Saturday, July 2, 2016

আজও সেহেরি খাওয়ার পর ঘুম আসছিল না


আজও সেহেরি খাওয়ার পর ঘুম আসছিল না, ভোরের দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো(প্রায় মাস খানেক এর মত হবে বৃষ্টির কোন দেখা ছিল না। হঠাৎ দুই দিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে)। তারপরও বৃষ্টি ভেজা ভোরে (অবশ্য একটু কাজও আছে) রওনা দিলাম সাগরের প্রান্তে।

কাজটাও সারালাম ওমনি শুনি আযানের ধ্বনি। বুজলাম এক(১) টা বাজছে (কখন যে ১ টা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না)। অতঃপর, নামাজ পড়েই আমার চোখ যাকে খুজছে! তাহার দিকে গেলাম। 

এসেই দেখলাম, আকাশের মন ভাল না থাকার কারনে মাতাল হাওয়াটা আর মাতাল হাওয়া নেই। তাই আর বসে না থেকে আমার চেনা জানা হোটেল মূখী হলাম। অনেকটা রাগের স্বরে বকা দিয়ে বলি....
হেই ই ই সমুদ্র!!!

সত্যিই তোমার দিকে তাকানোই ভুল ছিল আমার।

এখন আমার চোখ,মন সারাক্ষণ তোমার -
ওই মাতাল হাওয়া খুজে বেড়ায়....

অন্যরকম দিন


এখন ঘড়ির কাটাতে দুপুর ২: ৫১

এসময়টাতে বাসার সামনের ৭৪ নম্বর সড়কটা ট্রাফিকে জ্যাম হয়ে থকে। নরদা প্রগতি স্মরণ আর গুলশান-২ কানেকক্টিং এই সড়কটি খুব ব্যস্ত থাকে সচরাচর। কিন্তু আজকের চিত্রটা একেব্রেই ভিন্ন।

বাসার কম্পাউন্ডের গেটটা বন্ধ গতকাল রাত থেকে। চারদিকে শুনশান নীরবতা। দেশ বিদেশ থেকে ফোন আসছে,উতকন্ঠিত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব খোজ খবর নিছছে। 

কেমন আছি? কি হছে? কি হবে?
কোন উত্তর নেই আমার কাছে। অনেক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে শুধু অন্য রকম একটা দিন কাটছে। 
একেবারেই অন্যরকম।

অন্যরকম নয়, অতিদ্রুত চির চেনা প্রতিদিনের জীবনে ফিরে যেতে চাই আমি,আমরা -সবাই।
যত দ্রুততায় সেটা সম্ভব ততই মংগল।

সিএসএম কলোনীতে-কয়েকটা জিনিসে আমি হয়তো-‘‘বেষ্ট থ্রিরির মধ্যে থাকবো”


সিএসএম কলোনীতে-কয়েকটা জিনিসে আমি হয়তো-‘‘বেষ্ট থ্রিরির মধ্যে থাকবো”-তার মধ্যে ডাব চুরি, মুরগী চুরি, পুকুরের মাছ চুরি, স্কুলের খেলাধুলার পুরুস্কার-কলোনীতে খুব কমই নারিকেল গাছ আছে যেখানে আমার হাত পড়েনি এবং সর্বশেষে ভ্রমন। মোবাইল সেট সহজ লভ্য হাওয়ার আগ পর্যন্ত টেলিফোন মেশিন (পিএবিক্স) ও টেলিফোন সেট এর কাজের কারনে-বাংলাদেশের এমন কোন জেলা নেই যেখানে আমার বিচরণ নেই-অবশ্য আমার পয়সায় নয়। সরকারী অথবা জনগণের পয়সায়। সেই হিসাবে সিএসএম কলোনীর-বেষ্ট টেনকে ‘‘যদি ইবনে বতুতা পদক” দেওয়া হয়-তাহলে হয়তো আমার নামও থাকবে আশাকরি। এবার কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি। ভ্রমন বলতে আমরা সাধারণ ভাবে দুরের যাত্রাটাকেই বুঝি। আমিও এটাই বুঝতাম। কিন্ত গত কয়েক বছরে ঢাকার বিভিন্ন রুটে ----- দয়া করে ভাড়ার অতিরিক্ত ভ্রমন করিবেন না---------- জাতীয় নোটিশ দেখে মনের ভেতরে ভ্রমনের সীমারেখা পালটালো। বুঝলাম স্বল্প দ্রুরত্বও শ্রমনের আওতায় পরে। প্রতিদিন সকাল 9.00 থেকে ঢাকা শহরে প্রায় কোটি খানিক মানুষ আমার মত-পেটের ধান্দায় মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমনে বাহির হয়। তবে এই স্বল্প দূরত্বে ভ্রমনের ফিলিংস থেকে-পয়সা কামানোর ফিলিংসটাই তাকে দৌড়ের উপর রাখে। তবে কিছু কিছু মানুষ যারা ভ্রমনের আনন্দ, আলোচনার মাধ্যমে নিয়ে অন্যের আনন্দের ‘‘খবর” করে ছেড়ে দেন। যারা নানা চরিত্রের হয়ে থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে কমন স্বভাবের ভ্রমনকারীরা বেশ দেশ সচেতন। তারা বেশিরভাগ সময়ে হাতে পত্রিকা নিয়ে উঠেন এবং কোন প্রকার সুযোগ পেলেই আলোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেটা যেমন রাস্তার জ্যাম দেখেও হয়, সেটা হয় ট্রাফিক পুলিশের আচারণ দেখেও। এমনকি ড্রাইভারের গাড়ী চালানো দেখেও সেই আলোচনার সৃষ্টি হয়---------------। একটু কিছু হলেই হয়। শুরু হয় ভাষন। সেটা প্রথমে দেশ দিয়ে শুরু হয়, ---‘‘শালার কি দেশে বাস করি-----। ধীরে ধীরে সেটা নান বিষয়ের উপর সিডর গতিতে প্রদক্ষিণ করে শেষ পর্যন্ত নিজের উপর এসে শেষ হয়, ------- আসলে শালার আমরাই ভালোনা, আমরা যদি ঠিক থাকতাম-------। এর ভেতরে হাসিনা আপা, খালেদা ম্যাডাম, এরশাদ কাকু, তারেকসহ বহুজনের উপরদিয়ে এই ঝড়টা যায়। এ থেকে কখনো কখনো বারাক ওবামাও রেহাই পান না।

বর্ষাকালটা আমাদের জন্য ছিল অন্য রকম


বর্ষাকালটা আমাদের জন্য ছিল অন্য রকম। মজায় মজায় ভরপুর। বর্ষার কোন দিন পাইন্না খেলা ছাড়া চলতই না।স্কুল ছুটির পর প্রতিদিন আর বন্ধের দিন তো কথাই নাই।C টাইপের মাঠের মাঝখানে পানি জমা থাকতো। টিটু ভাই (টিংকুর ভাই) বলটা ইচ্ছা করে পানির মদ্ধে ফেলতো আর আমরা সবাই লাফিয়ে পরতাম এর উপর।দুষ্ট টিটু ভাই পেছন থেকে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে খালি ল্যাং মারতো।হা..হা..হা।আমিও স্লিপ আর ল্যাং মারার জন্য বিখ্যাত ছিলাম। গোল দেয়ার চেয়ে এই সবে সবার মনযোগ বেশি থাকতো।জাম্বু বাবু ভাই ঐ স্বাস্থ্য নিয়েও পাইন্না খেলাটা ভালই খেলত।পিচ্চি পাপ্পুও (B-টাইপ) কম যেতনা। বেচারা তুমানকে খেলতে দিতনা বলে করুন চোখে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকত।খেলার পর আবার পুকুরে গিয়ে দাপাদাপি। কই গেল সেই দিন.....

ছোটবেলার ঈদ


ছোটবেলায় আমাদের শপিং এ যাবার সময় ছিল সকাল সাড়ে ১০ টা। রাতের বেলায় আব্বা আম্মা শপিং যেতে চাইতেন না। দিনের বেলায় গিয়ে সন্ধ্যার আগে ফিরে আসতে হত। তখন এত জ্যাম ছিল না। কিন্তু দেখা যেত কোন একটা মার্কেট এ ঘুরে আম্মা আব্বা ক্লান্ত হয়ে যেতেন।বলতেন রোজা রেখে শপিং করা যে কি কষ্ট বলা যাবেনা।আমি তখন রোজা না রাখায় বুঝতে পারতাম না। আবার অনেক সময় জামা কাপড় কেনার সাথে সাথে খেলনাও কিনতাম। ঈদ সংখ্যাও থাকত। 

এরকম একবার খেলনা কিনলাম। প্লাস্টিক এর বিভিন্ন পশুর মূর্তি। ১০০ টাকা ছিল খেলনার দাম। আজ থেকে ২৭ বছর আগে। খেলনা কিনে আমরা বেবি ট্যাক্সি তে চড়লাম। খেলনা ছিল আমার ভাইয়ের হাতে। ও একপাশে বসছিল ট্যাক্সি র। একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। বাসায় এসে যখন সব কিছু দেখছি,দেখি খেলনা টা নেই। ও ঘুমের মধ্যে হাত থেকে ফেলে দিছে। আম্মা অনেক বকলেন। মন খারাপ হল।

এরকিছুদিন পর Farzana Haque Rini দের বাসায় গিয়ে দেখি সেই খেলনা টা শো কেসে সাজানো। আমি জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পেয়েছে।ও বলল ওর মামা না কে যেন কিনে দিয়েছে।কিন্তু আমার সন্দেহ হল আমাদের খেলনাটা মনে হয় ওরা কুড়িয়ে পেয়েছে।বাসায় এসে আম্মাকে বললাম সন্দেহের কথা। আম্মা হেসে পাত্তা দিলেন না। কিন্তু আমার মন থেকে সন্দেহ আর যায় না। যতবার ওদের বাসায় যায় রিনিকে জিজ্ঞেস করি কোথা থেকে কিনেছে।মনে হয় এই বুঝি বলবে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে। একইরকম খেলনা যে আরেকজন কিনতে পারে এই ব্যাপার টা বুঝতে আমার অনেকদিন সময় লেগে গিয়েছিল। বুঝতে পারার আগ পর্যন্ত আমি রিনিকে সন্দেহ করে গিয়েছিলাম।

অবসরে নিজেকে...........


যান্ত্রিক জীবনে ব্যস্ততার মাঝে সময় পারি দিতে দিতে ভুলেই গেছিলাম অবসর নামক একটা কিছু আমার জীবনে আছে।সত্যিই মাঝে মাঝে ভাবি আমি কোন 'বিলগ্রেডস্' যে আমার জীবনে কোন অবসর নাই? মনে মনে চিন্তা করি আমি কোন famous? যে, I will kepp my footprints and someone will follow it. না অতশত ভেবে লাভ নাই,তাতে ভাবনার নতুন নতুন জানালাই খোলা হবে।আর সে জানালায়, না পৌছাবে কোন পূ্র্ব দিগন্তের আলো, না বইবে কোন দক্ষিণা বাতাস।তাই ভাবনা চিন্তাগুলোকে ছুটি দিয়ে মন যা চায় তাই লিখলাম। একটাতো কারন অবশ্যই আছে, আর তা হলো আজ কেন জানি নিজেকে একটু বেশি মানুষ মানুষ মনে হচ্ছে। কেন জানি নিজেকে ব্যস্ত সময়ের সাথে তাল মেলানো digital clock র stop watch বলে মনে হচ্ছে না।আজ সকালটা ছিল সত্যিই খুব সুন্দর। সুন্দর সকাল দিয়ে শুরু হওয়া দিনটি নিয়েই কিছু লিখব।

বাবাই-র মা (আমার সহধর্মীনি): তেমার শরীর খারাপ করেনিতো?আজ এতবেলা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছ যে।

আমি: না সব ঠিক আছে।অনেক দিন পর ছুটি পেলাম তাই।

বাবাই-র মা: তাহলে আজ তোমার shopping এ যাবার সময় নিশ্চই হবে।

আমি: না, বাহিরে এত রোদ আমি যেতে পারবনা।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss