Tuesday, March 29, 2016

মুনতাহা (তরু)

- Aslamuddin Mamun

আমাদের মাহফুজ স্যারের মেয়ে।ওকে কলোনীতে দেখি নাই। তবে কলোনী থেকে বের হওয়ার পর আমি যখন ওয়াসা গলি( যৌথ আবাসিক কলোনী রোড) এ থাকি,তখন মাঝে মাঝে বাসে তার চনচলতা দেখেছি।খুবই চটপটে।

তারপর পেজের মাধ্যমে আমাদের সাথে পরিচিতি।পেজে সব- সময় সরব উপস্হিতি ছিল আড্ডাকে ঘিরে,এখন সামনে পরীক্ষা তাই একটু লিখা কম।

আমাদের সাথে ২১ ফেধ্রয়ারী তে শহীদ মিনারে গিয়েছিল, তারপর স্কুল এ তার কলোনী নিয়ে চিন্তা খুবই প্রশংসা নিও।
সব সময় প্রোফাইল এর ছবি পরিবর্তন করে।

এই পেজের সবাই তরু কে আদর ও স্নেহ করে।
এভাবেই আমরা সব সময় তরুকে দেখতে চাই।
কারণ আমরা আমরাইতো।

আমাদের কমুমামা


গ্রুপে পরিচয় মানুষটার সাথে।মজার মজার কমেন্ট দেখে রিকুয়েস্ট দিয়েছিলাম।এক্সেপ্টও করেছেন সাথেসাথেই।কমুমামা একদিন আমাদের বাসায় খুব সকালে এসেছিলেন।আসার পর আম্মু ডাক দিয়ে বললেন,"কমু আইসে,উঠে পড়।" তড়াক করে উঠে মুখ ধুয়ে সামনে গেলাম।সালাম দিলাম।চিটাগাইংগা ভাষায় কি কি যেন বলছিলেন মামা।যাই হোক,অসম্ভব মজার মানুষ।কথাগুলা রীতিমত গড়াগড়ি দিয়ে হাসার মত।মামার সাথে খুব ফ্রি হয়ে গেলাম।একদম আপন মামার মত।আর খালি বলে "কী খাবি বল"। আড্ডায় মামার সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি। ৪বারের খাওয়ার সময় মামা সামনে দাড়িয়ে থেকে আমাদের খাইয়েছেন।চিটাগাং থেকে চলে আসার দিন হাজার ব্যস্ততা রেখে আমাদের দেখতে এসেছেন।তারিক মামা চলে যাওয়ার আগের দিন মামাই সান্তনা দিয়েছেন সবাইকে,যখন সবাই ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম।অফুরন্ত প্রাণশক্তির উদাহরণ কমু মামা।আড্ডায় মামার কাজ ছিল অতুলনীয়।

কমু মামা


প্রথম যেদিন দেখা হয় আমাদের বাসায় সকালে চিটাগাং থেকে আসে মামা। আম্মু যথারীতি ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে দেখো একটা মামা আসছে।আমি ড্রইংরুম এ গিয়ে মামাকে সালাম দিলাম। কিছুক্ষণ এর ভিতরেই খুব ই ফ্রি হয়ে গেলাম। এর পরে আবার কবে দেখা হয় আমি সঠিক তারিখ টা ভুলে গেসি। গ্রেন্ড আড্ডার আগের দিন রাতে ভেন্যুতে গেলে আমরা তিন বোন কমু মামা বলে চিতকার করে উঠি। এর পরেরদিন আড্ডায় আমাদের খাওয়া-দাওয়া সব কিছু কমু মামা দেখসে। গ্রেন্ড আড্ডার পর তারিক মামার নাটোরে চলে যাবার আগে মামার সাথে দেখা হয়।এর পরেরদিন তারিক মামা চলে যাবে আমরা রাতের ট্রেনে যাবো নেত্রকোনা তাই মামার সাথে শেষ দেখা করতে গেছি আমি আর উমাম্পি কি কান্না!! কমু মামা কান্না আর থামাতে পারেনা আমাদের। ক্যাডবেরি কিনে দিবে বলেও মামা কান্না থামাতে পারলোনা।যতবার দেখা হয় ২ টা ক্যাডবেরি তো মাস্ট। কমু মামা খুব আদর করে।আমাকে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে কথা বলে মামা আবার ভিডিও কল ও হয়। কমুউউউউউউউউ মামা বলে একটা চিতকার দেই। we miss you mama!! meet us soon and we love you a lot! smile emoticon

একজন ভাল মানুষ


অপু দা।যার পুরো নাম সজিব কুমার দে।আমরা চিনতাম আরতি আপার ছেলে বলে।আর স্কুলে অনুষ্ঠানে ভাল বাজাত বলে।উনি যখন স্কুলের কোন অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক গিটারে সুর তুলতেন,তখন তন্ময় হয়ে পুরো কলোনি বাসী শুনত। বাদ্যযন্ত্র প্রতিযোগিতা য় প্রথম হওয়া অপুদার ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছিল। এজন্য কলোনি র অনেক মেয়ে উনার ফ্যান হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু উনার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব এর কাছে মেয়েদের এসব পাগলামি পরাজিত হয়েছে।

চাইলে বাসার সবার ছোট হিসেবে অতি আদরে বাদর হতে পারতেন।কিন্ত তিনি তা হননি।নিজে নীরবে ভালবেসে গেছেন। কিন্তু কারো পথের কাটা হননি। খুবই বন্ধুবৎসল। আড্ডার প্রান,দূরের কাউকে আপন করে নিতে পারেন। ছোটদের করেন স্নেহ,যেন নিজের আপন ভাই।হাসিখুশি, প্রান খোলা মানুষ।বিপদে সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেন। আজ আর না।কারন আমি এখানে একজন ভাল মানুষের কথা বলেছি, তেল দেইনি

সদা হাস্যময়ী


আমি চাইলে নিজের বাসার কাউকে নিয়ে লিখতে পারতাম,কিন্তু ব্যাপার টা আমার জন্য এবং যাকে নিয়ে লিখব তার জন্য বিব্রতকর। আবার শায়লা লিখল যাকে ভাল করে জানি তার সম্পর্ক এ লিখতে।অনেক গুলো মুখ চোখের সামনে ভাসছিল যাদের নিয়ে লিখা যায়,কিন্তু দেখলাম তাদের মধ্যে একজন বলে বসলেন উনাকে নিয়ে লিখতে।তাই লিখা,তবে এক্ষেত্রে কোন প্রকার বানানো কিছু নয় বরং আমি তাকে যেভাবে দেখেছি তাই লিখব।

রিপা আপা।আমি ঠিক জানিনা কখন থেকে আমি উনাকে চিনি।তবে যখন থেকে কথা বলি এবং মানুষ চিনতে শুরু করি তখন থেকেই। থাকতেন আমাদের দোতলায়। আমার বোনের সহপাঠিনী হবার কারণে আমাদের বাসায় উনার আসা যাওয়া ছিল।মনে হত কাছের মানুষ।সবসময় গুছিয়ে থাকতেন, কখনো অগোছালো দেখতাম না। কালারফুল থাকতেন।আর থাকত হাসিমাখা মুখ। আমাকে নিজের ছোট ভাইয়ের মত, না, ছোট ভাইয়ের চেয়ে বেশি দেখতে পারতেন। মানুষের সাথে সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন যেটা সবার থাকেনা।অহংকার দেখতাম না। কারো কষ্ট দেখলে নিজেও কেঁদে ফেলতেন।আমার মামা মারা গেছে শুনে উনি আমার আম্মাকে সান্ত্বনা দিতে এসে নিজেও কেঁদে ফেলেন।

অপু কে?


অপু :
অপু কে?
আমারা বাল্যকালের বন্ধু।
পিতা- নটু প্রসাদ দে,মাতা- আরতি দে(আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা),দাদা- রাজীব কুমার দে,দিদি- মায়া দে,দিপা দে,
চার- ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট।
কলোনীতে প্রথমে f/10 ছিল,পরে E/9 এসেছে।
ছোট কাল থেকেই পড়া- লেখার পাশাপাশি খেলার প্রতি বেশী জোক ছিল।
ফুটবল,ক্রিকেট খুব ভাল খেলত।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরন


সকল ভাই ও বোনদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই জানেন আমি অপু, অতিশয় ভদ্র অ্যান্ড মার্জিত গুন সমন্নিত CSM কলোনির একজন একজন সুদর্শন যুবক(প্রায় লাস্ট সেমিস্টারে) এবং CSM পেজের একজন নিয়মিত সদস্য, পেজের ছোট বড় সকলেই মোটামুটি আমাকে জায়গা মতো যথেষ্ট সন্মান করে, কিন্তু........ কিন্তু কিছু কিছু আমার খুব কাছের মানুষ আমার এই জনপ্রিয়তা কে নষ্ট করার জন্য উঠি পড়ি লাগছে, এহেন ষড়যন্ত্র জানতে পেরে আমি আজ তাদের সংগে এক প্রীতি সাক্ষাতকারে মিলিত হই, অনেক বলা সত্তেও তারা প্রথমে আগ্রাবাদ এলাকার অতি জঘন্য একটা হোটেল এ জোর পুরবক বাজে তেলের বাজে নাস্তা যেমন পূরী, চপ এগুলা খাওয়ায় এবং আড্ডাতে দেবে বলে আমার এতো সুন্দর চেহারা বাদ দিয়ে টাকের ছবি তুলে আর আমাকে বলে যদি নাস্তার বিল না দেই তাহলে ওই ছবি পেজে পোস্ট করে দেবে।জানিনা এতক্ষনে করে দিয়েছে কিনা??? শুধু তাই নয় আগামী ২/৩ দিনের মদ্ধে যদি ওদেরকে আগ্রাবাদের কোণো অভিজাত হোটেলে না খাওয়াই তাহলে নাকি আমার নামে আর কি কি নাকি লিখবে। কিন্তু আমি জানি পেজের ভাইরা সবাই আমাকে খুব ভাল মতোই চেনে তাই আমি ওদের সব প্রস্তাবের মুখে ঝাটা মেড়ে বীরদরপে বাসায় চলে আছি। কি ভাইরা ঠিক করছি না? আমি জানি আপ্নারা আমার সাথে একমত হবেন।

আর এই সমস্ত অপরাধী চক্র হতে সাবধান থাকতে সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

""বাবা""(অবশিষ্ট পর্ব)


আজ অনেকে অনেক কে নিয়ে লিখছেন।।তাই আমি বাবাকে নিয়ে লিখলাম।।
গতবার লিখেছিলাম বাবার ভালোবাসা আর শাসন নিয়ে।।আজ বাকিটা .......

(পরিশ্রম)
পৃথিবীর প্রতিটা বাবাই তার পরিবার-পরিজনের জন্য পরিশ্রম করেন।।আমার বাবাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।।হয়তো একটু বেশিই করেছেন।।কি রোদ,,কি বৃষ্টি।।কোন কিছুর কাছেই যেন বাবা হার মানতেন না।।সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে ছিল বলে বাবার রেস্ট ছিল না।।আট ঘন্টা ছিল উনার ফিক্সড ডিউটি বাকিটা ছিল ওভার টাইম।।ওটাই ছিল বাবার প্লাস পয়েন্ট।।দুটো বাড়তি পয়সার আশায় বাবা নিজের শরীর টাকে কখনও বিশ্রাম দিতেন না।।তাই অন্যরা যখন নির্দিষ্ট ডিউটি শেষে বিশ্রাম নিতেন তখন বাবা নিজের ডিউটি শেষে বাড়তি ডিউটি করতেন।।ডিউটির পরিমাণ ছিল বার ঘন্টা,,চব্বিশ ঘন্টা,,বত্রিশ ঘন্টা পর্যন্ত বাবা ডিউটি করতেন।।অনেক সময় কাজের চাপে ঠিক মতো বাসায় এসে খাবার খেতে পারতেন না।।কখনও কখনও আমি বাবার খাবার পোস্টে দিয়ে আসতাম।।কনকনে শীতের রাতে সবাই যখন পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতো তখন বাবাকে আমরা বিদায় জানাতাম কর্মের প্রয়োজনে।।তখন আমরা গরম কাপড়ের নিচে ঘুমাতাম আর বাবা জেগে থাকতো বাকিদের নিরাপত্তা দিত।।

"বাংলাত হ"


অনেকদিন আগের কথা। একবার ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম আসছিলাম। বাসের ২৭টি সিট সব ফিলাপ। তার মধ্যে চিটগাং এর লোক ২০ জনের বেশি হবে। রাস্তায় খুব একটা জ্যাম ছিলো না। আরামবাগ থেকে বাস ছাড়ার পর সায়েদাবাদ আসতেই প্রায় ৪০ মিনিটের মতো লেগে গেলো। সায়েদাবাদ কাউন্টারে এসে আবার ৩০ মিনিট হয়ে গেলো গাড়ি ছাড়ে না। গাড়ি ছাড়ার কোন লক্ষনও দেখা যাচ্ছে না। এমন সময় আমার পাশের সিটের একজন বলে উঠলো what kind of service. এ কথা শুনে পিছন থেকে বললো "অ ভাই বাংলাত হ"। এটা শুনে আমার পাশের লোকটা ফুল নার্ভাস হয়ে গেলো। তারপর একটু পরে বলে অ দেক্কননি হইল্যা গরি চালার? হত্তে চিটাং যাইয়ুম? তারপর চুপ করে বসে আছে। একটু পরে গাড়ি স্টার্ট দিলো। সুপারভাইজার মাইক্রোফোন হাতে বলতে লাগলো "আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে যাত্রা বিলম্বিত হওয়ার জন্য" "we are really sorry for some technical problem". সুপারভাইজার তার বাকি অংশ বলতে যাবে এই সময় আমার পাশের লোকটি বলে উঠলো "অ ভাই বাংলাত হ"। সুপারভাইজার পুরাই বেকুব হয়ে গেল। এবং বসে পড়লো। একটু পরে দাঁড়িয়ে আবার বলা শুরু করলো " আঁরার গাড়িত এক্কানা সমস্যা হইয়েল, ইয়ান আঁরা ঠিক গলি ফেলাই। আশাকরি আঁরা ঠিক সময় চিটাং পৌঁছি যাইয়ুম। অনোরা কষ্ট গরি বইসসুন এথালবুলি অনোরারে দইন্যবাদ।"

নীরা


নীরা : কি ব্যাপার কাল না তোমার দেখা করার কথা ছিল আমার সাথে, আসোনি কেন? ( অভিমানী অবয়ব)

নীলয় : আরে সারারাত ওয়ার্ল্ড কাপের আজেন্টিনা বেলজিয়াম খেলা দেখে ভোরে ঘুমিয়েছি, তাই আসতে পারিনি।

নীরা : কি আমার চেয়ে তোমার ওয়ার্ল্ড কাপ বেশী? কি মজা পাও রাত জেগে এ খেলা দেখে, পরদিন তো আবার খেলা রিপিট করে তখন দেখলেই তো পারো। 

নীরা এবার প্রচন্ড অভিমানী। নিলয় বহু কসরত করে নীলার মান ভাংগালো। আচমকা নীলা নিলয়ের পা ছুয়ে সালাম করল, অপ্রস্তত নীলয় ভ্যাবাচেকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলল সালাম কেন, উত্তরে নীলা বলল চারদিন পর পরীক্ষা শুরু তাই দোয়া নিয়ে নিলাম। পরিক্ষার সময় তুমি কাছে থেকোনা, তোমাকে দেখলে আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়, দেখা যাবে বাংলা পরীক্ষার সময় ইংরেজি পরিক্ষা দিয়ে আসছি।

( ব্যাক গ্রাউন্ডে রোমান্টিক মিউজিক, কাহিনী একটু সেন্সরড)

গ্র্যান্ড আড্ডা


আজ "গ্র্যান্ড আড্ডার "দুই মাস পুর্তি। Aslamuddin Mamun ভাই বলে রনি আড্ডা নিয়ে কিছু লিখ। উনার অনুপ্রেরনায় কিছু লিখা। আড্ডা নিয়ে এটা আমার তৃতীয় বারের মত লিখা। এই পেইজের কারণে আমরা এত বছর পর আবার সবাই একত্রিত হতে পেরেছিলাম।আমি মনে করি আড্ডার মাধ্যমে আমাদের মাঝে পারস্পরিক আন্তরিকতা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

যাক এবার আসল কথায় আসি। আড্ডায় গিয়ে গাড়ি থেকে নামার পর যত সামনে যাচ্ছি সব পরিচিত মুখ। অন্য রকম ভাল লাগা!!! সামনের দিকে যেতে যেতে আম্মুকে হারিয়ে ফেলছি। আর খুজে পাইনা। আমার ভাইকে বলি আম্মুকে দেখেছো? বলে না। বোনকে বলি আম্মুকে দেখেছো? বলে না। আরেবাবা গেল কই!!! আধা ঘন্টা এই দিক ঐ দিক খুঁজলাম কোথাও পাইনা। আমি দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছি পেছন থেকে আম্মু বলে কিরে তোকে তোর আন্টিরা দেখতে চায়তেছে তুই কই? আমি বললাম গাড়ি থেকে নামার পর আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন? আম্মু বলে আমি সবার সাথে দেখা করছি। 

জসিম। একটি নাম। একটি প্রেরনা। একটি প্রতিক

- Shafiullah Manik

জসিম। একটি নাম। একটি প্রেরনা। একটি প্রতিক। যুগ যুগ ধরে উনি CSM কলোনির সকল প্রেমিক পলাপাইনের মনে প্রেমের আইডল। সেই সাথে CSM কলোনির সকল ছোট ভাইয়ের দরদি বড় ভাই। (দরদি বড় ভাই আরও আছে, তবে এই পোস্ট ও কমেন্ট শুধু জসিম জসিম আর জসিম ময়) ওনার বীরোচিত ঘটনা দেখেছি যখন, তখন বেশ ছোট ছিলাম। কিন্তু এই পেজ এ এসে দেখলাম চিনলাম জানলাম। খুব পরউপকারি ও দরদি। আর বেশী কিছু কমু না। উনার জন্য ভালবাসা রইল।

বিঃ দ্রঃ এটি কোন তেল নয়। নিখাদ ভালবাসা।

সল্ট স্কুলের রাগি শিক্ষিকা


সল্ট স্কুলের রাগি শিক্ষিকা (তবে মন নরম) চান্দু চুলটানার তিনটা মা আছে (Umama, Fatima এবং নুজাইমা)। তিনটাই বেসম্ভব ভালো। তাদের সাথে আগে কখনো কথা হয় নাই, দেখা হয় নাই। এমনকি ২৪ ডিসে্ম্বরের আগে ফেইসবুকেও এড ছিলো না আমার সাথে। ২৪ ডিসেম্বর সকাল বেলা প্রথমে দেখা হলো উমামের সাথে। আমারে দেইখাতো উমাম ১.৩০ মিনিট অজ্ঞান ছিলো। কোন কথা মুখ দিয়ে বের হয় নাই। মনে মনে ভাবতে ছিলো আমি এত কালো কেন? তাছাড়া মাথায় ও টাক। যা হোক জ্ঞান ফিরে পেয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসা মামা কেমন আছেন? তার কিছু সময় পরে আসলো ইনান। তারপর সবাই মিলে সকালের নাস্তা করলাম। 

নাস্তা করার সময় আপনি থেকে অটোমেটিক তুমি করে ডাকা শুরু করলো কোন পারমিশন ছাড়াই। যেন অনেকদিন পরে মামাকে পেয়েছে। এত সহজে এত দ্রুত সাবলীল সবাইকে আপন যা সত্যিই অকল্পনীয়। সেদিন আর দেখা হলো না। ০৫ জানুয়ারী আবার অফিসের কাছে ঢাকা গেলাম। বিকাল তিনটায় উত্তরায় কাজ শেষ করে ভন্ড বাবাকে ফোন দিলাম। পীর সাহেব বললেন বনানী চলে আয়। বনানী আসার পর উনি বললো মগবাজার চল। কিন্তু সিএনজিতে উঠার পাইলটকে বলে নাট্য পাড়ায় যেতে। তারমানে চান্দুর বাসায়। বাসায় গিয়ে দেখি উমাম নাই (মা'র মত মাষ্টরনি হইছে)। ইনান আছে। আর নুজাইমা স্কুল থেকে আসার পর ড্রেসও চেইঞ্জ করে নাই এর মধ্যে চান্দু ওরে ইংরেজিতে সমান তালে ঝাড়তাছে। কিছুক্ষন পর পর ইনান এসে বলে কি খাবা? আধ ঘন্টা পরে উমাম এলো।

