কলোনীতে ঈদ আসা মানে এপ্রিল 29 পোলাপাইনে ম্যারাথন আডডা মারা, একটা না একটা বাসা খালি পাবো ঈদে,মরা রাশেদ,আর না হলে লিটন দের বাসা দুইটাই D টাইপে,কোরবানীর ঈদ হলে বিভিন্ন বাসা থেকে রান্না করা মাংস আসতো,আর না হলে দল বেধে এক বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম,ঈদ মোটামুটি ৩ দিন পালন হতো কলোনীতে রেশ থাকতো আরো কয়েক দিন,আর রোজার ঈদে একদিন দুইদিন পর নিজেরাই রান্না শুরু করতাম,একবার লিটনদের বাসা খালি হলো আমাদের খুশি দেখে কে,যথারীতি ঈদের নামাজ শেষ করে বাসায় দেখা করে ভো দৌঁড় লিটন দের বাসা,কলি ভিডিও থেকে বি সি আর ভাড়া করে এনে কেউ ছবি দেখছে আর কেউ দুই গ্রুপ হয়ে তাস খেলায় বসে গেছে,সকাল থেকে বসে যে খেলা শুরু হলো এটা সারাদিন সারা রাত চলছে,আমি বিকালে একবার বাসায় গিয়ে দেখা করলাম,এবং আসার সময় একটা শট প্যানট নিয়ে আসলাম,আম্মাকে বললাম বিকালে ঝাউতলা ও যেতে পারি,সোজা আবার লিটনদের বাসা,বাসাতো পুরো আমাদের দখলে সিগারেটের ধোয়ায় ঘরের কিছুই দেখা যায়না,রাতে কেউ বাসা থেকে খেয়ে আসলো আসার সময় কেউ কেউ তরকারী নিয়ে আসতো,চাল তো আছে ভাত রান্না করতাম কোন কিছুর রান্না করা লাগলে সব আমার ঘাড়ে পড়তো,সকালে ডালে চালে খিচুড়ী চলতো,আমি বেশি খেলতে পারতাম না কারণ রান্না আমাকে করতে হতো বেশি চিল্লাচিল্লী করলে একজন এসে সাহায্য করতো,সবাই একবার হলেও বাসা থেকে ঘুরে আসতো,বিকালে ও নেমে হাটাহাটি করতো, আমি আর বাসা থেকে নামি নাই একে তো এক কাপড় আবার কোনমতে বাসায় জানলে বুঝবে আমি এখানে ৪দিনের দিন দুপুর ৩টায় কে এসে বলতেছে তোর জেঠাতো ভাই হোনডা নিয়ে নিচে বসে আসে তোকে ডাকতাছে বুঝলাম এবার ধরা খেয়ে গেছি,সাথে করে নিয়ে সোজা বাসায়, ভাগ্য ভালো তখন মোবাইলের যুগ ছিল না তাহলে ৩দিন না একদিন ও বাহিরে থাকতে পারতাম না
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment