আমাদের ব্যাচ এর ছিলো।ওরা থাকতো এফ/২ নং বিল্ডিং এ।পরে আমাদের পাশের বাসায় আসলো।এফ/১ এ।তার বাবার নাম হচ্ছে আব্দুল আলম। সিকিউরিটি সেকশন এ ছিলো।রাউজান হচ্ছে তাদের বাড়ী। কলোনী থেকে বের হওয়ার পর তারা নারিকেল তলায় ভাড়া বাসায় অনেক দিন ছিলো।মিজানের বড় ভাই Md Hannan আর তার ছোট ভাই হচ্ছে Cricketer Minhaj মিজান কলোনীতে খুব ঘুরে বেড়াতো।হাসি খুশির মাঝেই সবাইকে মাতিয়ে রাখতো।কলোনী থেকে বের হওয়ার পরে মিজান দুবাই গিয়েছিলো।ঐ খানে ভালোই ছিলো।মাঝে মাঝে ফোন করতো।রাউজানে বাড়ি করার পর তারা সবাই ঐখানেই চলে আসলো।গত বছর দেশে এসে বিয়ে করেছে।বন্ধুদের বিয়ের দাওয়াত ও দিয়েছে।যাওয়া হয়নি।ফোনে কথা হয়েছিলো।আমাদের পাশের বাসায় ছিলো বিধায় আমাদের সাথে ওর পরিবারের সাথে যোগাযোগ ছিলো এখনো আছে।ওর বিয়ের ঠিক ১৯ কি ২০ দিনের দিন বন্ধুর মৃত্তুর খবর পেলাম।গত বছর কোরবান ঈদের ঠিক আগের দিন রাতে মারা গেছে মিজান।ঐ দিন রাতে নাকি পুকুরে ওযু বানাতে গিয়ে পুকুরে পরে গিয়েছিলো। আর উঠতে পারেনি।রাতে খুযার পরে পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখেছে।দেশে আসছিলো ছুটিতে আর যাওয়া হলোনা দুবাই।
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Saturday, April 9, 2016
আজ পিংকি আর কাশেম চাচি আসছিলেন বাসায়
আজ পিংকি আর কাশেম চাচি আসছিলেন বাসায়। দিনটা খুব দারুন পার হল। আম্মা থাকলে আরো ভাল লাগতো। বাসায় মাঝে মাঝেই চাচিদের আড্ডা বসতো। কাশেম চাচি আর আম্মা প্রথম লুডু খেলার সুচনা করেছিলেন। সে কি নেশা দুজনের! আমার দায়িত্ব ছিল উনাদের চা আর পান সাপ্লাই দেয়া।তখন সি টাইপে থাকতাম। আস্তে আস্তে তা ছড়িয়ে পড়লো বি টাইপেও। সবার বাসায়ই লুডুর বোর্ড কেনা হয়েছিল। যে যখন যে বাসায় যেতেন সেখানেই এক রাউন্ড হত। বি টাইপে আমরা আর চাচিরা যাবার পর খানসুর চাচি,সিদ্দিক চাচিও যোগ দিলেন। সেকি খেলা! পরে দেখা গেলো চার গুটিতে হচ্ছেনা।একেকজন আট গুটি নিয়ে বসতেন।ওদিকে লুডুর বোর্ড ছিল শুভদের বাসায়। যে বাসায় যেতেন চায়ের আগে এক রাউন্ড খেলা পরে চা আর পান চলতো। আহা,কি দিন। এখন খালি একসাথে হলে এইসব গল্পই চলে। আজ চাচিকে দেখে ওসব মনে পড়ছিল।
আমার বন্ধু মনিরুল, খুবই ঘনিষ্ঠ
আমার বন্ধু মনিরুল, খুবই ঘনিষ্ঠ, বহু আকাম কুকামের সাথী,ঔষধ বানিজ্যের আমার প্রধান পার্টনার, চিকিৎসা বিজ্ঞানে তার কাছ থেকে বহুবিধ জ্ঞান অর্জন করছি। শালা ছিল প্রচুর বিদ্যানুরাগী, তবে পাঠ্য বইয়ের প্রতি তার কোন আকর্ষণ ছিলোনা, অপাঠ্য বইয়ের প্রতি ছিল তার প্রবল আকর্ষণ। এই শালার সংগে মিলে ইপিজেড এর এক বই এর দোকান থেকে বই ভাড়া আনতাম, নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি উনার প্রচন্ড দুর্বলতা ছিল। সাংগঠনিক কাজে উনার ক্ষিপ্রতা ছিল ইর্ষনীয়। উনি যে কাজ ধরতেন "টিপো সুইচ জ্বালাও বাত্তি" স্টাইলে দ্রুত গতিতে সে কাজ সম্পন্ন করতেন। আমার রোমান্সের সহায়তায় উনি কিছু দুর্দান্ত সাহসী কাজ করেছেন। বন্ধু মহলে উনি সবার আগে ইনকাম করা শুরু করেন, উনার শিনার মত উনার আত্মা টাও বড়, ঢাকা শহরে উনি উনার ব্যবসা শুরু করেন, তখন ঢাকা শহরে আমরা কপর্দক শূন্য অবস্থায় এলেও জনাব মনিরুল আমাদের বটবৃক্ষের ন্যায় আশ্রয় দিতেন এনং চিটাগাং যাওয়ার ভাড়াও দিয়ে দিতেন। উনি বন্ধুমহলে সবার আগে শহিদ হোন মানে বিয়ে করেন, দাম্পত্য জীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি জ্ঞান উনি আমাদের সবিস্তারে বিতরন করেন।
মুখের ভিতর স্প্রে মেরে গন্ধ দূর করার দুর্লভ জ্ঞান উনিই আবিষ্কার করেন। আমার চাকুরী জীবনের প্রথম দিকের নিরামিষ দিনগুলোতে উনি আমাকে সংগ ও সাহস দিয়েছেন।
পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা তাদের ব্যক্তিত্বের গুনেই অন্যকে আকর্ষন করতে পারে
পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা তাদের ব্যক্তিত্বের গুনেই অন্যকে আকর্ষন করতে পারে। এমনকি ভিন্ন মতের মানুষকেও কাছে টানতে পারে। সদা হাস্য মুখ, পরোপকারে ক্লান্তিহীন, সজ্জন, সদালাপি এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে দিন দিন কমে আসছে। উপরোক্ত গুনাবলীর অধিকারী-বন্ধু দুইটির একজনের নাম ‘‘হাফিজ” অন্য জন ‘‘সওগাত”।
স্কুল জীবনে দেখেছি হাফিজ কে অত্যন্ত মেধাবী ও তীক্ষ্ম বুদ্ধি মত্তার অধিকারী যদিও স্কুলের গতানুগতিক পরীক্ষায় সেই অনুপাতে কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। আর এই জন্য তাকে কখনো ব্যকুল ও দেখিনী। বরংচ জীবনকে সব সময় স্বভাবিক, সামাজিকতায় আচ্ছন্ন, রসময় ও উচ্ছৃল করে নেওয়ার প্রবনতা হাফিজকে এক অপূর্ব ব্যক্তিত্বে রূপদান করে। হাফিজের মুখস্ত বিদ্যার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। কোন কিছু না বুঝেও সে অনার্গল মুখস্ত করে ফেলত-অনেকটা লোহা খেয়ে লোহা হজমের মত। অসম্ভব পরিশ্রমি ছিল সে। ভাল ফুট বল খেলত। তার হাতের লেখা ছিল অসাধারন। যে কোন সংগঠনিক কাজেও খুব গুছিয়ে করতে পারত। খুব স্টাইলীস্ট ছিল। আধুনিক যে কোন স্টাইলকে সে ফল করতে ভালবাসত। স্কুল জীবনের অনেক টা সময় দুজন এক সঙ্গে কাটিয়েছি-আজ স্মৃতি চারনার এই মুহুর্তে তার আগামী অগ্র যাত্রা, সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
চিটাগাং এর এক বড় ব্যবসায়ীর ছেলে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত
চিটাগাং এর এক বড় ব্যবসায়ীর ছেলে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত, ঢাকায় চিকিৎসাধীন, প্রতি তিন মাস পরপর বি+ রক্ত দেয়া লাগে। িএপ্রিল ২৯ এর রক্ত দান প্রোগ্রামের কারনে রোগীর স্বজন রা কলোনীতে যোগাযোগ করে। সে প্রেক্ষিতে ৯৭ এর ডিসেম্বরে আমার বন্ধু রানা সহ তিনজন রক্ত দিতে ঢাকা যায়। আবার মার্চে দেয়া লাগবে,রোগীর আত্মীয় স্বজন ব্যাপক সমাদর করে রক্ত দাতা দের। এবারের যাবো আমি ,দীপক দা আর মিজান ভাই। ৯৮ এর মার্চের ৮ বা ৯ তারিখে ঢাকায় রওনা দিবো সৌদিয়া এসি বাসে, টিকেট কাটা হয়ে গেছে এক দিন আগে আমার জ্বর শুরু। এ অবস্থায় আমার রক্ত দিতে ঢাকায় যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। আমার বদলে নেওয়া হলো কলোনীর বাইরের সম্ভবত দক্ষিন পতেংগার কাশেম নামে এক ব্যাক্তিকে,গার্জিযান হিসেবে গেলেন কবির ভাই (লম্বা কবির ভাই)।
সেদিনই বিকেলে জ্বর একটু কম, বাজারের সালাউদ্দিন ভাইদের দোকানে আড্ডা দিচ্ছি, একটি ফোন এলো, সাথে সেই ভয়াবহ সংবাদ, দীপক দা ,মিজান ভাই আর কাশেম নামের ওই ব্যাক্তি যে কিনা আমার বদলে গিয়েছিলো তিনজনই ফেনীতে বাস একসিডেন্টে আর নেই, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস প্রথম এই খবর টা পেলাম আমি, আর এ যাত্রায় কাশেমের পরিবর্তে আমার যাওয়ার কথা ছিলো, খবর টি শুনে আমার পিঠ দিয়ে মনে হলো চিকন একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। কোন মতে জেকসের শাহনুর ভাইকে খবর টি দিয়ে উদভ্রান্তের মত বাসায় গিয়ে শুয়ে ছিলাম। পুরা কলোনী তে খবর রটে যায় মূহূর্তেই। কলোনী থমথমে হয়ে যায়। রাতে দীপক দার লাশ আসে, পুরা কলোনী কান্নায় ভেংগে পড়ে, দীপক দাকে দাহ করার সময় কবির ভাইয়ের কান্ন্া মনে পড়লে এখনো চোখে পানি এস পড়ে। ওই চারজনের মধ্যে উনিই বেঁচে ছিলেন।
আশোক - The lord of the jungle (Buijjar Bagan)
তখন অনেক ছোট, বোধয় 4/5 এ পড়ি। শয়নে, স্বপনে টারজান ছিল আমাদের স্বপ্নের পুরুষ। মনে প্রানে টারজান কে আমরা মানতাম হিরো হিসেবে। সেই টারজানের কিছু ফ্লেভার পাইতাম আমারা আশোকের ভেতর। নারকেল গাছের ডাল দিয়ে দোল খাওয়া, দোতলার কার্নিশ থেকে প্রিকুলিয়ার আওয়াজ করে জাম্প দেয়া, তীর ধনুকের ব্যাবহার, সর্বোপরি ৬নাম্বার বিল্ডিং এর আযমের লগে ফাইটিং, সব মিলায় আশোক ছিল আমাদের সেই টারজান এর মূর্তিমান প্রতীক।
তবে চরম বদ হিসেবে ওর ছিল কলোনিতে খুব সুনাম। কারও কিছু হারানো গেলে বা নষ্ট হলে সন্দেহের তীরটা প্রতমেই যেত ওর দিকে। ওর চুরির অপারেশনে নিজ মুরগির খামার বা নারকেল গাছও বাদ যেত না।
একটা ই পেজ, একটা ই গ্রুপ, একটা ই ঠিকানা, "সিএসএম কলোনি"
একটা ই পেজ, একটা ই গ্রুপ, একটা ই ঠিকানা, "সিএসএম কলোনি"। এর কোন শাখা,প্রশাখা,বিশাখা নেই। এটি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান তৈরির বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র নয়। সম্পূর্ন স্বতন্ত্র এবং একক একটি পেজ বা গ্রুপ। নামে নামে মিলে গেলেও কোন বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। এখানে কোন স্বজন প্রীতি বা স্বজন ভীতি নেই। এ পেজের সকল সদস্যই আমাদের স্বজন।
যারা এ পেজের মেম্বার নন তারা এ পেজ সম্পর্কে দয়া করে কোন জ্ঞান দিবেন না। এ পেজের সদস্যদের মতামতই গুরুত্বপুর্ন ও যথেষ্ট। আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করতে পারি।
এটা শুধু নির্মল, নির্দোষ বিনোদন, সুখ দু:খ, আনন্দ বেদনা একে অপরেরর সাথে শেয়ার করা জায়গা। পাশাপাশি মানবিকতার গান গেয়ে চলি সবসময়।
গ্রান্ড আড্ডা ২০১৮
গ্রান্ড আড্ডা ২০১৮, সিএসএম কলোনি, ভেন্যু: কক্সবাজার।
-----------------------------------------------------------------------------------
এবারের এই আসরে সিএসএম ফার্স্ট জেনারেশন আসেনি, এত দূর জার্নি,, উনাদের এখন বয়স হয়ে গেছে, তাই এতো ধকল নিলেন না। আবার ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে অনেকের ছুটি ছাটা ইত্যাদি ঝামেলায় আসতে পারে নাই, তবে বিশাল অংশই আছে।
যারা ফ্যামিলি নিয়ে আসছে এবং মেয়েরা হোটেল সায়মানে উঠেছে, যারা ব্যাচেলর বা ফ্যামিলি ছাড়া এসেছে তারা উঠেছে ওশেন প্যারাডাইস হোটেলে। এই নন ফ্যামিলি দলে আছে আতিক,রেজা ভাই, নাজমুল ভাই,নিরু ভাই আরো কলোনির কিছু জুনিয়রর ভাইয়েরা। আর হোটেল সায়মানে জিয়া ভাই,শাহিন ভাই,বন্যাপা সহ কলোনির আরো জুনিয়র সিনিয়র ছেলে মেয়েরা।
কিন্ত মজা হচ্ছে বেশি ওশেন প্যারাডাইজে, যেখানে সব ফ্যামিলি ছাড়া পোলাপান, নিরু ভাই গানের তালে তালে ব্রেক ড্যান্স দিচ্ছে। এখন আতিক নাচবে।
ওহ! ওহ! খাটের পাশের ওয়ালে পায়ে বাড়ি খাইছিরে। ধুর এতো সুন্দর স্বপ্ন আর ঘুম টা ভেংগে গেলো।
যেজন আছেন মাঝখানে
মধ্যবিত্ত শব্দ টা ছোটবেলা থেকে এত বেশি শুনতাম কিন্তু ভাবার্থ বুঝতাম না।এখনো যে খুব বুঝি তা না।তবে তাদের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য খেয়াল করি,যেমন- তাদের জীবন হয় আটপৌরে, বৈচিত্র্য থাকে কম। মাঝে মাঝে এটা সেটা করে তারা জীবনে আনন্দ খোজার চেষ্টা করে। এরা পারেনা গরীব দের মত সরাসরি নিজের অবস্থা সবার সামনে তুলে ধরতে,আবার ধনীদের মত যা খুশি করতে। আপোষ করে চলতে হয়। ছেলেগুলোর থাকে দ্রুত নিজের পায়ের দাঁড়ানোর চেষ্টা আর মেয়েগুলো র থাকে বিয়ের পিড়িতে বসার চাপ।মেয়েগুলো কে লিখাপড়া শেখানো হয় ভাল পাত্রস্থ করার জন্য কিন্তু বলা হয় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য পড়াশোনা করছে।এরা বড় বড় স্বপ্ন দেখতে জানে, কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারে খুব কম কিংবা বাস্তবায়ন এর জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। হাসিমুখে নিজের কষ্ট টাকে চাপা দিতে হয়।এযেন নিজের সাথে নিজের লুকোচুরি খেলা।প্রতিদিন অনেক অচেনা মানুষের সাথে আন্তরিকতার অভিনয় করতে হয়, আবার আপন মানুষকে চিনেও না চেনার, দেখেও না দেখার ভান করতে হয়।
আসলে মধ্যবিত্ত দের দৈনন্দিন জীবনে থাকে এক ধরনের ভন্ডামির প্র্যাকটিস।
এগিন হেতেগো কোনো অভিনয় নি?
টানটান উত্তেজনাকর মুহুর্ত। শিরা উপশিরা সব উত্তেজিত একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি টেলিভিশনের দিকে। মাইটি ইগল এর ফাইটিং চলছে। হ্যা রেসলিং দেখছিলাম টেলিভিশনে। অনেক আগের কথা বলছি। কোন ক্লাসে পড়ি মনে নাই তবে বেশ ছোট ছিলাম। মিল মাস্কারাস, মাইটি ইগলরা তখন ফেমাস রেসলার। রেসলিং দেখার সেই উত্তেজনাকর মূহুর্তে আব্বার এক কলিগ এসেছিলেন আব্বার সাথে দেখা করতে। আব্বার কলিগ আব্বার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আর রেসলিং দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন "কাগু এগিন হেতেগো কোনো অভিনয় নি"। এই কথা শুনে আমার মনে হয়েছিলো কাগুর সাথে আমি নিজেই রেসলিং খেলে দেখিয়ে দেই এগিন অভিনয় ন। প্রচণ্ড রাগ আর ক্ষোভ হজম করে চুপচাপ ছিলাম কোনো উত্তর দিতে পারিনি। এর অনেক বছর পর জানতে পেরেছি রেসলিং আসলেই অভিনয়।নিজের প্রতি বিরক্ত জন্ম নিলো আর নোয়াখালী অধিবাসী ওই কাগুর প্রতি শ্রদ্ধা জন্মালো। সত্যি ভেবে দিনের পর দিন চরম উত্তেজনা নিয়ে যে রেসলিং দেখেছি আমার সেই কাগু একদিন দেখিই সন্দেহ করেছিলো রেসলিং টা অভিনয়। সমাজের অনেক অসংগতি দেখে কাগুর সেই প্রশ্নটা আজো আমার মনে বাজে... "কাগু এগিন হেতেগো কোনো অভিনয় নি?"
:::তু চিজ বাড়ি হে মাস্ত মাস্ত:::
অামাদের কলোনীর কিছু "চিজ" পাবলিককে এই পেইজে খুব মিস করছি। তারা থাকলে পেইজটা অারও জমজমাট হতো ।
১) মোকাদ্দাস কা সিকান্দার ("হান্ড্রেড টেন" ছিল তার জনপ্রিয় অনেক ডায়লগের একটি)
২)শীতল ভাই (জসিম ভাইদের ব্যাচ, উনার কোন এক বন্ধু fun করে উনার লুঙ্গি খুলে দিয়েছিল এবং পরক্ষণে অাবার বাধ্য হয়েই সেই বন্ধু লুঙ্গিটা শীতল ভাইকে পরিয়ে দিয়েছিল। grin emoticon )
৩) অালমগীর বিরানী ( সর্ম্পকে কিন্তু অামার চাচা হয়)
এমন অারও অনেক পিকুলিয়ার পাবলিকের বসবাস অামাদের কলোনীতে ছিল যাদের নাম অামার মনে অাসছে না।
দয়া করে অাপনারা এই টাইপের কিছু লোকের নাম পোস্ট করে সবাইকে মনে করিয়ে দিন।
Subscribe to:
Posts (Atom)
No one has commented yet. Be the first!