সুজন হাসনাত


আমার ধারনা সে রবিন্দ্রনাথের বংশধর। পারিবারিক টাইটেল আছে নামের সাথে। রুবায়েতের পোস্টে এক কমেন্ট এ তার সাথে আমার ঝগড়া। আমি খালি সবার সাথে ঝগড়া করি। ঝগড়াইট্টা হিসাবে খ্যাতি লাভ করছি। দিলাম এক কড়া পোস্ট। পরেরদিন ভোরবেলাতেই তার ফোন পেলাম। সরি বললো। দেখি অসম্ভব ভদ্র একটা ছেলে। আমিই লজ্জা পেলাম। পরে সে ঢাকা এসে আমার সাথে দেখা করলো,পা ছুয়ে সালাম অব্দি। সব ভুলে গেলাম। আমার মেয়েদের সাথে তার খাতির অসম্ভব। আমি এই খানে জায়গা পাইনা। এই ছেলেটা ভাল। কিন্তু আমার ধারনা পড়ালেখা জানেনা। কারন সে কিছু লেখেনা। পড়তেও পারে কিনা জানিনা। যাহোক,আমাদের আড্ডায় তার নিজের লেখা,সুর করা আর গাওয়া গান সারাদিন বেজেছে। এমনকি সেদিন সবার ফোনের রিংটোন ছিল এটা। খুব দারুন লেগেছে এটা। বহুদিন এটা আমার রিংটোন ছিল। অনেক বীট বলে আব্বা যেদিন চলে গেছেন সেদিন এটা পাল্টেছি। আশা করি তুই রাগ করবিনা। পেইজে আয়, লেখ। খালি লাইক দিলে মাইরালবাম।

মানিক ভাইয়ের এ কথায় আমি স্বাভাবিক হতে পেরেছিলাম


আমরা ততদিনে সি টাইপ মাঠ থেকে বিতাড়িত, বিকাল টা তাই কাটে অযথা( তবে একেবারে উদ্দেশ্য হীন নয়) ভাবে ঘুরাফিরা করে, আড্ডা মেরে, অফিসার্স ক্লাবে ভলিবল বা টেবিল টেনিস খেলে কিংবা স্কুল মাঠে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। মাঠ থেকে বিতাড়িত হওয়ার কারনে, নিজেদের ফুটবল টিও জুনিয়র দের দিয়ে দিয়েছি। তাই খেলতে গেলে অন্যদের উপর নির্ভর করা লাগতো। 

এরকমভাবে স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছি, বল টি ছিলো নবীন সংঘের, খেলার এক পর্যায়ে আমি জোরে কিক মারি, বল গিয়ে সরাসরি লাগে স্টেজের টিনে, এবং টিনে লেগে বলটির ভবলীলা সেখানেই শেষ। ব্যাপার টি ছিলো সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ও খেলারই একটা অংশ। তারপরও নিজের মধ্যে একটা কেমন জানি অপরাধ বোধ কাজ করছিল, মনে হয় আমার চেহারায়ও সেটা ফুটে উঠেছিল, মানিক ভাই (ডি ৫, নবীন সংঘ) ব্যাপার টা বোধ হয় ধরতে পেরেছিলেন, আমার কাছে এসে মানিক ভাই কাধে হাত রেখে বলেছিলেন, "আতিক তুমি মন খারাপ করছ কেনো? এটা তো তুমি ইচ্ছা করে করো নাই, যে কেউ দ্বারা এটা হতে পারতো।"

মানিক ভাইয়ের এ কথায় আমি স্বাভাবিক হতে পেরেছিলাম।

আমাদের সবার প্রিয় মোজাম্মেল ভাই- ডা: মোজ্জাম্মেল হক শরিফী


কলোনীর আবাল বৃদ্বা বনিতা সবার কাছে খুব প্রিয় ।ভাল ছাত্র, ছোট বড় সবার সাথে মিশার অসাধারন ক্ষমতা, যে কোন বিপদ আপদ বা সামাজিক কর্মকান্ডে সবার আগে এগিয়ে আসা উনাকে আরো মহান করে তুলেছে।ছোটদের কোন ভুল বা অপরাধ সুন্দর করে বুজিয়ে সমাধান করে।কখনো মনেই হয়না এটা আমাদের বড় ভাই, মনে হয় এটা আমাদের বন্ধু।যে কোন সমস্যা নিয়ে খোলামনে আলোচনা করলে উনি উনার সর্বোচ্চ সমাধান বা সেক্রিফাইস করতে মোটেও পিছপা হন না।ভাই সত্যিই মন থেকে বলছি তোমার মত ভাই যেন সি এস এম পরিবারে বার বার জন্মে।এতক্ষন যার কথা বললাম সে আমাদের সবার প্রিয় মোজাম্মেল ভাই- ডা: মোজ্জাম্মেল হক শরিফী।অহংকারহীন মানুষটি সব সময় সি এস এম বাসীর পাশে থাকে। এই ভাইটি আমাদের এতো আপন করে নিয়েছে যে পারসোনাল সময় বলতে কিছুই রাখেনি সব সময় সি এস এম বা যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়।প্রচার বিমুখ এই ভাইটি গত আড্ডায় সবার অলক্ষে কি পরিমান সহযোগীতা করছে কাউকে বলে ব্যাখ্যা করা যাবে না।।পেশাগত জীবনেও উনি রোগীদের সর্বোচ্চ ছাড় কিংবা সহযোগীতার মাধ্যমে যতেস্ট সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।রোগী সি এস এম এর হলেতো কথাই নেই। মেধাবী,সৎ, পরিশ্রমী,সদালাপী,পরোপকারী আমাদের এই ভাইটি দীর্ঘজীবি হউক এই প্রত্যাশাই করি।

মেঘের বাড়ি


কেমন ছিল কলোনি র মেঘলা দিনগুলো। যতদূর মনে পড়ে মেঘলা দিনগুলো- ছিল হঠাত আসা মেহমানের মত।বলে কয়ে আসত না।কিন্তু মন ভাল করে দিত।হালকা হালকা বাতাসে, মাঝে মাঝে ঘূর্ণি, দেখতে ভালই লাগত। মাঠে সবার ছুটোছুটি। তারপর আস্তে আস্তে বাতাসের বেগ বাড়তে থাকত।

বাতাসে পাখির পালক, পলিথিনের টুকরো উড়ে বেড়াত।আমরা ছোটরা সেটা কে ধরার জন্য তার।পিছু নিতাম।বাতাসের সাথে সাথে সেটা ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকত।একসময় আমাদের দৃষ্টি র সীমানা থেকে হারিয়ে মেঘের কাছাকাছি চলে যেত,যেন মেঘের বাড়ি গিয়ে থামবে।আমরা চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম,অনেক দিনের চেনা মানুষ আস্তে আস্তে দুরে চলে গেলে যেমন লাগে, তেমন মনে হত।

আমারে নিয়া কেউ লেখেনাই, থাক,নিজেই নিজেরে নিয়া লেখি।


আমারে নিয়া কেউ লেখেনাই।
থাক,নিজেই নিজেরে নিয়া লেখি।

আমি উমামা বিনতে ইকবাল।মায়ের নাম চাদ সুলতানা(রিদমিক কী-বোরডে চন্দ্রবিন্দু পাইতেসিনা)। খালাদের নাম নাহিদ সুলতানা ও নাশিদ সুলতানা।বোনের নাম ফাতিমা বিনতে ইকবাল। এনারা সবাই এই গ্রুপের মেম্বার।এছাড়াও নুজাইমা বিনতে ইকবাল নামক আরো একটি বোন আমার আছে যার ফেসবুক নাই।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোরবানি ঈদের আগ দিয়ে আমাকে এই গ্রুপে এড করা হয়।এরপর থেকে আমি এই গ্রুপের একটিভ মেম্বার।মাঝে মাঝে গায়েব হয়ে যাওয়া আমার অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য। গ্রুপের মামাদের পচানো আমার কাছে পৈশাচিক আনন্দের ব্যাপার।খালাদের আমি বিশেষ রকম ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।গ্রুপে ঝগড়াঝাটি লাগলে অনেকেই আমাকে রেগে গিয়ে প্রতিবাদী হতে দেখেছেন।আসলে অযৌক্তিক কথাবার্তা বা কাজকর্ম আমাকে রাগিয়ে তোলে।কাউকে অসম্মান করা দেখলেও আমার রাগ উঠে।মানুষটা আমি এমনেতে নরম সরম। কিন্তু হাসিমুখ দেখে ধোকা খাওয়ার দরকার নাই।আমি বদের হাড্ডি টাইপ মানুষ। বেশী খাতির করতে আসার দরকার নাই।ভুলায়ে ভালায়ে আপনাকে পাস্তার দোকানে নিয়ে গিয়ে অভদ্রের মত পাস্তা ট্রিট চেয়ে বসার মত কাজ আমি করতে পারি।

কলোনীতে ঈদ আসা মানে এপ্রিল 29 পোলাপাইনে ম্যারাথন আডডা মারা


কলোনীতে ঈদ আসা মানে এপ্রিল 29 পোলাপাইনে ম্যারাথন আডডা মারা, একটা না একটা বাসা খালি পাবো ঈদে,মরা রাশেদ,আর না হলে লিটন দের বাসা দুইটাই D টাইপে,কোরবানীর ঈদ হলে বিভিন্ন বাসা থেকে রান্না করা মাংস আসতো,আর না হলে দল বেধে এক বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম,ঈদ মোটামুটি ৩ দিন পালন হতো কলোনীতে রেশ থাকতো আরো কয়েক দিন,আর রোজার ঈদে একদিন দুইদিন পর নিজেরাই রান্না শুরু করতাম,একবার লিটনদের বাসা খালি হলো আমাদের খুশি দেখে কে,যথারীতি ঈদের নামাজ শেষ করে বাসায় দেখা করে ভো দৌঁড় লিটন দের বাসা,কলি ভিডিও থেকে বি সি আর ভাড়া করে এনে কেউ ছবি দেখছে আর কেউ দুই গ্রুপ হয়ে তাস খেলায় বসে গেছে,সকাল থেকে বসে যে খেলা শুরু হলো এটা সারাদিন সারা রাত চলছে,আমি বিকালে একবার বাসায় গিয়ে দেখা করলাম,এবং আসার সময় একটা শট প্যানট নিয়ে আসলাম,আম্মাকে বললাম বিকালে ঝাউতলা ও যেতে পারি,সোজা আবার লিটনদের বাসা,বাসাতো পুরো আমাদের দখলে সিগারেটের ধোয়ায় ঘরের কিছুই দেখা যায়না,রাতে কেউ বাসা থেকে খেয়ে আসলো আসার সময় কেউ কেউ তরকারী নিয়ে আসতো,চাল তো আছে ভাত রান্না করতাম কোন কিছুর রান্না করা লাগলে সব আমার ঘাড়ে পড়তো,সকালে ডালে চালে খিচুড়ী চলতো,আমি বেশি খেলতে পারতাম না কারণ রান্না আমাকে করতে হতো বেশি চিল্লাচিল্লী করলে একজন এসে সাহায্য করতো,সবাই একবার হলেও বাসা থেকে ঘুরে আসতো,বিকালে ও নেমে হাটাহাটি করতো, আমি আর বাসা থেকে নামি নাই একে তো এক কাপড় আবার কোনমতে বাসায় জানলে বুঝবে আমি এখানে ৪দিনের দিন দুপুর ৩টায় কে এসে বলতেছে তোর জেঠাতো ভাই হোনডা নিয়ে নিচে বসে আসে তোকে ডাকতাছে বুঝলাম এবার ধরা খেয়ে গেছি,সাথে করে নিয়ে সোজা বাসায়, ভাগ্য ভালো তখন মোবাইলের যুগ ছিল না তাহলে ৩দিন না একদিন ও বাহিরে থাকতে পারতাম না

টিপু, ৯৮ ব্যাচ


টিপু আমাদের ছোট ভাই, কলোনীতে ওদের বাসার সামনে স্লিপ ছিল,সেখানে টিপুকে দেখতাম, খেলাধূলা করেছে, তবে আমাদের থেকে ছোট ছিল বলে ওকে বেশী খেলাতে নেওয়া হত না।আর ও স্লিপ পারের মাঠেই বেশী অবস্থান করত, আমরা বড় মাঠে,আমার ছোট বোন ঝুমুর এর ক্লাসমেট।

কলোনী থেকে বের হওয়ার পর টিপুর সাথে আমার যোগাযোগ ছিল না,আমার বোন মাঝে টিপুর রাজনৈতিক ব্যাপার নিয়ে বলতো।টিপু ভাল রাজনীতি করত আমি পরে জেনেছি।

পেজের মাধ্যমে আবার টিপুকে আমাদের মধ্যে পাওয়া,সব সময় কোন আড্ডা দিব বললেই চলে আসা।বেশীর ভাগ সময় খাওয়ার বিল নিজেই দিয়ে দিবে,কাউকে দিতে দিবে না।বতর্মানে ফার্নিচার T স্কোয়ার এর গর্বিত কর্নধার।সব সময় আড্ডা দিতে পছন্দ করে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss