Thursday, February 4, 2016

আস্তে ধীরে এক পা/এক পা করে দরজার সামনে দারালাম


আস্তে ধীরে এক পা/এক পা করে দরজার সামনে দারালাম। কলিং বেলে আংগুল রাখলাম। কে? আমি বাবা, বাবা কে? আগুনের ধাচ টা বেটির কাছ থেকেই আগে আসলো। ঘরে ঢুকে বুঝলাম, পরিবেশ অনুকুলে নাই। বউ/বেটি কেউ কথা বলেনা। বেটির মা কথা বলেনা, না বলুক কিন্তু মেয়েটাকে কথা বলাতে হবে। বুঝেছি বেটিকে Special ভাবে পড়ানো হয়েছে। খাওয়া/দাওয়া হলো কথা বার্তা ছাড়া। মনে হলো কোনো মুসাফির কে খেতে দেওয়া হয়েছে। 

ঘুমানোর সময় মশারী আমাকেই ফেলতে হয়। আমার কাছে সব চেয়ে বিরক্তির কাজ। মশারিতে হাত দেওয়া মাত্রই, প্রথম বোমাটা ফাটালো, ছাড়ো মশারিতে হাত দিবেনা, তুমি কি মনে করো, মশারি ফেলে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে?? চুপচাপ থেকে গেলাম। বহু বছর পর, আল্লাহ আমার মুখের পানে তাকিয়েছে। আহারে, বাকি জিবন এই জঘন্য কাজটা তুমি করে দিও। বেটি আমার,আমাকে ধরেই ঘুমায়। এখানেও দেখি ছন্দ পতন। গায়ে হাত দিতেই সরিয়ে দিলো। কি আর করা, অন্যপাশ হয়ে সুয়ে পরলাম। রাত আর একটু গভীর হতেইছোট্ট নরম হাতের ছোয়া পেলাম। সাথে পা টি আমার শরিরের উপর। আহা কি শান্তি। ঘুম থেকে ডেকে বলতে ইচ্ছা করছিলো, "বেটি তো আর বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসোনি।

এক বন্ধুর ( বালিশের) বিয়ের অনুষ্ঠান


এক বন্ধুর ( বালিশের) বিয়ের অনুষ্ঠান, সব বন্ধুরা বিয়েতে আসলো, অনেক ব্যাস্ততা এবং ঝামেলার মধ্যে থাকায় সব কিছুর ব্যাবস্থা করলেও কিভাবে যেন পাগড়ীটা বাদ পড়ে গেলো !!! এখন কি উপায় !!! 
এক বন্ধু বললো কিরে বালিশ, তুই টুপি পরেই বিয়ে করবি নাকি ? আমি তোর পাগড়ীর ব্যাবস্থা করছি, একদিনের জন্য পাগড়ী কিনে কাজ নেই, অত:পর বন্ধুর দেয়া পাগড়ী পরেই দুই বন্ধু মিলে গেটে দাড়িয়ে বিয়েতে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে লাগলো,
১ম অতিথি :...... বাহ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে smile emoticon
বন্ধু :........... সুন্দরতো লাগবেই, বালিশের মাথার পাগড়ীটা আমার শশুর বাড়ী থেকে আমাকে দিয়েছিলো, ইন্ডিয়া থেকে আনা, ২০ হাজার টাকা দাম !!!
বালিশ :.......তোকে কেউ পাগড়ীর কথা জিজ্ঞেস করছে? তুই আগ বাড়িয়ে এত কথা বলিস কেন ?
বন্ধু :........... তুই আমার পাগড়ী পরে বিয়া করবি, আর আমি এটা বলতে পারবো না ? এটা কিন্তু অন্যায় !!!
বালিশ :........ দোস্ত, পাগড়ীর ব্যাপারে এত কিছু ডিটেইলস বলার দরকার নাই 

কিছু "দুর্জন"


ছোটবেলায় পাঠ্যবইতে একটি গল্প পড়েছিলাম- এক বৃদ্ধলোকের দশ ছেলে। ছেলেদের মধ্যে কোন ঐক্য নেই। সারাদিন ঝগড়াঝাঁটি করছে। মারামারি, গালাগালি করছে। এ ওকে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে কিংবা নিজেই কেউ একজন রাগ করে বেরিয়ে যাচ্ছে। এক যাচ্ছেতাই অবস্থা। বৃদ্ধ দিনের পর দিন এসব দেখেন আর ছেলেদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে শঙ্কিত হয়ে উঠেন। একদিন বৃদ্ধ ভদ্রলোক বিশটি কঞ্চি যোগাড় করে ছেলেদের ডাকলেন। সকলের হাতে একটি করে কঞ্চি দিয়ে বললেন ভাঙো। ছেলেরা ভাবল বুড়ো বয়সে বাবার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। যে যার মতো মটমট করে বাঁশের চিকন কঞ্চি ভেঙ্গে ফেললো। যার যার কাজ সমাপ্ত করে চলে যেতে উদ্যত হলো ছেলেরা। বুড়োর ম্যাজিক কিছু বাকি ছিলো তখনো। তিনি ছেলেদের দাঁড়াতে বললেন এবং বাকি দশটি কাঠি একটি আঁটি বেঁধে জ্যেষ্ঠ পুত্রের হাতে দিয়ে বললেন "ভাঙো"। বড় ছেলে বিফল হলে দ্বিতীয় পুত্রের হাতে দিলেন। এভাবে একে একে সব ছেলেই সেই আঁটি ভাঙতে বিফল হলে বুড়ো বললেন তোমরা যদি একতাবদ্ধ না থাকো তাহলে ওই কঞ্চিগুলোর মতোই মটমটিয়ে ভেঙ্গে যাবে আর একসাথে আঁটি বেঁধে থাকলে কেউ তোমাদের ভাঙ্গতে পারবে না।