Monday, December 21, 2015

পিকনিকের সিজন এসে পড়েছে


পিকনিকের সিজন এসে পড়েছে,আর কলোনিতে পিকনিক মানেই ক্যাসেটে উচ্চ স্বরে গান আর সাথে নাচ, নাচ বলতে আন্দাজে হাত পা ছোড়া ছুড়ি, যাকে বলে উদ্দাম নৃত্য, যার আগা মাথা বলতে কিছুই নেই। আর বেশিরভাগ গানই ছিলো গুরু আজম খানের। শুধু কলোনির ভিতর নয়, কলোনি থেকে দূরে কোথাও গেলেও চলতি পথে বাসের মধ্যেও এই নৃত্য চলত। জুনিয়র সিনিয়র সম্মিলিত নৃত্য চলত সি টাইপ মাঠের ৩১ ডিসেম্বর রাতের পিকনিকে, ওখানে বড়রা ছোটরা এমন ভাবে নাচত কার পা কার মাথায় বারি খাচ্ছে সে হুশ থাক্তোনা কারো। এই নাচের আসরে আপাতদৃষ্টি তে গুরুগম্ভীর অপু ভাই, Mainuddin Ahmed Siddique Titu ভাইকেও নাচিয়ে ছেড়েছি, আর এই নাচের ময়দানে মোর্শেদ ভাই ভিন্ন প্রকৃতির এক নাচের প্রচলন করেন, যেটা উনি ছাড়া আর কেউ পারতোনা।

অবশেষে বাসায় আসলাম


অবশেষে বাসায় আসলাম। চিটাগাং ঘুরে এলাম। ১৯৯৯ এর পর এই প্রথম যাওয়া। সবার আতিথিয়তা দেখে মুগ্ধ। কিভাবে ঋন শোধ করবো জানিনা। বাবুর বাসার খাবারে স্বাদ ভুলতে পারছিনা। সুজনের রান্না ছিল সেরকম।গরুর মাংস,মাছভাজা আর ডালক্ষিদে পেটে হুমহাম করে খেয়েছি। গেলাম বাবুর বাসায় সেখানে আমার জন্য চমক ছিল মধুভাত। জিবনের প্রথম খেলাম, দুইবার নিয়ে। এইটার credit Iftee Nomiওর মুখেই শোনা। 

খাবার টেবিল ভরা খাবার। বাবুর বউ ডলি, বোন তোমাকে কি বলে ধন্যবাদ দেব জানিনা। তোমার রান্না শুটকি ছিল অসাধারন।আমি খুব দ্রুত ডলিকে নাজমুল ভাইয়ের মাকে ফোন করবো রান্নাটা শিখতে।আর জসিম ভাই আজ খুব জোর করছিলেন দুপুরে খাওয়াবেন। খুব শ্রদ্ধা নিয়ে রিফিউজ করলাম।কারন সমরস্বল্পতা। কাল খেলাম সেন্ট মারটিন হোটেলে। গেলাম স্টিল মিল। আমার ইচ্ছার কথা মুখ দিয়ে বের করতে সময় লেগেছে,আমাকে নিয়ে যাওয়াতে দেরি করেনি। চা পরটাও খেলাম। নাজমুল ভাইদের বাসায় ছিল বিশাল যজ্ঞ। টেবিল ভরা খাবার।

জীবন খাতার প্রতিটা পাতায় এত হিসাব নিকাস করা যায়না


জীবন খাতার প্রতিটা পাতায় এত হিসাব নিকাস করা যায়না। এত হিসাব নিকাস বুঝিনা। অনেক মানুষ এর কোলাহলে বেচে থাকতে ইচ্ছে করে। কি পেলাম আর কি পেলাম না, তা কখনো ভাবতে ইচ্ছে করেনা। অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছি ব্যাবসা নিয়ে। ৩টা বছর একদম শুন্য ছিলাম। এখন কিছুটা গুছিয়ে নিয়েছি। তবে কোন রকম। আমি সহানুভুতির জন্য কথা গুলি বলছিনা। মাঝে মাঝে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমি কি কোন ভুল করছি

আমার পরিবার কিছুটা বিরক্ত। আমার জগত আমার পরিবারের কাছে উন্মুক্ত। তারা সব কিছুই দেখে এবং জানে। সারাফের মা মাঝে মাঝেই বলে, তুমি সমস্যায় পরবে। আমি আমার confidence এর কথা বলি। এত আপনজন কোথায় পাবো বলো? আজ ছোট বোনটা যখন কেদে কেদে জিজ্ঞসা করে তার অপরাধটা কি? আমি উত্তর দিতে পারিনা।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss