Tuesday, July 5, 2016

১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি


১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি বাবার কর্মস্থল সিএসএম এসে ভরতি হলাম হোসেন আহম্মদ পাড়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে- ক্লাস ফো'রে। এর আগে নিয়মিত ভাবে কোন স্কুলে যাওয়া হয়নি তাই আব্বা বাসার কাছেই এক গৃহ শিহ্মক ঠিক করলেন। গৃহশিহ্মক না বলে টিউটর বলাই শ্রেয় কারন উনি বাসায় আসতেন না আমিই যেতাম ওনার গৃহে। 

আব্বা বললেন :
-তোর হাতের লেখাটা খুব খারাপ;ঠিক করা দরকার।
বুড়া মাস্টারের লেখা খুব ভালো। উনি তোকে ঠিক করে দেবেন।

আমি আমতা আমতা করে বললাম:
-- স্যার খুব মারে।
--স্যারের মার না খেলে লেখা পড়া হয় না। আমি স্যারকে বলে রেখেছি কাল থেকে যেতে হবে।
অগত্যা আর কি!
আমরা তখন থাকতাম কলোনীর বাইরে নবী কন্টাকটরের ভাড়া বাড়ীতে। স্যার জায়গীর থাকতেন নবী সাহেবের বাড়ীতে। নবী সাহেবের ছেলেমেয়ে - কামাল,রোকেয়া,বাহাদুর এর সাথে আমিও পড়তাম। তবে এটা বুঝতে পারতাম আমাকে স্যার স্পেশাল কেয়ার কতেন।

প্রথম দিনেই স্পেশাল কেয়ারের স্পেশাল ট্রিটমেন্ট। বাম হাতের তালুতে চিকন ছড়ির সপাৎ সপাৎ। হোম ওয়ার্ক হিসাবে বাংলা,ইংরেজী দু'পাতা দ'পাতা চার পাতা হাতের লেখা।

এভাবে দুমাস যাবার পরই আমার হাতের লেখাটা একটা
" জাতে উঠতে" পেরেছিল। যার পুরস্কার আমি বৃত্তি পরীহ্মা থেকে শুরু করে জীবনের অনেক পরীহ্মায় হতে নাতে পেয়েছি।
স্যারের এই ঝৃণ শোধাবার সাধ্য কী আমার।
স্যার, আপনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাই এই লেখাটা ফটো পোষ্ট করলাম :

ঈদ অণুগল্প (পান্থজনের সখা)


মোট ছয়জন।এর মধ্যে দুজন যুবক, একজন প্রৌঢ়, দুজন নারী আর একজন শিশু। তারা সবাই স্বতন্ত্র ইচ্ছে নিয়ে এক স্থানে মিলিত হয়।কিছু সময় একসংগে কাটায়।পরস্পর পরস্পরের সাথে পরিচিত হয়।গল্পে গল্পে আর নানা অনুষঙ্গের জন্ম দেয়।কেউ কেউ বিভিন্ন অতীতের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায় এবং একই সঙ্গে বর্তমান কে খুজে পায়।অতঃপর তারা কিছু সময় একসাথে থাকার স্মৃতি নিয়ে যে যার পথে চলে যায় আর নিয়ে যায় কিছু অভিজ্ঞতাও

ঈদ অণুগল্প (চেনা অচেনা মানুষ)


রুপা বুঝে যায় মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক খুব ঠুনকো। একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের সম্পর্ক যতই গভীর হোক না কেন গোটা মানুষটাকে কেউ কখনো পেতে পারেনা।আসলে কোন মানুষই গোটা নয়, অনেকগুলো অংশ মিলে একজন মানুষ। গভীর ভালোবাসাই ওই একটা অংশই কেবল দেয়া যায় আর পাওয়া যায়।এমনই এক অবস্থায় অসুস্থ মেয়ে তুলতুল কে দেখতে আসে অপু।জীবনের নানা ঘটনায় অপু থাকে অন্য জায়গায়। মেয়েকে দেখতে এসে অপু মুখোমুখি হয় রুপার।আবার শুরু হয় সম্পর্কহীন দুজন মানুষের স্মৃতিচারণ আর দ্বন্দ্ব। শুরু হয় মানুষের সাথে মানুষের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক এর।

ঈদ অণুগল্প (ভালবাসার জন্য মানুষ সব পারে)


ভালবাসার জন্য মানুষ সব পারে-
ঢাকায় পড়ালেখা করতে গিয়ে মেয়ে প্রেম করছে, ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে- বাবা তা শুনে পরীক্ষার আগেই বাড়িতে নিয়ে যেতে এসেছে।শুধু তাই নয় পাত্র ঠিক করে এসেছেন। বাড়িতে চলছে বিয়ের আয়োজন। কিন্তু নাফিস ও তার প্রেমিকা শীলা দুজনেই বুঝতে পারে তারা একে অপরকে ছাড়া চলতে পারবেনা।কৌশলে যোগাযোগ করে তারা।নাফিস ধনীর ছেলে হয়েও গ্রামে চলে যায়।কাজ নেয় ডেকোরেটরের। বিয়ের আল্পনা আকা থেকে শুরু করে ঘর মোছা, পুকুরে কার কানের দুল পড়ে গেল তাও তুলে দেবার ব্যবস্থা করে নাফিস। দেখা যায় নাফিস সব পারে।এর মধ্যে নাফিস আর শীলা মুখোমুখি হয় অপ্রত্যাশিত বাস্তবতার।

এক সময় আমি আর নাজমুল অনেক ঝুম ঝুম বৃস্টিতে ভিজে কত জাগায় গেছি


এক সময় আমি আর নাজমুল অনেক ঝুম ঝুম বৃস্টিতে ভিজে কত জাগায় গেছি, বৃস্টি কে আমরা কোন কেয়ার ই করনি,ভাব ছিল এমন বৃস্টি পড়ার দরকার তাই পড়ছে আর আমাদের যেখানে যাওয়ার দরকার আমরা যাবো।

শাহিন কলেজ থেকে নিউ মার্কেট সাইকেল চালিয়ে ঝড়,বৃস্টি রোদ কিছুই মানতাম না আমরা দুজন চলে যেতাম ম্যাগাজিন কিনতে (ক্রিড়া জগত), সেই সব এখন মনে হলে নিজে নিজেই চিন্তা করি কি যে করেছি সেই সময় :

আজ প্রায় ১ যুগ বা ১২ বসর এর ও বেশি হল আমি আর নাজমুল এক সাতে এমন পাগলামি করিনি, যা আজ করলাম, দুপুরে নাজমুল কে ফোন দিলাম যে চলে আয় তোকে নিয়ে বাইক দেকতে যাবো, ও ঠিক ৩ টায় আসল কিন্তু বিপত্তি ঘটালো বৃস্টি, তাই বসে থাকতে থাকতে প্রায় ৫টা এর মধ্যে নাজমুল সামান্য ঘুম, যদিও খালি পেটে ঘুম আসেনা, শুধুই ঘুমের ভান ধরে চোখ বন্দ করে শুয়ে থাকা, যাক ৫ টায় নাজমুল বলে কিরে যাবি, আমি বললাম বৃস্টি তো পড়্‌, ও আমারে বলে তুই আগের মত নাই আমি বললাম আমি আছ্‌ আমি নাকি এখন ভয় পাই (হা হা হা) মামাকে নানা বাড়ির গলপ শুনানোর মত বেপার , তাই সাতে সাতে বললাম চল নিচে নেমে দেখি ঝুম বৃস্টি নাজমুল দাড়িয়ে গেল , আমি বললাম কিরে এখন, তাই নাজমুল বল চল আমি পারবো, তাই দুই বন্ধু মিলে এতো বসর পর আবার সেই ছোট বেলার পাগলামি করে বৃস্টিতে ভিজে বাইক চালিয়ে রুবি গেইট গেলাম,যেই বাইক টা কিনতে চাচ্ছি তা দেখলাম, তারপর দুজনে আবার এক সাতে বাসায় এসে কাপড় খুলতে খুলতে ইফতারির ডাক।এই সেই আমার প্রানের বন্ধু, অনেক ভাল থাক বন্ধু। নিচে দুজনের বৃস্টিতে ভিজার পর রুবি গেইট এ গিয়ে ছবি তুললাম সেই ছবি সবাই কে দেখানোর জন্য পোস্ট করলাম।

ছোট বেলায় আমাদের সময় পাখি,কিরনমালা এধরনের নামে ড্রেস ছিল না


ছোট বেলায় আমাদের সময় পাখি,কিরনমালা এধরনের নামে ড্রেস ছিল না।ঈদের পোশাক কিনতে সপরিবারে যেতাম বেবিটেক্সি করে নিউমার্কেটে।মা কানে,গলায়, হাতে সোনা পরে যেতেন।ছিনতাই শব্দটির সাথে পরিচিত ছিলাম না।যে ড্রেসটি সবার ভালো লাগতো সেটা বাবা কিনে দিতেন।বাসায় এসে ড্রেসটি লুকিয়ে রাখতাম।মাঝে মাঝে বের করে দেখতাম।যদি দেখার সময় বেল বাজতো,সাথে সাথে লুকিয়ে ফেলতাম,বাবাও সহযোগিতা করতো।ঈদের দিন কে কেমন ড্রেস পড়েছে,প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দেখতাম।তবে একটি হোক বা দুটি হোক সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম।

ঈদের জামাত


ঈদের জামাতে গিয়েই আগে বন্ধুদের খুঁজতাম, তারা কোথায় জোট বেধে বসলো,খুঁজে পেলে আমিও জোট বাঁধতাম।যেখানে বসবো ঠিক করতাম তার ঠিক বরাবর করে নতুন জুতা রাখতাম। ঈদের জামাত হতো বাসায় পাশেই অথচ যেতাম দেরীতে।যাওয়ার সময় ক্লাবের পাশের রাস্তা দিয়ে যেতাম আর আসতাম ইউনুস ভাইয়ের দোকানের সামনে দিয়ে।
অনেক কে দেখতাম নতুন জুতা রাখতো ক্লাব বাউন্ডারির উপরে,কিন্তু কেনো!!সেখানে তো সব কলোনীর মানুষ,জানবার মন চায় কি ভেবে ক্লাব বাউন্ডারির উপর জুতা রাখা হতো!!...

শেষ বিকেলের রোদ


আব্বার রুমের জানালা দিয়ে এক ধরনের আলো আসে বিকেলবেলা।শেষ বিকেলের রোদ বলে যাকে। জানালার দিকে তাকালেই কলোনি তে থাকতে নিজেদের বাসার জানালার কথা মনে পড়ে যায়।তখন ইচ্ছে করে উকি মেরে দেখি।মনে হয় এখনই দেখতে পাব,নিচে সবাই খেলতে নেমেছে।সুমন ভাই, মাসুদ, নুরু ভাই,আরিফ ভাই, লিংকন। শুধু আমিই বাকি। সবার চিতকার, চেঁচামেচি তে ঘরে থাকা দায়।পড়ি মরি করে নিচে যাবার জন্য বের হই।দেরি হলে যদি খেলা থেকে বাদ পড়ে যাই।

কিন্তু এগুলো শুধুই ভাবনা সত্য হবার নয়।তাই আমি আর আব্বার রুমের জানালার কাছে যাই না।শুধু দূর থেকে দেখি।যাতে ভাল লাগার রেশ টুকু না কাটে। ( বৃষ্টি র কারণে এখন সেই রোদের দেখা পাওয়া দায়)

হায় csm হ্যালো csm


আর এক দিন পরই আনন্দের দিন।।পবিত্র ঈদ।।দিনটি একদিকে যেমন আমার জন্যে আনন্দের তেমনি কষ্টের।।কষ্টের বললাম এ কারনে যে এ দিনটিতে আমি অনেক কিছু মিস্ করি।।আমার ফেলে আসা শৈশব এবং কৈশোর।।যখন ছোট ছিলাম মানে কলোনিতে থাকাকালীন স্কুলে পড়তাম ঐ সময়কার দিন গুলো,,ঐ সময়কার ঈদ আনন্দ গুলো আমি বিষণ মিস্ করি।।আমি মিস্ করি বন্ধুদের সাথে ঈদ জামাতে এক সাথে অংশ নেয়া,,আমি মিস্ করি অফিসার্স ক্লাবে হারুন হুজুরের পেছনে এক কাতারে ঈদ জামাত আদায় করা,,আপন মানুষ গুলোর সাথে কোলাকুলি করে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করা,,মিস্ করি ভাই ভাই ষ্টোর থেকে বেলুন-বাঁশি কিনে এক সাথে সব বন্ধুরা মিলে কলোনির এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পেপু পেপু শব্দ করে কলোনিটাকে শোর চিৎকারে মাতিয়ে রাখা,,মিস্ করি খালাম্মাদের হাতের তৈরি মজার মজার খাবার গুলো।।হয়তো ওনারাও মিস্ করেন আমাদের মুখ গুলো,,হারিয়ে যাওয়া সেই দিন গুলো।।মিস্ করি ইউনুস ভাইয়ের দোকানের মিষ্টি পান,,আচার এবং ঠান্ডা কোক।।দুপুরে পোলাও মাংস খাওয়ার পর ওনার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা কোক খাওয়া শেষে ঢেকুর তুলতে তুলতে খিলি পান মুখে দিয়ে অবস্থান ত্যাগ করার মুহূর্ত গুলো।।মিস্ করি পতেংগার সেই সাগর পাড়ের আড্ডাটা।।ওখানে বন্ধুরা মিলে বিকেল বেলা একসাথে আনন্দ করার মুহূর্তটা।।হয়তো আমার মতো আপনারাও মিস্ করেন আপনাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সিএসএম-কে,,সিএসএমের মানুষ গুলোকে।।

ভাল থাকুন সবাই।।নিরাপদে থাকুন।।সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।।ঈদ মোবারক।।

এমন দিন এলে খুশীতে মন ভরে যেত


এমন দিন এলে খুশীতে মন ভরে যেত, শুধু চিনতা করতাম কখন ইদের নামাজ পরার জন্য নতুন পানজাবি পরব, নামাজ শেষে, গিয়ে সবার ঘরে ঘরে সালাম করে সালামি নিব, খাবারের চেয়ে সালামির প্রতি আগ্রহ টা বেশী থাকত, সালামির টাকা নিয়ে বাসায় কতই না ঝগড়া করছি তার ঠীক নাই, যখন রাত হত মনটা অনেক খারাপ হয়ে যেত, ঈদ কেন এতো তারাতারি চলে গেল, আর এখন তো পুরাই ডিজিটাল সালামি না দিলে, জোর পুর্রক আদায়, ছোট বেলায় ভাল ছিলাম

ঈদ অনুভাবনা


হঠাৎ কেন জানি মন টা উদাস হয়ে গেল।মনে হল কোথাও গিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। বসার জায়গা টা কলোনি র কবর স্থানের পাশে হলেও খারাপ হয় না।কেউ বিরক্ত না করুক।আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নেই।কবরস্থান এর বাঁশ গাছ গুলো র হালকা মৃদু মন্দ হাওয়া। একটা দুইটা পাখি ডাকছে। কিন্তু তাতে পরিবেশ টা আরো ভাল লাগছে। মনে বাজতে থাকুক, 
" দূরে কোথাও, দূরে, দূরে, 
আমার মন বেড়ায় ঘুরে, ঘুরে"
সত্যিই আর কিছু চাই না। এত টুকুতেই মন টা ভাল হয়ে উঠত।

ঈদ অণুগল্প - মেঘদূত


নিলয় ১৪ বছর পর আমেরিকা থেকে ফেরে। তার ছেলেবেলা কেটেছে যে স্থানে সেই সিলেটের পাহাড়কে নতুনভাবে দেখা।লাবন্য পেশায় ফটোসাংবাদিক। এক কম্পিটিশন এর জন্য ছবি তোলার উদ্দেশ্যে লাবন্য সিলেট যায়।সেখানেই তাদের পরিচয়। কিন্তু গল্পের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতায়য় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব্ব হয়ে গেলেও প্রেম হয়ে যায় না।তারা জানে এই দ্রুত গতির সময়ে নারী পুরুষের মধ্যে ভাল লাগার সৃষ্টি হলেও প্রকৃত ভালবাসা হয় না।এই ফেসবুকের যুগে ভালবাসাও ইন্সট্যান্ট,ক্ষণিক। লাবন্য আর নিলয়ের জীবনেও ভালবাসা তাই দ্রুত হারিয়ে যায়

ঈদ মানে খুশি,আনন্দ, মজা আরও কত কি


ঈদ মানে খুশি,আনন্দ, মজা আরও কত কি।কিনতু আমার কাছে আমার সেই ষোল বছর আগের কলোনির ঈদটায় ছিল শ্রেষট আর অতলনীয়।এখন তো শুধু সবার সাথে তালে তাল মিলানো।

কলোনিতে যখন ছিলাম তখন কত রকমের মজাই না করতাম।রমজান মাস টা জে আমাদের কখন শেষ হয়ে যেত বুঝতামি না।ঈদের দিন সকালে উঠে গোসল করে কখন জে নতুন জামা পড়বো সে চিনতায় সারারাত ঘুমাইতাম না।আর এখন তো অন্যরকম।তারপর building এর সবাইকে সালাম করে কে কত টাকা পাইতাম তার হিসাব করতাম।যেখানেই যাইতাম সবাই সালামি দিত।কত আন্তরিক ছিল কলোনির মুরব্বিরা।আর এখন কেউই কোনো সালামি দেয় না।কলোনি টারে বড় বেশি মনে পড়ে।কোনোদিনও ভুলতে পারবো না সেইসব দিনগুলারে।।সবাই ভাল থাকবেন আর সবার জীবনে ঈদ নিয়ে আসুক অনেক আনন্দ আর ভালবাসা।

ঈদ অণুগল্প - ২ রা ফাল্গুন


বহ্নি একটি গিফট শপের সেলস গার্ল। কাজ আর ঘর নিয়ে খুবই সাধারণ আর গৎবাধা জীবন তার। বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ধুমকেতুর মত তার জীবনে আসে চন্দন।চন্দন বহ্নির দোকান থেকে কিছু উপহার কিনে আবার বহ্নির কাছেই রেখে যায়।একদিন বহ্নি আবিস্কার করে উপহার গুলো তে তার নাম লিখে দিয়েছে চন্দন। বারবার দেখা হয় চন্দনের সাথে।দুজনেই বুঝতে পারে একে অপরকে ভালবাসে। কিন্তু বহ্নি কখনোই চন্দনকে পুরোপুরি বুঝতে পারেনা।বহ্নি যখন চন্দনকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ঠিক তখনই হঠাত করে উধাও হয়ে যায় চন্দন। বহ্নি অপেক্ষায় থাকে, চন্দন আসবে।আসে চন্দনের হাতে লিখা একটি চিঠি। আসে বহ্নির জন্য পাঠানো চন্দনের ভালবাসার উপহার

ঈদ অণুগল্প - রুপালি তারা


দয়াগঞ্জ গ্রামের একটি মেয়ে নাম টিয়া।শৈশব আর কৈশর থেকে যে স্বপ্ন লালন করে আসছে - সে রুপালি পর্দা র মানুষ হবে।যৌবনে পা দিয়ে তার সে স্বপ্ন আরো প্রবল হয়।নতুন সিনেমার একটিও বাদ দেয় না।মাতৃহীন টিয়া সংসারের কোন দায়িত্ব না নিয়ে সব দায় অবলীলায় বাবার উপর চাপিয়ে দেয়।টিয়ার আক্ষেপ - দয়াগঞ্জের কোনো মানুষের মধ্যে রুপালি পর্দার মানুষের কোনো প্রতিচ্ছবি খুজে পাওয়া যায় না।এর মধ্যে দয়াগঞ্জ এ আসে বাবলু।বাবলুর কথায় চলায় টিয়া খুজে পায় স্বপ্নের জগতের সেই মানুষের চরিত্র। এক সময় বাবলু গ্রাম থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়।কিন্তু টিয়ার আর সময় কাটে না যেন।তাই একদিন সবার অলক্ষ্যএ টিয়া পাড়ি জমায় বাবলুর কাছে - অথচ কোথাও খুজে পায় না।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss