সম্ভবত ১৯৮৫। এশিয়াকাপ হকি হচ্ছে ঢাকায়। সেই ধাক্কাটা চইকা কলনীতে না লেগে পারে? C-টাইপ মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট উধাও। সবার হাতে হকি স্টিক। বড়রা C-টাইপ বড় মাঠে আর আমরা C-10 বা C-11 এর সামনে। এক এক জনের স্টিক বাননোর কৌশলগুলার কথা মনে পড়লে......। একটা মাত্র অরিজিনাল স্টিক ছিল ইকবাল ভাই এর কাছে। বাবু ভাই, স্বপন ভাই ওটা দিয়ে খেলতেন।
সবাই স্টিক নিয়ে ঘুরে, আমরা কি বসে থাকব?
দুলি, আমি, ভুতের ডিম বাবু প্লানিং এ বসলাম। সিদ্ধান্ত হল জেক্সের পাশে যে কাঠের সপ ছিল ওটাতে অপারেশন চালাব। ওখান থেকে আগেও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প বানানোর জন্য কাঠ চুরি করছি। তবে সেগুলা B-টাইপের ভিতর দিয়ে ঢুকে জানালা খুলে। বন্ধ জানালার ছিটকারি খুলার অভিনব কায়দা দুলির ভালই জানা ছিল। কাজ শেষে আবার তা লাগিয়েও দিতে পারত। কিন্তু এবার অপারেশন করব নানার সামনে দিয়ে। (নানার কথা মনে আছে?)। প্লান হল, দুই জন নানার সাথে কথা বলে মনযোগ অন্য দিকে নিয়ে যাবে আর বাকিরা কাজ সারবে। যেই চিন্তা সেই কাজ। কাজ শেষে নানার হইচই আর পেছন থেকে এরই এরই....। ঐ অপারেশনে আমরা তিনজন ছাড়াও আরো কয়েকজন ছিল। নামগুলা মনে করতে পারবনা। বয়স হইছে না?
তুমানের আব্বা/বসর চাচা সম্ভবত কাঠ রিলেটেড শপে ছিলেন। তুমানকে সুন্দর একটা স্টিক বানিয়ে দিছিলেন। ঐটা দেখে আমরাতো হিংসায় জ্বলি। খেলায় টারগেট করে ওরটা ভাংকার চেষ্টা চলত। কিন্তু ওরটা কখনই ভাংগতো না। বরং আমাদেরগুলাই ভাংগত। আমাদেরগুলা তো ছিল জোড়াতালি।
হকি জ্বর কয়দিন ছিল মনে নাই।
No comments:
Post a Comment