আজ আমি মোমিন চাচাকে নিয়ে লিখবো। জানি না কলোনিতে থাকতে আমাদের সময়কার কয়জন উনাকে চিনত কিন্তু উনার অসাধারন ব্যক্তিত্ব আর হাসিখুশি মন মানসিকতার কারনে খুব অল্প সময়ে অগনিত স্টিলারের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন, অফিসারস ক্লাব নিয়ে উনার কিছু পদক্ষেপ আসলেই প্রশংসনীয় ছিল।
যাক গে সে কথা, আমি বলবো শুধু আমার কথা।
একবার ক্লাবের এক প্রোগ্রামে আমাকে তবলা বাজাতে বলেছিলেন চাচা, সময়টা ছিল প্রায় এখনকার মতো প্রচন্ড গরম। প্রোগ্রাম শেষে ছিল খাওয়া দাওয়ার অস্থির আয়োজন। একদিকে গরম অন্যদিকে পোগ্রামের ক্লান্তি, তার উপর TV তে কি যেন একটা জনপ্রিয় সিরিয়াল চলছিল, তাই প্রোগ্রাম শেষে না খেয়ে, আমি কাউকে কিচ্ছু না বলে সোজা বাসায় চলে এলাম। আমার বিল্ডিয়েই ছিল উনার এক কলিগের বাসা, এই গরমে মোমিন চাচা নিজে না খেয়ে ওই কলিগকে সাথে নিয়ে হেঁটে হেঁটে বিরানির প্যাকেট নিয়ে আমার বাসায় হাজির, ঘেমে পুরা লাল হয়ে গেছে। আমারে বললো ,”বাপ আমার ভুল হইছে, প্রোগ্রামের শেষে আমি তোর সাথে, কোনো কথাই বলতে পারিনাই, যেহেতু অনেক গুলা দায়িত্ব নিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম, তুই কিছু মনে করিস না”, লগে কড়করা একটা পাঁচশ টাকার নোট হাতে গুজে দিল। আমি পূরা বেকুব, কিরে এইডা কি হইলো? আমার বাপ মা তো আমার উপর চরম ফায়ার, অসম্ভব রাগারাগি করছে, কিন্তু আমিতো ঘোরের মধ্যে ছিলাম, চাচা এটা কি করলো, এতটা সন্মান, তাও আবার আমার মতো মগারে!!!!!!!!!!!!
৮/১০ বছর টানা professionally music করছি, পুরা বাংলাদেশ, এমনকি দেশের বাইরেও অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু চাচা হে আদর মিশ্রিত সন্মান আমাকে দিয়েছিলেন, পুরা music career এ তা আমি কখনো পাই নি, আর শুধুমাত্র এই কারনেই ওই profession টা ছেড়ে দেই।
Sorry চাচা আনিচ্ছাক্রিতভাবে আপনাকে ওইদিন অতোটা কষ্ট দেয়ার জন্য, কখনো সামনে পেলে মাফ চেয়ে একটা hug নিয়ে নেবো, ভালো থাকবেন সব সময়।

No comments:
Post a Comment