আস্তে ধীরে এক পা/এক পা করে দরজার সামনে দারালাম। কলিং বেলে আংগুল রাখলাম। কে? আমি বাবা, বাবা কে? আগুনের ধাচ টা বেটির কাছ থেকেই আগে আসলো। ঘরে ঢুকে বুঝলাম, পরিবেশ অনুকুলে নাই। বউ/বেটি কেউ কথা বলেনা। বেটির মা কথা বলেনা, না বলুক কিন্তু মেয়েটাকে কথা বলাতে হবে। বুঝেছি বেটিকে Special ভাবে পড়ানো হয়েছে। খাওয়া/দাওয়া হলো কথা বার্তা ছাড়া। মনে হলো কোনো মুসাফির কে খেতে দেওয়া হয়েছে।
ঘুমানোর সময় মশারী আমাকেই ফেলতে হয়। আমার কাছে সব চেয়ে বিরক্তির কাজ। মশারিতে হাত দেওয়া মাত্রই, প্রথম বোমাটা ফাটালো, ছাড়ো মশারিতে হাত দিবেনা, তুমি কি মনে করো, মশারি ফেলে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে?? চুপচাপ থেকে গেলাম। বহু বছর পর, আল্লাহ আমার মুখের পানে তাকিয়েছে। আহারে, বাকি জিবন এই জঘন্য কাজটা তুমি করে দিও। বেটি আমার,আমাকে ধরেই ঘুমায়। এখানেও দেখি ছন্দ পতন। গায়ে হাত দিতেই সরিয়ে দিলো। কি আর করা, অন্যপাশ হয়ে সুয়ে পরলাম। রাত আর একটু গভীর হতেইছোট্ট নরম হাতের ছোয়া পেলাম। সাথে পা টি আমার শরিরের উপর। আহা কি শান্তি। ঘুম থেকে ডেকে বলতে ইচ্ছা করছিলো, "বেটি তো আর বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসোনি।