Saturday, September 26, 2015

দুঃখিত এভাবে বলার জন্য



আমি ফেসবুকিং করি ২০০৮ সাল থেকে। শুরু থেকেই ফেসবুকে আমি রেগুলার ইউজার। ছাইপাশ যাই লেখি আগে ২/১ টা ব্লগে লেখতাম। পড়ে ব্লগ বাদ দিয়ে ফেসবুকেই যা করার করতাম। বিভিন্ন কমিউনিটি পেজগুলাতে লিখতাম। কমিউনিটি পেজগুলোর বৈশিষ্ট্য হল এখানে অপরিচিত অনেক মানুষ জমায়েত হয়, অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। শুরুতে যেকোনো পেজ দারুন ভাবে শুরু হয় কিন্তু যেহেতু সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের প্লাটফর্ম তাই কারো জন্য কারো দায়বদ্ধতা থাকেনা। তাই একসময় কুরুচিপূর্ণ কিছু মানুষের কারনে পেজ কলুষিত হতে শুরু করে। এমন শুরু হলেই সবাই যে যার মত পেজ থেকে সরে পড়ে। 

CSM পেজটা ভিন্ন মনে হয়েছে আমার কাছে। এখানে সবাই সবার পরিচিত। ছোট বড় ভাইবোন সব। কিছু লেখার আগে সবকটা মুখ মনে পড়ে যে কারো জন্য অপ্রীতিকর কিছু হচ্ছে কিনা। দুঃখের ব্যাপার এখানেও একই জিনিস শুরু হয়েছে। আমি অবাক হলাম ষ্টীলমিল কলোনির কোন বাসিন্দার মানসিকতা এমন নিচু হয় কিভাবে? যাই হোক, আবারো পেজ ছেড়ে যাবার সময় বোধহয় হয়ে এলো।

বিঃদ্রঃ - যারা এমন কুরুচিপূর্ণ লেখা সমর্থন করেছেন (লাইক দিয়েছেন) তাদের রুচিবোধ নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। দুঃখিত এভাবে বলার জন্য।

বাবার স্বপ্ন পূরণ


আজ বাবার একটা স্বপ্ন পূরণ হল। আজ আমার আনন্দের দিন,কিন্তু আমার চোখে পানি।কারন আজ যে বাবা নেই।খুব মনে পড়ছে বাবার কথা।কেন জানি আমার fb বন্ধুদের আমার শৈশবের কিছু কথা বলতে মন চাচ্ছে,জানি না ভাল হবে কিনা।তবে এটা বলতে পারি অনেক বড় ভাই,বোনরা আমাকে চিনতে পারবেন,যারা CSM কলোনীতে থাকতেন। বাবার নাম আমি বলব না।

আপনাদের মাঝে রেখে দিলাম,যদি চিনতে পারেন তবে নাম এমনি তে উঠে আসবে।হা আমি সে মানুষের সন্তান,যিনি ছিলেন স্টিল মিলস এর একজন সিনিয়র ক্রান ড্রাইভার।চাকুরির পাশাপাশি যিনি কলোনীর মানুষের কবর খনন করতেন।জানি না কত মানুষের কবর তিনি খনন করেচিলেন। তাছাড়া তিনি বরষা কালে মাছ ধরা, শীত কালে শাক সবজির চাষ,সহ নানা কাজে বেস্ত থাকতেন। কোন কাজকে তিনি ছোট করে দেখতেন না।আর এই কোরবানির সময় তিনি মানুষের গরু কাটার কাজ নিতেন। 

একটি দুঃখের সংবাদ


একটি দুঃখের সংবাদ,
ছবির বর সেজে থাকা এই ছেলেটি কলোনিতে আমাদের পাশের বাসায় অনেক বছর ছিলো, মীজান বিদেশ থাকে জানতাম কিন্তু দুবাই থাকে এইটা জানতাম না, কয়েক মাস আগে কোথা থেকে যেন আমার নাম্বার যোগাড় করেছিলো সম্ভবত আমার ঘরের কারো কাছ থেকে হবে। আমাকে ফোন করে সে কি পরিমান খুশি ছিলো সেটা বলে বুঝানো যাবে না।

মীজান গত কালকে মারা গেছে, "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীঊন"
ছবিটি চোখে পড়তেই মীজান আর ওর ছোট ভাই মীনহাজকে চিনতে পারলাম, ওর বড় ভাইয়ের নাম হান্নান, ছোট বোনের নাম সপ্না, প্রথমে হেডলাইন দেখে মনে করেছিলাম হয়তো কোন জোকস !!! কিন্তু .........
মীজানের যে সমস্যার কথা এখানে বলা হয়েছে এইটার সাথে আমরা কলোনীতে থাকা অবস্থাতেই পরিচিত ছিলাম।
সবাই মীজানের জন্য দোয়া করবেন।

আরতি আপা


আরতি আপা, আমাদের স্কুলের একজন আপা যিনি খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন।আপা ক্লাস ফাইভ এ আমাদের ড্রইং ক্লাস নিতেন।ক্লাস নেয়ার ফাঁকেফাঁকে আপা তার স্বভাব অনুযায়ী পান খেতেন।অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর আপা খাতা দিবেন, কে কত পেয়েছে আমরা উকি মেরে দেখতে চাইছি। আপা বিরক্ত হয়ে স্কেল দিয়ে মাছি তাড়ানোর মত করে আমাদেরকে তাড়াচ্ছেন।খাতা দেয়ার পর আমরা সবাই যার যার ভুল খুজে বের করছি, আপা কেন নাম্বার কাটলেন।দেখা গেল Al Amin Billah Shujon, সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছে। ওদিকে ক্লাসে যে ফার্স্ট বয় তাকে আপা ২৫ এ দিয়েছিলেন ৭ মানে ফেল। ও ত লজ্জায় শেষ। বার বার আপার কাছে ছুটে যাচ্ছে নাম্বার বাড়িয়ে ওকে পাশ করিয়ে দেবার জন্য।এখানেই আপার সততা চোখে পড়ে।আপা কিন্তু রোল দেখে ওকে পাশ করিয়ে দিতে পারতেন।বেশি নাম্বার দিতে পারতেন। কিন্তু উনি তা করেননি।উনি যে ভাল করেছে তাকেই বেশি দিয়েছিলেন। একসময় ফার্স্ট বয়ের অসহায় অবস্থা দেখে আপার মনে মায়ার সঞ্চার হয়।খাতা কাটার সময় আপা দৃঢ়ভাব দেখালেও মনে মনে আপা ছিলেন একজন মায়াবতী মহিলা।উনি ৯ দিয়ে ওকে সেবারের মত পাশ করিয়ে দিয়েছিলেন এবং পণ করিয়েছিলেন ড্রইং কে যেন সে গুরুত্ব দেয়।৭ থেকে ৯ পেয়ে ওই সময় আমাদের ফার্স্ট বয় আপার কথায় সম্মতি জানিয়েছিল।এর পর আপাকে অনেক দিন দেখিনি। ইদানীং আপার মত এক মহিলাকে প্রায় দেখি।তাই আপার কথা মনে পড়ল।জানি না আপা এখন কোথায় কেমন আছেন।তবে যেখানেই থাকুন না কেন আপা ভাল থাকেন

ডিসকো ড্যান্স


স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে আর কয়েকদিন পর। আমরা কয়জন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম অনুষ্ঠানে নাচবো তবে সাধারন নাচ না ডিসকো ড্যান্স। প্রস্তাব টা আপাদের দিতেই নাকচ করে দিলেন। আমরা ও নাছোড় বান্দা আমাদের নাচতে না দিলে অনুষ্ঠান হবে না। শেষে অবিনাশ স্যারের মধ্যস্থতায় আমাদের জয় হলো। আরেক সমস্যা দেখা দিলো লাইটিং ডিসকো নাচের সাথে অত্যাধুনিক লাইটিং চাই হামিদ স্যারের বক্তব্য বাজেট নাই। সবাই মিলে গেলাম স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান খানসুর চাচার (রেজা ভাইয়ের আব্বার) কাছে চাচা লাইটিং এর ব্যাবস্থা করে দিলেন। আবার ভেজাল সবার ড্রেস এক না হলে তো ভ ...

বাউলের বাউলা প্রতিবাদ


বড় ও ছোট ভাই ও বোনেরা আমাকে সবাই মাফ করবে ন।আমি একজন অতি সাধারণ অশিক্ষিত homo sapiens. 1998 সালে csm কলোনি ছেড়ে আসার পর ঐ হতভাগা কলোনির কথা পায় ভুলেই গিয়েছেলাম।

এই group এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর আবার সৃতির এলবামের ধূলিবালি ঝাড়া শুরু করলাম।একে একে পরিচিত মানুষদের খুঁজে বের করতে থাকলাম।আমার জীবনের শেষঠ সময় কলোনির জীবন ।

এ পেজে আমি কখনও কিছু লিখি নাই।সবার লিখা পড়তাম; কাদতাম,হাসতাম,শিখতাম।মাঝেমাঝে like ওcomments করতাম ।আপনাদের সবার লেখার মাঝে এক একটা শিক্ষনীয় বেপার আছে ।আপনারা সবাই জ্ঞানী ও মহাজ্ঞানী।আমি এক অধম বানদা।তাই পথমেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি।

বিব্রত


দেখতে দেখতে আরেকটা ঈদ চলে গেলো আমাদের জীবন থেকে। কলোনীর ঈদ নিয়ে সবাই নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত। বিশেষ করে নামাজ শেষে কোলাকুলি নিয়ে। এখন আর কেউ কোলাকুলি করার মানুষ খুজে পায় না। আর কলোনীতে কোলাকুলি করতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তো। সত্যিই অনেক আনন্দের ছিলো কলোনীর ঈদের দিন গুলি। কলোনির ঈদের নামাজ হতো অফিসারস ক্লাব টেনিস কোট এ। এমনই এক ঈদে নতুন পায়জামা পাঞ্জাবি পরে নামাজ পরতে গেছি। প্রথম রাকাত নামাজ এ যেই রুকুতে গেছি ওমনি আমার পায়জামার ফিতার সেলাই করা জোড়াটা পিছন থেকে গেলো ছিড়ে। কি বিব্রতকর পরিস্থিতি এক হাতে পায়জামার পতন ঠেকিয়ে কোনো রকম নামাজ শেষ করলাম। নামাজ শেষে আমার বন্ধু ডালিম আর মিলটন কে বললাম আমার করুন অবস্থার কথা। এখন কোলাকুলি শুরুর পালা ডালিম আর মিলটন আমাকে সাহাজ্য করছে কোলাকুলি এড়িয়ে বাসায় ফিরার জন্য, আমি এক হাতে পায়জামার পতন ঠেকিয়ে যতোই কোলাকুলি এড়াতে চাই ততই পরিচিত মুখ গুলা হাসি মুখে এগিয়ে আসে কোলাকুলি করতে। কি বিব্রতকর পরিস্থিতি। আমার কান্না পাইতে লাগলো ইজ্জত নিয়ে মনে হয় বাসায় ফিরতে পারবো না। যা হোক শেষে সম্মানের সহিত বাসায় ফিরে হাফ ছেড়ে বাচলাম। হায়রে পায়জামার ফিতা ছিড়ার আর টাইম পাইলি না ঈদের শুরুর আনন্দের কোলাকুলি টাই মাটি হলো। ওই ঈদেই সবচেয়ে কম কোলাকুলি করছিলাম 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss