Saturday, March 5, 2016

ফেব্রুয়ারী মাসের রেসাল্ট এক্সপোজ করেছে Al Amin Billah Shujon


ফেব্রুয়ারী মাসের রেসাল্ট এক্সপোজ করেছে সুজন। যারা সচরাচর এক্টিভ না এই পেজে তারা হয়তো ভাবছেন এটা আবার কিসের রেসাল্ট? সে যাই হোক প্রয়োজনে নিজ দায়িত্বে জেনে নিবেন।

Al Amin Billah Shujon এর স্টাটিস্টিক অনুযায়ী ৭ মাসের মধ্যে এবারেই আমরা সর্বোচ্চ লিখা এবং লেখক লেখিকা এবং এক্টিভ মেম্বার পেয়েছি। এটা আসলেই ভীষন আশাব্যাঞ্জক। অনেকেই নিজের জড়তা কাটিয়ে লেখালেখিতে, লাইক কিংবা কমেন্টে আসছে এটা আসলেই দারুন। তবে কেন হঠাৎ করে ফেব্রুয়ারীতে সবাই আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠলাম?

ফেব্রুয়ারীতে সর্বাদিক লিখা হওয়ার কারন একটাই আমাদের ২৯ জানুয়ারী। মেজোরিটি পারসেন্ট লিখা ছিল প্রোগ্রামকে ঘিরেই। তার মানে কি ইভেন্ট না থাকলে আমরা হাত পা গুটিয়ে থাকবো?? না, তাইলে চলবেনা, একদম চলবেনা। পেজটাকে এক্টিভ করতে এবং এই পেজের পুরোপুরি আনন্দ উপভোগ অন্যের সাথে ভাগাভাগি করতে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে স্বত:স্ফূর্ত ভাবে। লাইক, কমেন্ট করে এক্টিভ থাকতে হবে। তবে এই নয় যে কাউকে প্রেসারাইজড করা হচ্ছে। সময় পেলে সুযোগ পেলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। যখন এই পেজে আমি ছিলাম না তখন ভাবতাম সারা বাংলাদেশে বুঝি স্টীল মিল কিংবা আমাদের কলোনীর কেউই বুঝি নাই। কারন একটাই কারো সাথে কমিউনিকেট ছিল না। 

আমাদের রেজা ভাইয়ের মোবাইল এবং পকেটস্থ টাকাপয়সা


আমাদের রেজা ভাইয়ের মোবাইল এবং পকেটস্থ টাকাপয়সা রেল ভ্রমন কালে কোন এক অবিবেচক তস্কর কতৃক চুরি হইয়াছে। সেই থেকে রেজা ভাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রহিয়াছেন। তবে এখানে সন্দেহের অবকাশ রহিয়াছে যে কোন বিশেষ মহলের ইন্ধনে এই চৌর্যবৃত্তির ঘটনাটি ঘটিয়া থাকিতে পারে। স্বভাবতই সন্দেহের অংগুলি "সারাফের মা" অর্থাৎ আমাদের মলি ভাবীর দিকে নির্দেশ করিতেছে। আমরা প্রায়শঃই রেজা ভাইয়ের পোস্টে তাহার ফেসবুক ব্যবহার নিয়া মলি ভাবীর অসন্তুষ্টির কথা জানিয়াছি। আমরা এরুপ কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। রেজা ভাই দ্রুত ফিরে আসুক আমাদের মাঝে।

পরিসংখ্যান রিপোর্টঃ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ (১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ টু ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ পর্যন্ত)

- Al Amin Billah Shujon

পরিসংখ্যান রিপোর্টঃ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ (১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ টু ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ পর্যন্ত)

ফেব্রুয়ারী মাসটা ছিল রেকর্ড এর মাস। অন্যরকম একটা মাস পার করেছে সি.এস.এম পেজ। লিখালিখি আর লেখকের পদচারনায় ভরপুর ছিল সি.এস.এম পেজটি। প্রতিদিনই অসংখ্য লিখা, পোস্ট, ছবি, ছড়া, কবিতা এসেছে পেজ টিতে। সবার লাইক, কমেন্টস, রিপ্লেতে ছিল ভরপুর। মোটকথা সবার অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মত। তাই এই মাসে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হইছে।

হয়তো ফেব্রুয়ারীর শেষ দিনের শেষ মুহূর্তে আরও অনেক লিখা আসত কিন্তু আমাদের সকলের প্রিয় বন্যা আপুর বাবা এবং আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় চাচা/কাকা হটাত আমাদের ছেড়ে চলে যাবার কারণে অনেকেই গ্র্যান্ড আড্ডা সংক্রান্ত লিখা পোস্ট করা থেকে বিরত থেকেছে (যেমন রাজিব এবং উমামার পোস্ট করার কথা ছিল কিন্তু সংগত কারনে করতে পারে নাই, হয়তো এইরকম আরো অনেকেই ছিল, আমিও ছিলাম)  

যাইহোক আজাইরা প্যাঁচাল না বাড়িয়ে এইবার ফলাফল প্রকাশ করি।

যদি ভালবাস


আমি রিয়া।মা বাবার একমাত্র সন্তান।বাবা সরকারি চাকরি করেন।মধ্যবিত্ত পরিবার।অনার্স পড়ি।সেকেন্ড ইয়ারে উঠতে না উঠতে মা বাবা আমার বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। কারন বাবা আগামী বছর অবসরে যাবেন।আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো তে দেখা যায় মেয়েরা অনার্স এ সেকেন্ড বা থার্ড ইয়ারে যেতে না যেতে বিয়ের জন্য পাত্র খোজা শুরু হয়।আর বাবা যদি অবসরে যাবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ত আর কথাঈ নেই।উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে র মত অবস্থা।আর এ ব্যাপার টাতে উতসাহ দেবার জন্য থাকেন কিছু আত্নীয় সজন।

মা বাবার এমন আচরনে আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম।কারন আমি একজনকে পছন্দ করি।ওর নাম রিফাত।কিন্তু সে এখনো নিজের পায়ে দাড়ায়নি।কিন্তু আমরা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম।নির্ধারিত দিনে আমি বিয়ে করতে ওর বাসায় গেলাম।বন্ধুরা গেল কাজি ডেকে আনতে।রিফাত রেডি হচ্ছে। এমন সময়ে আমার মোবাইলে কল আসল।বাবা স্ট্রোক করেছেন।আমার ভেতর অপরাধবোধ কাজ করল।আমি রিফাত কে ওর ড্রেসিংরুম এ দরজায় ছিটকিনি লাগিয়ে চলে আসলাম।

ভয় দেখানো ও ভর্ৎসনা


ছোটবেলায় আমার একটা অভ্যাস ছিল,সেটা বদ অভ্যাস বলা যায়।সিড়ির পাশের দেয়ালে লুকিয়ে থাকা এবং কেউ সিড়ি দিয়ে আসা যাওয়া করলে তাকে শব্দ করে ভয় দেখানো। এজন্য কেউ বিরক্ত হত আবার কেউ মজা পেত।তেমন একদিন সন্ধ্যাবেলা বেবি আপা (Taslima Khan) সিড়ি দিয়ে কলসি নিয়ে পানি নিয়ে উপরে উঠছিলেন।আমিও যথারীতি ভয় দেখানোর জন্য সিড়ি র পাশের দেয়ালে লুকিয়ে আছি।উনি শেষ সিড়ির কাছে আসতেই আমি জোরে শব্দ করে উঠলাম। উনি খুব বিরক্ত হলেন আর আমাকে ধমক দিলেন।আমি মন খারাপ করে বাসায় চলে আসলাম।ভাবলাম,এতে রাগ করার কি আছে।তারপরে আর কাউকে এভাবে ভয় দেখাইনি।

কিন্তু এখন বুঝি উনি সেদিন যদি ভয় পেয়ে কলসি সহ পড়ে যেতেন তাহলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।সেদিন সেটা বুঝিনি।

আমাদের জসিম ভাই।


আহমেদ কবির আমাদের প্রধান শিক্ষক থাকার সময়, ১৫ ই আগষ্ট জসিম ভাই ও নাজমুল ভাই আলি,নাসির,শিপন সহ আমরা অনেকে স্কুল ব্ন্ধ রাখারর জন্য হেড স্যারকে বলা হত।।কিন্তু স্যার কোন ভাবেই বন্ধ দিবে না।আমরা সবাই জসিম ভাইয়ের সাথে থাকতাম চাইতাম বন্ধ করতে।স্যার সকালের শিফটে যখন ক্লাস শুরু হত আমরা জসিম ভাইয়ের নেতৃত্বে স্কুলে গিয়ে তাহের থেকে ঘন্টা নিয়ে,ছুটির ঘন্টা বাজিয়ে দিতাম।আর সবাই কে বলা হত ক্লাস ছুটি,হেড স্যার রেগে যেত।কিন্তু আর বেশী কিছু করতে পারত না।স্যার আজ আপনার কাছে সে জন্য মাপ চাচ্ছি। আপনি বেচেঁ থাকলে দেখতেন আমাদের সিএসএম কলোনীর সেই জসিম ভাই এখন আর আগের মত নাই। রাজনীতি ছেরে দিয়েছে।সবাই আমরা আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলা মানুষ গুলো সবার প্রিয় হয়।


সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলা মানুষ গুলো সবার প্রিয় হয়। 
আর অপ্রিয় হয় মুখের উপর সত্যি কথা বলা মানুষ গুলো।
এই কথা গুলো আমরা কম বেশি সবাই জানি। তারপরও পালন করতে পারি না। কেন? সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে? নাকি অন্য কিছু? এই সবের উত্তরও আমি এখানে পাবো না। কেউ কেউ হয়তো এই পোষ্টটি দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাবে বা শুধু লাইক দিয়ে যাবে। সহজে কমেন্টস করতে চাইবে না। কারন কমেন্টস করলে যদি আবার কোন ঝামেলায় জড়ায়ে যায়।

১৯৯১ ইং ২৯ শে এপ্রিল


মাসুক ভাইয়ের কথাতে লিখা।

১৯৯১ ইং ২৯ শে এপ্রিল :

সেদিন সন্ধ্যা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
তখন টিভি চ্যানেল ছিল বিটিভি।টিভি বার বার ঘষোণা দেওয়া হচ্ছিল ১০ নাম্বার বিপদ সংকেত।এরকম আগেও সংকেত দেওয়া হয়েছিল,কিছু হয়নি,তাই এই সংকেত কে কেউ সেরকম সিরিয়াস ভাবে নেয়নি।

আমরা ছিলাম ই/১২/সি তে।আমাদের বাসার দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে কলোনীর দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল।পশ্চিম পাশের দেয়ালের বাইরে টিএসপির ক্লিনার এর কিছু স্টাফ থাকতো।আর পূর্ব পাশে খাল পাড় রোড জুরে ছিল বস্তি। রাত ১২.৩০ পর থেকে বাতাসের গতি বাড়তে লাগলো,আমি ও আমার ভাই(মিতু ভাই) সামনের রুমে ঘুমাতাম।বাতাসের গতি এত বাড়ছিল যে জানালার পাশে শো শো শব্দ হতে লাগল,এবং আমাদের জানালার ১ টা গ্লাস ভাঙা ছিল,তা দিয়ে বৃষ্টিরর পানি ঢুকছিল,আমরা কোন রকম আটকিয়ে ছিলাম কিন্তু বাতাসের গতি এত ছিল যে আমি আর ঘুমাতে পারছিলাম না।আমি উঠে জানালার পাশে যেয়ে খেয়াল করি পূর্বপাশের বস্তি গুলা কিছুই নাই। তারপর ভাইকে ডাকলাম তার কিছুক্ষণ পর পূর্বপাশের কলোনীর দেয়ালটা ভেঙে পরে।

চলবে .........।

বড়াপার বাড়ীতে আমরা


ঢাকা টু নেত্রকোনার পুরো সময়টাই জাবেদ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছে । তাই আমি আর সে পথে গেলাম না।

বড়াপার বাড়িতে পৌছে প্রত্যেককেই ভারাক্রান্ত মনেই দেখলাম। আজকে চাচার জন্য দোয়া হবে তাই অনেক আত্মীয় স্বজন আশেপাশের লোকজন আসবেন। কি বলবো কি দিয়ে শ্বান্তনা দেব বুঝে উঠতে পারছি না। নিরব শ্রোতার মত সব হজম করতেই থাকতাম। এর মধ্যে চাচী এসে বসলেন। বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থেকে নিরবে দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে কাদতে লাগলেন । যার সাথে এই মানুষটি জীবনের দীর্ঘ সময় একই ছাদের নীচে একই বেডে কাটিয়েছে তাকেই একাকী জীবনের বাকী সময়টা একাই টেনে নিয়ে যেতে হবে। চাচী একের পর এক স্মৃতি গাঁথা সেই সব দিনের কথা আমাদেরকে বলতে লাগলেন। আরো বল্লেন চাচা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন তিনি আর ফিরবেন না। তাই যাওয়ার আগেই চাচী কে সবকিছুই নাকি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন সবকিছুই ওইখানেই ফাইলে রাখা আছে। তিনি ফিরেছেন তবে নিথর দেহটাকে নিয়ে।

আমার আমি

- Khurshed Alam Manik

--------------- ১৯৮৮ ইং
গতকাল সন্দ্ব্যায় কত সহজে ও বললো, ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গিেয়ছে। কাল থেকে আমার সাথে আর দেখা হবে না। এমন কি কোথাও দেখা হলে পরিচয় ও স্বীকার করবে না। আমি চুপ করে ওর শান্ত স্নিগ্ধ মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমি যা চেয়েছিলাম তা হচ্ছে না। এত দিন নির্বিকার নিঃস্পৃহ ভাবে আমাকে ভালো বেশেছিলো। কিন্তু আমাকে একটুও যে হ্রৃদয়ে স্থান দেয়নি তা বুজিনি। আর আমি ..........
ইউনুসের দোকানে গিয়ে সিজার সিগারেট চাইলাম।



চলবে .............

২য় পর্ব ( March 03, 2016)
আমার আমি
-----------------
অনভিঙ হাতে বার বার চেস্টা করে সিজার সিগারেট টা ধরালাম। এক টান দিতেই কাশি শুরু। বি,এইচ কোয়ার্টারের পাশে দিয়ে মসজিদ এর সামনে এসে একটা পথ - যেটা খালের ওপাশ অব্দি যাওয়া যায়। ও দিকেই পা বাড়ালাম।
আজ আমি পরাজিত। সে মুহুর্তে বাজতে পারলাম ও কে ছাড়া আমার বাঁচা হবে না। ওকে ভালবাসি। গভীর ভাবে ভালবাসি। আর সে মুহুর্তে মন স্থির করে ফেললাম,, তিলে তিলে কস্ট পাবার চেয়ে নিজকে শেষ করে দেব আমি। আজ,এখনই,,এই উষ্ন, ,
চলবে,,,,,,,,

টিকা


এখন সরকারী, বেসরকারি হাসপাতালে জন্মের পর পরে নবজাতকের টিকা দেয়। আবার কার্ড করে দেয় পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত কখন কি টিকা দেওয়া হবে। আবার সিটি কর্পোরেশন ও পাড়ায় পাড়ায় কর্পোরেশন ঘোষিত দিনে ক্যাম্প বসিয়ে বাচ্চাদের টিকা দেয়। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ায়। কিন্তু আগে নিয়ম ছিলো না। এত বেসরকারি ক্লিনিক না থাকায় শুধু সরকারী হাসপাতালে দিত। আর মাঝে মাঝে বিভিন্ন এনজিও সরকারি সহায়তায় স্কুলে কিংবা একেক দিন এক জায়গায় টিকা দিত। আর তখন টিকা মানে মারাত্মক ভয়াবহ ব্যাপার।

একবার আমাদের স্কুলে টিকা দিতে একটা গ্রুফ আসলো। সকাল থেকে তেমন খবর পাই নাই। দুপুরের পরে তাহের খবর দিলো একটু পরে আমাদের ক্লাসে টিকা দিতে আসবে। আমরা তখন সবাই ভয়ে অস্থির। ক্লাসে স্যার পড়াচ্ছিল। কিন্তু সেদিকে কারো মন নাই। সবাই টেনশনে আছে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এই চিন্তায়। কারন টিকা দিলে হয় জ্বর আসবে নয়তো ব্যাথাটা সহজে যাবে না। তাই টিকা দেওয়ার স্টাইলটাও ছিল অন্য রকম। অনেকটা পিস্তলের মত ছিল টিকা মেশিনটা। তাই কেউ কেউ এই চিন্তা করে ফেললো যে, ক্লাস শেষ হলে সিঁড়ির নীচ দিয়ে স্কুলে পিছনের দিক বের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার আগে টিকা বাহিনি সরঞ্জাম নিয়ে হাজির। 

সাতটা বিশে বাস


সাতটা বিশে বাস। এলার্ম দিয়েছি পাঁচটা ত্রিশে। পাঁচটা চল্লিশে রিপন ভাইয়ের ফোন পেলাম। উঠে প্রথমে কিছুক্ষন বাজে ফোন সেটটাকে গালাগালি করলাম টাইম মত এলার্ম না দেয়ার জন্য। এরপর ফ্রেশ হয়ে ছয়টা দশের দিকে মহাখালীর দিকে ছুটলাম। ছুটন্ত অবস্থায় আবিষ্কার করলাম আমি পাঁচটা ত্রিশের বদলে ছয়টা ত্রিশে এলার্ম দিয়ে রেখেছি, আমি যখন পথে তখন আমার মোবাইল প্রানপনে আমার ঘুম ভাঙ্গাবার চেষ্টা করছে। গলা চেপে ধরে মোবাইলের চিল্লাচিল্লি থামানো হলো। গিয়ে দেখি রিপন ভাই আগেই হাজির। রিপন ভাইকে খুঁজতে খুঁজতেই আপেল আর নাসেরের সাথে দেখা। রিপন ভাই ততক্ষনে নেত্রকোনা যাবার টিকেট কেটে ফেলেছে। এরপরই আমরা চারজন নাস্তা খেতে বসলাম। মেনু হলো হাতে বেলা রুটি আর আলু দেয়া মিষ্টি কুমড়ার পেস্ট। সবাই সাথে ডিম নিলো। আমার সাত সকালে মুরগি বেচারির এমন সর্বনাশ করতে ইচ্ছা করল না। আমি ডিম নিলাম না। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss