Friday, July 22, 2016

আমার ঠিক মনে নেই, পুলক ভাই না আতিক ভাই আমাকে এই গ্রুপে এড করেছিলেন


আমার ঠিক মনে নেই, পুলক ভাই না আতিক ভাই আমাকে এই গ্রুপে এড করেছিলেন।তবে তার কিছুদিন আগে থেকে আতিক ভাই তার টাইমলাইনে কলোনি নিয়ে পোস্ট দিচ্ছিলেন। আমি নিজেও জানতাম এই ধরনের গ্রুপে থাকলে কি লিখতে হয়।পরে বুঝলাম লিখার ক্ষেত্রে কোন বাধা ধরা নিয়ম নাই। যেকোন কিছু নিয়ে লিখা যায়।শুধু কেউ আঘাত বা কষ্ট না পেলেই হল। দেখতে দেখতে ১১ মাস হয়ে গেল আর লিখার সংখ্যা ১৮০০ এর মত। আতিক ভাই যদিও এই পেজের এডমিন, তবুও লিখার ক্ষেত্রে উনাকে আমার এই পেজের অমিতাভ বচ্চন মনে হয়।যদিও অমিতাভের জীবনে রেখার মত বিশেষ কেউ থাকলে, আতিক ভাইয়ের জীবনে তেমন কেউ নাই।এইটা শুধু পার্থক্য। আমির খান, শাহরুখ, সালমান,অজয় দেবগন বা অক্ষয় কুমার আসলেও যেমন অমিতাভ এর জায়গার কোন নড়চড় হবে না, তিনি তার জায়গায় থাকবেন।তেমনি লিখার ক্ষেত্রে এই পেজে আতিক ভাইও তার জায়গায় থাকবেন। উনি সবসময় ১ টা কথা বলেন যে উনি উনার লিখাগুলা কে লিখা মনে করেন না,শুধু ভাবনা গুলো শেয়ার করেন। এটা উনার বিনয়।বড় মাপের মানুষ গুলো একটু বিনয়ী হন।আজকাল এমন মানুষ দেখা যায় না। জয়তু আতিক বচ্চন ভাই

২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস


২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস, সব মালপ্ত্র ট্রাকে তোলা হয়ে গেছে, আমার দু তিনজন বন্ধু ট্রাকের সাথেই আছে, আছে ছোট ভাইয়ের বন্ধুরাও। সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমি গিয়েছি ইউনুসের কাছ থেকে বিদায় নিতে তার দোকানে। বিদায় বেলায় তেমন কোন কথা হয়নি খালি বললাম দোয়া রাখিস, এরপরে কোলাকুলি, আসলে কোলাকুলিও না, আবেগে জড়িয়ে ধরা। আবেগ চোখ দিয়ে বেয়ে পড়ার আগেই চলে এলাম। ট্রাকের সামনের সীটে বসলাম আর সবাই পিছনে। বাজারের গেট দিয়ে বের হওার সময় নিরাপত্তা কর্মির কিছু অফিসিয়াল আনুষঠানিকতা। আবার ট্রাকে উঠার সময় ডিউটিরত নিরাপত্তা কমি' জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করল। আমার সাথে তার কোন পরিচয় ছিলনা, হয়তো মুখ চেনা। 

আবেগ, এ আবেগ বড় বেদনার, বড় কষ্টের।

শহর মুল্লুক কাকা খুব সৎ, আন্তরিক, ও পরোপকারি একজন মানুষ


শহর মুল্লুক কাকা খুব সৎ, আন্তরিক, ও পরোপকারি একজন মানুষ। আমি উনাকে কাকা বলেই ডাকি। জাফর আলম ভাই ও শফি আলম ভাইয়ের আব্বা। আমাদের নিচ তলায় ওনারা থাকতেন। আমাদের সাথে উনাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল খুবই ভালো যা এখনও আছে। Reajul Islam Shahin ভাই ও একদিন ওনার পোস্টে কাকার কথা লিখেছিলেন। কতটা পরোপকারি ছিলেন। আসলে কাকার কথা না বললেই নয়। নিজের ছেলেমেয়ের মতো ভালোবাসতেন আমাদের চার ভাই বোনকে। বিল্ডিংয়ের সব ছেলেমেয়েদের খুব আদর করতেন। কাকার শখ ছিল বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানোর আর গাছ গুলো যেন আমাদের জন্যই লাগাতেন। বরইয়ের দিন আসলে আমরা শুধু গাছের আশেপাশে ঘুরতাম। কাকা আমাদের দেখলেই গাছ ঝারা দিত আর আমরা Ahamed Ahmed Nazim নাজিম, Bgm Khadiza ফেন্সি, Shazi Khan যুথী, Tafsi Fariha মুন্নি আপু, সবাই দৌড় দিতাম কার আগে কে বেশি নিতে পারে। কাকা শুধু হাসতো। হয়তো আমাদের এসব দেখে উনি আনন্দ পেতেন। নিজের বাসায় আইসক্রিম বানিয়ে আমাদের ডেকে খাওয়াতেন। আজকাল এমন মানুষ কয়জন আছে বলেন? অনেক মিস করি সেই সব সোনালী দিন গুলো। খালাম্মাও খুব শান্ত স্বভাবের। খুব মিশুক।আল্লাহ সব সময় উনাদের ভালো রাখুক। কাকা ও খালাম্মার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। Jafar Alam Alam, Md Shafiul Alam, Babu Zahid, Tanjina Huda, Forhadul Islam Jashim Uddin Mohammed Kamar Uddin

অফিসার্স ক্লাবের এই রাস্তা টা আমরা প্রায়ই আসা যাওয়া করতাম


অফিসার্স ক্লাবের এই রাস্তা টা আমরা প্রায়ই আসা যাওয়া করতাম। অন্য গেইট টা বন্ধ থাকত। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটা জায়গা। মাঝে মাঝে টেনিস কোর্ট এর চারপাশে যে কালো রেলিং ছিল সেগুলো তে বেয়ে বেয়ে উঠতাম। বর্ষাকাল আসলেই শামুকের উৎপাত বেড়ে যেত। আর এই জিনিসটা আমি খুব অপছন্দ করতাম। দুইটা পাকা টেনিস কোর্ট এর মাঝে যে ঘাসের জায়গা সেখানে শামুক লুকিয়ে থাকত। দৌড়া নোর সময় পায়ে শামুক লাগলে শরীর গুলিয়ে উঠত।এইজন্য বুড়ো আংগুল এর উপর ভর দিয়ে দৌড়াতাম। তবে ক্লাবের ভেতরে অনেক কে দেখতাম কার্ড খেলতে, টেবিল টেনিস খেলতে।আমরা যারা ছোট ছিলাম তাদের ভেতরে যাওয়া মানা ছিল। একবার শুধু উত্তম কুমার স্যারের চিত্র প্রদর্শনী র সময় গিয়েছিলাম।

শুনেছি ক্লাবের ভেতরে এই খেলা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল না। অনেক নিয়ম ছিল।যারা নাকি এই নিয়ম মানত না,তাদের কষ্ট পেতে হয়ছে অন্যভাবে। ভালই হয়ছে খেলার ব্যাপার টা মাথায় আসেনি।না হলে কষ্ট পেতাম।



BH 1 এর বিল্ডিং টা তে অনেকগুলো ঘর ছিল


BH 1 এর বিল্ডিং টা তে অনেকগুলো ঘর ছিল, আর সেখানে অনেক গুলো ফ্যামিলি।প্রথমে BH 1 মানে না বুঝলেও পরে রিনি বুঝায় দিছিল মানে ব্যাচেলর হোস্টেল। এই বিল্ডিং টার সামনে একটা নলকূপ ছিল,যেখান থেকে পানি আনতে যেতে হত আমার আম্মার জন্য কারন পানিটা ছিল খুব ঠান্ডা। তাছাড়া ওখানে যারা থাকতেন তাদের বেশিরভাগ পরিবারের সদস্য কম ছিল।তাদেরকে আমার মনে হত খুব সুখী।মনে হত দুঃখের সাথে এদের পরিচয় নাই।আর সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন লাগত।এত অল্প জায়গায় তারা খুব সুন্দর করে ঘর টাকে টিপটপ করে রাখতেন।মাঝে মাঝে নামাজ পড়ে আসার সময় কিংবা স্কুল ছুটি র পর নিচতলার সামনে দিয়ে আসতাম। দুপুরের দিকে বিল্ডিং এর সামনে ছায়া নেমে আসত। আর কয়েক টা নারকেল গাছের পাতায় বাতাস বয়ে যেত। মন টা ভাল হয়ে যেত 

photo- Taskin Ashiq


এখন এরকম হয়েছে একটু শরীর খারাপ হলে আমরা চিন্তায় পরে যাই


এখন এরকম হয়েছে একটু শরীর খারাপ হলে আমরা চিন্তায় পরে যাই।

গতকাল জসিম ভাইকে ফোন দিলে বলে আমার শরীরটা ভালনারে ভাই পেশার লো।পরে তার অফিসে গেলে বলল মুরাদের কাছে যাব,পরে টিপুর ওখানে গেলে আর মুরাদের ওখানে যায়নি।টিপুর কারখানার এক ছেলের কাজ করতে গিয়ে হাতের তিনটি আগুল কেটে যায়,টিপু বলল আগুল কেটে ফেলতে হবে,শুনে খুব খারাপ লাগলো,টিপুই সব খরচ দিচ্ছে।

এই ভেজালের দিনে আমাদের নিঃশ্বাস এর বিশ্বাস নাই।কারন সেদিন আমাদের এলাকায় বুকে ব্যাথা বলতে বলতে শেষ।মেডিকেলে নেওয়ার সময় পায়নি।

আগে আমরা অল্প খেয়েছি,কিন্তু মায়ের হাতে সে রান্না কি স্বাদ ছিল,আগে মুরগীর ঝোল দিয়ে ভাত খাওয়া হয়ে যেত,আর এখন।আগে শুধূ দেশী মুরগী ছিল,আর এখন দেশী মুরগীতে সেই রকম স্বাদ পাই না।
কি খাবেন সব ভেজাল।শাক - সবজিতে ও ভেজাল,ফল তাতেও,তাহলে বাচ্চাদের কি খাওয়াবো।এখন বাচ্চারা ঠিক মত সব দেশী ফল চিনেও না।

কারও দি বুকে ব্যাথা বা শরীর খারাপ হলে,সাথে সাথে দেরী না করে আমরা ডাক্তার দেখাই।আর আমাদের সিএসএম এ অনেক ডাক্তার আছে।পলাশ ভাই,উজ্জ্বল ভাই,মুরাদ,রিমু,হেলালী ভাই,মোজ্জামেল ভাই,মুন্নি,আরও যেসব ভাই - বোন আছে( সবার নাম মনে পরছে না)।

এদের শরনাপন্ন হতে পারি।
এখানেমোকাম্মেল-ই- এলাহী মুরাদ
ছোট ভাইয়ের কথা না বললেই নয়,তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ, কারন মুরাদ সেদিন আমার যখন ইসিজিতে কিছু আসল না,তখন সে আমায় রক্ত টেষ্ট দেয়,যার ফলে আমার হার্টে বল্ক ধরা পরে।

মুরাদ সহ সকল সিএসএম সকল ডাক্তার ভাইরা খুবই আন্তরিক।আল্লাহ আমাদের এসব ডাক্তার ভাই- বোনদের আরও অনেক বড় করুক,সেই দোয়া করি।

১৪/১৫/১৬ তে পা


দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েংগে ছবির এক দৃশ্যে দেখা যায়, নায়িকা তার মাকে তার স্বপ্নে র কথা বলছে। 

আমাদের কলোনি র মেয়েরাও এই বয়স টা পার করে এসেছে। যখন তার মনোজগৎ এ আসে বদল। নিজেকে সুন্দর করে ভাবতে চায় সব মেয়ে।হতে চায় কোন ছেলের স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা। নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে চায়। অনেক সময় মেয়েটি র ভাবনা জুড়ে স্থান পেত তাকে পড়াতে আসা কলোনি র কোন বড় ভাই( Shajib Kumer Dey ভাই এর মত চকোলেট বয়) কিংবা তাদের বিল্ডিং এর এক তলা, দো তলা, বা তিন তলার কোন ছেলে, বা পাশের বাসায় বেড়াতে আসা অন্য কোন বিল্ডিং এর ছেলে, বা তাদের সামনের বা পেছনের বিল্ডিং এর কোন ভাই। অনেক সময় এই ভাইয়েরা হয়ত সেই মেয়েটি র মনের খবর রাখতেন না। আবার কাকতালীয় ভাবে অনেক সময় জেনে ফেলতেন। তারপর শুরু হত কলোনি জুড়ে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষা। এ সময় মেয়েটি যদি তার পরিবার থেকে সমর্থন পেত,তাহলে সে লোকের কথাকে থোড়াই কেয়ার করত। আবার অনেক সময় উল্টো ঘটনাও হত। অভিভাবক দের চাপে পড়ে সে তার ভালবাসাকে মাটি চাপা দিত।

তবুও মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই এই সময় টা পার করবে আর স্বপ্ন দেখে যাবে,জাল বুনে যাবে।জীবনের এই সুন্দর 
সময়ে স্বপ্ন দেখা যেন কখনো না হারায়। with Rehana Alam, Taslima Khan

কলোনি র কাল্পনিক চিত্র


শুক্রবার এলেই কলোনি র মসজিদের একটা অন্য রকম রুপ দেখা যেত।সবাই নামাজ পড়তে আসত।ছোট ছোট ছেলে গুলো কে দেখতাম খালপাড়ে র উপর লোহার ছোট পুল টার উপর দিয়ে আসা যাওয়া করছে। তখন তাদের ইমাম সাহেবের ধর্মীয় বক্তব্য বা খুতবা শোনার গুরুত্ব বোঝার মত জ্ঞান হয়নি। আর যারা সিনিয়র ভাই ছিলেন, তারা নিজেরা নিজেদের মত গল্প করতেন।এর মধ্যে মসজিদের কমিটির সদস্য রা সবাইকে চুপ করে বসতে বলতেন যাতে ইমাম সাহেবের খুতবা বা বক্তব্য ভাল করে শোনা যায়। মসজিদে জায়গা সল্পতার কারনে বাইরে চটের উপর নামাজ পড়তে হত। তখন রোদের এত তীব্রতা এত বেশি ছিল না। খুতবার শেষ দিকে সবাই তাড়াহুড়ো করে নামাজে যোগ দিতে আসতেন। কেউ কেউ পেপার বিছিয়ে নামাজ পড়তেন। তবুও নামাজ আদায় করতেন

চাকুরী তে জয়েন করার জন্য ২৩ এপ্রিল ১৯৯৯ ঢাকায় বসবাসের জন্য চট্টগ্রাম ছাড়ি


চাকুরী তে জয়েন করার জন্য ২৩ এপ্রিল ১৯৯৯ ঢাকায় বসবাসের জন্য চট্টগ্রাম ছাড়ি, বিকাল ৩ টার মহানগর গোধুলী তে রওনা দিয়েছিলাম সেদিন,বাজারের বেলাল ভাই আমাকে স্টেশন পর্য্যন্ত নিয়ে এসেছিল। তখন স্টিল মিল বন্ধ হবে হবে করছে, কলোনির সব লোকজনই প্রায় রয়ে গেছে। আর আমার মনে হচ্ছিল আমি ঢাকায় চাকুরী করতে না, নির্বাসনে যাচ্ছি। ঢাকা আসার পথের পুরোটা রাস্তা ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে কাঁদি। ঢাকায় এসে প্রথম উঠেছিলাম যাত্রাবাড়ী এলাকায় আমার ফুপুর বাড়িতে। এর আগে বছরে বহুবার ঢাকা এসেছি, কিন্ত সেটা সাময়িক সময়ের জন্য। কিন্তু এবার তো মোটামুটি পার্মানেন্ট। পথঘাট তেমন চিনিনা, সেই সকাল সাতটায় উঠে অফিসে যাই ফিরি সন্ধ্যার পর। যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকি, ওখান দিয়েই চিটাগাং এর বাস গুলো যায়, মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে একটা বাসে উঠে চিটাগাং চলে যাই। সারাদিন মনমরা হয়ে পড়ে থাকি। এর মধ্যে ৯৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু, বাংলাদেশ স্কটল্যান্ড আর পাকিস্তান কে হারিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে উল্লাস আর আমি ভাবছি ইস! এখন যদি কলোনি তে থাকতাম কত মজা হতো। নিশ্চয় সবাই কলোনিতে অনেক মজা করছে। কি যে একাকীত্ব আর মনমরা জীবন গিয়েছে আমার। সেই একাকীত্ব জীবনে বন্ধু Monirul Islam Monir আমাকে অনেক সময় দিয়েছে।

মরেও যে মরে না


ছোটবেলায় আমরা সিনেমা দেখতাম আনন্দ পাওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু কিছু সিনেমা দেখার পর মন খারাপ হয়ে যেত।যেমন- কেয়ামত সে কেয়ামত তক।এই সিনেমা র শেষে দেখা যায়, নায়িকা রেশমি মানে জুহি চাওলা খলনায়ক এর গুলিতে মারা যায়। তখন ইচ্ছা হচ্ছিল ওই ব্যাটারে মেরে ফেলি। কিন্তু তার আগেই রাজ মানে আমির খান তাকে মেরে ফেলে এবং নিজে মারা যায়।সিনেমা দেখতে দেখতে কখন যে নায়িকার ভক্ত হয়ে গেছি বুঝতে পারিনি। মনে হচ্ছিল জুহি চাওলা বুঝি।একেবারেই মারা গেছে। আর দেখতে পারব না। ইশ, যদি পারতাম,আগে থেকে সাবধান করে দিতাম,যাতে ভিলেনদের গুলি খেতে না হয়।

তারপর একদিন সকালবেলা দোতলার রিপা আপা ৯ টার দিকে উনাদের বাসায় ডেকে পাঠালেন।দেখলাম,আমির আর জুহির আরেক ছবি।নাহ, জুহি আসলে মরেনি,বেচে আছে। সিনেমায় যে মৃত্যু দেখানো হয়,তা আসলে অভিনয়। সত্য নয়,সেদিন বুঝেছিলাম।রিপা আপাকে ধন্যবাদ দিতে ভুলে গেছিলাম, জুহিকে আবার বাঁচিয়ে তোলার জন্য

সবাই যখন প্রিজমা দিয়ে নিজের চেহারা কার্টুন এর মত করে ফেলছে তখন মনে পড়ল


সবাই যখন প্রিজমা দিয়ে নিজের চেহারা কার্টুন এর মত করে ফেলছে তখন মনে পড়ল, কলোনি তে শুক্রবার আসলেই দুপুরে ঘুমাতে চাইতাম না।জেগে থাকতাম। দেখা যেত রিতা দের বাসায় বা রুবি আপাদের বাসায় গিয়ে বসে থাকতাম। কারন কার্টুন দেখতে হবে। থান্ডার ক্যাটস।এই কার্টুন টা দেখা প্রথম কার্টুন। খুব পছন্দ করতাম। তখন ত বিটিভির দুপুরের অধিবেশন শুরু হত ৩ টা থেকে। প্রথমে একটা মিউজিক দিয়ে স্থির চিত্র,তারপর পবিত্র কোরান থেকে পাঠ, তারপর ত্রিপিটক বা বাইবেল বা গীতা পাঠ। অল্প সময়ের জন্য দেখাত।কিন্তু এক একটা মিনিট মনে হত অনেক দীর্ঘ। শেষ হতে চাইত না। বিরক্ত হয়ে যেতাম।আর যখন কার্টুন শেষ হয়ে যেত,মনে হত এত তাড়াতাড়ি কেন শেষ হয়ে গেল।

আর এখন সময় যে কত দ্রুত চলে যায়, টের পাই না।



লিখালিখির ক্ষেত্রে " রাইটার্স ব্লক" বলে একটি কথা আছে


লিখালিখির ক্ষেত্রে " রাইটার্স ব্লক" বলে একটি কথা আছে, মানে লেখকের লেখা বন্ধ হয়ে যায়, কি লিখবে বুঝতে পারেনা। যদিও আমি কোন লেখক নই, তাই আমার ব্লক হওয়ার কিছু নেই। (অবশ্য সে ক্ষেত্রে নিরু ভাই ও মামুন কে কি বলা যায় চিন্তা করছি, কারন তাদের ব্লক আছে)। যাহোক যা বলছিলাম, আজ সারাদিন মাথায় কোন আইডিয়া আসছিল না যে কিছু লিখব, এমনিতেই বাসায় থাকলে আমার কোন আইডিয়া আসেনা, তার উপর ছেলে টার সর্দি জ্বর লেগে আছে। ওরে নিয়া কিছুটা ব্যস্ততা তো আছেই। আমার লিখার আইডিয়া ভালো আসে অফিসে কিংবা রাস্তায় জ্যামে পড়লে।

সুতরাং আমি আছি আইডিয়া ব্লকে।

ফুল ফল রঙ ঢং নিয়ে লিখা যায়, কিন্ত ফুল আর রঙের উপর লিখা একটু রিস্কি বোধ করি হয়ে যায়। তাই পোষাকের উপর লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্ত ওখানে কোন না কোন ভাবে রঙ এসে যায়, সুতরাং এটা নিয়েও লিখা যাবেনা। এবার আসি সাংস্কৃতিক জগত নিয়ে, সেখানে কিছু লিখতে চাইলে অটোমেটিকালি জুহি চাওলা এসে পড়ে, জুহি চাওলার নাম নিলে আবার অনেকের মাথা আওলা হয়ে যায়, তখন তারা আবার আমার মাধুরী মামীরে নিয়ে নাচানাচি শুরু করে দেয়। আমার মামী রে (মাধুরী) নিয়া অন্য কেউ নাচানাচি করুক এটা কি আমার ভালো লাগবে? অতএব এই লাইনও বাদ।

খেলাধুলো নিয়ে কিছু বলব সে উপায় আছে? কোথাও কোন খোলা জায়গা নাই, সব ভরাট করে বিল্ডিং আর বিল্ডিং। বাচ্চারা খেলবে কোথায় আর আমিই বা কি লিখব?

আসলে দেখা যাচ্ছে শুধু রাইটার্স ব্লক বা আইডিয়া ব্লক নয় সবকিছুই ব্লক হয়ে যাচ্ছে।

আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম


আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম,ক্লাস তাড়াতাড়ি ছুটি হত,তখন অনেক ক্ষণ খেলার সময় পেতাম। ১ টা না বাজলে বা আম্মা না ডাকলে, বাসায় যাবার কথা, গোসল করার কথা ভুলেই যেতাম। মাঝে মাঝে খেলা খুব জমে উঠছে, এমন সময় দেখতাম, বড় কোন আপা ডাকছে, ছায়াছন্দ শুরু হয়ছে। এগুলো কে বলত চোরা অনুষ্ঠান, কারন নির্ধারিত সময়ের আগে টিভি তে দেখানো হত। মাঝে মাঝে রুনা লায়লার গানও দেখান হত। ছায়াছন্দের নাম শুনে আমরা খেলা বাদ দিয়ে পড়ি মরি করে ছুটতাম। বেশিরভাগ সময় দেখানো হত, ববিতার চুরি করেছ আমার মন টা কিংবা শরমিলা ঠাকুরের যেও না সাথি গান টা। তবে কয়েক টা গান দেখানোর পরে বন্ধ করে দেয়া হত।তখন খুব রাগ হত।এত মজার খেলা টা মাঠে মারা যেত। এখন ত বিনোদনের অনেক রসদ।তবে চোরা অনুষ্ঠান এর মত আকর্ষণ করেনা

তানিয়ার জন্য শুভ কামনা


কিছুহ্মন আগে ফোন করেছিল তাড়াহুড়োর মধ্যে। শুধু বুঝলাম আগরতলা যাছছে কবিতা পড়তে। কোন ব্যানারে কাদের অনুষ্ঠান, ভেনু,প্রতিপাদ্য - কিছুই জানা হয়নি। খেলা দেখা, শোনার মত কবিতার প্রতিও আমার দূরবলতা ছোটকাল থেকে ।

আমাদের জাতীয় পর্যায় এর অনেক অনুষ্টানে কোলকাতা,আগরতলা থেকে অনেক বিদগ্ধ কবিরা আসতেন - শামসুর রাহমান বেচে থাকতে। সেখনে বিষয় থাকতো, প্রতিপাদ্য থাকতো, থকতো আরো অনেক কিছু -----
সে যাই হোক" আমাদের তানিয়ার " জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা !!

কবিতা হোক দ্রোহ - ভালোবাসায় টক মিষ্টি আমের আচার। 
সাথে দু একটা ছোট্ট প্রশ্ন তানিয়ার কাছে । 
কোন ব্যানারে, কাদের সৌজন্যে,ভেন্যু,সময়, কোন কবিতা পড়ছো --এই সব ---??

খুব সকালে উঠেই ভাবছিলাম মামুন ভাইয়ের কোন পোস্ট দেখব


খুব সকালে উঠেই ভাবছিলাম মামুন ভাইয়ের কোন পোস্ট দেখব আমাদের গ্রুপের Mohammad Nazrul ভাই ওরফে টিংকু ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে। আজ আমাদের এই ভাইয়ের জন্মদিন। খুবই ভাল একটা দিন জন্মদিন উদযাপন এর জন্য। ছুটির দিন। ব্যক্তিগতজীবন এ উনি খুবই সন্তান বৎসল।আবার সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করেন। হাসিখুশি থাকতে চান।ভাই বোন দের প্রতি দায়িত্ববান মানুষ।পেজের যেকোন অনুষ্ঠান এ উনার সরব উপস্থিতি প্রমান করে কলোনি র প্রতি তার ভালবাসার ব্যাপার টা। আমি যখন নিরু ভাইয়ের অফিসে যাই,সেদিন টিংকু ভাই আমাকে আলাদা করে ডেকে অনেক কথা বলেন যেন আমার অনেকদিনের চেনা। দোয়া করি যেন আরো অনেক বছর এভাবে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারি।বেচে থাকেন সুস্থভাবে,সুন্দর ভাবে।

তিনি একজন


আমরা যখন একটু একটু বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে তখন দেখতাম আমাদের বাসায় হুমায়ুন আহমেদের বই।আমার আপাই কিনতেন।কিন্তু আমাদের সেই বই পড়া নিষেধ ছিল।আমাদের জন্য ছিল বোতল ভুত,পিপলী বেগম।কিন্তু আমার পড়তে ইচ্ছা করত অনীশ, তোমাকে এই গল্প গুলো। আপার বইয়ের মলাটে এই প্রচ্ছদ গুলো দেখতাম। কিন্তু পড়তে পারতাম না। ভাবতাম কি এমন আছে যে পড়া যায় না। লুকিয়ে লুকিয়ে অনীশ পড়েছিলাম।দেখলাম খারাপ কিছুই নেই। এরপর আর বই পড়া হয়নি। বড় গল্পের বই এড়িয়ে যেতাম। রুপকথার গল্প পড়তেই দেখলাম ভাল লাগছে।

আপার থেকে অনেকেই বই পড়তে নিয়ে আর ফেরত দিত না।বলতেন হারিয়ে ফেলছেন। বিষয় টা আমার খুবই অপছন্দ ছিল।তাই একটু বড় হবার পর মানুশকে বই দেবার ব্যাপারে আমি কড়াকড়ি করি। এখন ত চাইলেই pdf ফাইলে অনেক বই বিনে পয়সায় পাওয়া যায়।কিন্তু নব্বই এর দশকে সবাই যখন হুমায়ুন আহমেদের বই য়ে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল তখন বই কিনে পড়া টা কলোনি র অনেকের জন্য এত সহজ ছিল না

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss