যান্ত্রিক জীবনে ব্যস্ততার মাঝে সময় পারি দিতে দিতে ভুলেই গেছিলাম অবসর নামক একটা কিছু আমার জীবনে আছে।সত্যিই মাঝে মাঝে ভাবি আমি কোন 'বিলগ্রেডস্' যে আমার জীবনে কোন অবসর নাই? মনে মনে চিন্তা করি আমি কোন famous? যে, I will kepp my footprints and someone will follow it. না অতশত ভেবে লাভ নাই,তাতে ভাবনার নতুন নতুন জানালাই খোলা হবে।আর সে জানালায়, না পৌছাবে কোন পূ্র্ব দিগন্তের আলো, না বইবে কোন দক্ষিণা বাতাস।তাই ভাবনা চিন্তাগুলোকে ছুটি দিয়ে মন যা চায় তাই লিখলাম। একটাতো কারন অবশ্যই আছে, আর তা হলো আজ কেন জানি নিজেকে একটু বেশি মানুষ মানুষ মনে হচ্ছে। কেন জানি নিজেকে ব্যস্ত সময়ের সাথে তাল মেলানো digital clock র stop watch বলে মনে হচ্ছে না।আজ সকালটা ছিল সত্যিই খুব সুন্দর। সুন্দর সকাল দিয়ে শুরু হওয়া দিনটি নিয়েই কিছু লিখব।
বাবাই-র মা (আমার সহধর্মীনি): তেমার শরীর খারাপ করেনিতো?আজ এতবেলা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছ যে।
আমি: না সব ঠিক আছে।অনেক দিন পর ছুটি পেলাম তাই।
বাবাই-র মা: তাহলে আজ তোমার shopping এ যাবার সময় নিশ্চই হবে।
আমি: না, বাহিরে এত রোদ আমি যেতে পারবনা।
বাবাই- র মা : তারাতারি উঠে fresh হও।ঘর গুছাতে হবে।আর একটু পর রায়া( বাবাই)কে খাওয়াতে হবে।
আমি: ঠিক আছে যাও উঠছি।ও আচ্ছা তুমি না বল্লে তোমার কেনাকাটা ঢাকায় হইছে আর আগামীকাল গাড়িতে চলে আসবে।
বাবাই-র মা: আমার কথা বাদ দাও।নিজের জন্য এখনও কিছু কিন নাই।আর বাবাইয়ের shoes কিনা লাগবে।
আমি: আমার জন্য পান্জাবি কিনলে না।তাহলে আর কি?
বাবাই-র মা: সেন্ডেল কিনবেনা, না কি ঈদের মাঠ থেকে shopping করবে?
আমি: fresh হয়ে, ফোন দিলাম জুম্মার নামায পড়ে গাড়ি নিয়ে এস বাহিরে যাব।
- গাড়ি এল বেলা ৩টায়।
- জেলা শহরের shopping centre বাসা থেকে তাতো ১০-১২ কিঃমিঃ হবেই।যেতে যেতে কখন যে হারিয়ে গেলাম ছোট্টবেলার সেই ঈদshopping এর দিনগুলোতে।
-- ছোটবেলার ঈদ shopping ছিল খুব খুব মজার একটা বিষয়, eid shopping আমার কাছে অনেক প্রতিঙ্খিত মূহুর্তের বা দিনের একটি।ছোটবেলা থেকে shopping হত বাবা, মা র হাত ধরে।shuttle বাসের ধরাবাধা সময়ের কারনে বাবা কখনই shuttle বাসে যেতেন না।আর shopping বলতে বুঝতাম শুধু new market কেই।সারাদিন ঘুরাফেরা করে তাদের পছন্দেই কাপর কিনে দিতেন। (still unparallel,unique and the best) আর আমি চরম এবং পরম আনন্দে তাই নিয়ে ঘরে ফিরতাম।সবচেয়ে বেশী অপেক্ষা করতাম কখন বাবা চকবার খাবার জন্ন্য new market র নীচতলায় icecream র দোকানে নিয়ে যাবে। shopping শেষে বাসায় ফিরার পর শুরু হত আসল ঘটনা।কি কিনে আনা হয়েছে তা কিছুতেই অন্য কাওকে দেখতে দিতে চাইতাম না। কিন্তু, পাশের বাসার সবাই আসতেন ঈদ shopping দেখার জন্য।তখন ভাবতাম ঈদের কাপর আগে দেখালেই ঈদ পুরাতন হয়ে যাবে।যদিও আম্মা সবাইকেই দেখাতেন,আর জানার পর সে কি কান্না।আম্মা বলতেন তোর খালাম্মারা ছাড়া অন্য কেও দেখে নাই, আর খালাম্মারা বলেছেন আন্য কওকে বলবেনা। যেহেতু অন্য কাওকে বলবেনা তাই ঈদ ও পুরাতন হবে না।সময় যেতে থাকে আর স্বাধীনতার ডানা গুলো যেন আরও বড় হতে থাকে এক সময় দু ডানায় ভর করে উড়াল দেই মুক্ত আকাশে। এক সময় ঈদের আগে বাবা ডেকে টাকা দিয়ে বলতেন ঈদের কেনাকাটা করে নিও।তত সময়ে shopping র centre of gravity new market থেকে hawkers market আর বিয়াজউদ্দীন বাজারে চলে গেছে।shopping এ যেতাম ছোট্টবেলার বন্ধুদের সাথে। ready made garments র পরিবর্তে বানানোর order দিতাম hawkers market এ আর delivery date নিতাম চান রাতে।marketing র নাম ভাঙায়ে রাত করে বাসায় ফিরতাম, সাথে সাথে শুরু হত বাবার কালজয়ী ভাষন,আর সকালে বলতেন বিশ্বজয়ী বানি-
Morning shows the day
কথাগুলো এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বেরুত,মাঝে মাঝে ঢুকতই না।এভাবেই বহু প্রতিঙ্খিত চান রাত আসত দল বেধে যেতাম market এ সকল কেনাকাটা শেষ করে পরদিন সকালে হাজির হতাম ঈদের মাঠে।অবশ্যই csm officer's club মাঠে।
No comments:
Post a Comment