Friday, March 4, 2016

সাজন এবং হিমু


১৯৯১ সালে সাজন ছবিটা মুক্তি পায়।ছবির গানগুলো ছিল শ্রুতিমধুর। বিশেষ করে ছবির " দেখা হ্যায় পেহেলি বার,সাজান কি আখো মে পেয়ার" গানটা দারুন হিট হয়।এই গানটা আবার আমাদের ক্লাসের হিমুর খুব প্রিয় ছিল।আমরা তখন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি।ক্লাসে স্যার বা আপা না থাকলে হিমু বেঞ্চের উপর তাল বাজিয়ে গানটা গাইত।আমাকেও উতসাহিত করত গাইতে।আমি যদিও গানটা পছন্দ করতাম না তেমন কিন্তু হিমুকে খুশি করার জন্য তাল মেলাতাম।

একদিন ক্লাসে তেমনি করে গানটা গাইছে হিমু,ক্লাসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রদ্ধেয় নাজিমুদ্দিন স্যার। উনি হিমুর গান শুনতে পেলেন এবং আমাকে তাল মেলাতে দেখলেন।তারপর দুজনকে এসে জিজ্ঞেস করলেন," কিরে, ক্লাস টাকে কি চায়ের দোকান নাকি বাজারের মত লাগে? গান গাইছিস কেন? " স্যার হিমুকে গান গাইবার জন্য দুই কান আর আমি তাল মেলাবার জন্য এক কান ধরালেন।এরপর স্যার আর গান গাইব না এই শর্তে দুজনকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন।

মানুষের তৈরী বেশির ভাগ পন্যে manufacturing date, shipment date এবং expiry date থাকে


মানুষের তৈরী বেশির ভাগ পন্যে manufacturing date, shipment date এবং expiry date থাকে। কিন্তু আল্লাহর তৈরী মানুষ, প্রানী, গাছপালার date of birth & date of death কিছুই থাকে না। জন্মের পরে পাই date of birth আর মৃত্যুর পরে পাই date of death. তার মধ্যে জন্মটা আমরা পুরোপুরি শিওর হতে না পারলেও মোটামুটি একটা প্রাথমিক ধারনা পাই, যার কারনে আমরা আগে থেকে কিছুটা হলেও প্রিপারেশন নিতে পারি। আর মৃত্যুটার ব্যাপারে আমরা আগে থেকে কিছুই বলতে পারি না। নেহায়েত দুরারোগ্য ব্যাধি হলে আমরা হয়তো বলি লোকটি মনে হয় বেশিদিন বাঁচবে না। তাও সঠিক দিনক্ষণ আগে থেকে কেউ বলতে পারে না।
Chand Sultana,

এইসব লিখালিখি


স্কুলে আমি শিশু- শ্রেনীতে পড়ার সময় আমাদের শ্রেনীতে শিক্ষিকা ছিলেন মাকসুদা আপা( Rubayet Hasan এর মা)। তখন অ দিয়ে পড়তাম," অশথ গাছের তলে,খেলব দলে দলে", আ দিয়ে " আকাশ ভরা আলো, আমার লাগে ভাল"। ষ দিয়ে ছিল " ষাড়ে ষাড়ে লড়াই, দূরে সরে দাড়াই"। এখন মাকসুদা আপার ক্লাসে থাকলে হয়ত পড়াতেন, ষাড়ে,ষাড়ে লড়াই, দূরে থেকে তামাশা দেখে যাই"।কারন ইদানীং গ্রুপে সবাই যখন লিখা দেবার কাজে মন দিচ্ছেন, উতসাহ নিয়ে লিখতে চাইছেন, তখন কিছু বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখার আগ্রহ টাকে নষ্ট করে দিচ্ছে,মন খারাপ করে দিচ্ছে,আগ্রহ টা হারিয়ে ফেলি।

সি,এস,এম কলোনির পেইজে যে ভাবে লেখার পরিমান বাড়ছে,তাও আবার এত বড় লেখা


সি,এস,এম কলোনির পেইজে যে ভাবে লেখার পরিমান বাড়ছে,তাও আবার এত বড় লেখা।তাতে আমি এতই অভিভূত যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। সে সাথে আমি চিন্তিত এই ভেবে যে, সবাই এত লেখা কি ভাবে লেখার সময় পায়,আমার মাথায় আসে না।আমার মনে এত কথা ঘুরপাক খাচ্ছে,কিন্তু আমি লেখার সময় করে নিতে পারছি না। না লিখতে পারাতে কেমন যে লাগছে বুঝাতে পারব না। নেশায় আক্রান্ত মানুষ নেশা করতে না পারলে যেমন করে আমারও তেমন হচ্ছে। মনটা কয়,,,,,,?। যাওগ গা,,,সামনের দিকে আওগ,,গা। নিজে না পারার কারনে অন্যরা কি ভাবে পারে তা ভাবতে গিয়ে আমি চমকে গেলাম, কি সহযোগীতা,কি ত্যাগ এই সি এস এম এর জন্য। তাই আজ আমি তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সবাই লেখক কে উৎসাহীত করে,কিন্তু এ লেখার পেছনে যাদের অবদান তাদের কথা কি আমরা কখনো ভেবেছি?। হা তাই আমি আজ ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের দেশের সে সকল ভাইদের যারা নিয়ম না মেনে আমাদের রাস্তা গুলোর যামজট তৈরিতে ভুমিকা রাখে।সে সাথে ট্রাফিক ভাইদের। যাদের কারনে আমাদের ৩০ মিনিটের পথ ২ ঘন্টায় শেষ হয়। আর আমাদের csm ভাই বোনরা ওই সুযোগে.....। যা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। অবশেষে যাদের ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারলাম না। ধন্যবাদ সকল CSM কলোনির ভাবিদের। সারাদিন বড় ভাইদের বিভিন্ন কাজে বাহিরে থাকা,রাতে বাসায় ফিরে সব বাদ দিয়ে csm পেইজ এ লেখতে বসা।এ যন্ত্রনাগুলো যদি ভাবিরা সহ্য না করতো,এ মিলন মেলা মনে হয় সম্ভব হতনা। ধন্যবাদ আবারও ভাবিদের, আপনাদের অনেক.........? এর কারনে আমাদের csm পেইজ সার্থক হয়েছে।

আমি ফেসবুক ইউজ শুরু করি ২০১২ সাল থেকে


আমি ফেসবুক ইউজ শুরু করি ২০১২ সাল থেকে, প্রথম দু বছর খালি ছবি পোস্ট ছাড়া আর তেমন কিছু এক্টভিটি ছিলোনা। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর পর থেকে আমি কিছু কিছু পোস্ট দেয়া শুরু করি, প্রথম দিকে ইংরেজিতে লিখলেও পরে বাংলা ইন্সটল করে নেই। ২০১৫ সালের জুলাই আগস্ট থেকে কলোনি নিয়ে স্মৃতি চারন মুলক লেখা পোস্ট করতে থাকি, তার মধ্যে মিঠু ভাইয়ের কোকের কাহিনীতে এত বেশি কমেনটস হয় যে সেখান থেকেই আমরা একটি আলাদা পেজের প্রয়োজন অন্ুভব করি, তারপরের ইতিহাস তো সবার জানা।

রিপন ভাইয়ের পোষ্ট টা পড়ে আমার খুব মনটা খারাপ হয়ে গেল


রিপন ভাইয়ের পোষ্ট টা পড়ে আমার খুব মনটা খারাপ হয়ে গেল। খেলার মাঠে সবাই খেলোয়ার থাকে না দর্শক ও থাকে, তেমনি FBর, CSM colony পেজ এ আমি ও এক জন। ২৯ জানুয়ারি গ্রান্ড আড্ডা টি এত কম সময়ের মধ্যে এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা অনেক কঠিন ব্যাপার। যারা এর পেছনে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অায়োজন টি সর্মপূন করেছেন, তারাই বলতে পারবেন তাদের উপর দিয়ে কি ধকল টা গিয়েছে।কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হবে, থাকবে। অাসুন সবাই মিলে এক সােথ ধন্যবাদ জানাই এমন একটি আয়োজনের জন্য।

কারন দর্শাও


কারন দর্শাও নোটিশের জবাবে যেন বেশী কারন দর্শাতে না হয় সে জন্য সকালে সবার আগে পটিয়া চলে আসলাম। আইসা দেখি কমিটির লোক দুই একজন ছাড়া কেউ নই। সবাই ঘুমাচ্ছে। চিটগাং শহর থেকেও আমার আগে কেউ আসে নাই। আমি সকালে তাড়াতাড়ি আসার কারন উপরের ক্ষেপে আছে রাতে আসি নাই বলে। তাছাড়া আরেকটি কারন হলো পটিয়া থেকে সন্ধ্যার আগেই চিটগাং চলে যেতে রাতে আরেকটা মেজবানের এটেন্ড করার জন্য। আগের মতো খেতে না পারলেও যেতে হয়। কেউ দাওয়াত দিলে আমি আবার না করতে পারি না।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss