সেই কলোনি টাকে খুব ভালবাসে।মনে হলো তাই লিখলাম।চিটাগাং ক্লাবের সুইমিংপোলের এরিয়াতে হয়েছিল।অনেকে শুনেছে গানটা কেউ বুঝেনি।আমি আর আমার পোলা ছাড়া।।

আজ পাচ বছর যাবত জয়দেবপুর আছি
আজ পাচ বছর যাবত জয়দেবপুর আছি। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কারনে আসা হয়েছিলো। এই পাচ বছরে অনেক বন্ধু/বান্ধব জুটে গেছে।আমি যে বাসাটায় ভাড়া থাকি, সেখানে আরও পাচটি পরিবার ভাড়া থাকে। সবার সাথে সবার একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। শুধু বাড়িওয়ালী ছাড়া! মাসের দুই তারিখে বাড়ি ভাড়া দেই।আজ পর্যন্ত সারাফের মা'র হাত দিয়ে ভাড়া দেওয়াতে পারিনাই।বাড়িওয়ালি কে দেখলেই নাকি, সারাফের মা'র প্রেসার আপ/ডাউন করে!! শুদু সারাফের মা একা নয়, ফ্ল্যাটের অন্যান্য ভাবিরাও বাড়ীওয়ালিকে এড়িয়ে চলে!! তবে আমার সাথে সম্পর্কটা ভালো। আমি ভাড়া দিতে গেলে, আমাকে বসতে বলে, চা/নাস্তাও খেতে দেয়!! এবং আমি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে ভদ্রমহিলার প্যাচাল সুনি। উনার একমাত্র মেয়ে ডাক্তারি পড়ে, উনার ভায়েরা সব বড়/ব্ড় যায়গায় চাকুরি করে, তারপর এই বাড়িটা, সেটাও উনার বাবার যায়গা!!
আমিও বলি, আপনাকে দেখলেই বুঝা যায় ভাবী, আপনি খানদানি বংশের মেয়ে!! আর আপনার মেয়েতো খাটি সোনা!! আপনি ঠিক আপনার মত করে, মেয়েটিকে মানুষ করেছেন!! বাড়ীওয়ালী ভাবীর কাছে, আমি খুব ভালো মানুষ!! বাড়ি ভাড়া দিতে যদি কখনো মাসের ১৫তারিখও হয়ে যায়, উনি হাসি মুখে বলেন, সমস্যা নাই ভাই , আপনি সুবিধামত ভাড়া দিয়েন!!। আমার পাশে থাকে কাইয়ুম ভাই। একদিন ভুলে রাত্রি বেলায়, নিজের বাসা মনে করে কাইয়ুম ভাই-এর বাসায় কলিং বেল দিয়ে বসি!! ভিতর থেকে উত্তর আসে, কে?? আমিও বলি, দরজা খুলো সারাফের মা!! কিছুক্ষন পর দেখি, দরজা খুলে কাইয়ুম ভাই বেরিয়ে এসেছে, পিছনে ভাবী!! হাসতে/হাসতে কাইউম ভাই বললো, রেজা ভাই আপনি ভুল করে আমার বাসায় বেল দিয়েছেন, আপনার বাসাতো চার তলায়!! বড়/সড় একটা বাশ, কাইয়ুম ভাই আমাকে দিলো!! কারন চার তলায় যে ভাবী থাকেন, উনি অপুর্ব সুন্দরী। কাইয়ুম ভাই-এর সাথে এখন আমার ভালো বন্ধুত্ব।কাইউম ভাই একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করে বসলো, আচ্ছা রেজা ভাই, আপনার সাথে এই খান্ডারনি বাড়িওয়ালির এত গভীর সম্পর্ক কি ভাবে হলো?? এই খান্ডারনিরে দেখলেই আমার গায়ে জ্বর আসে!!! আরে কাইউম ভাই, সারা বাংলাদেশের বেশির ভাগ বাড়িওয়ালি-ই, খান্ডারনি মার্কা হয়!! শুধু একটু পাম দিয়ে চলা!!
মাঝে মাঝে খান্ডারনীকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানান দিবেন, "আমি আপনার ভাড়াটিয়া, আর আপনি আমার মালিক"!!! এই খানেই বাড়ীওয়ালীদের "চরিত্র" নিহিত রহিয়াছে!! কি বুঝলেন কাইউম ভাই?? বুঝছি রেজা ভাই, আপনে একটু কস্ট করে, তোয়াহ'র মাকে বুঝিয়ে বলেন!!![তোয়াহ হলো কাইউম ভাই-এর মেয়ে]।মনে মনে বলি, তোয়াহ'র মাও বাড়ীওয়ালী, শুধু একটা বাড়ি বানিয়ে দাও, খান্ডারনি হতে বেশি দিন লাগবেনা।
কেমন পাত্র চাই
কলোনি তে থাকতে জেক্সের মাহমুদ ভাই থেকে একটা ম্যাগাজিন এনেছিল।আনন্দ বিচিত্রা।সেখানে শমী, বিপাশা আর মৌ কে নিয়ে ফিচার দিয়েছিল। কেমন পাত্র চাই।তখন ছিল ওদের ক্রেজ। মৌ লিখেছিল, ছেলে ওভার স্মার্ট হবার দরকার নাই। ভুলে ড্রিংক করে ফেলেছে একবার কি দু বার এমন ছেলেকে বিয়ে করতে আপত্তি নাই।বিপাশা লিখেছিল নাটক করতে দিতে হবে।অভিনয় ছাড়তে পারবেনা। আর শমী বলেছিল উন্নাসিক ছেলে পছন্দ না।আর যে ছেলে অফিসের কাজ বাসায় নিয়ে আসে তাকে বিয়ে করবে না। এই ব্যাপার টা তখন বুঝি নি।এখন বুঝি। আসলেই অফিসের কাজ বাসায় এনে বাসার পরিবেশ, ছুটির দিনের আমেজ নষ্ট করার কোন মানে হয় না। যে জিনিসটা আমি করতাম। বাসার কাজ বাসায় আর অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করা উচিত। না হলে দুই দিকেই সমস্যা হয়।
photo Taskin Ashiq

MD Younus কলোনির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ
MD Younus কলোনির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ,বলা যায় জনপ্রিয় মুখ এবং আরো বলা যায় সে ছিল কমন ফ্রেন্ড ফেসবুকের ভাষায় যারে বলা যায় মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। সে যেমন আমার বা আমার সমসাময়িক দের বন্ধু তেমনি ছিল আমার সিনিয়র বা জুনিয়র দেরও ফ্রেন্ড ছিল। জীবনের বহু গুপ্ত তথ্য বা ইতিহাস তার সাথে শেয়ার করছি।
যা হোক,ইউনুসের দোকানে মোটামুটি আমরা সবাই বাকীতে পান সিগারেট, কোক বিস্কুট খেতাম এই খাওয়ার পাশাপাশি এই বাকী টাকা পরিশোধের জন্য তার কাছ থেকে পুরো ফ্রিতে ঝাড়িও খাইতাম। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম সবাই সমানে ঝাড়ি খাইলেও কেন জানি সে আমাকে ঝাড়তোনা। আর আমিও মনের আনন্দে সেখানে বাকীতে পান বিড়ি ফুকতাম আর মাঝেমধ্যে অল্প অল্প টাকা পরিশোধ করতাম। অবশেষে কৌতুহলেই ইউনুস কে জিজ্ঞেস করলাম -- " আমি তোর কাছ থেকে বাকী খেয়ে অল্প টাকা দেই, পুরোটা দেইনা, তারপরও তুই আমারে ঝাড়ি দেস না কেনো? ইউনুস উত্তরে কিছু বলেনা, খালি মিটিমিটি হাসলো।
অবশেষে এই রহস্যের উত্তর পেলাম আমি ঢাকায় চাকুরী জয়েন করার কিছু দিন আগে।
" আব্বা ইউনুস কে নাকি বলেছিল, আমি ইউনুসের দোকান থেকে কিছু বাকী তে কিনতে চাইলে আমাকে যেন সে দিয়ে দেয়, টাকা আব্বা পরে শোধ করে দিবে," তবে আব্বার এ কথা টা আমাকে না বলার জন্য ইউনুস কে বলা হয়েছিল।
ইউনুসের বাকী পরিশোধের জন্য ঝাড়ি না দেওয়ার ঐ রহস্যটা আমি একবারে শেষ মূহুর্তে জানতে পেরেছিলাম।
সহপাঠিনী
আমি যখন প্রথম স্কুলে যাই, তখন আমাদের ক্লাসে বেশ কিছু মেয়ে আসত মাইক্রো বাসে করে,টি এস পি না কোথা থেকে।কথা বলতাম না।ক্লাস ওয়ানে অনিকা আমাদের ক্লাসে ছিল।আরো ছিল ময়না, মৌটুসি । ক্লাস টু তে ছিল মেরিনা,এ্যানি। ক্লাস থ্রি তে ছিল মিষ্টি, যুথি, মুনমুন, ছবি।মিষ্টি পড়া দেবার সময় সুর করে পড়া দিত। মনে হয় গান শিখত, তার প্রভাব।একই ভাবে পড়া দিত যুথি। আর তবারক ভাইয়ের বোন পড়া দেবার সময় ভুলে গেলে দেয়ালের দিকে তাকাত।মাকসুদা আপা বলতেন,কি রে দেয়ালে কি পড়া লিখা আছে? আমি এগুলো আমার ছোট আপা কে বলতাম আর হাসাহাসি করতাম। ক্লাস ফোরে ছিল পাপিয়া। খুব সোজা টাইপের।ক্লাস ফাইভে মেয়েরা আর আমাদের ক্লাস আলাদা হয়ে যায়।শুধু বৃত্তি র কোচিং ক্লাসে যুথি আর মিষ্টি ছিল। শায়লা আমার কোন ক্লাসে ক্লাসমেট ছিল না। তবে সোনিয়া ছিল। বেলিও ছিল না। মিল্কি পাশের বিল্ডিং এ থাকার কারনে খেলা হত একসাথে কিন্তু ক্লাসে পাইনি। ক্লাস ফাইভের পর অনিকা ত প্রতিবেশী হয়ে গেল। পড়া নিয়ে অনেক হেল্প করছে।

সেই কবে সিনেমা হলে বসে সিনেমা দেখেছি
সেই কবে সিনেমা হলে বসে সিনেমা দেখেছি!!!!যা দেখেছি তার বেশিরভাগ সিনেমা বনানী কমপ্লেক্সেই দেখা।।হলে ঢুকতেই সেন্ট্রাল এসির ফ্লেবার (যা তখনকার সময়ে শুধুমাত্র সিনেমা হলেই পাওয়া যেত) সাথে অন্ধকার হল,ঢুকার সাথে সাথে এক লোক টিকেট দেখে নিয়ে তার টর্চ লাইট দিয়ে বসার সীট দেখিয়ে দিত।তারপর সীটের লাইনে গিয়ে হাতরে হাতরে কাঙ্ক্ষিত সীটে গিয়ে বসতাম।সীট গুলো ছিল ভাঁজ করা,ভাঁজ খুলে বসতাম আবার উঠে গেলেই সীট ভাঁজ হয়ে যেত।সিনেমার শুরুতে জাতীয় সংগীত বাজতেই সবাই উঠে দাঁড়াতাম।আর সিনেমার বিরতিতে ঝাল ঝাল চিপস ছিল দারুন,স্টলের লোকের ফানটা কোক নিয়ে দর্শকের সারির পাশ দিয়ে হেটে চলা টুং টাং শব্দ ভাসে।আজকের আমার এক পোস্টে Taj Suman ভাইয়ের একটা কমেন্ট দেখেই সিনেমার স্মৃতিটি মনে পড়লো।।
এখনকার সিনেমা হলের সম্পর্কে ধারনা নেই, এখনো কি জাতীয় সংগীত শুনে মানুষ উঠে দাঁড়ায়!!!!!???
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!